পটুয়াখালী ও বাউফল প্রতিনিধি
পটুয়াখালী জেলার বাউফল ও রাঙ্গাবালী উপজেলার ৬ ইউনিয়ন পরিষদে ৭ ফেব্রুয়ারি সপ্তম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এর মধ্যে বাউফলের একটি ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যগুলোতে রয়েছে বিদ্রোহী আওয়ামী লীগ। বিএনপি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী না দেওয়ায় বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা বেশি বলে জানা গেছে।
ইতিমধ্যে ওসব ইউপিতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রচারণা। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। বিদ্রোহী প্রার্থীদের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে নৌকার প্রার্থীকে হারানো। তবে বিএনপিহীন নির্বাচনের সুযোগটি আওয়ামী লীগ কতটা কাজে লাগাতে পারবে, এ নিয়ে রয়েছে নানা গুঞ্জন। ফলে বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে চিন্তিত নৌকার প্রার্থীরা।
জানা গেছে, জেলার বাউফল উপজেলায় চারটি ইউনিয়নের নাজিরপুর, দাসপাড়া, মদনপুরা ও বাউফল সদর ইউপিতে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে বাউফলের দাসপাড়া ইউপিতে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন এ এন এম জাহাঙ্গীর হোসেন। এ ছাড়া রাঙ্গাবালী উপজেলায় দুটি ইউনিয়নে সীমানা জটিলতা ও উচ্চ আদালতে মামলা থাকার কারণে দীর্ঘ ১৯ বছর পর রাঙ্গাবালীর বড়বাইশদিয়া ও মৌডুবি ইউনিয়নে সপ্তম ধাপে এ নির্বাচন হচ্ছে।
এর মধ্যে বাউফলের মদনপুরায় আওয়ামী লীগের নৌকা প্রার্থী গোলাম মস্তফার প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও দলের বিদ্রোহী আনারস প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম। এ ছাড়া সদর ইউপিতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিনের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দলের বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকের মজিবুর রহমান। নাজিরপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রার্থী আমির হোসেন ব্যাপারীর প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছেন দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের এনামূল হক।
এদিকে রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউপিতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছেন দলের বিদ্রোহী প্রার্থী এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফরহাদ হোসেন। এবং মৌডুবি ইউপিতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রার্থী মাহমুদ হাসান রাসেলের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা হাসান মাহমুদ শাকুর।
বড়বাইশদিয়া ইউপির নৌকা প্রার্থী ওমর ফারুক বলেন, ‘সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন হলে আমি বিজয়ী হব ইনশা আল্লাহ। তবে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী টাকা দিয়ে ভোট কেনা এবং শহর থেকে বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে পরিবেশকে অশান্ত করার পাঁয়তারা করছেন। এতে ভোটারদের মধ্যে কিছুটা ভীতি সৃষ্টি হয়েছে।’
এ ইউনিয়নে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘দলের হারানো ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনার জন্য প্রার্থী হয়েছি। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জয়ের বিষয়ে আমি শতভাগ আশাবাদী। তবে নৌকার প্রার্থী দলীয় প্রভাব খাটিয়ে সাধারণ ভোটারদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। এতে ভোটাররা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন।’
এ প্রসঙ্গে রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুজ্জামান মামুন খান বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত বলে আমি মনে করি। যাঁরা নেত্রীর সিদ্ধান্তকে অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন, তাঁরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী সৈনিক নয়। এলাকার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে নৌকার বিকল্প নেই।’
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব হাওলাদার বলেন, ‘এটা সত্যি, বিএনপি না থাকায় বিদ্রোহী প্রার্থীদের সংখ্যা কয়েকটি ইউনিয়নে বেশি। তবে বিদ্রোহী প্রার্থীদের আমরা কোনোভাবেই ছাড় দেব না। যতই বিদ্রোহী হোক না কেন, সব ইউনিয়নেই বরাবরের মতন নৌকা প্রতীকের জয় হবে।’
এ ব্যাপারে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ‘সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে যা যা করণীয়, সবই করা হবে। কেউ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং কেউ ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পটুয়াখালী জেলার বাউফল ও রাঙ্গাবালী উপজেলার ৬ ইউনিয়ন পরিষদে ৭ ফেব্রুয়ারি সপ্তম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এর মধ্যে বাউফলের একটি ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যগুলোতে রয়েছে বিদ্রোহী আওয়ামী লীগ। বিএনপি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী না দেওয়ায় বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা বেশি বলে জানা গেছে।
ইতিমধ্যে ওসব ইউপিতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রচারণা। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। বিদ্রোহী প্রার্থীদের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে নৌকার প্রার্থীকে হারানো। তবে বিএনপিহীন নির্বাচনের সুযোগটি আওয়ামী লীগ কতটা কাজে লাগাতে পারবে, এ নিয়ে রয়েছে নানা গুঞ্জন। ফলে বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে চিন্তিত নৌকার প্রার্থীরা।
জানা গেছে, জেলার বাউফল উপজেলায় চারটি ইউনিয়নের নাজিরপুর, দাসপাড়া, মদনপুরা ও বাউফল সদর ইউপিতে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে বাউফলের দাসপাড়া ইউপিতে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন এ এন এম জাহাঙ্গীর হোসেন। এ ছাড়া রাঙ্গাবালী উপজেলায় দুটি ইউনিয়নে সীমানা জটিলতা ও উচ্চ আদালতে মামলা থাকার কারণে দীর্ঘ ১৯ বছর পর রাঙ্গাবালীর বড়বাইশদিয়া ও মৌডুবি ইউনিয়নে সপ্তম ধাপে এ নির্বাচন হচ্ছে।
এর মধ্যে বাউফলের মদনপুরায় আওয়ামী লীগের নৌকা প্রার্থী গোলাম মস্তফার প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও দলের বিদ্রোহী আনারস প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম। এ ছাড়া সদর ইউপিতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিনের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দলের বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকের মজিবুর রহমান। নাজিরপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রার্থী আমির হোসেন ব্যাপারীর প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছেন দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের এনামূল হক।
এদিকে রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউপিতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছেন দলের বিদ্রোহী প্রার্থী এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফরহাদ হোসেন। এবং মৌডুবি ইউপিতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রার্থী মাহমুদ হাসান রাসেলের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা হাসান মাহমুদ শাকুর।
বড়বাইশদিয়া ইউপির নৌকা প্রার্থী ওমর ফারুক বলেন, ‘সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন হলে আমি বিজয়ী হব ইনশা আল্লাহ। তবে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী টাকা দিয়ে ভোট কেনা এবং শহর থেকে বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে পরিবেশকে অশান্ত করার পাঁয়তারা করছেন। এতে ভোটারদের মধ্যে কিছুটা ভীতি সৃষ্টি হয়েছে।’
এ ইউনিয়নে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘দলের হারানো ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনার জন্য প্রার্থী হয়েছি। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জয়ের বিষয়ে আমি শতভাগ আশাবাদী। তবে নৌকার প্রার্থী দলীয় প্রভাব খাটিয়ে সাধারণ ভোটারদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। এতে ভোটাররা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন।’
এ প্রসঙ্গে রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুজ্জামান মামুন খান বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত বলে আমি মনে করি। যাঁরা নেত্রীর সিদ্ধান্তকে অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন, তাঁরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী সৈনিক নয়। এলাকার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে নৌকার বিকল্প নেই।’
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব হাওলাদার বলেন, ‘এটা সত্যি, বিএনপি না থাকায় বিদ্রোহী প্রার্থীদের সংখ্যা কয়েকটি ইউনিয়নে বেশি। তবে বিদ্রোহী প্রার্থীদের আমরা কোনোভাবেই ছাড় দেব না। যতই বিদ্রোহী হোক না কেন, সব ইউনিয়নেই বরাবরের মতন নৌকা প্রতীকের জয় হবে।’
এ ব্যাপারে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ‘সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে যা যা করণীয়, সবই করা হবে। কেউ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং কেউ ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে