হুমায়ুন মাসুদ, চট্টগ্রাম
মানুষের কারণে হাতির আবাসস্থল যদি হুমকিতে পড়ে, তবে হাতির দল মানুষের আবাসস্থলে হানা দেবে। এমন শঙ্কা বহু আগে থেকেই জানিয়ে আসছিলেন হাতি গবেষকেরা। তাঁদের সেই আশঙ্কা এখন দৃশ্যমান। চট্টগ্রাম অঞ্চলে গাছ কেটে বনভূমি উজাড়ে মুখোমুখি হয়ে পড়ছে মানুষ-হাতি। পাশাপাশি হাতির করিডরে রোহিঙ্গা বসতি, অভয়ারণ্যে রেললাইন নির্মাণের ফলে লোকালয়ে বন্য হাতির আক্রমণ বাড়ছে।
এমন অবস্থায় একদিকে হাতির আক্রমণে প্রাণ যাচ্ছেন মানুষের, অপরদিকে আক্রমণ থেকে বাঁচতে মানুষ মেরে ফেলছে হাতি। বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত তিন বছরে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে হাতির আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন ২৪ জন। একই সময়ে নানা কারণে মারা গেছে ৪৪টি হাতি।
২০১৯ সালের জুলাই থেকে এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৯৯টি হাতির আক্রমণের ঘটনার তথ্য জানিয়েছে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রাকৃতিক সংরক্ষণ বিভাগ। এর মধ্যে ২৪টি পৃথক ঘটনায় হাতির আক্রমণে ২৪ জন নিহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১৩৬ জন মানুষ। অথচ এর আগে ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিন বছরে চট্টগ্রামে হাতির আক্রমণের ঘটনা ঘটে মাত্র ৫৫টি। এ সব ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হন ৭১ জন। এর মধ্যে নিহত হয়েছেন ১৬ জন।
এই হিসেবে দেখা যাচ্ছে, গত আড়াই বছরে চট্টগ্রামের লোকালয়ে হাতির আক্রমণ প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে।
গবেষকেরা বলছেন, লোকালয়ে হাতির আক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পেছনে হাতির করিডরে রোহিঙ্গা বসতির ভূমিকা রয়েছে। পাশাপাশি অভয়ারণ্যের মধ্য দিয়ে রেললাইন নির্মাণকেও দায়ী করছেন তাঁরা। আর খাদ্য সংকটের কারণেও হাতিগুলো লোকালয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
জানতে চাইলে হাতি গবেষক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল হাসান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আইনানুযায়ী ফরেস্টের এক কিলোমিটারে বসতি থাকবে না। আইনে এটি বলা থাকলেও বাস্তবে কেউ এটা মানছে না। হাতির চলাচলের পথে বসতি-রেললাইন গড়ে তোলা হচ্ছে। এসব কারণে হাতির বিচরণক্ষেত্র কমে যাচ্ছে। করিডরে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হওয়ায় হাতিগুলো নতুন করিডরের সন্ধানে এদিক-ওদিক যাচ্ছে। পাশাপাশি বনভূমি উজাড় করে ফেলায় হাতি খাদ্য সংকটেও ভুগছে।
তাই খাবারের সন্ধানে হাতিগুলো লোকালয়ে-ধানখেতে আসছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তবে এর সঙ্গে কিছুটা ভিন্নমত পোষণ করেন আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ মো. রাকিবুল আমিন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরের কারণে হাতির আন্তর্জাতিক করিডর বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে ৪০ টির মতো হাতি টেকনাফ-উখিয়া এলাকায় আটকা পড়েছে। এগুলো ওই এলাকার বনে অবস্থান করছে। যে কারণে ওই এলাকায় হাতি-মানুষে সংঘর্ষ হচ্ছে। কিন্তু চট্টগ্রামের ক্ষেত্রে বিষয়টা ভিন্ন। এই হাতিগুলো এলাকার বনেই থাকত।
রাকিবুল আমিন আরও বলেন, ‘হাতি-মানুষে সংঘর্ষ বাড়ার পেছনের কারণটা বেশ জটিল। একটি নির্দিষ্ট প্যারামিটার দিয়ে এটিকে দেখা ঠিক হবে না। অবশ্যই হাতি মারা দোষের, কিন্তু ওই মানুষটা কেন হাতি মারতে যাচ্ছে? আপনি কী একবারও ভেবেছেন মানুষটা কেন হাতির আবাসস্থলে যাচ্ছে?’
এর সঙ্গে সামাজিক-অর্থনৈতিক একটা সম্পর্কের উল্লেখ করেন তিনি।
রাকিবুল আমিন বলেন, ‘হাতির আবাসস্থল রক্ষার পাশাপাশি ওই সব মানুষের জীবন-জীবিকা নিয়েও আমাদের ভাবতে হবে। তখন হাতি-মানুষে সংঘর্ষ কমে আসবে।’
সরকার ঘোষিত ২০১০ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী টেকনাফ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের আয়তন ছিল ১১ হাজার ৬১৫ হেক্টর। এর ৭ বছরের মাথায় ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা বসতি গড়ে উঠলে টেকনাফ ও উখিয়ার প্রায় ছয় হাজার একর পাহাড় কেটে ফেলা হয়। বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের ওপর যার প্রভাব হয় মারাত্মক। আবাসস্থল ও বিচরণক্ষেত্র হারিয়ে ফেলে বিখ্যাত এশিয়ান হাতি। সেখানকার পরিবেশ, বনভূমি ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ায় পথ বদলে ফেলে হাতিগুলো। ওই সব হাতি এখন চট্টগ্রামের দক্ষিণ বন বিভাগের আওতাধীন চুনতি অভয়ারণ্য হয়ে বাঁশখালী ও আনোয়ারার লোকালয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে।
অন্যদিকে এশিয়ান বন্য হাতির অন্যতম প্রজনন ক্ষেত্র হলো চুনতি অভয়ারণ্য। এর ১০ কিলোমিটার অংশে রেললাইন নির্মিত হচ্ছে। এই ১০ কিলোমিটারে পড়েছে হাতি চলাচলের পাঁচটি স্থায়ী ও ছয়টি মৌসুমি পথ। রেললাইন নির্মিত হলে ওই ১১টি পথে হাতির চলাচল ব্যাহত হবে। এ দুটি কারণেই এখন লোকালয়ে হাতির আক্রমণ বাড়ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রাকৃতিক সংরক্ষণ বিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষক দ্বীপান্বিতা ভট্টাচার্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বনাঞ্চলে হাতি চলাচলের জন্য ১২টি করিডর ছিল। বংশ পরম্পরায় হাতিগুলো এসব করিডর দিয়ে চলাচল করত। কিন্তু ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসার পর টেকনাফ এলাকার বনভূমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চুনতি অভয়ারণ্য দিয়ে রেললাইন যাওয়ার হাতি চলাচলের বেশ কিছু পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। আমাদের মনে হয় এসব কারণেই এখন হাতি লোকালয়ে আসার প্রবণতা বেড়েছে।’
দ্বীপান্বিতা ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘হাতি সংরক্ষণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। হাতি লোকালয়ে আসলে সেগুলোকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রায় প্রত্যেকটি এলাকায় হাতি রেসপন্স টিম গঠন করেছি। এর সদস্যরা হাতি লোকালয়ে আসলে সেগুলোকে কৌশলে তাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি কারও ফসলের ক্ষতি করলে তাঁরা যেন হাতি মেরে না ফেলেন, সে জন্য আমরা ক্ষতিপূরণ দিচ্ছি। হাতির করিডর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি আমাদের নজরে আছে।’
এটি কীভাবে নিরাপদ রাখা যায় সেটি নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন বলেও জানান এই বন্যপ্রাণী অধিকারকর্মী।
মানুষের কারণে হাতির আবাসস্থল যদি হুমকিতে পড়ে, তবে হাতির দল মানুষের আবাসস্থলে হানা দেবে। এমন শঙ্কা বহু আগে থেকেই জানিয়ে আসছিলেন হাতি গবেষকেরা। তাঁদের সেই আশঙ্কা এখন দৃশ্যমান। চট্টগ্রাম অঞ্চলে গাছ কেটে বনভূমি উজাড়ে মুখোমুখি হয়ে পড়ছে মানুষ-হাতি। পাশাপাশি হাতির করিডরে রোহিঙ্গা বসতি, অভয়ারণ্যে রেললাইন নির্মাণের ফলে লোকালয়ে বন্য হাতির আক্রমণ বাড়ছে।
এমন অবস্থায় একদিকে হাতির আক্রমণে প্রাণ যাচ্ছেন মানুষের, অপরদিকে আক্রমণ থেকে বাঁচতে মানুষ মেরে ফেলছে হাতি। বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত তিন বছরে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে হাতির আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন ২৪ জন। একই সময়ে নানা কারণে মারা গেছে ৪৪টি হাতি।
২০১৯ সালের জুলাই থেকে এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৯৯টি হাতির আক্রমণের ঘটনার তথ্য জানিয়েছে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রাকৃতিক সংরক্ষণ বিভাগ। এর মধ্যে ২৪টি পৃথক ঘটনায় হাতির আক্রমণে ২৪ জন নিহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১৩৬ জন মানুষ। অথচ এর আগে ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিন বছরে চট্টগ্রামে হাতির আক্রমণের ঘটনা ঘটে মাত্র ৫৫টি। এ সব ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হন ৭১ জন। এর মধ্যে নিহত হয়েছেন ১৬ জন।
এই হিসেবে দেখা যাচ্ছে, গত আড়াই বছরে চট্টগ্রামের লোকালয়ে হাতির আক্রমণ প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে।
গবেষকেরা বলছেন, লোকালয়ে হাতির আক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পেছনে হাতির করিডরে রোহিঙ্গা বসতির ভূমিকা রয়েছে। পাশাপাশি অভয়ারণ্যের মধ্য দিয়ে রেললাইন নির্মাণকেও দায়ী করছেন তাঁরা। আর খাদ্য সংকটের কারণেও হাতিগুলো লোকালয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
জানতে চাইলে হাতি গবেষক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল হাসান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আইনানুযায়ী ফরেস্টের এক কিলোমিটারে বসতি থাকবে না। আইনে এটি বলা থাকলেও বাস্তবে কেউ এটা মানছে না। হাতির চলাচলের পথে বসতি-রেললাইন গড়ে তোলা হচ্ছে। এসব কারণে হাতির বিচরণক্ষেত্র কমে যাচ্ছে। করিডরে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হওয়ায় হাতিগুলো নতুন করিডরের সন্ধানে এদিক-ওদিক যাচ্ছে। পাশাপাশি বনভূমি উজাড় করে ফেলায় হাতি খাদ্য সংকটেও ভুগছে।
তাই খাবারের সন্ধানে হাতিগুলো লোকালয়ে-ধানখেতে আসছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তবে এর সঙ্গে কিছুটা ভিন্নমত পোষণ করেন আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ মো. রাকিবুল আমিন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরের কারণে হাতির আন্তর্জাতিক করিডর বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে ৪০ টির মতো হাতি টেকনাফ-উখিয়া এলাকায় আটকা পড়েছে। এগুলো ওই এলাকার বনে অবস্থান করছে। যে কারণে ওই এলাকায় হাতি-মানুষে সংঘর্ষ হচ্ছে। কিন্তু চট্টগ্রামের ক্ষেত্রে বিষয়টা ভিন্ন। এই হাতিগুলো এলাকার বনেই থাকত।
রাকিবুল আমিন আরও বলেন, ‘হাতি-মানুষে সংঘর্ষ বাড়ার পেছনের কারণটা বেশ জটিল। একটি নির্দিষ্ট প্যারামিটার দিয়ে এটিকে দেখা ঠিক হবে না। অবশ্যই হাতি মারা দোষের, কিন্তু ওই মানুষটা কেন হাতি মারতে যাচ্ছে? আপনি কী একবারও ভেবেছেন মানুষটা কেন হাতির আবাসস্থলে যাচ্ছে?’
এর সঙ্গে সামাজিক-অর্থনৈতিক একটা সম্পর্কের উল্লেখ করেন তিনি।
রাকিবুল আমিন বলেন, ‘হাতির আবাসস্থল রক্ষার পাশাপাশি ওই সব মানুষের জীবন-জীবিকা নিয়েও আমাদের ভাবতে হবে। তখন হাতি-মানুষে সংঘর্ষ কমে আসবে।’
সরকার ঘোষিত ২০১০ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী টেকনাফ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের আয়তন ছিল ১১ হাজার ৬১৫ হেক্টর। এর ৭ বছরের মাথায় ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা বসতি গড়ে উঠলে টেকনাফ ও উখিয়ার প্রায় ছয় হাজার একর পাহাড় কেটে ফেলা হয়। বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের ওপর যার প্রভাব হয় মারাত্মক। আবাসস্থল ও বিচরণক্ষেত্র হারিয়ে ফেলে বিখ্যাত এশিয়ান হাতি। সেখানকার পরিবেশ, বনভূমি ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ায় পথ বদলে ফেলে হাতিগুলো। ওই সব হাতি এখন চট্টগ্রামের দক্ষিণ বন বিভাগের আওতাধীন চুনতি অভয়ারণ্য হয়ে বাঁশখালী ও আনোয়ারার লোকালয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে।
অন্যদিকে এশিয়ান বন্য হাতির অন্যতম প্রজনন ক্ষেত্র হলো চুনতি অভয়ারণ্য। এর ১০ কিলোমিটার অংশে রেললাইন নির্মিত হচ্ছে। এই ১০ কিলোমিটারে পড়েছে হাতি চলাচলের পাঁচটি স্থায়ী ও ছয়টি মৌসুমি পথ। রেললাইন নির্মিত হলে ওই ১১টি পথে হাতির চলাচল ব্যাহত হবে। এ দুটি কারণেই এখন লোকালয়ে হাতির আক্রমণ বাড়ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রাকৃতিক সংরক্ষণ বিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষক দ্বীপান্বিতা ভট্টাচার্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বনাঞ্চলে হাতি চলাচলের জন্য ১২টি করিডর ছিল। বংশ পরম্পরায় হাতিগুলো এসব করিডর দিয়ে চলাচল করত। কিন্তু ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসার পর টেকনাফ এলাকার বনভূমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চুনতি অভয়ারণ্য দিয়ে রেললাইন যাওয়ার হাতি চলাচলের বেশ কিছু পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। আমাদের মনে হয় এসব কারণেই এখন হাতি লোকালয়ে আসার প্রবণতা বেড়েছে।’
দ্বীপান্বিতা ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘হাতি সংরক্ষণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। হাতি লোকালয়ে আসলে সেগুলোকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রায় প্রত্যেকটি এলাকায় হাতি রেসপন্স টিম গঠন করেছি। এর সদস্যরা হাতি লোকালয়ে আসলে সেগুলোকে কৌশলে তাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি কারও ফসলের ক্ষতি করলে তাঁরা যেন হাতি মেরে না ফেলেন, সে জন্য আমরা ক্ষতিপূরণ দিচ্ছি। হাতির করিডর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি আমাদের নজরে আছে।’
এটি কীভাবে নিরাপদ রাখা যায় সেটি নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন বলেও জানান এই বন্যপ্রাণী অধিকারকর্মী।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
২ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৬ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে