নীলফামারী ও সৈয়দপুর প্রতিনিধি
দেশে সাইনবোর্ড ও নামফলক বাংলায় লিখতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকলেও নীলফামারীতে ইংরেজি ব্যবহারের ছড়াছড়ি। সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলনে আদালতের দেওয়া আদেশ কার্যকরে তেমন কোনো উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের। এ ক্ষেত্রে ক্ষমতা থাকলেও পৌর পরিষদকে কখনোই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে জানান, আদালতের নির্দেশে সাইনবোর্ডে ভিনদেশি ভাষার ব্যবহার পরিহার করার জন্য পৌর পরিষদ বদ্ধপরিকর। পরিষদের আগামী সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে খুব শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করা হবে। তবে পৌরবাসীকে এ ব্যাপারে সচেতন ও বাংলা ভাষার প্রতি দরদি হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সূত্রমতে, ২০১৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বিদেশি দূতাবাস ও প্রতিষ্ঠান বাদে দেশের সব প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার, গাড়ির নম্বরপ্লেট, দপ্তরের নাম এবং গণমাধ্যমে ইংরেজি বিজ্ঞাপনে মিশ্র ভাষার ব্যবহার বন্ধ করতে নির্দেশ দেন। পরে একই বছরের ২৯ মে আন্তমন্ত্রণালয় সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মাধ্যমে এটি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত হয়। এরপরও বাংলা ব্যবহারে দৃশ্যত কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় ২০১৫ সালের ১৮ আগস্ট আদালত কড়া ভাষায় মন্তব্য করেন। এরপরও নীলফামারী ও সৈয়দপুর পৌর এলাকায় ইংরেজিতে লেখা সাইনবোর্ডগুলো অপসারণ করা হয়নি। পৌর পরিষদও কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলা ও উপজেলা শহরের বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের বড় বড় সাইনবোর্ড ইংরেজিতে লেখা। সৈয়দপুরের নিয়ামতপুর কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড এলাকার অর্ধশতাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ইংরেজিতে লেখা। তবে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ইংরেজিতে লেখা সাইনবোর্ডের পাশে ছোট করে বাংলায় প্রতিষ্ঠানের নাম টাঙিয়েছে। একই চিত্র দেখা যায় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পোশাক ও জুতার শোরুম, ব্যাংক-বিমা, কম্পিউটার ও খাবারের দোকানের সাইনবোর্ডেও।
ইংরেজিতে সাইনবোর্ড টাঙানো বিভিন্ন ধরনের অন্তত ১০টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অনেকেই জানেন না বাংলায় সাইনবোর্ড লেখা নিয়ে আদালতের আদেশের বিষয়টি। তবে অনেকে ব্র্যান্ডের নাম ও লোগোর সঙ্গে মিল রেখে ইংরেজিতে সাইনবোর্ড তৈরি করেছেন বলে দাবি করেন। অথচ ব্যবসা সনদ বা ট্রেড লাইসেন্স নেওয়ার সময় পৌরসভা কর্তৃপক্ষ থেকে সাইনবোর্ডে বাংলা ব্যবহারের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়।
শহরের একটি শোরুমের ব্যবস্থাপক নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, ‘বাংলার প্রতি অবজ্ঞা থেকে এটি করা হয়েছে, বিষয়টি এমন না। নামটি ইংরেজিতে তাই সাইনবোর্ড ইংরেজিতে লেখা হয়েছে। আমাদের সচেতনতার অভাব আছে এটি সত্যি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক সাখাওয়াত হোসেন খোকন আজকের পত্রিকাকে জানান, এটি দুর্ভাগ্যের বিষয়। শুধু প্রতিষ্ঠানের নাম নয়, সামাজিক অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রও ইংরেজিতে করা হচ্ছে। এগুলো সরকারের বা আদালতের আদেশেই কেন বাংলায় লিখতে হবে। এটি নাগরিকদের দায়িত্ববোধ থেকেই করা উচিত। তবে আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে উপজেলা ও পৌর প্রশাসনের প্রচার-প্রচারণাসহ কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত মনে করেন তিনি।
দেশে সাইনবোর্ড ও নামফলক বাংলায় লিখতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকলেও নীলফামারীতে ইংরেজি ব্যবহারের ছড়াছড়ি। সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলনে আদালতের দেওয়া আদেশ কার্যকরে তেমন কোনো উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের। এ ক্ষেত্রে ক্ষমতা থাকলেও পৌর পরিষদকে কখনোই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে জানান, আদালতের নির্দেশে সাইনবোর্ডে ভিনদেশি ভাষার ব্যবহার পরিহার করার জন্য পৌর পরিষদ বদ্ধপরিকর। পরিষদের আগামী সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে খুব শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করা হবে। তবে পৌরবাসীকে এ ব্যাপারে সচেতন ও বাংলা ভাষার প্রতি দরদি হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সূত্রমতে, ২০১৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বিদেশি দূতাবাস ও প্রতিষ্ঠান বাদে দেশের সব প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার, গাড়ির নম্বরপ্লেট, দপ্তরের নাম এবং গণমাধ্যমে ইংরেজি বিজ্ঞাপনে মিশ্র ভাষার ব্যবহার বন্ধ করতে নির্দেশ দেন। পরে একই বছরের ২৯ মে আন্তমন্ত্রণালয় সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মাধ্যমে এটি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত হয়। এরপরও বাংলা ব্যবহারে দৃশ্যত কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় ২০১৫ সালের ১৮ আগস্ট আদালত কড়া ভাষায় মন্তব্য করেন। এরপরও নীলফামারী ও সৈয়দপুর পৌর এলাকায় ইংরেজিতে লেখা সাইনবোর্ডগুলো অপসারণ করা হয়নি। পৌর পরিষদও কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলা ও উপজেলা শহরের বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের বড় বড় সাইনবোর্ড ইংরেজিতে লেখা। সৈয়দপুরের নিয়ামতপুর কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড এলাকার অর্ধশতাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ইংরেজিতে লেখা। তবে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ইংরেজিতে লেখা সাইনবোর্ডের পাশে ছোট করে বাংলায় প্রতিষ্ঠানের নাম টাঙিয়েছে। একই চিত্র দেখা যায় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পোশাক ও জুতার শোরুম, ব্যাংক-বিমা, কম্পিউটার ও খাবারের দোকানের সাইনবোর্ডেও।
ইংরেজিতে সাইনবোর্ড টাঙানো বিভিন্ন ধরনের অন্তত ১০টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অনেকেই জানেন না বাংলায় সাইনবোর্ড লেখা নিয়ে আদালতের আদেশের বিষয়টি। তবে অনেকে ব্র্যান্ডের নাম ও লোগোর সঙ্গে মিল রেখে ইংরেজিতে সাইনবোর্ড তৈরি করেছেন বলে দাবি করেন। অথচ ব্যবসা সনদ বা ট্রেড লাইসেন্স নেওয়ার সময় পৌরসভা কর্তৃপক্ষ থেকে সাইনবোর্ডে বাংলা ব্যবহারের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়।
শহরের একটি শোরুমের ব্যবস্থাপক নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, ‘বাংলার প্রতি অবজ্ঞা থেকে এটি করা হয়েছে, বিষয়টি এমন না। নামটি ইংরেজিতে তাই সাইনবোর্ড ইংরেজিতে লেখা হয়েছে। আমাদের সচেতনতার অভাব আছে এটি সত্যি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক সাখাওয়াত হোসেন খোকন আজকের পত্রিকাকে জানান, এটি দুর্ভাগ্যের বিষয়। শুধু প্রতিষ্ঠানের নাম নয়, সামাজিক অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রও ইংরেজিতে করা হচ্ছে। এগুলো সরকারের বা আদালতের আদেশেই কেন বাংলায় লিখতে হবে। এটি নাগরিকদের দায়িত্ববোধ থেকেই করা উচিত। তবে আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে উপজেলা ও পৌর প্রশাসনের প্রচার-প্রচারণাসহ কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত মনে করেন তিনি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে