নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থার তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন গতকাল রোববার বলেন, ‘ম্যাডামের অবস্থা আগের মতোই আছে, খুব একটা পরিবর্তন নেই। এটাকে উন্নতিও বলা যাবে না, আবার স্থিতিশীলও বলা যাবে না। এককথায় বলা যেতে পারে, এখনো তিনি ক্রিটিক্যাল অবস্থার মধ্যেই আছেন।’ ১৩ নভেম্বর থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া।
এ অবস্থায় খালেদাকে বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন করেছে কল্যাণ পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় দল ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদনটি পাঠাতে গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপর কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মনোযোগসহকারে আমাদের কথাগুলো শুনেছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদনটি পৌঁছানোর আশ্বাস দিয়েছেন।’ আবেদনে কোনো উদাহরণ আছে কি না, সেই প্রশ্নে ইবরাহিম বলেন, ‘আমরা বলেছি কোনো উদাহরণ, কোনো আইন, কোনো দৃষ্টান্তের প্রয়োজন নেই। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) এককভাবে সেই সিদ্ধান্তটি নিন।’
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁদের আবেদনটি ছিল বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ, তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন, তিনি একদম জীবনের শেষ প্রান্তে এসেছেন। কাজেই তাঁকে আরও উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া যায় কি না। আমি তাঁদের বলেছি, এর আগেও প্রধানমন্ত্রীর কাছে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই একটা আবেদন করেছিলেন। সেটাও আমি আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের জন্য পাঠিয়েছিলাম। আইনমন্ত্রী যথাযথভাবে সংসদে প্রশ্নোত্তরের সময় বিস্তারিত বলেছেন। আমি এটা বলার পর তাঁরা বলেছেন, এটা মানবিক কারণে দেওয়া যায় কি না, সেই বিবেচনা করার জন্য পত্র আমার কাছে দিয়েছেন। এটা আমি যথাযথভাবে যেখানে প্রয়োজন সেখানে পাঠিয়ে দেব।’
বিএনপির সাংসদদের পদত্যাগের হুমকি
খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চেয়েছেন বিএনপির সাংসদেরা। বিদেশে যাওয়ার সুযোগ না পাওয়ায় খালেদা জিয়ার কিছু হলে সংসদ থেকে পদত্যাগের হুমকিও দিয়েছেন তাঁরা।
গতকাল জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় মানববন্ধনে অংশ নিয়ে সাংসদ গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আমরা আর কিছু আশা করি না। রাষ্ট্রপতির কাছে আমরা আহ্বান জানাতে চাই, আপনি আপনার ক্ষমতাবলে ম্যাডামের (খালেদা) চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।’ বিএনপি চাইলে বিদেশ থেকে ডাক্তার এনে খালেদার চিকিৎসা করাতে পারে বলে আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে সিরাজ বলেন, ‘ডাক্তার নয়, হাসপাতাল নিয়ে আসেন। খালেদা জিয়ার যদি কিছু হয়ে যায়; শুধু সরকার নয়, আওয়ামী লীগের ইতিহাস পাল্টে যাবে।’
সাংসদ হারুনুর রশীদ বলেন, খালেদা জিয়ার কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেলে বিএনপির সাংসদেরা সংসদ থেকে পদত্যাগ করবেন। সাংসদ রুমিন ফারহানা বলেন, ‘৪০১ ধারায় তাঁকে দেশের বাইরে নেওয়ার সুযোগ নেই, এটা মিথ্যা কথা। এই ধারার ক্ষমতা অপরিসীম এবং এই ধারার বলে সরকার যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’ গতকালের মানববন্ধনে আরও অংশ নেন আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া, আমিনুল ইসলাম ও মোশারফ হোসেন।
আন্দোলনের হুমকি
খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর অনুমতি না দিলে আওয়ামী লীগকে সরকার পতনের আন্দোলন মোকাবিলা করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হোক, তাঁকে মুক্তি দেওয়া হোক। তা না হলে সরকারকে তাদের পতনের আন্দোলন মোকাবিলা করতে হবে।
খালেদা জিয়ার কিছু হলে তার পরিণতি ভয়াবহ হবে বলে সরকারকে হুঁশিয়ার করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল এক দোয়া মাহফিলে তিনি বলেন, ‘এখনো সময় আছে, দেশনেত্রীকে মুক্তি দিন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে যেতে দিন।’
বিএনপির আন্দোলনের হুমকির বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা রাজনৈতিক দল, কর্মসূচি দিতে পারে, দোয়া মাহফিল করতে পারে, মানববন্ধন করতে পারে। কিন্তু মানুষের জানমাল রক্ষার জন্য, সম্পদ রক্ষার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সব সময় প্রস্তুত থাকবে। তারা যদি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বা জানমাল নষ্টের চেষ্টা করে তাহলে কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থার তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন গতকাল রোববার বলেন, ‘ম্যাডামের অবস্থা আগের মতোই আছে, খুব একটা পরিবর্তন নেই। এটাকে উন্নতিও বলা যাবে না, আবার স্থিতিশীলও বলা যাবে না। এককথায় বলা যেতে পারে, এখনো তিনি ক্রিটিক্যাল অবস্থার মধ্যেই আছেন।’ ১৩ নভেম্বর থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া।
এ অবস্থায় খালেদাকে বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন করেছে কল্যাণ পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় দল ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদনটি পাঠাতে গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপর কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মনোযোগসহকারে আমাদের কথাগুলো শুনেছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদনটি পৌঁছানোর আশ্বাস দিয়েছেন।’ আবেদনে কোনো উদাহরণ আছে কি না, সেই প্রশ্নে ইবরাহিম বলেন, ‘আমরা বলেছি কোনো উদাহরণ, কোনো আইন, কোনো দৃষ্টান্তের প্রয়োজন নেই। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) এককভাবে সেই সিদ্ধান্তটি নিন।’
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁদের আবেদনটি ছিল বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ, তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন, তিনি একদম জীবনের শেষ প্রান্তে এসেছেন। কাজেই তাঁকে আরও উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া যায় কি না। আমি তাঁদের বলেছি, এর আগেও প্রধানমন্ত্রীর কাছে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই একটা আবেদন করেছিলেন। সেটাও আমি আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের জন্য পাঠিয়েছিলাম। আইনমন্ত্রী যথাযথভাবে সংসদে প্রশ্নোত্তরের সময় বিস্তারিত বলেছেন। আমি এটা বলার পর তাঁরা বলেছেন, এটা মানবিক কারণে দেওয়া যায় কি না, সেই বিবেচনা করার জন্য পত্র আমার কাছে দিয়েছেন। এটা আমি যথাযথভাবে যেখানে প্রয়োজন সেখানে পাঠিয়ে দেব।’
বিএনপির সাংসদদের পদত্যাগের হুমকি
খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চেয়েছেন বিএনপির সাংসদেরা। বিদেশে যাওয়ার সুযোগ না পাওয়ায় খালেদা জিয়ার কিছু হলে সংসদ থেকে পদত্যাগের হুমকিও দিয়েছেন তাঁরা।
গতকাল জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় মানববন্ধনে অংশ নিয়ে সাংসদ গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আমরা আর কিছু আশা করি না। রাষ্ট্রপতির কাছে আমরা আহ্বান জানাতে চাই, আপনি আপনার ক্ষমতাবলে ম্যাডামের (খালেদা) চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।’ বিএনপি চাইলে বিদেশ থেকে ডাক্তার এনে খালেদার চিকিৎসা করাতে পারে বলে আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে সিরাজ বলেন, ‘ডাক্তার নয়, হাসপাতাল নিয়ে আসেন। খালেদা জিয়ার যদি কিছু হয়ে যায়; শুধু সরকার নয়, আওয়ামী লীগের ইতিহাস পাল্টে যাবে।’
সাংসদ হারুনুর রশীদ বলেন, খালেদা জিয়ার কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেলে বিএনপির সাংসদেরা সংসদ থেকে পদত্যাগ করবেন। সাংসদ রুমিন ফারহানা বলেন, ‘৪০১ ধারায় তাঁকে দেশের বাইরে নেওয়ার সুযোগ নেই, এটা মিথ্যা কথা। এই ধারার ক্ষমতা অপরিসীম এবং এই ধারার বলে সরকার যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’ গতকালের মানববন্ধনে আরও অংশ নেন আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া, আমিনুল ইসলাম ও মোশারফ হোসেন।
আন্দোলনের হুমকি
খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর অনুমতি না দিলে আওয়ামী লীগকে সরকার পতনের আন্দোলন মোকাবিলা করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হোক, তাঁকে মুক্তি দেওয়া হোক। তা না হলে সরকারকে তাদের পতনের আন্দোলন মোকাবিলা করতে হবে।
খালেদা জিয়ার কিছু হলে তার পরিণতি ভয়াবহ হবে বলে সরকারকে হুঁশিয়ার করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল এক দোয়া মাহফিলে তিনি বলেন, ‘এখনো সময় আছে, দেশনেত্রীকে মুক্তি দিন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে যেতে দিন।’
বিএনপির আন্দোলনের হুমকির বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা রাজনৈতিক দল, কর্মসূচি দিতে পারে, দোয়া মাহফিল করতে পারে, মানববন্ধন করতে পারে। কিন্তু মানুষের জানমাল রক্ষার জন্য, সম্পদ রক্ষার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সব সময় প্রস্তুত থাকবে। তারা যদি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বা জানমাল নষ্টের চেষ্টা করে তাহলে কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
২ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৬ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে