মো. শফিকুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাব শুরু হলে ২০২০ সালের ১০ মার্চ বন্ধ হয়ে যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় উপজেলার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হাট। সেই থেকে এখন পর্যন্ত দুই বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে হাটটি। এতে দীর্ঘদিন পড়ে থেকে অনেক পণ্য নষ্ট হয়ে গেছে। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
দীর্ঘদিন হাটটি বন্ধ থাকলেও ব্যবসায়ীদের জন্য বিকল্প কোনো ব্যবস্থা করেনি হাট ব্যবস্থাপনা কমিটি। মহামারির কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও এখন প্রকোপ কমে যাওয়ায় দ্রুত সীমান্ত হাটটি খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
জানা যায়, ২০১৫ সালের জুনে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ মালিকানায় যাত্রা শুরু হয় এ সীমান্ত হাটের। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহীজলা জেলার কমলাসাগর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার তারাপুর সীমান্তে এ হাটের অবস্থান। হাটটি ব্যবসার জন্য যতটা না চাঙা ছিল, তার চেয়ে বেশি সমৃদ্ধ ছিল দুই বাংলার মানুষের সম্প্রীতির মেলবন্ধনের কারণে। পণ্য বেচাকেনার পাশাপাশি প্রতি হাটবারে দুই বাংলার মিলনমেলা বসত এ সীমান্ত হাটে। হাটে ২ দেশের ৫০টি করে মোট ১০০টি দোকান আছে। প্রতি রোববার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলত হাটের বেচাকেনা। মূলত সীমান্তের ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকার বাসিন্দাদের কেনাকাটার জন্যই প্রতি হাটবার ১ হাজার মানুষকে হাটে প্রবেশের জন্য টিকিট দেওয়া হয়েছিল।
তবে হাট বন্ধ হওয়ার আগে সীমান্ত এলাকার বাইরের লোকজনও নিয়মিত আসতেন হাটে। তাঁরা মূলত ভারতীয় পণ্য কিনতেন। আর এ জন্যই হাটে ভারতীয় পণ্যের চাহিদা ছিল বেশ।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বন্ধ হওয়ার আগে প্রতি হাটবারে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের একেকজন ১০ থেকে ২০ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি করতেন। আর ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বিক্রি করতেন ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার পণ্য। ভারতীয় পণ্যগুলোর মধ্যে প্রসাধনী, শাড়ি, থ্রি পিস ও শিশুদের ডায়াপারের চাহিদা ছিল বেশি। আর বাংলাদেশি পণ্যগুলোর মধ্যে বেশি বিক্রি হতো কাপড়, প্লাস্টিক ও লৌহজাত পণ্যসহ ক্রোকারিজ সামগ্রী।
কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাব শুরু হলে ২০২০ সালের ১০ মার্চ থেকে হাটের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে দুই দেশের সীমান্ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটি। এখন করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও হাট খোলার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কবে নাগাদ হাট খুলবে, সে সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারছে না হাটের বাংলাদেশ অংশের ব্যবস্থাপনা কমিটি।
কসবা সীমান্ত হাটের ব্যবসায়ী লিটন কর্মকার জানান, হাটে তিনি দা, বঁটিসহ গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করতেন। হাট বন্ধ হওয়ার আগে দোকানে দুই লাখ টাকার পণ্য তুলেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ হাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেই পণ্য নিয়ে বিপাকে পড়েন তিনি। পরে স্থানীয় বাজারে কম দামে কিছু পণ্য বিক্রি করেন। তবে এখনো বেশ কিছু পণ্য অবিক্রীত রয়ে গেছে।
এ ছাড়া তাঁর দোকানে যে দুজন শ্রমিক কাজ করতেন, হাট বন্ধ হওয়ায় তাঁরাও এখন কর্মহীন হয়ে অর্থকষ্টে আছেন। হাট ব্যবস্থাপনা কমিটিও ব্যবসায়ীদের তেমন কোনো সাহায্য-সহযোগিতা করেনি।
লিটন কর্মকার বলেন, ‘হাট বন্ধ থাকার ফলে আমরা ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছি। এখন সবকিছুই স্বাভাবিক নিয়মে চলছে। তাই দ্রুত সীমান্ত হাট খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
এ ব্যাপারে কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ উল আলম বলেন, ‘হাটের বিষয়টি দ্বিপক্ষীয়। এখন পর্যন্ত হাট খোলার ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা
হয়নি আমাদের। তবে হাট খোলার ব্যাপারে তাদের (ভারত অংশের ব্যবস্থাপনা কমিটি) আগ্রহ আছে। দুই দেশের সরকারি সিদ্ধান্ত হলে হাট খুলে দেওয়া হবে।’
কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাব শুরু হলে ২০২০ সালের ১০ মার্চ বন্ধ হয়ে যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় উপজেলার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হাট। সেই থেকে এখন পর্যন্ত দুই বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে হাটটি। এতে দীর্ঘদিন পড়ে থেকে অনেক পণ্য নষ্ট হয়ে গেছে। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
দীর্ঘদিন হাটটি বন্ধ থাকলেও ব্যবসায়ীদের জন্য বিকল্প কোনো ব্যবস্থা করেনি হাট ব্যবস্থাপনা কমিটি। মহামারির কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও এখন প্রকোপ কমে যাওয়ায় দ্রুত সীমান্ত হাটটি খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
জানা যায়, ২০১৫ সালের জুনে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ মালিকানায় যাত্রা শুরু হয় এ সীমান্ত হাটের। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহীজলা জেলার কমলাসাগর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার তারাপুর সীমান্তে এ হাটের অবস্থান। হাটটি ব্যবসার জন্য যতটা না চাঙা ছিল, তার চেয়ে বেশি সমৃদ্ধ ছিল দুই বাংলার মানুষের সম্প্রীতির মেলবন্ধনের কারণে। পণ্য বেচাকেনার পাশাপাশি প্রতি হাটবারে দুই বাংলার মিলনমেলা বসত এ সীমান্ত হাটে। হাটে ২ দেশের ৫০টি করে মোট ১০০টি দোকান আছে। প্রতি রোববার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলত হাটের বেচাকেনা। মূলত সীমান্তের ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকার বাসিন্দাদের কেনাকাটার জন্যই প্রতি হাটবার ১ হাজার মানুষকে হাটে প্রবেশের জন্য টিকিট দেওয়া হয়েছিল।
তবে হাট বন্ধ হওয়ার আগে সীমান্ত এলাকার বাইরের লোকজনও নিয়মিত আসতেন হাটে। তাঁরা মূলত ভারতীয় পণ্য কিনতেন। আর এ জন্যই হাটে ভারতীয় পণ্যের চাহিদা ছিল বেশ।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বন্ধ হওয়ার আগে প্রতি হাটবারে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের একেকজন ১০ থেকে ২০ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি করতেন। আর ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বিক্রি করতেন ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার পণ্য। ভারতীয় পণ্যগুলোর মধ্যে প্রসাধনী, শাড়ি, থ্রি পিস ও শিশুদের ডায়াপারের চাহিদা ছিল বেশি। আর বাংলাদেশি পণ্যগুলোর মধ্যে বেশি বিক্রি হতো কাপড়, প্লাস্টিক ও লৌহজাত পণ্যসহ ক্রোকারিজ সামগ্রী।
কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাব শুরু হলে ২০২০ সালের ১০ মার্চ থেকে হাটের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে দুই দেশের সীমান্ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটি। এখন করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও হাট খোলার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কবে নাগাদ হাট খুলবে, সে সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারছে না হাটের বাংলাদেশ অংশের ব্যবস্থাপনা কমিটি।
কসবা সীমান্ত হাটের ব্যবসায়ী লিটন কর্মকার জানান, হাটে তিনি দা, বঁটিসহ গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করতেন। হাট বন্ধ হওয়ার আগে দোকানে দুই লাখ টাকার পণ্য তুলেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ হাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেই পণ্য নিয়ে বিপাকে পড়েন তিনি। পরে স্থানীয় বাজারে কম দামে কিছু পণ্য বিক্রি করেন। তবে এখনো বেশ কিছু পণ্য অবিক্রীত রয়ে গেছে।
এ ছাড়া তাঁর দোকানে যে দুজন শ্রমিক কাজ করতেন, হাট বন্ধ হওয়ায় তাঁরাও এখন কর্মহীন হয়ে অর্থকষ্টে আছেন। হাট ব্যবস্থাপনা কমিটিও ব্যবসায়ীদের তেমন কোনো সাহায্য-সহযোগিতা করেনি।
লিটন কর্মকার বলেন, ‘হাট বন্ধ থাকার ফলে আমরা ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছি। এখন সবকিছুই স্বাভাবিক নিয়মে চলছে। তাই দ্রুত সীমান্ত হাট খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
এ ব্যাপারে কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ উল আলম বলেন, ‘হাটের বিষয়টি দ্বিপক্ষীয়। এখন পর্যন্ত হাট খোলার ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা
হয়নি আমাদের। তবে হাট খোলার ব্যাপারে তাদের (ভারত অংশের ব্যবস্থাপনা কমিটি) আগ্রহ আছে। দুই দেশের সরকারি সিদ্ধান্ত হলে হাট খুলে দেওয়া হবে।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
৭ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
৯ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে