শেখ জাবেরুল ইসলাম, গোপালগঞ্জ
দলে তিনি ছাড়া বিকল্প প্রার্থী নেই। এমনকি দলীয় কোনো নেতারও বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বিরোধী শিবির অনেকটাই নিষ্প্রভ। এমতাবস্থায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গোপালগঞ্জ-১ আসনে এমনিতে এগিয়ে যাওয়ার পথ বাধাহীন হয়ে আছে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খানের। এ নির্ভার পরিস্থিতির জন্য তাঁর নিজের অবদানও কম নয়। ১৯৯৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত টানা পাঁচবার দখলে রেখেছেন আসনটি।
গোপালগঞ্জ জেলা মানেই আওয়ামী লীগ। ঐতিহাসিক সত্য কথাটি এখনো রাজনীতির মাঠে বিরাজমান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার জন্মজেলা এটি। আওয়ামী লীগের ঘাঁটি না হয়ে যায় কোথায়! বর্তমানেও জেলার বেশির ভাগ মানুষই আওয়ামী লীগের সমর্থক। ১৯৮৪ সালে গোপালগঞ্জ জেলা হয়। এ জেলায় তিনটি সংসদীয় আসনের মধ্যে মুকসুদপুর ও কাশিয়ানী উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন নিয়ে গোপালগঞ্জ-১ আসন।
আসনের বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান। ১৯৯১ সাল থেকে একটানা আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে আসনটি। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী আব্দুর রশিদ এ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এমপি হয়ে আসছেন ফারুক খান। আগামী নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ নির্বাচন করবেন, তা প্রায় নিশ্চিত। এখন পর্যন্ত এ আসনে আওয়ামী লীগের মধ্যে প্রকাশ্য বিরোধ দেখা যায়নি। দলটির নেতা-কর্মীরা বলছেন, দলে কোনো কোন্দল নেই। তাঁরা ফারুক খানের নেতৃত্বেই এগিয়ে যাবেন।
গোপালগঞ্জের প্রায় সব আসনেই বিএনপি তেমন পাত্তা পায় না। এ আসনেও সে চিত্রের দেখা মেলে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এক বছর আগে আসনটিতে বিএনপির কার্যক্রম তেমন দেখাই যাচ্ছে না। তবে দলটির বেশ কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, নির্বাচনে অংশ নিলে দলটির মনোনয়ন পেতে পারেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম। আসনে তৎপরতা তেমন না থাকায় কোন্দলও তেমন চোখে পড়ছে না।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনয়ন চাইতে পারেন গোপালগঞ্জ জেলা কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান ও সভাপতি মো. নুর ইসলাম শেখ লেলিন। জাতীয় পার্টি থেকে দলের পক্ষে মনোনয়নপ্রত্যাশী জাতীয় যুব সংহতির ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক ও কাশিয়ানী থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ মান্নান মুন্নু।
এককথায় বলতে গেলে, নির্বাচনে এমন সাদামাটা আসন খুব কমই আছে। স্থানীয় একাধিক ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগই বাজিমাত করবে। যদিও দলটি এ আসনে এখনো নির্বাচনী কার্যক্রম শুরুই করেনি। তবে দিবসকেন্দ্রিক কর্মসূচিতে সরকারের উন্নয়নের বার্তা দিচ্ছেন স্থানীয় নেতারা। বর্তমান এমপির পক্ষ থেকে চলছে এ কার্যক্রম। স্বচ্ছ পানিতে এগিয়ে যাচ্ছে ফারুক খানের নৌকা।
নির্বাচনী পরিসংখ্যান বলছে, বেশির ভাগ সময় নির্বাচনে জিতে এমপি হতে তেমন বেগ পেতে হয়নি ফারুক খানকে। ২০০১ সাল বাদে প্রতিবারই তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নির্বাচনী জামানত হারানোর মতো পরিস্থিতিতে পড়েন। গত নির্বাচনে তো একাই তিন লাখ ভোট পেয়েছেন তিনি। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় পার্টি কিংবা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ—কোনো দল তাঁর কাছে ভিড়তেই পারেনি। বইঠা চালিয়ে দ্রুতলয়ে এগিয়ে গেছেন এ নেতা।
বেশির ভাগ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা বলছেন, এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। এ আসনে সুষ্ঠু ভোটের দাবির কথাও শোনা যাচ্ছে না বিরোধী নেতা-কর্মীদের মুখে। বিএনপির অনেক নেতা-কর্মীর সঙ্গে তো যোগাযোগও করতে পারছেন না এলাকার কর্মীরা। দিশেহারা হয়ে মাঠের বাইরে নিশ্চুপ তাঁরা। তবে এ সংকট কাটিয়ে দল গোছানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন কয়েকজন নেতা।
গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রাফিকুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁদের ভাবনা এখন আগামী সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে। এ জন্য নির্বাচনকেন্দ্রিক কার্যক্রম তেমন দেখা যাচ্ছে না। বিএনপি ছাড়া বাকিদের মাঠে উপস্থিতি থাকলেও দেখা যাচ্ছে খুব কম।
মুকসুদপুর এবং সিঙ্গা, হাতিয়াড়া, পুইশুর, বেথুড়ী, নিজামকান্দি, ওড়াকান্দি, ফুকরা ইউনিয়ন ব্যতীত কাশিয়ানী উপজেলা রয়েছে এ আসনের আওতায়। মোট ভোটার ৪ লাখ ১৪ হাজার ৬৫৫ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১১ হাজার ৬৬৬ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ২ হাজার ৯৮৯ জন।
দলে তিনি ছাড়া বিকল্প প্রার্থী নেই। এমনকি দলীয় কোনো নেতারও বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বিরোধী শিবির অনেকটাই নিষ্প্রভ। এমতাবস্থায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গোপালগঞ্জ-১ আসনে এমনিতে এগিয়ে যাওয়ার পথ বাধাহীন হয়ে আছে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খানের। এ নির্ভার পরিস্থিতির জন্য তাঁর নিজের অবদানও কম নয়। ১৯৯৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত টানা পাঁচবার দখলে রেখেছেন আসনটি।
গোপালগঞ্জ জেলা মানেই আওয়ামী লীগ। ঐতিহাসিক সত্য কথাটি এখনো রাজনীতির মাঠে বিরাজমান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার জন্মজেলা এটি। আওয়ামী লীগের ঘাঁটি না হয়ে যায় কোথায়! বর্তমানেও জেলার বেশির ভাগ মানুষই আওয়ামী লীগের সমর্থক। ১৯৮৪ সালে গোপালগঞ্জ জেলা হয়। এ জেলায় তিনটি সংসদীয় আসনের মধ্যে মুকসুদপুর ও কাশিয়ানী উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন নিয়ে গোপালগঞ্জ-১ আসন।
আসনের বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান। ১৯৯১ সাল থেকে একটানা আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে আসনটি। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী আব্দুর রশিদ এ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এমপি হয়ে আসছেন ফারুক খান। আগামী নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ নির্বাচন করবেন, তা প্রায় নিশ্চিত। এখন পর্যন্ত এ আসনে আওয়ামী লীগের মধ্যে প্রকাশ্য বিরোধ দেখা যায়নি। দলটির নেতা-কর্মীরা বলছেন, দলে কোনো কোন্দল নেই। তাঁরা ফারুক খানের নেতৃত্বেই এগিয়ে যাবেন।
গোপালগঞ্জের প্রায় সব আসনেই বিএনপি তেমন পাত্তা পায় না। এ আসনেও সে চিত্রের দেখা মেলে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এক বছর আগে আসনটিতে বিএনপির কার্যক্রম তেমন দেখাই যাচ্ছে না। তবে দলটির বেশ কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, নির্বাচনে অংশ নিলে দলটির মনোনয়ন পেতে পারেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম। আসনে তৎপরতা তেমন না থাকায় কোন্দলও তেমন চোখে পড়ছে না।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনয়ন চাইতে পারেন গোপালগঞ্জ জেলা কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান ও সভাপতি মো. নুর ইসলাম শেখ লেলিন। জাতীয় পার্টি থেকে দলের পক্ষে মনোনয়নপ্রত্যাশী জাতীয় যুব সংহতির ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক ও কাশিয়ানী থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ মান্নান মুন্নু।
এককথায় বলতে গেলে, নির্বাচনে এমন সাদামাটা আসন খুব কমই আছে। স্থানীয় একাধিক ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগই বাজিমাত করবে। যদিও দলটি এ আসনে এখনো নির্বাচনী কার্যক্রম শুরুই করেনি। তবে দিবসকেন্দ্রিক কর্মসূচিতে সরকারের উন্নয়নের বার্তা দিচ্ছেন স্থানীয় নেতারা। বর্তমান এমপির পক্ষ থেকে চলছে এ কার্যক্রম। স্বচ্ছ পানিতে এগিয়ে যাচ্ছে ফারুক খানের নৌকা।
নির্বাচনী পরিসংখ্যান বলছে, বেশির ভাগ সময় নির্বাচনে জিতে এমপি হতে তেমন বেগ পেতে হয়নি ফারুক খানকে। ২০০১ সাল বাদে প্রতিবারই তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নির্বাচনী জামানত হারানোর মতো পরিস্থিতিতে পড়েন। গত নির্বাচনে তো একাই তিন লাখ ভোট পেয়েছেন তিনি। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় পার্টি কিংবা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ—কোনো দল তাঁর কাছে ভিড়তেই পারেনি। বইঠা চালিয়ে দ্রুতলয়ে এগিয়ে গেছেন এ নেতা।
বেশির ভাগ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা বলছেন, এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। এ আসনে সুষ্ঠু ভোটের দাবির কথাও শোনা যাচ্ছে না বিরোধী নেতা-কর্মীদের মুখে। বিএনপির অনেক নেতা-কর্মীর সঙ্গে তো যোগাযোগও করতে পারছেন না এলাকার কর্মীরা। দিশেহারা হয়ে মাঠের বাইরে নিশ্চুপ তাঁরা। তবে এ সংকট কাটিয়ে দল গোছানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন কয়েকজন নেতা।
গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রাফিকুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁদের ভাবনা এখন আগামী সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে। এ জন্য নির্বাচনকেন্দ্রিক কার্যক্রম তেমন দেখা যাচ্ছে না। বিএনপি ছাড়া বাকিদের মাঠে উপস্থিতি থাকলেও দেখা যাচ্ছে খুব কম।
মুকসুদপুর এবং সিঙ্গা, হাতিয়াড়া, পুইশুর, বেথুড়ী, নিজামকান্দি, ওড়াকান্দি, ফুকরা ইউনিয়ন ব্যতীত কাশিয়ানী উপজেলা রয়েছে এ আসনের আওতায়। মোট ভোটার ৪ লাখ ১৪ হাজার ৬৫৫ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১১ হাজার ৬৬৬ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ২ হাজার ৯৮৯ জন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে