হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে এক দশক আগেও শীতের সকালে চোখে পড়ত গাছিদের ব্যস্ততার দৃশ্য। সাত সকালে খেজুরের রস নিয়ে গাছিরা বাড়ি বাড়ি হাঁকডাক দিতেন। শীত মৌসুমের শুরুতেই চলত খেজুরের রস আর পিঠাপুলির আয়োজন। তবে গ্রামবাংলার এ দৃশ্য আজ আর তেমন চোখে পড়ে না। বিভিন্ন কারণে খেজুরগাছ নিধনে দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠছে খেজুরের রসও।
হাজীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, গ্রামের মেঠোপথের ধারে এখনো কিছু গাছ দাঁড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী হয়ে। এর মধ্যে রাজারগাঁও, বাকিলা, কালচোঁ উত্তর, কালচোঁ দক্ষিণ, বড়কুল পূর্ব, বড়কুল পশ্চিম, হাটিলা পূর্ব, হাটিলা পশ্চিম, গন্ধর্ব্যপুর উত্তর, গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন দ্বাদশ গ্রাম ইউনিয়নের কিছু স্থানে রস সংগ্রহে কাজ করতে দেখা গেছে গাছিদের। গাছ থেকে রস সংগ্রহের জন্য কলস, মাটির হাঁড়ি কিংবা প্লাস্টিকের ডোগ বসানো আছে। এভাবে রস সংগ্রহে দেখা যায় গাছিদের।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গাছের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। তারপরও যে কয়টা গাছ রয়েছে, তার মধ্যে কিছুর পরিচর্যা করে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন অনেকে।
এ উদ্দেশ্যে কিছু রস সংগ্রহের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। কিছু গাছ পরিচর্যাহীন অবস্থায় পড়ে আছে। আবার গাছির অভাবে কিছু গাছ রস সংগ্রহের জন্য প্রস্তুত করা যায়নি।
দ্বাদশ গ্রাম ইউনিয়নের আবুল কালাম নামের ষাটোর্ধ্ব একজন বৃদ্ধ বলেন, ‘কাঁচা রসের পায়েস খাওয়ার কথা এখনো মনে পড়ে। আমাদের নাতি-নাতনিরা তো আর সেই খেজুরের রস, রসের তৈরি গুড়, পিঠা-পুলি ও পায়েস, দুধ-চিতই খেতেই পায় না। তারপরও বছরে অন্তত একবার হলেও রসের তৈরি পায়েস রান্নার চেষ্টা করি।’
পৌরসভার টোরাগড় গ্রামের ষাটোর্ধ্ব আনোয়ার হোসেন আনু জানান, একসময় এক হাঁড়ি খেজুর রসের মূল্য ছিল ২০ টাকা। ৫ বছর আগেও ২০০ টাকা ছিল। কিন্তু এখন খেজুরগাছ না থাকায় সে রসের দাম বেড়ে ৬০০ টাকা হয়েছে।
বাকিলা ইউনিয়নের দিঘই গ্রামের গাছি মো. সফিউল্যাহ জানান, আশপাশের গ্রামের গাছগুলো রসের জন্য তিনিই প্রস্তুত করেন। বিনিময়ে এক দিন পরপর ও গাছের মালিকপক্ষ রস নিয়ে থাকেন।
এমনই পড়ন্ত দুপুরে হাজীগঞ্জের রামগঞ্জ সড়কের পাশে জয়শরা গ্রামে খেজুর রস সংগ্রহে মগ্ন গাছি সোলেমান বলেন, ‘এবারের মৌসুমে ২০টি খেজুরগাছ থেকে রস সংগ্রহ করছি। এ গাছগুলো থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩০ লিটার রস আসে। শীত যখন আরও বাড়বে, তখন টার্গেট হবে দৈনিক ৫০০ লিটার রস সংগ্রহ। প্রতি লিটার রস খুচরায় বিক্রি হয় ১০০ টাকা করে। আর পাইকারিতে ৮০-৮৫ টাকায়।’
পশ্চিম দেশগাঁও ব্রিজসংলগ্ন গাছি আলতাফ মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৪০টি গাছ কেটেছি, যা থেকে দৈনিক ৩৫-৪০ লিটার রস পাচ্ছি। শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রসের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত রস সংগ্রহ চলবে।’
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে এক দশক আগেও শীতের সকালে চোখে পড়ত গাছিদের ব্যস্ততার দৃশ্য। সাত সকালে খেজুরের রস নিয়ে গাছিরা বাড়ি বাড়ি হাঁকডাক দিতেন। শীত মৌসুমের শুরুতেই চলত খেজুরের রস আর পিঠাপুলির আয়োজন। তবে গ্রামবাংলার এ দৃশ্য আজ আর তেমন চোখে পড়ে না। বিভিন্ন কারণে খেজুরগাছ নিধনে দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠছে খেজুরের রসও।
হাজীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, গ্রামের মেঠোপথের ধারে এখনো কিছু গাছ দাঁড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী হয়ে। এর মধ্যে রাজারগাঁও, বাকিলা, কালচোঁ উত্তর, কালচোঁ দক্ষিণ, বড়কুল পূর্ব, বড়কুল পশ্চিম, হাটিলা পূর্ব, হাটিলা পশ্চিম, গন্ধর্ব্যপুর উত্তর, গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন দ্বাদশ গ্রাম ইউনিয়নের কিছু স্থানে রস সংগ্রহে কাজ করতে দেখা গেছে গাছিদের। গাছ থেকে রস সংগ্রহের জন্য কলস, মাটির হাঁড়ি কিংবা প্লাস্টিকের ডোগ বসানো আছে। এভাবে রস সংগ্রহে দেখা যায় গাছিদের।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গাছের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। তারপরও যে কয়টা গাছ রয়েছে, তার মধ্যে কিছুর পরিচর্যা করে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন অনেকে।
এ উদ্দেশ্যে কিছু রস সংগ্রহের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। কিছু গাছ পরিচর্যাহীন অবস্থায় পড়ে আছে। আবার গাছির অভাবে কিছু গাছ রস সংগ্রহের জন্য প্রস্তুত করা যায়নি।
দ্বাদশ গ্রাম ইউনিয়নের আবুল কালাম নামের ষাটোর্ধ্ব একজন বৃদ্ধ বলেন, ‘কাঁচা রসের পায়েস খাওয়ার কথা এখনো মনে পড়ে। আমাদের নাতি-নাতনিরা তো আর সেই খেজুরের রস, রসের তৈরি গুড়, পিঠা-পুলি ও পায়েস, দুধ-চিতই খেতেই পায় না। তারপরও বছরে অন্তত একবার হলেও রসের তৈরি পায়েস রান্নার চেষ্টা করি।’
পৌরসভার টোরাগড় গ্রামের ষাটোর্ধ্ব আনোয়ার হোসেন আনু জানান, একসময় এক হাঁড়ি খেজুর রসের মূল্য ছিল ২০ টাকা। ৫ বছর আগেও ২০০ টাকা ছিল। কিন্তু এখন খেজুরগাছ না থাকায় সে রসের দাম বেড়ে ৬০০ টাকা হয়েছে।
বাকিলা ইউনিয়নের দিঘই গ্রামের গাছি মো. সফিউল্যাহ জানান, আশপাশের গ্রামের গাছগুলো রসের জন্য তিনিই প্রস্তুত করেন। বিনিময়ে এক দিন পরপর ও গাছের মালিকপক্ষ রস নিয়ে থাকেন।
এমনই পড়ন্ত দুপুরে হাজীগঞ্জের রামগঞ্জ সড়কের পাশে জয়শরা গ্রামে খেজুর রস সংগ্রহে মগ্ন গাছি সোলেমান বলেন, ‘এবারের মৌসুমে ২০টি খেজুরগাছ থেকে রস সংগ্রহ করছি। এ গাছগুলো থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩০ লিটার রস আসে। শীত যখন আরও বাড়বে, তখন টার্গেট হবে দৈনিক ৫০০ লিটার রস সংগ্রহ। প্রতি লিটার রস খুচরায় বিক্রি হয় ১০০ টাকা করে। আর পাইকারিতে ৮০-৮৫ টাকায়।’
পশ্চিম দেশগাঁও ব্রিজসংলগ্ন গাছি আলতাফ মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৪০টি গাছ কেটেছি, যা থেকে দৈনিক ৩৫-৪০ লিটার রস পাচ্ছি। শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রসের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত রস সংগ্রহ চলবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে