আব্দুর রহিম পায়েল, গঙ্গাচড়া
ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে তাঁরা কেউ স্বামী-স্ত্রী, আবার কেউ মামা-ভাগনে। তবে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের মাঠে তাঁরা পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা কেবল কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ। বাস্তবে ভোট প্রার্থনায় একজনকে সহায়তা করছেন অন্যজন।
গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী ও কোলকোন্দ ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে দেখা গেছে এমন চিত্র।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নোহালীতে চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন চারজন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ টিটুল, জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গলের প্রার্থী আশরাফ আলী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসলেম উদ্দিন (আনারস) ও নাজনীন আকতার (মোটরসাইকেল)। তাঁদের মধ্যে টিটুলের আপন ভাগনে মোসলেম। অপরদিকে আশরাফের স্ত্রী নাজনীন।
নোহালীর পূর্ব কচুয়া গ্রামের বাসিন্দা জামিল হোসেন জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসলেম নিজের আনারস প্রতীকের পরিবর্তে মামা টিটুলের নৌকার জন্য ভোট চাচ্ছেন। বাগডহরা গ্রামের ভোটার মিজানুর রহমান বলেন, ‘মামা-ভাগনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হলেও উভয়ে মিলে ভোট করছেন মামার নৌকা মার্কার। মোসলেম উদ্দিন নিজের মার্কায় ভোট চাচ্ছেন না।’
পশ্চিম কচুয়া গ্রামের কার্তিক চন্দ্র বলেন, টিটুলের প্রতিদ্বন্দ্বী সেজে মোসলেম যেমন নৌকার ভোট চাচ্ছেন, তেমনিভাবে স্বামী আশরাফের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েও তাঁর লাঙ্গল মার্কায় ভোট প্রার্থনা করছেন স্ত্রী নাজনীন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাপা প্রার্থী আশরাফ বলেন, ‘আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আমার স্ত্রীরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার রয়েছে। তাই আমি তাঁকে নির্বাচনে বাধা দিইনি। ভোটারেরা তাঁকে পছন্দ করলে ভোট দিতে পারেন, আমাকে যাঁরা পছন্দ করবেন তাঁরা আমাকে ভোট দেবেন। এতে অসুবিধার কিছু দেখছি না।’
অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজনীন বলেন, ‘স্বামীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করলেও তিনি আমার প্রতি ক্ষুব্ধ নন। এ প্রতিদ্বন্দ্বিতা আমাদের পারিবারিক সম্পর্কের মাঝে মোটেও প্রভাব ফেলবে না।’
একই ইউনয়নে চেয়ারম্যান পদে মামা-ভাগনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে মামা টিটুল জানান, ভাগনে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেই পারেন। এটা তাঁর গণতান্ত্রিক অধিকার। সে অধিকারকে তো তিনি খর্ব করতে পারেন না।
ভাগনে মোসলেম বলেন, ‘মামার বিরুদ্ধে আমি চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও তাঁর সঙ্গে আমার আত্মীয়তার সম্পর্কে কোনো ফাটল ধরবে না।’
এদিকে কোলকোন্দেও চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চারজন। তাঁরা হলেন নৌকার প্রার্থী বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব আলী রাজু, লাঙ্গলের আব্দুর রউফ এবং স্বতন্ত্র মোনতাসির মামুন (মোটরসাইকেল) ও মোছা. মেনেকা মাহবুব (আনারস)। মেনেকা জাপা প্রার্থী রউফের স্ত্রী।
ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার মোসলেমা বেগম বলেন, ‘মেনেকা মাহবুব নিজে চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেও তিনি আমার কাছে লাঙ্গল প্রতীকে স্বামীর জন্য ভোট চেয়েছেন।’
একই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নরেশ চন্দ্র বলেন, ‘মেনেকা মাহবুব নিজের প্রতীক আনারসের জন্য ভোট প্রার্থনার পরিবর্তে তাঁর স্বামীর লাঙ্গল প্রতীকে ভোট চাচ্ছেন। তিনি আমার কাছেও লাঙ্গলে ভোট চেয়েছেন।’
লাঙ্গলের প্রার্থী রউফ বলেন, ‘ইউনিয়নের যোগ্যতাসম্পন্ন সব নাগরিকেরই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার রয়েছে। এটা তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার। এ অধিকারকে তো আমি অসম্মান করতে পারি না। তাই আমার স্ত্রী আমার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেই পারে।’
একই ধরনের কথা বলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মেনেকা। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামীর যেমন যোগ্যতা ও অধিকার রয়েছে, তেমনি আমারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার রয়েছে।’
অন্যের জন্য ভোট চাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট তিন প্রার্থীই তা অস্বীকার করেছেন। তাঁদের দাবি, তাঁরা শুধু নিজের জন্য ভোট চাচ্ছেন। অন্যের জন্য চাচ্ছেন না। এটা প্রতিপক্ষের লোকদের মিথ্যা প্রচার হতে পারে।
এ বিষয়ে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধিতে এ বিষয়ে কিছু উল্লেখ নেই। তা ছাড়া, যেকোনো ব্যক্তি তাঁর নিজের ভোট যে কাউকে দিতে পারেন।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল মোতাবেক ২৬ ডিসেম্বর গঙ্গাচড়ার ৯টি ইউনিয়নে সাধারণ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে তাঁরা কেউ স্বামী-স্ত্রী, আবার কেউ মামা-ভাগনে। তবে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের মাঠে তাঁরা পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা কেবল কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ। বাস্তবে ভোট প্রার্থনায় একজনকে সহায়তা করছেন অন্যজন।
গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী ও কোলকোন্দ ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে দেখা গেছে এমন চিত্র।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নোহালীতে চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন চারজন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ টিটুল, জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গলের প্রার্থী আশরাফ আলী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসলেম উদ্দিন (আনারস) ও নাজনীন আকতার (মোটরসাইকেল)। তাঁদের মধ্যে টিটুলের আপন ভাগনে মোসলেম। অপরদিকে আশরাফের স্ত্রী নাজনীন।
নোহালীর পূর্ব কচুয়া গ্রামের বাসিন্দা জামিল হোসেন জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসলেম নিজের আনারস প্রতীকের পরিবর্তে মামা টিটুলের নৌকার জন্য ভোট চাচ্ছেন। বাগডহরা গ্রামের ভোটার মিজানুর রহমান বলেন, ‘মামা-ভাগনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হলেও উভয়ে মিলে ভোট করছেন মামার নৌকা মার্কার। মোসলেম উদ্দিন নিজের মার্কায় ভোট চাচ্ছেন না।’
পশ্চিম কচুয়া গ্রামের কার্তিক চন্দ্র বলেন, টিটুলের প্রতিদ্বন্দ্বী সেজে মোসলেম যেমন নৌকার ভোট চাচ্ছেন, তেমনিভাবে স্বামী আশরাফের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েও তাঁর লাঙ্গল মার্কায় ভোট প্রার্থনা করছেন স্ত্রী নাজনীন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাপা প্রার্থী আশরাফ বলেন, ‘আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আমার স্ত্রীরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার রয়েছে। তাই আমি তাঁকে নির্বাচনে বাধা দিইনি। ভোটারেরা তাঁকে পছন্দ করলে ভোট দিতে পারেন, আমাকে যাঁরা পছন্দ করবেন তাঁরা আমাকে ভোট দেবেন। এতে অসুবিধার কিছু দেখছি না।’
অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজনীন বলেন, ‘স্বামীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করলেও তিনি আমার প্রতি ক্ষুব্ধ নন। এ প্রতিদ্বন্দ্বিতা আমাদের পারিবারিক সম্পর্কের মাঝে মোটেও প্রভাব ফেলবে না।’
একই ইউনয়নে চেয়ারম্যান পদে মামা-ভাগনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে মামা টিটুল জানান, ভাগনে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেই পারেন। এটা তাঁর গণতান্ত্রিক অধিকার। সে অধিকারকে তো তিনি খর্ব করতে পারেন না।
ভাগনে মোসলেম বলেন, ‘মামার বিরুদ্ধে আমি চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও তাঁর সঙ্গে আমার আত্মীয়তার সম্পর্কে কোনো ফাটল ধরবে না।’
এদিকে কোলকোন্দেও চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চারজন। তাঁরা হলেন নৌকার প্রার্থী বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব আলী রাজু, লাঙ্গলের আব্দুর রউফ এবং স্বতন্ত্র মোনতাসির মামুন (মোটরসাইকেল) ও মোছা. মেনেকা মাহবুব (আনারস)। মেনেকা জাপা প্রার্থী রউফের স্ত্রী।
ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার মোসলেমা বেগম বলেন, ‘মেনেকা মাহবুব নিজে চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেও তিনি আমার কাছে লাঙ্গল প্রতীকে স্বামীর জন্য ভোট চেয়েছেন।’
একই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নরেশ চন্দ্র বলেন, ‘মেনেকা মাহবুব নিজের প্রতীক আনারসের জন্য ভোট প্রার্থনার পরিবর্তে তাঁর স্বামীর লাঙ্গল প্রতীকে ভোট চাচ্ছেন। তিনি আমার কাছেও লাঙ্গলে ভোট চেয়েছেন।’
লাঙ্গলের প্রার্থী রউফ বলেন, ‘ইউনিয়নের যোগ্যতাসম্পন্ন সব নাগরিকেরই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার রয়েছে। এটা তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার। এ অধিকারকে তো আমি অসম্মান করতে পারি না। তাই আমার স্ত্রী আমার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেই পারে।’
একই ধরনের কথা বলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মেনেকা। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামীর যেমন যোগ্যতা ও অধিকার রয়েছে, তেমনি আমারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার রয়েছে।’
অন্যের জন্য ভোট চাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট তিন প্রার্থীই তা অস্বীকার করেছেন। তাঁদের দাবি, তাঁরা শুধু নিজের জন্য ভোট চাচ্ছেন। অন্যের জন্য চাচ্ছেন না। এটা প্রতিপক্ষের লোকদের মিথ্যা প্রচার হতে পারে।
এ বিষয়ে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধিতে এ বিষয়ে কিছু উল্লেখ নেই। তা ছাড়া, যেকোনো ব্যক্তি তাঁর নিজের ভোট যে কাউকে দিতে পারেন।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল মোতাবেক ২৬ ডিসেম্বর গঙ্গাচড়ার ৯টি ইউনিয়নে সাধারণ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে