আশরাফুল আলম আপন, বদরগঞ্জ
বদরগঞ্জে স্বর্ণের দোকানগুলোতে অ্যাসিড ব্যবহারে মানা হচ্ছে না আইন। উপজেলার ব্যবসায়ীরা স্বর্ণ গলাতে শর্ত ভেঙে যত্রতত্র ঝুঁকিপূর্ণ এ পদার্থ ব্যবহার করছেন। এতে আশপাশের মানুষ শ্বাসকষ্টের সমস্যায় পড়ছেন।
এই দুর্ভোগ থেকে রেহাই পেতে পৌর শহরের রেলস্টেশন রোডের আটজন বাসিন্দা গত বছরের ২১ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরে আবেদন করেন। এ ছাড়া পৌর মেয়রের কাছে আবেদন জমা দেওয়া হয়। কিন্তু এখনো কোনো কাজ হয়নি। তবে পৌর মেয়র আহসানুল হক চৌধুরী টুটুল স্টেশন রোডের স্বর্ণ দোকানি আমিনুল ইসলাম, বোরহান ও নিখিল চন্দ্রকে নোটিশ দিয়েছিলেন। সেই নোটিশে তাঁরা সাড়া দেননি।
২০০২ সালের ১৭ মার্চ প্রকাশিত গেজেটের ১ নম্বর আইনের অষ্টম অধ্যায়ে উল্লেখ আছে, লাইসেন্স ব্যতীত অ্যাসিডের উৎপাদন, আমদানি, পরিবহন, মজুত, বিক্রি ও ব্যবহার করা দণ্ডনীয় অপরাধ। যাঁরা লাইসেন্স করবেন না ও লাইসেন্সের শর্তগুলো পালন করবেন না, তাঁদের জন্য অনূর্ধ্ব ১০ বছর ও কমপক্ষে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।
পৌর শহরের সাজন দাস বলেন, স্বর্ণ গলার সময় যখন অ্যাসিড ব্যবহার করা হয়, তখন ঝাঁজালো গন্ধে শ্বাস নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। পরিবেশ হয় দূষিত। কিন্তু এসব দেখার যেন কেউ নেই।’
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী দাবি করেন, সাধারণত খাদ পরীক্ষা ও স্বর্ণ গলানোর কাজে যে অ্যাসিড ব্যবহার করা হয়, এর সঙ্গে পানি মেশানো হয়। ফলে ওই অ্যাসিড আর ক্ষতির পর্যায়ে থাকে না।
উপজেলা স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে জানা গেছে, বদরগঞ্জে প্রায় ৬০টি স্বর্ণের দোকান রয়েছে। এর মধ্যে পৌর শহরে রয়েছে ৩৯টি। এই ৬০ দোকানের মধ্যে অ্যাসিড ব্যবহারের লাইসেন্স রয়েছে শুধু একটি দোকানের। সেটি মিন্নি জুয়েলার্স।
মিন্নি জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী বাবলু মিয়া বলেন, ‘অ্যাসিডের ব্যবহারে স্বর্ণালংকার পলিশ-বার্নিশ করা হয়। কিন্তু এটি ব্যবহারে আইন আছে। সেই আইন মানছেন না অনেকেই। এতে বদনাম হচ্ছে আমাদেরও।’
অধিকাংশ দোকানের অ্যাসিড ব্যবহারের অনুমোদন না থাকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. মনছার আলী বলেন, ‘অনেক ঘুরেছি লাইসেন্সের জন্য, কিন্তু পাইনি। উপজেলায় মাত্র একজন সেই লাইসেন্স পেয়েছেন। বিধি অনুযায়ী হলে একটি স্বর্ণের দোকানও থাকবে না। কারণ সেই বিধি মেনে কেউ স্বর্ণালংকার পলিশ-বার্নিশ করতে পারবেন না।’
অ্যাসিড ব্যবহারের স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শাকিল মোবাশ্বির জানান, বিধি মেনে অ্যাসিড ব্যবহার না করায় উপজেলার অনেক মানুষ শ্বাসকষ্টে ভুগছেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ইউএনও মো. আবু সাঈদ বলেন, ‘আমি সম্প্রতি এ উপজেলায় যোগদান করেছি। বিষয়টি সম্পর্কে আমার জানা ছিল না। তবে বিধির বাইরে কেউ অ্যাসিড ব্যবহার করতে পারবেন না। বিষয়টি খুব শিগগিরই দেখা হবে।’
বদরগঞ্জে স্বর্ণের দোকানগুলোতে অ্যাসিড ব্যবহারে মানা হচ্ছে না আইন। উপজেলার ব্যবসায়ীরা স্বর্ণ গলাতে শর্ত ভেঙে যত্রতত্র ঝুঁকিপূর্ণ এ পদার্থ ব্যবহার করছেন। এতে আশপাশের মানুষ শ্বাসকষ্টের সমস্যায় পড়ছেন।
এই দুর্ভোগ থেকে রেহাই পেতে পৌর শহরের রেলস্টেশন রোডের আটজন বাসিন্দা গত বছরের ২১ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরে আবেদন করেন। এ ছাড়া পৌর মেয়রের কাছে আবেদন জমা দেওয়া হয়। কিন্তু এখনো কোনো কাজ হয়নি। তবে পৌর মেয়র আহসানুল হক চৌধুরী টুটুল স্টেশন রোডের স্বর্ণ দোকানি আমিনুল ইসলাম, বোরহান ও নিখিল চন্দ্রকে নোটিশ দিয়েছিলেন। সেই নোটিশে তাঁরা সাড়া দেননি।
২০০২ সালের ১৭ মার্চ প্রকাশিত গেজেটের ১ নম্বর আইনের অষ্টম অধ্যায়ে উল্লেখ আছে, লাইসেন্স ব্যতীত অ্যাসিডের উৎপাদন, আমদানি, পরিবহন, মজুত, বিক্রি ও ব্যবহার করা দণ্ডনীয় অপরাধ। যাঁরা লাইসেন্স করবেন না ও লাইসেন্সের শর্তগুলো পালন করবেন না, তাঁদের জন্য অনূর্ধ্ব ১০ বছর ও কমপক্ষে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।
পৌর শহরের সাজন দাস বলেন, স্বর্ণ গলার সময় যখন অ্যাসিড ব্যবহার করা হয়, তখন ঝাঁজালো গন্ধে শ্বাস নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। পরিবেশ হয় দূষিত। কিন্তু এসব দেখার যেন কেউ নেই।’
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী দাবি করেন, সাধারণত খাদ পরীক্ষা ও স্বর্ণ গলানোর কাজে যে অ্যাসিড ব্যবহার করা হয়, এর সঙ্গে পানি মেশানো হয়। ফলে ওই অ্যাসিড আর ক্ষতির পর্যায়ে থাকে না।
উপজেলা স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে জানা গেছে, বদরগঞ্জে প্রায় ৬০টি স্বর্ণের দোকান রয়েছে। এর মধ্যে পৌর শহরে রয়েছে ৩৯টি। এই ৬০ দোকানের মধ্যে অ্যাসিড ব্যবহারের লাইসেন্স রয়েছে শুধু একটি দোকানের। সেটি মিন্নি জুয়েলার্স।
মিন্নি জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী বাবলু মিয়া বলেন, ‘অ্যাসিডের ব্যবহারে স্বর্ণালংকার পলিশ-বার্নিশ করা হয়। কিন্তু এটি ব্যবহারে আইন আছে। সেই আইন মানছেন না অনেকেই। এতে বদনাম হচ্ছে আমাদেরও।’
অধিকাংশ দোকানের অ্যাসিড ব্যবহারের অনুমোদন না থাকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. মনছার আলী বলেন, ‘অনেক ঘুরেছি লাইসেন্সের জন্য, কিন্তু পাইনি। উপজেলায় মাত্র একজন সেই লাইসেন্স পেয়েছেন। বিধি অনুযায়ী হলে একটি স্বর্ণের দোকানও থাকবে না। কারণ সেই বিধি মেনে কেউ স্বর্ণালংকার পলিশ-বার্নিশ করতে পারবেন না।’
অ্যাসিড ব্যবহারের স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শাকিল মোবাশ্বির জানান, বিধি মেনে অ্যাসিড ব্যবহার না করায় উপজেলার অনেক মানুষ শ্বাসকষ্টে ভুগছেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ইউএনও মো. আবু সাঈদ বলেন, ‘আমি সম্প্রতি এ উপজেলায় যোগদান করেছি। বিষয়টি সম্পর্কে আমার জানা ছিল না। তবে বিধির বাইরে কেউ অ্যাসিড ব্যবহার করতে পারবেন না। বিষয়টি খুব শিগগিরই দেখা হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে