শেখ আবু হাসান, খুলনা
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগীয়) পদ থেকে নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে সরিয়ে দেওয়ায় দলের অসংখ্য নেতা-কর্মী ক্ষুব্ধ ও হতাশ হয়েছেন। গত শনিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক চিঠিতে মঞ্জুকে তাঁর পদ থেকে অব্যাহতির কথা জানানো হয়। এই ঘটনায় খুলনা বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
ইতিমধ্যে মঞ্জুর অনেক অনুসারী নগরের সাবেক ও থানা-ওয়ার্ড কমিটির নেতা-কর্মী পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। অপরদিকে মঞ্জুর এই অব্যাহতিকে একটি পক্ষ মনে করে, নেতিবাচক মন্তব্য থেকে সরে আসার জন্য দল তাঁকে সতর্ক করেছে। পদ থেকে অব্যাহতি দিলেও দল তাঁকে বহিষ্কার করেনি। দলের প্রতি আনুগত্য ও আস্থা থাকলে তাঁর সামনে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দলীয় নেতা-কর্মী সূত্রে জানা গেছে, মঞ্জুর অব্যাহতির পর থেকে তাঁর অসংখ্য নেতা-কর্মী ও সমর্থক হতাশ হয়েছেন। এর মধ্যে নগর বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ এস এম আরিফুর রহমান মিঠু, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব কায়সার, আরিফুজ্জামান অপু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, সাবেক দপ্তর সম্পাদক শামসুজ্জামান চঞ্চলসহ নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের বেশ কিছু নেতা-কর্মী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দল থেকে পদত্যাগের কথা ভাবছেন। ইতিমধ্যে একটি ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কিছু নেতা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
অপরদিকে মঞ্জুর এই অব্যাহতি বিষয়ে নগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা তাঁর প্রতিক্রিয়ায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা যদি দল করি তাহলে দলের সব সিদ্ধান্তকে আমাদের মেনে চলতে হবে।’ এর বাইরে তিনি আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে নগর বিএনপির সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, নজরুল ইসলাম মঞ্জুর দীর্ঘ ৪০–৪২ বছরের রাজনীতির কারণে তাঁর অনেক অনুসারী রয়েছেন। তাঁরা এই ঘটনায় ক্ষোভ জানাতেই পারেন। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে। তিনি বলেন, মঞ্জুকে তো দল থেকে বহিষ্কার করা হয়নি, তিনি দলের নেতা আছেন। তাঁকে তাঁর নেতিবাচক বক্তব্য থেকে সরে আসতে দল সতর্ক করেছে। দলের প্রতি যদি তাঁর আনুগত্য থাকে, তবে দল তাঁকে পুনর্মূল্যায়নও করতে পারে। এখনো সব শেষ হয়ে যায়নি।
এদিকে খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি সাংগঠনিক সভা করে নগরীর পাঁচ থানা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে। গত শনিবার দলীয় কার্যালয়ে নগর আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা ছাত্র ও যুবরাজনীতির মাধ্যমে উঠে আসা নেতৃত্বের সমন্বয়ে খুলনা মহানগর বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ফ্যাসিবাদ বিরোধী চূড়ান্ত আন্দোলনের বিজয়ে এই কমিটিই পারবে রাজপথে অতীতের ন্যায় দুর্বার ভূমিকা রাখতে।
সভা থেকে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর জোর দাবি জানানো হয়। সভা থেকে ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী বিএনপি গঠন এবং নবগঠিত কমিটির বিরুদ্ধে নানা তৎপরতা ও ষড়যন্ত্রের পথ পরিহারের আহ্বান জানানো হয়। সভা থেকে খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব লাভ করায় অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে অভিনন্দন জানানো হয়। নগর আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিন।
গত শনিবার দুপুরে কেন্দ্র থেকে অব্যাহতির চিঠি পাওয়ার পর খুলনা নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু আজকের পত্রিকায় তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, ‘এই অব্যাহতির মধ্য দিয়ে আমার প্রতি অবিচার করা হয়েছে। আমি সত্যের পক্ষে কথা বলেছি। দুর্বৃত্তায়ন, দুর্নীতিবাজ, অসৎ মানুষদের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। দলের ভালোর জন্য, ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্য বলেছি।’
মঞ্জু আরও বলেন, ‘গত ৪ বছরে দল গঠনে যে দুর্বৃত্তায়ন ঘটেছে, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছি। তা দল বিবেচনায় নেয়নি। আমি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি কোনো অবজ্ঞা বা চ্যালেঞ্জ করিনি। আমি খুলনা বিএনপির দল গঠনে পুনর্মূল্যায়ন দাবি করেছি।’
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগীয়) পদ থেকে নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে সরিয়ে দেওয়ায় দলের অসংখ্য নেতা-কর্মী ক্ষুব্ধ ও হতাশ হয়েছেন। গত শনিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক চিঠিতে মঞ্জুকে তাঁর পদ থেকে অব্যাহতির কথা জানানো হয়। এই ঘটনায় খুলনা বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
ইতিমধ্যে মঞ্জুর অনেক অনুসারী নগরের সাবেক ও থানা-ওয়ার্ড কমিটির নেতা-কর্মী পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। অপরদিকে মঞ্জুর এই অব্যাহতিকে একটি পক্ষ মনে করে, নেতিবাচক মন্তব্য থেকে সরে আসার জন্য দল তাঁকে সতর্ক করেছে। পদ থেকে অব্যাহতি দিলেও দল তাঁকে বহিষ্কার করেনি। দলের প্রতি আনুগত্য ও আস্থা থাকলে তাঁর সামনে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দলীয় নেতা-কর্মী সূত্রে জানা গেছে, মঞ্জুর অব্যাহতির পর থেকে তাঁর অসংখ্য নেতা-কর্মী ও সমর্থক হতাশ হয়েছেন। এর মধ্যে নগর বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ এস এম আরিফুর রহমান মিঠু, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব কায়সার, আরিফুজ্জামান অপু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, সাবেক দপ্তর সম্পাদক শামসুজ্জামান চঞ্চলসহ নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের বেশ কিছু নেতা-কর্মী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দল থেকে পদত্যাগের কথা ভাবছেন। ইতিমধ্যে একটি ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কিছু নেতা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
অপরদিকে মঞ্জুর এই অব্যাহতি বিষয়ে নগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা তাঁর প্রতিক্রিয়ায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা যদি দল করি তাহলে দলের সব সিদ্ধান্তকে আমাদের মেনে চলতে হবে।’ এর বাইরে তিনি আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে নগর বিএনপির সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, নজরুল ইসলাম মঞ্জুর দীর্ঘ ৪০–৪২ বছরের রাজনীতির কারণে তাঁর অনেক অনুসারী রয়েছেন। তাঁরা এই ঘটনায় ক্ষোভ জানাতেই পারেন। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে। তিনি বলেন, মঞ্জুকে তো দল থেকে বহিষ্কার করা হয়নি, তিনি দলের নেতা আছেন। তাঁকে তাঁর নেতিবাচক বক্তব্য থেকে সরে আসতে দল সতর্ক করেছে। দলের প্রতি যদি তাঁর আনুগত্য থাকে, তবে দল তাঁকে পুনর্মূল্যায়নও করতে পারে। এখনো সব শেষ হয়ে যায়নি।
এদিকে খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি সাংগঠনিক সভা করে নগরীর পাঁচ থানা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে। গত শনিবার দলীয় কার্যালয়ে নগর আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা ছাত্র ও যুবরাজনীতির মাধ্যমে উঠে আসা নেতৃত্বের সমন্বয়ে খুলনা মহানগর বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ফ্যাসিবাদ বিরোধী চূড়ান্ত আন্দোলনের বিজয়ে এই কমিটিই পারবে রাজপথে অতীতের ন্যায় দুর্বার ভূমিকা রাখতে।
সভা থেকে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর জোর দাবি জানানো হয়। সভা থেকে ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী বিএনপি গঠন এবং নবগঠিত কমিটির বিরুদ্ধে নানা তৎপরতা ও ষড়যন্ত্রের পথ পরিহারের আহ্বান জানানো হয়। সভা থেকে খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব লাভ করায় অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে অভিনন্দন জানানো হয়। নগর আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিন।
গত শনিবার দুপুরে কেন্দ্র থেকে অব্যাহতির চিঠি পাওয়ার পর খুলনা নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু আজকের পত্রিকায় তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, ‘এই অব্যাহতির মধ্য দিয়ে আমার প্রতি অবিচার করা হয়েছে। আমি সত্যের পক্ষে কথা বলেছি। দুর্বৃত্তায়ন, দুর্নীতিবাজ, অসৎ মানুষদের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। দলের ভালোর জন্য, ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্য বলেছি।’
মঞ্জু আরও বলেন, ‘গত ৪ বছরে দল গঠনে যে দুর্বৃত্তায়ন ঘটেছে, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছি। তা দল বিবেচনায় নেয়নি। আমি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি কোনো অবজ্ঞা বা চ্যালেঞ্জ করিনি। আমি খুলনা বিএনপির দল গঠনে পুনর্মূল্যায়ন দাবি করেছি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে