খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা-৪ (দিঘলিয়ার একাংশ, রূপসা ও তেরখাদা) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আবদুস সালাম মূর্শেদীর সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দূরত্ব বেড়েই চলেছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু হওয়া এ দ্বন্দ্ব আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। জেলা পর্যায়ের অধিকাংশ নেতা সরাসরি সালাম মূর্শেদীর বিপক্ষে চলে গেছেন।
এমপি সালাম মূর্শেদীর বিরুদ্ধে গত সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে তাঁর বিরোধীপক্ষ। এর পাল্টা হিসেবে এমপির অনুসারীরা গতকাল রূপসা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দিন বাদশার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ তোলা হয়।
রূপসা উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফ ম আব্দুস সালাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, কামাল উদ্দিন বাদশা বয়সের ভারে স্বাভাবিকতা হারিয়ে ফেলেছেন। তিনি দীর্ঘদিন দলের একই পদে অবস্থান করার পরও দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। এ কারণে রূপসা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাঁকে প্রত্যাখ্যানের দাবি জানাচ্ছেন। কেননা দলীয় শৃঙ্খলাকে তিনি তাঁর কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ভূলুণ্ঠিত করেছেন। তাঁকে সভাপতির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির দাবি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতা-কর্মীদের।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বাদশা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের গোপাল দাস নামের এক ব্যক্তির জমি দখল করে অবৈধভাবে ইটভাটা নির্মাণ করেছেন। এ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। গোটা রূপসা অঞ্চলে জনশ্রুতি রয়েছে, কামাল উদ্দিন বাদশা এবং তাঁর স্ত্রী উপজেলার তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যকরী কমিটির সভাপতি হিসেবে লাখ লাখ টাকা নিয়োগ-বাণিজ্য করেছেন। এমন এক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পদে থাকার নৈতিকতা আজ জনসমক্ষে প্রশ্নের সম্মুখীন।
এর আগে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এমপি সালাম মূর্শেদীর বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান এবং হুমকি-ধমকির অভিযোগ করেন রূপসা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন বাদশা।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে সালাম মূর্শেদীর বিরুদ্ধে দলীয় নেতা-কর্মী ও সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, দোকানপাট ভাঙচুর ও হুমকি-ধমকির একাধিক অভিযোগ করেছিলেন ওই আসনের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম মোর্তজা রশিদী দারা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সালাম মূর্শেদী চাইছেন, উপজেলা নির্বাচনে তাঁর পছন্দের প্রার্থীকে জেতাতে। তা ছাড়া সংসদ নির্বাচনের সময়ে যাঁরা তাঁর বিপক্ষে ছিলেন, তাঁদের কোণঠাসা করে রাখছেন মূর্শেদী। কামাল উদ্দিন বাদশা ওই সময় তাঁর বিরোধিতা করে স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম মোর্তজা রশিদী দারার পক্ষে কাজ করেছিলেন। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারীর সঙ্গেও সালাম মূর্শেদীর সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এমপি সালাম মূর্শেদী বলেন, ‘কামালউদ্দিন বাদশা মূলত একা। তিনি সংগঠনের একটি বড় দায়িত্বে আছেন। কিন্তু তিনি সেই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারেন না। ২০১৮ সাল থেকে তিনি রূপসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হলেও এ পর্যন্ত নৌকায় কোনো সময় ভোট দেননি। আমাকেও না, জেলা পরিষদেও না, ইউনিয়ন পরিষদেও না এবং এবারও নৌকায় ভোট দেননি। যে মানুষটি সব সময় নৌকার বিরোধিতা করেন; তিনি আবার নৌকার মাঝি হতে চান, এটা সংগঠনবিরোধী কাজ। আমরা চাই সংগঠন শক্তিশালী হোক। সংগঠনে যাঁরাই থাকবেন, তাঁরাই দায়িত্ব পালন করবেন।’
পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজিত অধিকারী বলেন, ‘দলের ভেতরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও বিষোদ্গারের কারণে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও বদনামের শিকার হচ্ছে। মূলত সংসদ সদস্য সালাম মূর্শেদীর সঙ্গে তৃণমূল ও ত্যাগী কোনো নেতা-কর্মী নেই। তাঁর সঙ্গে আছে তাঁর কিছু বেতনভোগী কর্মচারী ও হাইব্রিডরা; যারা বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। কামাল উদ্দিন বাদশার সঙ্গে রয়েছেন তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা।’
দ্বন্দ্ব নিরসনের বিষয়ে জানতে চাইলে সুজিত অধিকারী বলেন, ‘এ ব্যাপারে জেলা সভাপতির সঙ্গে কথা বলে দলের বর্ধিত সভা ডেকে স্থানীয় নেতাদের কাছ থেকে বক্তব্য শোনার পর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
খুলনা-৪ (দিঘলিয়ার একাংশ, রূপসা ও তেরখাদা) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আবদুস সালাম মূর্শেদীর সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দূরত্ব বেড়েই চলেছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু হওয়া এ দ্বন্দ্ব আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। জেলা পর্যায়ের অধিকাংশ নেতা সরাসরি সালাম মূর্শেদীর বিপক্ষে চলে গেছেন।
এমপি সালাম মূর্শেদীর বিরুদ্ধে গত সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে তাঁর বিরোধীপক্ষ। এর পাল্টা হিসেবে এমপির অনুসারীরা গতকাল রূপসা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দিন বাদশার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ তোলা হয়।
রূপসা উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফ ম আব্দুস সালাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, কামাল উদ্দিন বাদশা বয়সের ভারে স্বাভাবিকতা হারিয়ে ফেলেছেন। তিনি দীর্ঘদিন দলের একই পদে অবস্থান করার পরও দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। এ কারণে রূপসা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাঁকে প্রত্যাখ্যানের দাবি জানাচ্ছেন। কেননা দলীয় শৃঙ্খলাকে তিনি তাঁর কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ভূলুণ্ঠিত করেছেন। তাঁকে সভাপতির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির দাবি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতা-কর্মীদের।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বাদশা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের গোপাল দাস নামের এক ব্যক্তির জমি দখল করে অবৈধভাবে ইটভাটা নির্মাণ করেছেন। এ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। গোটা রূপসা অঞ্চলে জনশ্রুতি রয়েছে, কামাল উদ্দিন বাদশা এবং তাঁর স্ত্রী উপজেলার তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যকরী কমিটির সভাপতি হিসেবে লাখ লাখ টাকা নিয়োগ-বাণিজ্য করেছেন। এমন এক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পদে থাকার নৈতিকতা আজ জনসমক্ষে প্রশ্নের সম্মুখীন।
এর আগে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এমপি সালাম মূর্শেদীর বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান এবং হুমকি-ধমকির অভিযোগ করেন রূপসা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন বাদশা।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে সালাম মূর্শেদীর বিরুদ্ধে দলীয় নেতা-কর্মী ও সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, দোকানপাট ভাঙচুর ও হুমকি-ধমকির একাধিক অভিযোগ করেছিলেন ওই আসনের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম মোর্তজা রশিদী দারা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সালাম মূর্শেদী চাইছেন, উপজেলা নির্বাচনে তাঁর পছন্দের প্রার্থীকে জেতাতে। তা ছাড়া সংসদ নির্বাচনের সময়ে যাঁরা তাঁর বিপক্ষে ছিলেন, তাঁদের কোণঠাসা করে রাখছেন মূর্শেদী। কামাল উদ্দিন বাদশা ওই সময় তাঁর বিরোধিতা করে স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম মোর্তজা রশিদী দারার পক্ষে কাজ করেছিলেন। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারীর সঙ্গেও সালাম মূর্শেদীর সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এমপি সালাম মূর্শেদী বলেন, ‘কামালউদ্দিন বাদশা মূলত একা। তিনি সংগঠনের একটি বড় দায়িত্বে আছেন। কিন্তু তিনি সেই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারেন না। ২০১৮ সাল থেকে তিনি রূপসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হলেও এ পর্যন্ত নৌকায় কোনো সময় ভোট দেননি। আমাকেও না, জেলা পরিষদেও না, ইউনিয়ন পরিষদেও না এবং এবারও নৌকায় ভোট দেননি। যে মানুষটি সব সময় নৌকার বিরোধিতা করেন; তিনি আবার নৌকার মাঝি হতে চান, এটা সংগঠনবিরোধী কাজ। আমরা চাই সংগঠন শক্তিশালী হোক। সংগঠনে যাঁরাই থাকবেন, তাঁরাই দায়িত্ব পালন করবেন।’
পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজিত অধিকারী বলেন, ‘দলের ভেতরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও বিষোদ্গারের কারণে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও বদনামের শিকার হচ্ছে। মূলত সংসদ সদস্য সালাম মূর্শেদীর সঙ্গে তৃণমূল ও ত্যাগী কোনো নেতা-কর্মী নেই। তাঁর সঙ্গে আছে তাঁর কিছু বেতনভোগী কর্মচারী ও হাইব্রিডরা; যারা বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। কামাল উদ্দিন বাদশার সঙ্গে রয়েছেন তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা।’
দ্বন্দ্ব নিরসনের বিষয়ে জানতে চাইলে সুজিত অধিকারী বলেন, ‘এ ব্যাপারে জেলা সভাপতির সঙ্গে কথা বলে দলের বর্ধিত সভা ডেকে স্থানীয় নেতাদের কাছ থেকে বক্তব্য শোনার পর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে