মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে নির্মাণকাজের গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ রডের দামে। খুচরা বাজারে প্রথমবার প্রতি টন রডের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৯ থেকে ৯৩ হাজার টাকায়। এতে বড় ধাক্কা লেগেছে নির্মাণকাজে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পসহ ব্যক্তি খাতের নির্মাণকাজ।
সেই ধাক্কা সামাল দিতে না দিতেই এবার অস্থির হয়ে উঠেছে সিমেন্টের বাজার। চাহিদা কম থাকলেও বাড়ছে পণ্যটির দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে ৫০ কেজির প্রতি বস্তায় সিমেন্টের দাম বেড়েছে ৭০ থেকে ১২০ টাকা।
ডিলার ও মাঠপর্যায়ের ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের সব কারখানা চালু ও উৎপাদন স্বাভাবিক রয়েছে। মালামাল থাকলেও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সরবরাহ করা হচ্ছে না। রডের দাম বাড়ার কারণে সিমেন্ট উৎপাদনকারীরাও প্রতিযোগিতা করে দাম বাড়াচ্ছেন। অন্যদিকে ব্যবহারকারীরা বলছেন, একটি অসাধু চক্র সিন্ডিকেট করে বিপুল পরিমাণ রড ও সিমেন্ট মজুত করেছে। এতে বাজারে কৃত্রিম সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। চাহিদা কম থাকলেও সিন্ডিকেট করে রড ও সিমেন্টের দাম বাড়াচ্ছে চক্রটি।
উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রকারভেদে বিভিন্ন কোম্পানির প্রতি টন রড বিক্রি হচ্ছে ৮৯ হাজার থেকে ৯৩ হাজার টাকায়। বিএসআরএম ৯৩ হাজার টাকা, এসসিআরএম ৮৯ হাজার টাকা, একেএস ৯২ হাজার টাকা, মেট্রোসিম ৯১ হাজার দরে বিক্রি হয়েছে। যা দেশের অতীত ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এ ছাড়া হোলসিম, স্ক্যান, সেভেন রিংস গোল্ড, আকিজসহ বিভিন্ন কোম্পানির ঢালাই সিমেন্ট প্রতি বস্তা বিক্রি হয়েছে ৫৮০ থেকে ৫৯০ টাকা। সাধারণ গ্রেডের সিমেন্ট বিক্রি হয়েছে ৫৫০ থেকে ৫৭০ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ কেজির প্রতি বস্তা সিমেন্টে দাম বেড়েছে ৭০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে, দেশে কারখানাগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা বাজারের চাহিদার চেয়ে বেশি। সিমেন্ট কারখানাগুলোর কাঁচামালের প্রায় পুরোটাই আমদানিনির্ভর। এর মধ্যে ভিয়েতনাম, চীন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড থেকে ক্লিংকার (কাঁচামাল) আমদানি হয়। বেশির ভাগ আমদানি হয় ভিয়েতনাম থেকে।
নির্মাণশ্রমিক ইমদাদুল হক বলেন, রড-সিমেন্টের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে নির্মাণকাজে। এ কারণে চলতি সপ্তাহে কাজ অনেক কমে গেছে। রড-সিমেন্টে নির্ভর কাজ হচ্ছে না বললেই চলে। সরকারি ঠিকাদারেরাও বন্ধ রেখেছেন প্রকল্পের কাজ।
এলজিইডির ঠিকাদার মাহবুবুর রহমান নান্টু বলেন, রডের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ার কারণে এলজিইডি, গণপূর্ত, শিক্ষাপ্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রায় প্রকল্পের কাজে স্থবিরতা নেমে এসেছে। অচিরেই দাম না কমলে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া ঠিকাদারদের কোনো উপায় থাকবে না। এরই মধ্যে অনেক ঠিকাদার চরম বেকায়দায় পড়েছেন।
বসতবাড়ির নির্মাণকাজ শুরু করেছেন উপজেলার শামুকখোল গ্রামের বিমান কুমার সরকার। তিনি বলেন, কাজে হাত দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রড ও সিমেন্টের দাম ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এতে নির্মাণকাজ নিয়ে তিনি চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমি কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা নিয়ে নির্মাণকাজে হাত দিয়েছি। এখন বাজারের যা অবস্থা তাতে কাজ বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।’
উপজেলার প্রসাদপুর বাজারের রড-সিমেন্টের পাইকারি বিক্রেতা আব্দুল লতিফ প্রামাণিক বলেন, দেশের সব সিমেন্ট কারখানায় উৎপাদন স্বাভাবিক রয়েছে। কিন্তু বাজারে সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে কোম্পানিগুলো। এমনিতে রডের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় চারদিকে কাজে (নির্মাণকাজ) ধস নেমেছে। তার ওপর সিমেন্টের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে। যে কারণে সিমেন্টের অগ্রিম বুকিং নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি।
আব্দুল লতিফ প্রামাণিক আরও বলেন, কোম্পানিগুলো ডিলারদের চাহিদামতো সরবরাহ দিচ্ছে না। বাজারে অলিখিত সংকট তৈরি হয়েছে। আবার একেক ডিলার একেক দামে রড-সিমেন্ট বিক্রি করছে। সব মিলিয়ে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। বেচাকেনা নেমে এসেছে শূন্যের কোঠায়।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী শাইদুল ইসলাম মিয়া বলেন, এ দপ্তরের আওতায় বিভিন্ন কাজ চলমান রয়েছে। শিডিউল মোতাবেক প্রত্যেক ঠিকাদারকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই মানসম্মত কাজ বুঝে দিতে হবে। না হলে ওইসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিধিগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রড-সিমেন্টের দাম বাড়লেও এসব কাজে কোনো প্রভাব পড়বে না।
অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে নির্মাণকাজের গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ রডের দামে। খুচরা বাজারে প্রথমবার প্রতি টন রডের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৯ থেকে ৯৩ হাজার টাকায়। এতে বড় ধাক্কা লেগেছে নির্মাণকাজে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পসহ ব্যক্তি খাতের নির্মাণকাজ।
সেই ধাক্কা সামাল দিতে না দিতেই এবার অস্থির হয়ে উঠেছে সিমেন্টের বাজার। চাহিদা কম থাকলেও বাড়ছে পণ্যটির দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে ৫০ কেজির প্রতি বস্তায় সিমেন্টের দাম বেড়েছে ৭০ থেকে ১২০ টাকা।
ডিলার ও মাঠপর্যায়ের ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের সব কারখানা চালু ও উৎপাদন স্বাভাবিক রয়েছে। মালামাল থাকলেও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সরবরাহ করা হচ্ছে না। রডের দাম বাড়ার কারণে সিমেন্ট উৎপাদনকারীরাও প্রতিযোগিতা করে দাম বাড়াচ্ছেন। অন্যদিকে ব্যবহারকারীরা বলছেন, একটি অসাধু চক্র সিন্ডিকেট করে বিপুল পরিমাণ রড ও সিমেন্ট মজুত করেছে। এতে বাজারে কৃত্রিম সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। চাহিদা কম থাকলেও সিন্ডিকেট করে রড ও সিমেন্টের দাম বাড়াচ্ছে চক্রটি।
উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রকারভেদে বিভিন্ন কোম্পানির প্রতি টন রড বিক্রি হচ্ছে ৮৯ হাজার থেকে ৯৩ হাজার টাকায়। বিএসআরএম ৯৩ হাজার টাকা, এসসিআরএম ৮৯ হাজার টাকা, একেএস ৯২ হাজার টাকা, মেট্রোসিম ৯১ হাজার দরে বিক্রি হয়েছে। যা দেশের অতীত ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এ ছাড়া হোলসিম, স্ক্যান, সেভেন রিংস গোল্ড, আকিজসহ বিভিন্ন কোম্পানির ঢালাই সিমেন্ট প্রতি বস্তা বিক্রি হয়েছে ৫৮০ থেকে ৫৯০ টাকা। সাধারণ গ্রেডের সিমেন্ট বিক্রি হয়েছে ৫৫০ থেকে ৫৭০ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ কেজির প্রতি বস্তা সিমেন্টে দাম বেড়েছে ৭০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে, দেশে কারখানাগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা বাজারের চাহিদার চেয়ে বেশি। সিমেন্ট কারখানাগুলোর কাঁচামালের প্রায় পুরোটাই আমদানিনির্ভর। এর মধ্যে ভিয়েতনাম, চীন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড থেকে ক্লিংকার (কাঁচামাল) আমদানি হয়। বেশির ভাগ আমদানি হয় ভিয়েতনাম থেকে।
নির্মাণশ্রমিক ইমদাদুল হক বলেন, রড-সিমেন্টের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে নির্মাণকাজে। এ কারণে চলতি সপ্তাহে কাজ অনেক কমে গেছে। রড-সিমেন্টে নির্ভর কাজ হচ্ছে না বললেই চলে। সরকারি ঠিকাদারেরাও বন্ধ রেখেছেন প্রকল্পের কাজ।
এলজিইডির ঠিকাদার মাহবুবুর রহমান নান্টু বলেন, রডের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ার কারণে এলজিইডি, গণপূর্ত, শিক্ষাপ্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রায় প্রকল্পের কাজে স্থবিরতা নেমে এসেছে। অচিরেই দাম না কমলে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া ঠিকাদারদের কোনো উপায় থাকবে না। এরই মধ্যে অনেক ঠিকাদার চরম বেকায়দায় পড়েছেন।
বসতবাড়ির নির্মাণকাজ শুরু করেছেন উপজেলার শামুকখোল গ্রামের বিমান কুমার সরকার। তিনি বলেন, কাজে হাত দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রড ও সিমেন্টের দাম ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এতে নির্মাণকাজ নিয়ে তিনি চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমি কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা নিয়ে নির্মাণকাজে হাত দিয়েছি। এখন বাজারের যা অবস্থা তাতে কাজ বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।’
উপজেলার প্রসাদপুর বাজারের রড-সিমেন্টের পাইকারি বিক্রেতা আব্দুল লতিফ প্রামাণিক বলেন, দেশের সব সিমেন্ট কারখানায় উৎপাদন স্বাভাবিক রয়েছে। কিন্তু বাজারে সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে কোম্পানিগুলো। এমনিতে রডের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় চারদিকে কাজে (নির্মাণকাজ) ধস নেমেছে। তার ওপর সিমেন্টের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে। যে কারণে সিমেন্টের অগ্রিম বুকিং নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি।
আব্দুল লতিফ প্রামাণিক আরও বলেন, কোম্পানিগুলো ডিলারদের চাহিদামতো সরবরাহ দিচ্ছে না। বাজারে অলিখিত সংকট তৈরি হয়েছে। আবার একেক ডিলার একেক দামে রড-সিমেন্ট বিক্রি করছে। সব মিলিয়ে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। বেচাকেনা নেমে এসেছে শূন্যের কোঠায়।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী শাইদুল ইসলাম মিয়া বলেন, এ দপ্তরের আওতায় বিভিন্ন কাজ চলমান রয়েছে। শিডিউল মোতাবেক প্রত্যেক ঠিকাদারকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই মানসম্মত কাজ বুঝে দিতে হবে। না হলে ওইসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিধিগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রড-সিমেন্টের দাম বাড়লেও এসব কাজে কোনো প্রভাব পড়বে না।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে