রাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)
বালু ফেলছেন তো ফেলছেনই। রাতদিন এক করে সমানে কাজ করে যাচ্ছেন শ্রমিকেরা। বিশ্রাম নেই তিনটি ড্রেজার মেশিনের। দিনের চেয়ে রাতেই কাজ হয় বেশি। আর দিনের আলোয় চলে কড়া পাহারা। আশপাশের কেউ এলে তাঁদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। নিয়োজিত আছেন নিরাপত্তাকর্মীও।
চোখের সমানেই গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার লতিফপুর গ্রামের শীতলক্ষ্যা নদীর তীর দখল করে চলছে বালু ভরাটের কাজ। এরই মধ্যে পাঁচ বিঘা জায়গা ভরাট হয়ে গেছে। নদীর পানির সমতল জায়গায় বালু ফেলে উঁচু জমির মতো তৈরি করা হয়েছে। নদীর জায়গা ছাড়াও চলছে স্থানীয় অসহায় কৃষকদের জমি জবরদখলের পাঁয়তারা। এসব জমি নিয়ে একটি বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করা হতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জমি ও নদীর তীর দখলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন লতিফপুর গ্রামের ভূমিদস্যু আছমত আলী জামশেদ (৪৫)। আর এ কাজে তাঁর রয়েছে একটি চক্র। সংঘবদ্ধ সেই চক্রের বাকি দুজন হলেন তাজউদ্দিন (৩২) ও মনির হোসেন (৪০)। আছমত আলী জামশেদ রাজাবাড়ি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোরশেদের ভাই। আড়াল থেকে তিনিই কলকাঠি নাড়ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ইতিমধ্যে সরকারি গোহালট দিয়ে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে চক্রের লোকজন। এ ছাড়া এই চক্র স্থানীয় কিছু জমির মালিকের নদীঘেঁষা জমি জবরদখল করে নিয়েছে। ওদের ভয়ে আমরা প্রতিবাদ করতে সাহস পাই না।’ একই কথা বলেন আরেক বাসিন্দা সুমন মিয়া। তিনি জানান, ‘আমার জমি জোর করে দখল করা হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
জামশেদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এই প্রতিবেদকের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন এবং দখল নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
নদীর পাড়ে কথা হয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিরাপত্তা প্রহরীর সঙ্গে। তিনি জানান, ‘জমিতে বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। কী পরিমাণ জমি নদীর আর কী পরিমাণ জমি মানুষের কাছ থেকে কেনা হয়েছে সে বিষয়ে আমি বলতে পারব না।’
গোসিঙ্গা ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা সারোয়ার হোসেন বলেন, নদী দখলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। দখলের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। গোসিঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান শাহীন বলেন, এটি সম্পূর্ণ অবৈধভাবে একটি চক্র ভরাট করছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার পর প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। নদী দখলকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে উপজেলা ভূমি সার্ভেয়ারকে সরেজমিনে স্কেচ ম্যাপ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হবে।
বালু ফেলছেন তো ফেলছেনই। রাতদিন এক করে সমানে কাজ করে যাচ্ছেন শ্রমিকেরা। বিশ্রাম নেই তিনটি ড্রেজার মেশিনের। দিনের চেয়ে রাতেই কাজ হয় বেশি। আর দিনের আলোয় চলে কড়া পাহারা। আশপাশের কেউ এলে তাঁদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। নিয়োজিত আছেন নিরাপত্তাকর্মীও।
চোখের সমানেই গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার লতিফপুর গ্রামের শীতলক্ষ্যা নদীর তীর দখল করে চলছে বালু ভরাটের কাজ। এরই মধ্যে পাঁচ বিঘা জায়গা ভরাট হয়ে গেছে। নদীর পানির সমতল জায়গায় বালু ফেলে উঁচু জমির মতো তৈরি করা হয়েছে। নদীর জায়গা ছাড়াও চলছে স্থানীয় অসহায় কৃষকদের জমি জবরদখলের পাঁয়তারা। এসব জমি নিয়ে একটি বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করা হতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জমি ও নদীর তীর দখলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন লতিফপুর গ্রামের ভূমিদস্যু আছমত আলী জামশেদ (৪৫)। আর এ কাজে তাঁর রয়েছে একটি চক্র। সংঘবদ্ধ সেই চক্রের বাকি দুজন হলেন তাজউদ্দিন (৩২) ও মনির হোসেন (৪০)। আছমত আলী জামশেদ রাজাবাড়ি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোরশেদের ভাই। আড়াল থেকে তিনিই কলকাঠি নাড়ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ইতিমধ্যে সরকারি গোহালট দিয়ে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে চক্রের লোকজন। এ ছাড়া এই চক্র স্থানীয় কিছু জমির মালিকের নদীঘেঁষা জমি জবরদখল করে নিয়েছে। ওদের ভয়ে আমরা প্রতিবাদ করতে সাহস পাই না।’ একই কথা বলেন আরেক বাসিন্দা সুমন মিয়া। তিনি জানান, ‘আমার জমি জোর করে দখল করা হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
জামশেদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এই প্রতিবেদকের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন এবং দখল নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
নদীর পাড়ে কথা হয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিরাপত্তা প্রহরীর সঙ্গে। তিনি জানান, ‘জমিতে বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। কী পরিমাণ জমি নদীর আর কী পরিমাণ জমি মানুষের কাছ থেকে কেনা হয়েছে সে বিষয়ে আমি বলতে পারব না।’
গোসিঙ্গা ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা সারোয়ার হোসেন বলেন, নদী দখলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। দখলের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। গোসিঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান শাহীন বলেন, এটি সম্পূর্ণ অবৈধভাবে একটি চক্র ভরাট করছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার পর প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। নদী দখলকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে উপজেলা ভূমি সার্ভেয়ারকে সরেজমিনে স্কেচ ম্যাপ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হবে।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
৭ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
৯ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে