মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার
মিয়ানমারের মংডুর প্রসিদ্ধ রাখাইন স্বর্ণ কারিগরদের হাতে বানানো অলংকার রোহিঙ্গাদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এই অলংকার চোরাই পথে এনেই কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে বিয়ে-সাদি ও মুদ্রার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
রোহিঙ্গাদের কাছে স্বর্ণগুলো ‘মগ বাইন্যার’ স্বর্ণ নামে পরিচিত। সম্প্রতি মিয়ানমারের সীমান্ত দিয়ে চোরাকারবারিরা চারটি গুপ্তপথ ব্যবহার করে অবৈধভাবে স্বর্ণ নিয়ে আসছে। এসব স্বর্ণ চোরাচালানে দেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা জড়িত বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আশ্রয় শিবিরের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সামাজিক অনুষ্ঠানাদিতে মিয়ানমারের স্বর্ণালংকারের বেশ চাহিদা রয়েছে। পাশাপাশি তাঁরা টাকার বদলে স্বর্ণ রাখাকে নিরাপদ মনে করছেন।
এ ছাড়া চোরাই পদে আসা স্বর্ণের বার ও অলংকার কক্সবাজার, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে বেশ কয়েকটি স্বর্ণের চালান ধরা পড়েছে। এই চক্রে রোহিঙ্গা, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় স্বর্ণ চোরাচালান সিন্ডিকেট জড়িত বলে জানা গেছে।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর নির্যাতনে পালিয়ে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় নেয়। এ নিয়ে পুরোনো ও নতুন মিলে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গা ৩৩টি আশ্রয় শিবিরে বসবাস করছে। গত চার বছরে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে মগ বাইন্নার স্বর্ণের চোরাকারবার।
রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশে ভরি হিসেবে স্বর্ণ বেচাকেনা হলেও রোহিঙ্গারা স্বর্ণ কেনে টিকেল হিসেবে। প্রায় ২ ভরির সমতুল্য ১ টিকেল স্বর্ণের মূল্য বাংলাদেশি টাকায় ১ লাখের বেশি।
কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা শিবিরে বাস করেন মোহাম্মদ সলিম (৬০)। সম্প্রতি মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন উনছিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসরত আরেক রোহিঙ্গার সঙ্গে। মোহাম্মদ সলিম বলেন, ‘মেয়ের বিয়েতে বরপক্ষ ১০ টিকেল স্বর্ণ দিয়েছে, যেগুলো আমাদের দেশ থেকে তারা এনেছে। এই স্বর্ণ অনেক ভালো।’
স্বদেশে থাকাকালীন মংডুর টং বাজারে স্বর্ণের দোকান করতেন থাইংখালীর ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসেন আলী (৩৮)। তিনি জানান, ‘আমাদের দেশের স্বর্ণগুলো খুব গাঢ়, খাদ কম। বিশেষ উপায়ে স্বর্ণ পরিশোধন করে রাখাইন কারিগরেরা বিভিন্ন অলংকার তৈরি করেন।’
উখিয়া ও টেকনাফের স্থানীয়রাও চেনে মগবাইন্যার স্বর্ণ। হ্নীলার মৌলভীবাজারের স্থানীয় নুর মোহাম্মদ (৫৬) বলেন, ‘রাখাইনদের বানানো এসব স্বর্ণ বাংলাদেশে আনে রোহিঙ্গারা। ২০১৭ সালে এই স্বর্ণ ব্যাপক কেনাবেচা হয়েছে।’
অবৈধভাবে আসা এই স্বর্ণগুলোতে খচিত থাকে বার্মিজ ভাষা, উখিয়া টেকনাফে বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে আটক হওয়া স্বর্ণ কারবারিদের কাছেও পাওয়া গেছে এই স্বর্ণ।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি উখিয়ার পালংখালীতে অভিযান চালিয়ে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা মূল্যের ১৯১ ভরি স্বর্ণসহ টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকার করিমকে (৩৭) আটক করে র্যাব। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া স্বর্ণগুলোতে লেখা ছিল বার্মিজ শব্দ।
র্যাব-১৫-এর অধিনায়ক খায়রুল ইসলাম সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আটক করিম উদ্ধার করা সোনার চালানটি নিয়ে পালংখালীর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাচ্ছিলেন। স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় একটি চক্রও জড়িত বলে স্বীকার করেছেন করিম। চোরাকারবারিদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান খায়রুল ইসলাম।
এদিকে গত বছরের ৯ আগস্ট বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে উখিয়ার ক্যাম্পে পাচারের সময় এক বৃদ্ধ রোহিঙ্গাকে ৪৭০ ভরি ওজনের ৩৩টি স্বর্ণের বারসহ আটক করে বিজিবি। সে সময় বিজিবির জিজ্ঞাসাবাদে আটক রোহিঙ্গা জয়নুল আবেদিন (৬০) জানান, কৌশলে লুঙ্গিতে লুকিয়ে সীমান্তের ওপার থেকে এসব স্বর্ণ নিয়ে হেঁটে আসছিলেন তিনি।
মিয়ানমারের মংডুর প্রসিদ্ধ রাখাইন স্বর্ণ কারিগরদের হাতে বানানো অলংকার রোহিঙ্গাদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এই অলংকার চোরাই পথে এনেই কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে বিয়ে-সাদি ও মুদ্রার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
রোহিঙ্গাদের কাছে স্বর্ণগুলো ‘মগ বাইন্যার’ স্বর্ণ নামে পরিচিত। সম্প্রতি মিয়ানমারের সীমান্ত দিয়ে চোরাকারবারিরা চারটি গুপ্তপথ ব্যবহার করে অবৈধভাবে স্বর্ণ নিয়ে আসছে। এসব স্বর্ণ চোরাচালানে দেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা জড়িত বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আশ্রয় শিবিরের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সামাজিক অনুষ্ঠানাদিতে মিয়ানমারের স্বর্ণালংকারের বেশ চাহিদা রয়েছে। পাশাপাশি তাঁরা টাকার বদলে স্বর্ণ রাখাকে নিরাপদ মনে করছেন।
এ ছাড়া চোরাই পদে আসা স্বর্ণের বার ও অলংকার কক্সবাজার, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে বেশ কয়েকটি স্বর্ণের চালান ধরা পড়েছে। এই চক্রে রোহিঙ্গা, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় স্বর্ণ চোরাচালান সিন্ডিকেট জড়িত বলে জানা গেছে।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর নির্যাতনে পালিয়ে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় নেয়। এ নিয়ে পুরোনো ও নতুন মিলে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গা ৩৩টি আশ্রয় শিবিরে বসবাস করছে। গত চার বছরে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে মগ বাইন্নার স্বর্ণের চোরাকারবার।
রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশে ভরি হিসেবে স্বর্ণ বেচাকেনা হলেও রোহিঙ্গারা স্বর্ণ কেনে টিকেল হিসেবে। প্রায় ২ ভরির সমতুল্য ১ টিকেল স্বর্ণের মূল্য বাংলাদেশি টাকায় ১ লাখের বেশি।
কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা শিবিরে বাস করেন মোহাম্মদ সলিম (৬০)। সম্প্রতি মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন উনছিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসরত আরেক রোহিঙ্গার সঙ্গে। মোহাম্মদ সলিম বলেন, ‘মেয়ের বিয়েতে বরপক্ষ ১০ টিকেল স্বর্ণ দিয়েছে, যেগুলো আমাদের দেশ থেকে তারা এনেছে। এই স্বর্ণ অনেক ভালো।’
স্বদেশে থাকাকালীন মংডুর টং বাজারে স্বর্ণের দোকান করতেন থাইংখালীর ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসেন আলী (৩৮)। তিনি জানান, ‘আমাদের দেশের স্বর্ণগুলো খুব গাঢ়, খাদ কম। বিশেষ উপায়ে স্বর্ণ পরিশোধন করে রাখাইন কারিগরেরা বিভিন্ন অলংকার তৈরি করেন।’
উখিয়া ও টেকনাফের স্থানীয়রাও চেনে মগবাইন্যার স্বর্ণ। হ্নীলার মৌলভীবাজারের স্থানীয় নুর মোহাম্মদ (৫৬) বলেন, ‘রাখাইনদের বানানো এসব স্বর্ণ বাংলাদেশে আনে রোহিঙ্গারা। ২০১৭ সালে এই স্বর্ণ ব্যাপক কেনাবেচা হয়েছে।’
অবৈধভাবে আসা এই স্বর্ণগুলোতে খচিত থাকে বার্মিজ ভাষা, উখিয়া টেকনাফে বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে আটক হওয়া স্বর্ণ কারবারিদের কাছেও পাওয়া গেছে এই স্বর্ণ।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি উখিয়ার পালংখালীতে অভিযান চালিয়ে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা মূল্যের ১৯১ ভরি স্বর্ণসহ টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকার করিমকে (৩৭) আটক করে র্যাব। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া স্বর্ণগুলোতে লেখা ছিল বার্মিজ শব্দ।
র্যাব-১৫-এর অধিনায়ক খায়রুল ইসলাম সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আটক করিম উদ্ধার করা সোনার চালানটি নিয়ে পালংখালীর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাচ্ছিলেন। স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় একটি চক্রও জড়িত বলে স্বীকার করেছেন করিম। চোরাকারবারিদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান খায়রুল ইসলাম।
এদিকে গত বছরের ৯ আগস্ট বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে উখিয়ার ক্যাম্পে পাচারের সময় এক বৃদ্ধ রোহিঙ্গাকে ৪৭০ ভরি ওজনের ৩৩টি স্বর্ণের বারসহ আটক করে বিজিবি। সে সময় বিজিবির জিজ্ঞাসাবাদে আটক রোহিঙ্গা জয়নুল আবেদিন (৬০) জানান, কৌশলে লুঙ্গিতে লুকিয়ে সীমান্তের ওপার থেকে এসব স্বর্ণ নিয়ে হেঁটে আসছিলেন তিনি।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে