নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের দুই বিঘা জমি সবুজ সংঘ মাঠ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল। সেটা গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকের কথা। এরপর মাঠটি নিয়ে চলে নানা খেলা। সর্বশেষ ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আনসার-ভিডিপি মাঠটিতে গ্যারেজ গড়ে তোলে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ২ আগস্ট মাঠটি দখলমুক্ত করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এক বছরের মধ্যে আধুনিক শিশুপার্ক হিসেবে গড়ে তুলতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে (ডিএনসিসি) নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু আনসার-ভিডিপির আবেদনের কারণে সেই রায় আপিল বিভাগে আটকে আছে। ফলে আজও সেই মাঠ দখলমুক্ত হয়নি।
স্থানীয় মোহাম্মদ খলিল নব্বইয়ের দশকে এই মাঠে খেলেছেন। সেই মাঠ এখন তাঁর কাছে শুধুই স্মৃতি। খলিল বলেন, ‘মাঠ দখলের বিরুদ্ধে কথা বলায় আমরা মার খেয়েছি, জেল খেটেছি। হয়রানির শিকার হয়েছি। মাঠ উদ্ধার হলে আমাদের ত্যাগ সার্থক হবে।’
স্থানীয়রা জানান, গণপূর্ত অধিদপ্তর পাকিস্তান আমলে জায়গাটি অধিগ্রহণ করে। এর পর থেকে এলাকার শিশু-কিশোরেরা জায়গাটি খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে। ১৯৮৭ সালে আনসার-ভিডিপি সরকারের কাছ থেকে এই মাঠ ইজারা নেয়। ১৯৯৬ সালে সেই ইজারা বাতিল করা হয়। ইজারা বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরই হাইকোর্টে রিট আবেদন করে আনসার কর্তৃপক্ষ, যেটি পরে খারিজ করেন আদালত।
এরপর ২০০০ সালে আওয়ামী লীগ নেতা সাবের হোসেন চৌধুরীর ‘সবুজমতি ট্রাস্টের’ নামে ইজারা দেওয়া হয়। পরে এলাকাবাসীর দাবির মুখে ২০০৪ সালে সেই ইজারাও বাতিল করা হয়। তখন মাঠের পাশাপাশি শিশুপার্কও গড়ে তোলা হয়। ২০০৭ সালে আনসার-ভিডিপি মাঠটিতে গ্যারেজ গড়ে তোলে। ২০০৮ সালে পার্কটি উন্মুক্ত করার নির্দেশনা চেয়ে রিট করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি।
এদিকে মাঠ উন্মুক্তের দাবি করায় এলাকাবাসী হয়রানির শিকার হন। ২০০৭ সালের এক মামলার ১ নম্বর আসামি স্থানীয় মাসুম আলী মল্লিক বলেন, ‘মাঠ রক্ষার আন্দোলন করতে গিয়ে ছয় দিন জেল খেটেছি। প্রায় দুই বছর মামলার ঘানি টেনেছি। এখন আদালত মাঠ দখলমুক্ত করার রায় দিলেও, তা আপিল বিভাগে আটকে আছে।’
এদিকে বেলার রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ২ আগস্ট ৯০ দিনের মধ্যে মাঠ ও পার্কের স্থান থেকে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এক বছরের মধ্যে আধুনিক শিশুপার্ক হিসেবে গড়ে তুলতে ডিএনসিসিকে নির্দেশ দেন। কিন্তু আনসার-ভিডিপির আবেদনের কারণে সেই রায় আপিল বিভাগে আটকে আছে। ফলে আজও মাঠটি উন্মুক্ত হয়নি।
এ বিষয়ে ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে আমরা চিঠিপত্র দিয়েছি। কিন্তু গণপূর্ত অধিদপ্তর মাঠ বুঝিয়ে দেয়নি। বুঝিয়ে দিলে খেলার মাঠ ও শিশুপার্ক করা যাবে।’
গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘ওখানে আনসার-ভিডিপি সাবস্টেশন করে ফেলেছে। এর বিকল্প হিসেবে হাজিপাড়ায় খেলার মাঠ ও ঈদগাহ করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া আপিল বিভাগ যে সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটাও কার্যকর করা হবে।’
বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ওই এলাকায় একটা মাত্র খেলার মাঠ, এটা আনসার কেমন করে নিয়ে নেয়। আনসারের এ বিষয়ে মামলা পরিচালনা করাও উচিত নয়। উন্মুক্ত স্থানের যে আইন আছে ২০০০ সালের, সে অনুসারে এই মাঠ অন্য কাজে ব্যবহারের সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীমকে একাধিকবার কল ও মেসেজ করেও সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে সংস্থাটির আইনবিষয়ক উপদেষ্টা আব্দুর রব বলেন, ‘বিষয়টি উচ্চ আদালতে আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। উচ্চ আদালত যে রায় দেবেন, তা আমরা মেনে নেব।’
মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের দুই বিঘা জমি সবুজ সংঘ মাঠ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল। সেটা গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকের কথা। এরপর মাঠটি নিয়ে চলে নানা খেলা। সর্বশেষ ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আনসার-ভিডিপি মাঠটিতে গ্যারেজ গড়ে তোলে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ২ আগস্ট মাঠটি দখলমুক্ত করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এক বছরের মধ্যে আধুনিক শিশুপার্ক হিসেবে গড়ে তুলতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে (ডিএনসিসি) নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু আনসার-ভিডিপির আবেদনের কারণে সেই রায় আপিল বিভাগে আটকে আছে। ফলে আজও সেই মাঠ দখলমুক্ত হয়নি।
স্থানীয় মোহাম্মদ খলিল নব্বইয়ের দশকে এই মাঠে খেলেছেন। সেই মাঠ এখন তাঁর কাছে শুধুই স্মৃতি। খলিল বলেন, ‘মাঠ দখলের বিরুদ্ধে কথা বলায় আমরা মার খেয়েছি, জেল খেটেছি। হয়রানির শিকার হয়েছি। মাঠ উদ্ধার হলে আমাদের ত্যাগ সার্থক হবে।’
স্থানীয়রা জানান, গণপূর্ত অধিদপ্তর পাকিস্তান আমলে জায়গাটি অধিগ্রহণ করে। এর পর থেকে এলাকার শিশু-কিশোরেরা জায়গাটি খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে। ১৯৮৭ সালে আনসার-ভিডিপি সরকারের কাছ থেকে এই মাঠ ইজারা নেয়। ১৯৯৬ সালে সেই ইজারা বাতিল করা হয়। ইজারা বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরই হাইকোর্টে রিট আবেদন করে আনসার কর্তৃপক্ষ, যেটি পরে খারিজ করেন আদালত।
এরপর ২০০০ সালে আওয়ামী লীগ নেতা সাবের হোসেন চৌধুরীর ‘সবুজমতি ট্রাস্টের’ নামে ইজারা দেওয়া হয়। পরে এলাকাবাসীর দাবির মুখে ২০০৪ সালে সেই ইজারাও বাতিল করা হয়। তখন মাঠের পাশাপাশি শিশুপার্কও গড়ে তোলা হয়। ২০০৭ সালে আনসার-ভিডিপি মাঠটিতে গ্যারেজ গড়ে তোলে। ২০০৮ সালে পার্কটি উন্মুক্ত করার নির্দেশনা চেয়ে রিট করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি।
এদিকে মাঠ উন্মুক্তের দাবি করায় এলাকাবাসী হয়রানির শিকার হন। ২০০৭ সালের এক মামলার ১ নম্বর আসামি স্থানীয় মাসুম আলী মল্লিক বলেন, ‘মাঠ রক্ষার আন্দোলন করতে গিয়ে ছয় দিন জেল খেটেছি। প্রায় দুই বছর মামলার ঘানি টেনেছি। এখন আদালত মাঠ দখলমুক্ত করার রায় দিলেও, তা আপিল বিভাগে আটকে আছে।’
এদিকে বেলার রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ২ আগস্ট ৯০ দিনের মধ্যে মাঠ ও পার্কের স্থান থেকে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এক বছরের মধ্যে আধুনিক শিশুপার্ক হিসেবে গড়ে তুলতে ডিএনসিসিকে নির্দেশ দেন। কিন্তু আনসার-ভিডিপির আবেদনের কারণে সেই রায় আপিল বিভাগে আটকে আছে। ফলে আজও মাঠটি উন্মুক্ত হয়নি।
এ বিষয়ে ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে আমরা চিঠিপত্র দিয়েছি। কিন্তু গণপূর্ত অধিদপ্তর মাঠ বুঝিয়ে দেয়নি। বুঝিয়ে দিলে খেলার মাঠ ও শিশুপার্ক করা যাবে।’
গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘ওখানে আনসার-ভিডিপি সাবস্টেশন করে ফেলেছে। এর বিকল্প হিসেবে হাজিপাড়ায় খেলার মাঠ ও ঈদগাহ করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া আপিল বিভাগ যে সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটাও কার্যকর করা হবে।’
বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ওই এলাকায় একটা মাত্র খেলার মাঠ, এটা আনসার কেমন করে নিয়ে নেয়। আনসারের এ বিষয়ে মামলা পরিচালনা করাও উচিত নয়। উন্মুক্ত স্থানের যে আইন আছে ২০০০ সালের, সে অনুসারে এই মাঠ অন্য কাজে ব্যবহারের সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীমকে একাধিকবার কল ও মেসেজ করেও সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে সংস্থাটির আইনবিষয়ক উপদেষ্টা আব্দুর রব বলেন, ‘বিষয়টি উচ্চ আদালতে আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। উচ্চ আদালত যে রায় দেবেন, তা আমরা মেনে নেব।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে