কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। শয্যাসংকটে ওয়ার্ডের মেঝেতে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। গতকাল বুধবার কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গেলে কর্তব্যরত নার্স জানান, কয়েক দিন ধরে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এসব রোগীর মধ্যে শিশুই বেশি। ১২ বেডের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গত সোমবার ২২ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়। মঙ্গলবার বেলা তিনটা পর্যন্ত নতুন ৯ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীসহ ওয়ার্ডে মোট রোগী ছিলেন ৪৭ জন। গতকাল বিকেল পর্যন্ত ওই ওয়ার্ডে ৬৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
দায়িত্বরত নার্সরা জানান, শীতের তীব্রতা বাড়ায় রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের।
রোগী বাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) পুলক কুমার জানান, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এদের মধ্যে শিশুদের আক্রান্তের হার বেশি।
হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক ও শিশু বিশেষজ্ঞ আল আমিন মাসুদ জানান, শীত এলেই কুড়িগ্রামের শিশুরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। এখন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। এই অবস্থায় শিশুদের বাইরের খাবার দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে, পাশাপাশি শিশুদের যেন ঠান্ডা না লাগে, সে জন্য শীতের মধ্যে শিশুদের বাইরে বের করা থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি তাদের গরম পোশাক পরিয়ে রাখতে হবে।
গ্রামের মানুষের মধ্যে খাওয়ার স্যালাইন নিয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে জানিয়ে আল আমিন মাসুদ বলেন, ‘সচেতনতার অভাবে গ্রামে অনেকে শিশুদের ঘন স্যালাইন খাওয়ান। এটা শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। স্যালাইন গোলানোর ক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতিতে আধা লিটার পানিতে পুরো স্যালাইন গুলিয়ে সঠিক নিয়মে শিশুদের খাওয়াতে হবে।’
এদিকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জেলায় শীতের তীব্রতা বেড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। এতে করে ছিন্নমূল মানুষের ভোগান্তি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক সুবল চন্দ্র সরকার জানান, গতকাল বুধবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা বাড়ার খুব একটা সম্ভাবনা নেই। তবে আকাশে মেঘ বাড়লে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।
শীত মোকাবিলায় জেলার শীতার্ত মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা। এ ছাড়া বেসরকারি পর্যায়েও শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা জানায়, শীত মোকাবিলায় জেলার ৯ উপজেলায় ও তিন পৌরসভায় ৩৫ হাজার ৭০০টি কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। শয্যাসংকটে ওয়ার্ডের মেঝেতে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। গতকাল বুধবার কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গেলে কর্তব্যরত নার্স জানান, কয়েক দিন ধরে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এসব রোগীর মধ্যে শিশুই বেশি। ১২ বেডের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গত সোমবার ২২ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়। মঙ্গলবার বেলা তিনটা পর্যন্ত নতুন ৯ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীসহ ওয়ার্ডে মোট রোগী ছিলেন ৪৭ জন। গতকাল বিকেল পর্যন্ত ওই ওয়ার্ডে ৬৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
দায়িত্বরত নার্সরা জানান, শীতের তীব্রতা বাড়ায় রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের।
রোগী বাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) পুলক কুমার জানান, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এদের মধ্যে শিশুদের আক্রান্তের হার বেশি।
হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক ও শিশু বিশেষজ্ঞ আল আমিন মাসুদ জানান, শীত এলেই কুড়িগ্রামের শিশুরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। এখন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। এই অবস্থায় শিশুদের বাইরের খাবার দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে, পাশাপাশি শিশুদের যেন ঠান্ডা না লাগে, সে জন্য শীতের মধ্যে শিশুদের বাইরে বের করা থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি তাদের গরম পোশাক পরিয়ে রাখতে হবে।
গ্রামের মানুষের মধ্যে খাওয়ার স্যালাইন নিয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে জানিয়ে আল আমিন মাসুদ বলেন, ‘সচেতনতার অভাবে গ্রামে অনেকে শিশুদের ঘন স্যালাইন খাওয়ান। এটা শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। স্যালাইন গোলানোর ক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতিতে আধা লিটার পানিতে পুরো স্যালাইন গুলিয়ে সঠিক নিয়মে শিশুদের খাওয়াতে হবে।’
এদিকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জেলায় শীতের তীব্রতা বেড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। এতে করে ছিন্নমূল মানুষের ভোগান্তি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক সুবল চন্দ্র সরকার জানান, গতকাল বুধবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা বাড়ার খুব একটা সম্ভাবনা নেই। তবে আকাশে মেঘ বাড়লে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।
শীত মোকাবিলায় জেলার শীতার্ত মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা। এ ছাড়া বেসরকারি পর্যায়েও শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা জানায়, শীত মোকাবিলায় জেলার ৯ উপজেলায় ও তিন পৌরসভায় ৩৫ হাজার ৭০০টি কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১০ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১৩ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে