লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ৬ ছাত্রের চুল কেটে দেওয়ার ঘটনার অভিযুক্ত শিক্ষক মঞ্জুরুল কবিরের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।

মঞ্জুরুল রায়পুর উপজেলার হামছাদী কাজিরদিঘীর পাড় আলিম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ও বামনী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির।

মঞ্জুরুল কবিরের আইনজীবী কামাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলার বাদী শাহেদা বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাদীর আপত্তি না থাকায় আদালতের বিচারক শিক্ষকের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। গতকাল বিকেলে জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান শিক্ষক মঞ্জুরুল কবির।

আদালত সূত্র জানা যায়, গত ১০ অক্টোবর শিক্ষক মঞ্জুরুলকে রায়পুর আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট উপস্থিত করে জামিন আবেদন করা হয়। ওই দিন আদালতের বিচারক তারেক আজিজ জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি লক্ষ্মীপুরে রায়পুরে কাজিরদিঘীরপাড় আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক ও ইউনিয়ন জামায়াত নেতা মঞ্জুরুল কবির মাদ্রাসার শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সময় দাখিলের ৬ ছাত্রকে শ্রেণি কক্ষের সামনের বারান্দায় আসতে বলেন। এ সময় তিনি উত্তেজিত হয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে একটি কাঁচি এনে সবার মাথার চুল এলোমেলোভাবে কেটে দেয়। পরে তারা লজ্জায় ক্লাস না করেই বেরিয়ে যায়। এ ঘটনার ১ মিনিট ১০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও গত ৮ অক্টোবর সকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে দেখা যায়। ভিডিওতে কয়েকজন ছাত্রকে কান্না করতে দেখা গেছে। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে জেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। পরে শিক্ষক মঞ্জুল কবিরকে আটক করে পুলিশ। এর পরদিন সকালে এক শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসেনের মা বাদী হয়ে রায়পুর থানায় মামলা করলে পুলিশ তাঁকে জেল-হাজতে পাঠায়।