সম্পাদকীয়
একবার জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক সপরিবারে ভারতে যাবেন। সে কথা জানলেন আহমদ ছফা। আহমদ ছফা আব্দুর রাজ্জাককে বললেন, ‘স্যার, আমার জন্য একটা শাল আনবেন।’
আব্দুর রাজ্জাক জিজ্ঞেস করলেন, ‘আর কোনো জিনিস আপনার দরকার নেই?’
ছফা বললেন, ‘যদি আপনি বইয়ের দোকানে যাওয়ার সুযোগ পান, ভারতীয় সংগীত শাস্ত্রের একটা নির্ভরযোগ্য ইতিহাস আনবেন আমার জন্য।’
আহমদ ছফার কোনো সন্দেহই ছিল না যে আব্দুর রাজ্জাক শাল বা বইয়ের কথা ভুলে যাবেন। ফিরে আসার পর দেখা হলো। ছফা জিজ্ঞেস করলেন, ‘স্যার, আপনি কবে এসেছেন?
‘আজ বিয়ানের ফ্লাইটে। মৌলভী আহমদ ছফা আপনি কেমন ছিলেন?’ ‘ভালো স্যার।’ ‘কাল বিয়ানে আপনি একবার আয়েন।’ বললেন জ্ঞানতাপস।
পরদিন সকালবেলায় আহমদ ছফা তাঁর বাড়িতে গেলে আব্দুর রাজ্জাক সত্যি সত্যি ঘিয়ে রঙের একটা কাশ্মীরি শাল তুলে দিলেন তাঁর হাতে। খুব খুশি হয়ে শরীরে সেই শাল জড়ালেন আহমদ ছফা। কিন্তু তখন নিচের সিঁড়িতে দুজন শিক্ষকের গলার আওয়াজ পাওয়া গেল। স্যার বললেন, ‘চাদরটা এই দিকে থুইয়া দেন।’
আহমদ ছফা আব্দুর রাজ্জাকের কথা বুঝতে পারেননি। তখন স্যার নিজেই আহমদ ছফার গা থেকে চাদরটা টেনে নিয়ে বিছানার দিকে ছুড়ে দিলেন। খুব মেজাজ খারাপ হলো আহমদ ছফার। মনে হলো এক দৌড়ে এখান থেকে বেরিয়ে যান। ছফার মনোভাব বুঝতে পেরে আব্দুর রাজ্জাক বললেন, ‘মৌলভী আব্দুল আহমদ ছফা, যায়েন না। আপনার লগে একটু কথা আছে।’
দুই শিক্ষক গল্প করে চলে যাওয়ার পর আব্দুর রাজ্জাক বিছানা থেকে শালখানা কুড়িয়ে আবার আহমদ ছফার কাঁধে তুলে দিয়ে বললেন, ‘কিছু জিনিস কাউরে অন্য মানুষের সামনে দিলে মনে কষ্ট পাইতে পারে।’ এরপর কলকাতা থেকে আনা বইয়ের পুঁটলিটাও দিলেন আহমদ ছফাকে।
সূত্র: আহমদ ছফা, যদ্যপি আমার গুরু, পৃষ্ঠা ৪৯-৫০
একবার জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক সপরিবারে ভারতে যাবেন। সে কথা জানলেন আহমদ ছফা। আহমদ ছফা আব্দুর রাজ্জাককে বললেন, ‘স্যার, আমার জন্য একটা শাল আনবেন।’
আব্দুর রাজ্জাক জিজ্ঞেস করলেন, ‘আর কোনো জিনিস আপনার দরকার নেই?’
ছফা বললেন, ‘যদি আপনি বইয়ের দোকানে যাওয়ার সুযোগ পান, ভারতীয় সংগীত শাস্ত্রের একটা নির্ভরযোগ্য ইতিহাস আনবেন আমার জন্য।’
আহমদ ছফার কোনো সন্দেহই ছিল না যে আব্দুর রাজ্জাক শাল বা বইয়ের কথা ভুলে যাবেন। ফিরে আসার পর দেখা হলো। ছফা জিজ্ঞেস করলেন, ‘স্যার, আপনি কবে এসেছেন?
‘আজ বিয়ানের ফ্লাইটে। মৌলভী আহমদ ছফা আপনি কেমন ছিলেন?’ ‘ভালো স্যার।’ ‘কাল বিয়ানে আপনি একবার আয়েন।’ বললেন জ্ঞানতাপস।
পরদিন সকালবেলায় আহমদ ছফা তাঁর বাড়িতে গেলে আব্দুর রাজ্জাক সত্যি সত্যি ঘিয়ে রঙের একটা কাশ্মীরি শাল তুলে দিলেন তাঁর হাতে। খুব খুশি হয়ে শরীরে সেই শাল জড়ালেন আহমদ ছফা। কিন্তু তখন নিচের সিঁড়িতে দুজন শিক্ষকের গলার আওয়াজ পাওয়া গেল। স্যার বললেন, ‘চাদরটা এই দিকে থুইয়া দেন।’
আহমদ ছফা আব্দুর রাজ্জাকের কথা বুঝতে পারেননি। তখন স্যার নিজেই আহমদ ছফার গা থেকে চাদরটা টেনে নিয়ে বিছানার দিকে ছুড়ে দিলেন। খুব মেজাজ খারাপ হলো আহমদ ছফার। মনে হলো এক দৌড়ে এখান থেকে বেরিয়ে যান। ছফার মনোভাব বুঝতে পেরে আব্দুর রাজ্জাক বললেন, ‘মৌলভী আব্দুল আহমদ ছফা, যায়েন না। আপনার লগে একটু কথা আছে।’
দুই শিক্ষক গল্প করে চলে যাওয়ার পর আব্দুর রাজ্জাক বিছানা থেকে শালখানা কুড়িয়ে আবার আহমদ ছফার কাঁধে তুলে দিয়ে বললেন, ‘কিছু জিনিস কাউরে অন্য মানুষের সামনে দিলে মনে কষ্ট পাইতে পারে।’ এরপর কলকাতা থেকে আনা বইয়ের পুঁটলিটাও দিলেন আহমদ ছফাকে।
সূত্র: আহমদ ছফা, যদ্যপি আমার গুরু, পৃষ্ঠা ৪৯-৫০
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে