সাইফুল ইসলাম, চরফ্যাশন (ভোলা)
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে নোনা ইলিশ। গৃহস্থ ও মৌসুমি ইলিশ ব্যবসায়ীরা মৌসুমে কম দামে বড় ও মাঝারি আকারের ইলিশ ক্রয় করে লবণ দিয়ে কিছুদিনের জন্য টিনের পাত্রে প্রক্রিয়াজাত করে। পরে ইলিশ মৌসুম শেষ হলে তা খোলা বাজারে অধিক দরে বিক্রি করে।
এ ছাড়া ভোজন রসিক গৃহস্থরা দৈনন্দিন খাবারে অথবা অতিথি আপ্যায়নেও নোনা ইলিশ পরিবেশন করে থাকেন। যা ঘ্রাণ ও স্বাদে অতুলনীয়। ইলিশ মাছ প্রজনন শেষে গভীর নদী ও সাগরে চলে যাওয়ায় বড় আকারের ইলিশ পাওয়া যায় না। আর এই ইলিশ সংকটে চরফ্যাশন উপজেলার নোনা ইলিশের ঐতিহ্যবাহী হারাতে বসেছে।
স্থানীয় শিক্ষক কবির হোসেন বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে জেলে পাড়ায় গেলে এই নোনা বা কাটা ইলিশ পাওয়া যেত। বাজারে এখন সারা বছর ধরে মাছ, মাংস সংরক্ষণে কম দামের বিভিন্ন মডেলের ফ্রিজ পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া চরফ্যাশনের দুর্গম চরাঞ্চলেও বিদ্যুতের ব্যাপক উন্নয়ন হওয়ায় ইলিশ মাছে লবণ দিয়ে আগের মতো কেউ প্রক্রিয়াজাত করেন না।’
শিক্ষক কবির হোসেন বলেন, ‘জেলেরা আড়তদার ও মহাজনদের দাদনের জালে আটকে থাকায় ভাগে পাওয়া ইলিশ বিক্রি করে দেন। ফলে জেলেরা বাড়িতে বেশি পরিমাণে ইলিশ নিতে না পাড়ায় তাঁরা এখন আর কাটা বা নোনা ইলিশ সংরক্ষণ করেন না।’
দুলারহাট বাজারের ইলিশ ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সঠিক সময়ে ইলিশ পাওয়া যায় না। শীতের শুরুতে আমরা বড় ইলিশ পাচ্ছি না। তা ছাড়া ছোট ইলিশ দিয়ে কাটা বা নোনা ইলিশ তৈরি করা হয় না।’
জাহানপুর ইউনিয়নের জেলে ইউসুফ মাঝি বলেন, ‘জেলেরা তাঁদের পেশা বদল করার চেষ্টা করছেন। বছরের বেশির ভাগ সময় নদী ও সাগরের আবহাওয়া খারাপ থাকে এবং বছরের বিশেষ কিছু সময় ছাড়া তেমন ইলিশ পাওয়া যায় না। যখন ইলিশ পাওয়া যায় তখন প্রচুর দাম থাকে। এ কারণে বেশির ভাগ জেলে ইলিশ মাছ বিক্রি করে দেওয়ায় কাটা বা নোনা ইলিশ ঐতিহ্য।’
চরফ্যাশন মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, ‘এক সময় জেলেরা অপ্রতিরোধ্যভাবে ইলিশ শিকার করেছেন। সেই সময়ে গ্রামাঞ্চলে ইলিশ সংরক্ষণে ফ্রিজ না থাকায় মানুষ ইলিশ মাছে লবণ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে রাখত। এখন সব এলাকায় বিদ্যুতায়ন হওয়ায় প্রচুর পরিমাণে বরফকল তৈরি হয়েছে। মানুষ এখন রেফ্রিজারেটরে মাছ-মাংস সংরক্ষণ করে।’
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে নোনা ইলিশ। গৃহস্থ ও মৌসুমি ইলিশ ব্যবসায়ীরা মৌসুমে কম দামে বড় ও মাঝারি আকারের ইলিশ ক্রয় করে লবণ দিয়ে কিছুদিনের জন্য টিনের পাত্রে প্রক্রিয়াজাত করে। পরে ইলিশ মৌসুম শেষ হলে তা খোলা বাজারে অধিক দরে বিক্রি করে।
এ ছাড়া ভোজন রসিক গৃহস্থরা দৈনন্দিন খাবারে অথবা অতিথি আপ্যায়নেও নোনা ইলিশ পরিবেশন করে থাকেন। যা ঘ্রাণ ও স্বাদে অতুলনীয়। ইলিশ মাছ প্রজনন শেষে গভীর নদী ও সাগরে চলে যাওয়ায় বড় আকারের ইলিশ পাওয়া যায় না। আর এই ইলিশ সংকটে চরফ্যাশন উপজেলার নোনা ইলিশের ঐতিহ্যবাহী হারাতে বসেছে।
স্থানীয় শিক্ষক কবির হোসেন বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে জেলে পাড়ায় গেলে এই নোনা বা কাটা ইলিশ পাওয়া যেত। বাজারে এখন সারা বছর ধরে মাছ, মাংস সংরক্ষণে কম দামের বিভিন্ন মডেলের ফ্রিজ পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া চরফ্যাশনের দুর্গম চরাঞ্চলেও বিদ্যুতের ব্যাপক উন্নয়ন হওয়ায় ইলিশ মাছে লবণ দিয়ে আগের মতো কেউ প্রক্রিয়াজাত করেন না।’
শিক্ষক কবির হোসেন বলেন, ‘জেলেরা আড়তদার ও মহাজনদের দাদনের জালে আটকে থাকায় ভাগে পাওয়া ইলিশ বিক্রি করে দেন। ফলে জেলেরা বাড়িতে বেশি পরিমাণে ইলিশ নিতে না পাড়ায় তাঁরা এখন আর কাটা বা নোনা ইলিশ সংরক্ষণ করেন না।’
দুলারহাট বাজারের ইলিশ ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সঠিক সময়ে ইলিশ পাওয়া যায় না। শীতের শুরুতে আমরা বড় ইলিশ পাচ্ছি না। তা ছাড়া ছোট ইলিশ দিয়ে কাটা বা নোনা ইলিশ তৈরি করা হয় না।’
জাহানপুর ইউনিয়নের জেলে ইউসুফ মাঝি বলেন, ‘জেলেরা তাঁদের পেশা বদল করার চেষ্টা করছেন। বছরের বেশির ভাগ সময় নদী ও সাগরের আবহাওয়া খারাপ থাকে এবং বছরের বিশেষ কিছু সময় ছাড়া তেমন ইলিশ পাওয়া যায় না। যখন ইলিশ পাওয়া যায় তখন প্রচুর দাম থাকে। এ কারণে বেশির ভাগ জেলে ইলিশ মাছ বিক্রি করে দেওয়ায় কাটা বা নোনা ইলিশ ঐতিহ্য।’
চরফ্যাশন মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, ‘এক সময় জেলেরা অপ্রতিরোধ্যভাবে ইলিশ শিকার করেছেন। সেই সময়ে গ্রামাঞ্চলে ইলিশ সংরক্ষণে ফ্রিজ না থাকায় মানুষ ইলিশ মাছে লবণ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে রাখত। এখন সব এলাকায় বিদ্যুতায়ন হওয়ায় প্রচুর পরিমাণে বরফকল তৈরি হয়েছে। মানুষ এখন রেফ্রিজারেটরে মাছ-মাংস সংরক্ষণ করে।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১৯ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২১ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে