চাঁদপুর প্রতিনিধি
ট্রলারে করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মেঘনা পাড়ি দিয়ে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে হাইমচর উপজেলার ঈশানবালা এমজেএস উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬৪ শিক্ষার্থী। শুধু তারা নয়, অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া চরাঞ্চলের অসংখ্য বিদ্যালয়ের জেএসসি পরীক্ষার্থীদেরও ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয় এই নদী।
এ ছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানাবিধ প্রতিকূল পরিবেশে উত্তাল এই নদী পাড়ি দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই পরীক্ষা দিতে আসতে হয় শিক্ষার্থীদের। কখনো কখনো কুয়াশার সকালে নদীর মাঝে জেগে ওঠা চরে আটকে যায় শিক্ষার্থীবাহী নৌযান। প্রায়ই নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে পারে না তারা। এতে তাদের পরীক্ষায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা জানায়, পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রতিদিন সকাল ছয়টার দিকে তারা ঘর থেকে বের হয়ে সাড়ে সাতটার দিকে ট্রলারে ওঠে। পর্যায়ক্রমে ৪টি চর থেকে শিক্ষার্থীদের ট্রলারে তোলা হয়। তারপর এই নদী পাড়ি দিয়ে হাইমচর তেলির মোড় নৌঘাটে পৌঁছায়। এরপর কয়েক কিলোমিটার হেঁটে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছাতে হয় শিক্ষার্থীদের।
বেশ কয়েকজন অভিভাবক জানান, স্থানীয়ভাবে কেন্দ্র না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়তি খরচে তাদের সন্তানদের পরীক্ষা দিতে হয়। এত চাপের মধ্য দিয়ে যখন তাঁদের সন্তানেরা ক্লান্ত হয়ে কেন্দ্রে পৌঁছায় তখন এসব শিশুর পক্ষে আর ভালো পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হয় না। পরীক্ষা শেষ করে নদী পাড়ি দিয়ে বাড়ি ফিরতেও বিকেল হয়ে যায়।
অভিভাবকেরা বলেন, পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সন্তানদের মাথাপিছু শুধু নৌকাভাড়া বাবদ ৪০০ টাকা বাড়তি ব্যয় হচ্ছে তাঁদের। বিদ্যালয় থেকেই পরীক্ষার কয়েক দিনের জন্য ট্রলার ভাড়া বাবদ এ টাকা নেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক বলেন, চরাঞ্চলের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর অভিভাবক দিনমজুর, কৃষক বা জেলে। সরকারিভাবে শিক্ষার্থীদের নদী পাড়ি দেওয়ার ব্যবস্থা অর্থাৎ একটি নৌযান বরাদ্দ দেওয়া হলে এই অভিভাবকদের টাকার চিন্তা কিছুটা কমত।
ঈশানবালা চরের এমজেএস বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিএম মান্নাফ বলেন, চরাঞ্চলে দিন দিন মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। এ অবস্থায় স্থানীয় পর্যায়ে পরীক্ষাকেন্দ্র করার জন্য বছর তিনেক আগে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু বোর্ড কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মীর হোসেন জানান, এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চরাঞ্চলে অবস্থিত। সেখানে কোনো পরীক্ষাকেন্দ্র না থাকায় এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীদের নদী পার হয়ে হাইমচর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এসে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে।
মীর হোসেন বলেন, ‘ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি সম্পর্কে জেনেছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশ্বাস পেয়েছি।’
এ ব্যাপারে হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চাই থোয়াইহলা চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, চরাঞ্চলের এত শিক্ষার্থীর এরকম ঝুঁকি নিয়ে হাইমচরে এসে পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়টি সত্যিই উদ্বেগজনক। বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতে চরাঞ্চলে একটি কেন্দ্র দেওয়া যায় কি না, সে চেষ্টা করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, এ ব্যাপারে অতি দ্রুত ভালো সমাধান আসবে।
ট্রলারে করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মেঘনা পাড়ি দিয়ে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে হাইমচর উপজেলার ঈশানবালা এমজেএস উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬৪ শিক্ষার্থী। শুধু তারা নয়, অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া চরাঞ্চলের অসংখ্য বিদ্যালয়ের জেএসসি পরীক্ষার্থীদেরও ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয় এই নদী।
এ ছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানাবিধ প্রতিকূল পরিবেশে উত্তাল এই নদী পাড়ি দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই পরীক্ষা দিতে আসতে হয় শিক্ষার্থীদের। কখনো কখনো কুয়াশার সকালে নদীর মাঝে জেগে ওঠা চরে আটকে যায় শিক্ষার্থীবাহী নৌযান। প্রায়ই নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে পারে না তারা। এতে তাদের পরীক্ষায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা জানায়, পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রতিদিন সকাল ছয়টার দিকে তারা ঘর থেকে বের হয়ে সাড়ে সাতটার দিকে ট্রলারে ওঠে। পর্যায়ক্রমে ৪টি চর থেকে শিক্ষার্থীদের ট্রলারে তোলা হয়। তারপর এই নদী পাড়ি দিয়ে হাইমচর তেলির মোড় নৌঘাটে পৌঁছায়। এরপর কয়েক কিলোমিটার হেঁটে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছাতে হয় শিক্ষার্থীদের।
বেশ কয়েকজন অভিভাবক জানান, স্থানীয়ভাবে কেন্দ্র না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়তি খরচে তাদের সন্তানদের পরীক্ষা দিতে হয়। এত চাপের মধ্য দিয়ে যখন তাঁদের সন্তানেরা ক্লান্ত হয়ে কেন্দ্রে পৌঁছায় তখন এসব শিশুর পক্ষে আর ভালো পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হয় না। পরীক্ষা শেষ করে নদী পাড়ি দিয়ে বাড়ি ফিরতেও বিকেল হয়ে যায়।
অভিভাবকেরা বলেন, পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সন্তানদের মাথাপিছু শুধু নৌকাভাড়া বাবদ ৪০০ টাকা বাড়তি ব্যয় হচ্ছে তাঁদের। বিদ্যালয় থেকেই পরীক্ষার কয়েক দিনের জন্য ট্রলার ভাড়া বাবদ এ টাকা নেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক বলেন, চরাঞ্চলের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর অভিভাবক দিনমজুর, কৃষক বা জেলে। সরকারিভাবে শিক্ষার্থীদের নদী পাড়ি দেওয়ার ব্যবস্থা অর্থাৎ একটি নৌযান বরাদ্দ দেওয়া হলে এই অভিভাবকদের টাকার চিন্তা কিছুটা কমত।
ঈশানবালা চরের এমজেএস বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিএম মান্নাফ বলেন, চরাঞ্চলে দিন দিন মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। এ অবস্থায় স্থানীয় পর্যায়ে পরীক্ষাকেন্দ্র করার জন্য বছর তিনেক আগে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু বোর্ড কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মীর হোসেন জানান, এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চরাঞ্চলে অবস্থিত। সেখানে কোনো পরীক্ষাকেন্দ্র না থাকায় এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীদের নদী পার হয়ে হাইমচর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এসে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে।
মীর হোসেন বলেন, ‘ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি সম্পর্কে জেনেছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশ্বাস পেয়েছি।’
এ ব্যাপারে হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চাই থোয়াইহলা চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, চরাঞ্চলের এত শিক্ষার্থীর এরকম ঝুঁকি নিয়ে হাইমচরে এসে পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়টি সত্যিই উদ্বেগজনক। বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতে চরাঞ্চলে একটি কেন্দ্র দেওয়া যায় কি না, সে চেষ্টা করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, এ ব্যাপারে অতি দ্রুত ভালো সমাধান আসবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে