ডাকাতির শাস্তি ভয়াবহ

মুফতি আবু দারদা
প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২২, ০৬: ০৭

ধন-সম্পদের নিরাপত্তা লাভ ব্যক্তিজীবনের উন্নতির প্রধান চাবিকাঠি। সমাজ ও রাষ্ট্রের অগ্রগতির জন্যও এটি মৌলিক প্রয়োজন হিসেবে বিবেচিত হয়। অন্যের সম্পদের ওপর যেকোনো ধরনের সীমালঙ্ঘনকে ইসলাম কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে মানুষের সম্পদ হরণ করাই ডাকাতি। যেভাবে এবং যে নামেই হোক, অন্যায়ভাবে মানুষের সম্পদ ছিনিয়ে নেওয়া হারাম ও কবিরা গুনাহ। খাঁটি তওবা ছাড়া এ গুনাহ আল্লাহ মাফ করবেন না।

চুরিতে মানুষের জান ও ইজ্জত-আবরুর ওপর আক্রমণ করা হয় না, তবে ডাকাতি ও অপহরণের সময় মানুষের জান, মাল ও ইজ্জত-আবরুর ওপর নগ্ন আক্রমণ করা হয়। তাই ইসলাম এ অপরাধের কঠোর শাস্তির বিধান দিয়েছে। পবিত্র কোরআনে ডাকাতদের ‘আল্লাহ ও রাসুলের সঙ্গে যুদ্ধকারী’ এবং ‘পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টিকারী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। ডাকাতদের সম্পর্কে হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমাদের ওপর সশস্ত্র হামলা করবে, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।’ (বায়হাকি)

ডাকাতদের পরকাল তো বরবাদ হবেই, ইহকালেও তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যারা আল্লাহ, তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে—তাদের হত্যা করা হবে, অথবা ক্রুশবিদ্ধ করা হবে অথবা তাদের হাত-পাগুলো বিপরীত দিক থেকে কেটে দেওয়া হবে কিংবা দেশান্তর করা হবে। এটা হলো তাদের পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্য রয়েছে মহা শাস্তি।’ (সুরা মায়িদা: ৩৩)

অপরাধের মাত্রা অনুসারে ডাকাতদের শাস্তি দেওয়া হবে। এসব শাস্তি প্রয়োগ করার শর্তসমূহ ফিকহের কিতাবে বিস্তারিত আলোচিত হয়েছে। সব শর্ত পাওয়া গেলে যথাযথ বিধি মোতাবেক আদালতের রায়ের মাধ্যমে এই শাস্তি প্রয়োগ করার কথা বলে ইসলাম।

লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত