বোরহান জাবেদ
প্রশ্ন: শুনেছি বাংলাদেশে ফিরতে উন্মুখ হয়ে আছেন! আবার এখানে ফিরতে কোন বিষয়টি আপনাকে বেশি প্রভাবিত করেছে?
জেমি সিডন্স: সব সময় আশা করেছি বাংলাদেশে ফিরব। আমার মনে হয় তখন একটু দ্রুত ফিরে গিয়েছিলাম। তবে সেই সময় দল উন্নতির মধ্যেই ছিল।
প্রশ্ন: ২০০৭ থেকে ২০১১ পর্যন্ত আপনি প্রধান কোচ ছিলেন। এবার আপনি ফিরছেন ব্যাটিং কোচ হয়ে। স্বাভাবিকভাবে আপনার ওপর দায়িত্বের চাপ এবার একটু কম। এটা নির্ভার চিত্তে কাজ করতে কতটা সহায়তা করবে?
সিডন্স: তখনকার সময়টা আমি দারুণ উপভোগ করেছি। ছেলেদের উন্নতি নিয়ে চিন্তা করেছি। আমি ফিরতে পেরে খুশি এবং সবকিছু আবার নতুন করে শুরু করতে চাই।
প্রশ্ন: ২০১১ সালে দায়িত্ব ছাড়ার পর গত এক দশকে বাংলাদেশ কতটা উন্নতি করতে পেরেছে বলে মনে করেন?
সিডন্স: বাংলাদেশের উন্নতি নিয়ে খুব একটা নিশ্চিত নই। তবে এটাও সত্যি, আমি তাদের ওপর নিয়মিত ভালোভাবে নজর রাখিনি। এখনো তাদের পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতার অভাব লক্ষ করছি। আপনি লক্ষ করলে দেখবেন, বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে তারা দুর্দান্ত দুটি সিরিজ জিতল। এরপর বিশ্বকাপে গিয়ে ভুলে যাওয়ার মতো পারফরম্যান্স হলো। তারপর সম্প্রতি শেষ হওয়া নিউজিল্যান্ড সিরিজে আবার টেস্টে ভালো করল।
প্রশ্ন: সাকিব-তামিম-মুশফিক প্রায়ই আপনার প্রশংসা করেন। নিজেদের ব্যাটিং টেকনিকে উন্নতির পেছনে আপনার বড় কৃতিত্ব দিয়ে থাকেন। এটা নিশ্চয়ই আপনার কাছে অন্যরকম এক গর্বের বিষয়?
সিডন্স: সাকিব-তামিম-মুশি অনেক মেধাবী ক্রিকেটার। আমরা তাদের নিয়ে অনেক কাজ করেছি। তাদের ওপর বিশ্বাস রেখেছিলাম এবং শেখার অনেক সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। বিশ্বমঞ্চে নিজেদের আত্মবিশ্বাস প্রকাশের যে সুযোগটা তারা পেয়েছিল, সেটা কাজে লাগিয়েছে। আপনাকে প্রথমে খেলোয়াড়দের নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করতে হবে এবং তাদের গড়ে উঠতে দলের সঙ্গে রাখতে হবে।
প্রশ্ন: খেলোয়াড়দের নিয়ে আপনার বিশ্লেষণক্ষমতা তখনই বেশ প্রশংসিত হয়েছিল। এবার খেলোয়াড়দের নিয়ে আপনার পরিকল্পনাটা কী?
সিডন্স: সঠিক খেলোয়াড় বাছাই করে তাদের নিয়ে কাজ করার ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী। সেরকম কিছু যদি হয়, তাহলে তখনকার মতো এবারও দারুণ কিছু হবে। বাংলাদেশে অনেক মেধাবী খেলোয়াড় আছে। আমাদের উচিত হবে তাদের খুঁজে বের করে কাজে লাগানো।
প্রশ্ন: নিউজিল্যান্ড সিরিজ প্রসঙ্গে আসি। এই সিরিজে আপনার চোখে কোন বিষয়টা সবচেয়ে ভালো লেগেছে? আপনার কি মনে হয়, সিরিজটা টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশকে আরেক ধাপ এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে?
সিডন্স: নিউজিল্যান্ডে সিরিজটা আমার কাছে দারুণ উপভোগ্য লেগেছে। আমি মনে করি সিরিজের প্রথম টেস্টে ব্যাটিংটা দারুণ হয়েছে। তবে আমাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করেছে বাংলাদেশের বোলাররা। নিয়ন্ত্রিত বোলিং ও স্কিলের দারুণ প্রদর্শনী দেখিয়েছে বোলিং বিভাগ। আশা করেছিলাম দ্বিতীয় টেস্টেও তারা একইভাবে লড়াই করবে।
প্রশ্ন: এই টেস্ট সিরিজে ব্যাটারদের মধ্যে লিটন দাসকে কেমন দেখলেন? নিশ্চয়ই জানেন, লাল বলে দুর্দান্ত লিটন সাদা বলের ক্রিকেটে ধারাবাহিক রান পেতে সংগ্রাম করছেন। একজন ব্যাটিং কোচ হিসেবে তাঁর ব্যাটিং কীভাবে বিশ্লেষণ করবেন?
সিডন্স: লিটন কী করতে পারে, এই সিরিজে তা দেখিয়েছে। দুই টেস্টেই শর্ট বলের বিপক্ষে সে যেভাবে খেলেছে, দারুণ উপভোগ করেছি। আমি নিশ্চিত নই, সে কেন সাদা বলের ক্রিকেটে ভালো করতে পারছে না। তবে যদি সুযোগ আসে, আমি তার সঙ্গে কাজ করতে চাই।
প্রশ্ন: আপনার কি মনে হয় আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে লিটন বিশ্বের সেরা ব্যাটারদের একজন হতে পারেন?
সিডন্স: সে অবশ্যই এমন একজন খেলোয়াড়, ধারাবাহিকভাবে নিজেকে বিশ্বমানের ব্যাটার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারবে।
প্রশ্ন: আপনি ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে ফিরছেন বলা হলেও কাজের পরিধি কিংবা ভূমিকা এখনো জানায়নি বিসিবি। তা জাতীয় দল, নাকি ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম—কোথায় কাজ করতে আগ্রহী?
সিডন্স: আমি আসলে আগে বাংলাদেশে যেতে চাই। তারপর দেখতে চাই কোথায় আমাকে কাজে লাগানো হয়।
প্রশ্ন: শুনেছি বাংলাদেশে ফিরতে উন্মুখ হয়ে আছেন! আবার এখানে ফিরতে কোন বিষয়টি আপনাকে বেশি প্রভাবিত করেছে?
জেমি সিডন্স: সব সময় আশা করেছি বাংলাদেশে ফিরব। আমার মনে হয় তখন একটু দ্রুত ফিরে গিয়েছিলাম। তবে সেই সময় দল উন্নতির মধ্যেই ছিল।
প্রশ্ন: ২০০৭ থেকে ২০১১ পর্যন্ত আপনি প্রধান কোচ ছিলেন। এবার আপনি ফিরছেন ব্যাটিং কোচ হয়ে। স্বাভাবিকভাবে আপনার ওপর দায়িত্বের চাপ এবার একটু কম। এটা নির্ভার চিত্তে কাজ করতে কতটা সহায়তা করবে?
সিডন্স: তখনকার সময়টা আমি দারুণ উপভোগ করেছি। ছেলেদের উন্নতি নিয়ে চিন্তা করেছি। আমি ফিরতে পেরে খুশি এবং সবকিছু আবার নতুন করে শুরু করতে চাই।
প্রশ্ন: ২০১১ সালে দায়িত্ব ছাড়ার পর গত এক দশকে বাংলাদেশ কতটা উন্নতি করতে পেরেছে বলে মনে করেন?
সিডন্স: বাংলাদেশের উন্নতি নিয়ে খুব একটা নিশ্চিত নই। তবে এটাও সত্যি, আমি তাদের ওপর নিয়মিত ভালোভাবে নজর রাখিনি। এখনো তাদের পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতার অভাব লক্ষ করছি। আপনি লক্ষ করলে দেখবেন, বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে তারা দুর্দান্ত দুটি সিরিজ জিতল। এরপর বিশ্বকাপে গিয়ে ভুলে যাওয়ার মতো পারফরম্যান্স হলো। তারপর সম্প্রতি শেষ হওয়া নিউজিল্যান্ড সিরিজে আবার টেস্টে ভালো করল।
প্রশ্ন: সাকিব-তামিম-মুশফিক প্রায়ই আপনার প্রশংসা করেন। নিজেদের ব্যাটিং টেকনিকে উন্নতির পেছনে আপনার বড় কৃতিত্ব দিয়ে থাকেন। এটা নিশ্চয়ই আপনার কাছে অন্যরকম এক গর্বের বিষয়?
সিডন্স: সাকিব-তামিম-মুশি অনেক মেধাবী ক্রিকেটার। আমরা তাদের নিয়ে অনেক কাজ করেছি। তাদের ওপর বিশ্বাস রেখেছিলাম এবং শেখার অনেক সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। বিশ্বমঞ্চে নিজেদের আত্মবিশ্বাস প্রকাশের যে সুযোগটা তারা পেয়েছিল, সেটা কাজে লাগিয়েছে। আপনাকে প্রথমে খেলোয়াড়দের নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করতে হবে এবং তাদের গড়ে উঠতে দলের সঙ্গে রাখতে হবে।
প্রশ্ন: খেলোয়াড়দের নিয়ে আপনার বিশ্লেষণক্ষমতা তখনই বেশ প্রশংসিত হয়েছিল। এবার খেলোয়াড়দের নিয়ে আপনার পরিকল্পনাটা কী?
সিডন্স: সঠিক খেলোয়াড় বাছাই করে তাদের নিয়ে কাজ করার ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী। সেরকম কিছু যদি হয়, তাহলে তখনকার মতো এবারও দারুণ কিছু হবে। বাংলাদেশে অনেক মেধাবী খেলোয়াড় আছে। আমাদের উচিত হবে তাদের খুঁজে বের করে কাজে লাগানো।
প্রশ্ন: নিউজিল্যান্ড সিরিজ প্রসঙ্গে আসি। এই সিরিজে আপনার চোখে কোন বিষয়টা সবচেয়ে ভালো লেগেছে? আপনার কি মনে হয়, সিরিজটা টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশকে আরেক ধাপ এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে?
সিডন্স: নিউজিল্যান্ডে সিরিজটা আমার কাছে দারুণ উপভোগ্য লেগেছে। আমি মনে করি সিরিজের প্রথম টেস্টে ব্যাটিংটা দারুণ হয়েছে। তবে আমাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করেছে বাংলাদেশের বোলাররা। নিয়ন্ত্রিত বোলিং ও স্কিলের দারুণ প্রদর্শনী দেখিয়েছে বোলিং বিভাগ। আশা করেছিলাম দ্বিতীয় টেস্টেও তারা একইভাবে লড়াই করবে।
প্রশ্ন: এই টেস্ট সিরিজে ব্যাটারদের মধ্যে লিটন দাসকে কেমন দেখলেন? নিশ্চয়ই জানেন, লাল বলে দুর্দান্ত লিটন সাদা বলের ক্রিকেটে ধারাবাহিক রান পেতে সংগ্রাম করছেন। একজন ব্যাটিং কোচ হিসেবে তাঁর ব্যাটিং কীভাবে বিশ্লেষণ করবেন?
সিডন্স: লিটন কী করতে পারে, এই সিরিজে তা দেখিয়েছে। দুই টেস্টেই শর্ট বলের বিপক্ষে সে যেভাবে খেলেছে, দারুণ উপভোগ করেছি। আমি নিশ্চিত নই, সে কেন সাদা বলের ক্রিকেটে ভালো করতে পারছে না। তবে যদি সুযোগ আসে, আমি তার সঙ্গে কাজ করতে চাই।
প্রশ্ন: আপনার কি মনে হয় আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে লিটন বিশ্বের সেরা ব্যাটারদের একজন হতে পারেন?
সিডন্স: সে অবশ্যই এমন একজন খেলোয়াড়, ধারাবাহিকভাবে নিজেকে বিশ্বমানের ব্যাটার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারবে।
প্রশ্ন: আপনি ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে ফিরছেন বলা হলেও কাজের পরিধি কিংবা ভূমিকা এখনো জানায়নি বিসিবি। তা জাতীয় দল, নাকি ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম—কোথায় কাজ করতে আগ্রহী?
সিডন্স: আমি আসলে আগে বাংলাদেশে যেতে চাই। তারপর দেখতে চাই কোথায় আমাকে কাজে লাগানো হয়।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে