রাজীব কুমার সাহা
আমাদের দৈনন্দিন যাপিত জীবনে ভাষিক ব্যবহারে একটি অতিপরিচিত শব্দ হলো ‘বদ্ধপরিকর’। যাপিত জীবনে আমরা প্রায় সবাই শব্দটি ব্যবহার করে থাকি। সাধারণত কোনো বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বা ‘কাজটি আমি করবই’ এমন সংকল্প অর্থে আমরা এই বদ্ধপরিকর শব্দটির প্রয়োগ হতে দেখি। কিন্তু এই ‘বদ্ধপরিকর’ শব্দটির মধ্যে আসলে কী রয়েছে, যার দ্বারা এমন সংকল্প বোঝায়। স্বাভাবিকভাবে মনে হতে পারে, ‘কর’ শব্দের একটি অর্থ তো আমরা জানি হস্ত বা হাত; তাহলে বদ্ধপরিকর মানে কি হাত মুষ্টিবদ্ধ করা? আসলে কি তাই? তবে চলুন, জেনে নিই বদ্ধপরিকরের ইতিবৃত্ত।
সংস্কৃত ‘বদ্ধ’ এবং ‘পরিকর’ শব্দ সহযোগে গঠিত শব্দ হলো বদ্ধপরিকর। এটি বিশেষণ পদ। বদ্ধপরিকর শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, কঠোর প্রতিজ্ঞা, দৃঢ়সংকল্প, কোনো কাজ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে এমন বোঝায় প্রভৃতি। ব্যুৎপত্তিগতভাবে ‘বদ্ধ’ শব্দের অর্থ হলো, ‘বাঁধা’ আর ‘পরিকর’ শব্দের একাধিক অর্থের মধ্যে একটি অর্থ হলো, কোমর বা কটিবন্ধ, কোমরবন্ধনী। ইংরেজিতে যেটিকে আমরা বলি বেল্ট। সেই হিসেবে বদ্ধপরিকর শব্দের আক্ষরিক অর্থ হয় কোমর বা কটিবন্ধ বাঁধা। সংস্কৃত থেকে জাত কোমরবন্ধনী বাঁধা প্রসঙ্গটিই কালক্রমে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ অর্থরূপে পরিগ্রহ করেছে।
যাপিত জীবনে কায়িক পরিশ্রমের ক্ষেত্রে একটি সহজাত প্রবণতা হলো, কাপড় বেঁধে কোনো কাজ শুরু করা। সেই ছোটবেলা থেকেই লক্ষ করেছি, আমাদের মা, মাসি বা অপরাপর নারীরা কোনো কাজের শুরুতে শাড়ির আঁচল বা ওড়নাকে কোমরে শক্ত করে পেঁচিয়ে নিতেন। অনুরূপ পুরুষেরাও কোনো কাজে নামার আগে মাথায় বেঁধে রাখা গামছা খুলে কোমরে বেঁধে নিতেন। আবার কখনো কখনো ধুতির খুঁটের অংশটিকেও কোমরবন্ধ হিসেবে বেঁধে নিতেন।
সাধারণত কোনো কাজের ক্ষেত্রে কোমর বাঁধা থাকলে কাজটি করতে কোনো অসুবিধা হয় না। তা ছাড়া কোনো কাজ শুরু করার আগে কাপড় শক্ত করে কোমরে না বেঁধে নিলে তা কাজের মাঝপথে খুলে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে। যাতে নিঃসন্দেহে কাজের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তবে কাপড় কোমরে বেঁধে নেওয়ার বিষয়টি ক্ষেত্রবিশেষে কাজের ধরন বা প্রকৃতি ও ইচ্ছার ওপরেও অনেকটা নির্ভর করে। প্রকৃতপক্ষে কোনো কাজের শুরুতে কোমরবন্ধনীর মতো কাপড় কোমরে বেঁধে নেওয়ার বিষয়টি মূলত ওই কাজের সংকল্প, অধ্যবসায় এবং কঠোরতার ইঙ্গিত।
এভাবেই কালের বিবর্তনে বাগর্থগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বদ্ধপরিকর শব্দটি দৃঢ়সংকল্পের প্রতিশব্দরূপে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হতে শুরু করে। তাই তো নির্দ্বিধচিত্তে বলতে পারি, এই স্বপ্নের সোনার বাংলায় আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় বদ্ধপরিকর।
লেখক: আভিধানিক ও প্রাবন্ধিক
আমাদের দৈনন্দিন যাপিত জীবনে ভাষিক ব্যবহারে একটি অতিপরিচিত শব্দ হলো ‘বদ্ধপরিকর’। যাপিত জীবনে আমরা প্রায় সবাই শব্দটি ব্যবহার করে থাকি। সাধারণত কোনো বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বা ‘কাজটি আমি করবই’ এমন সংকল্প অর্থে আমরা এই বদ্ধপরিকর শব্দটির প্রয়োগ হতে দেখি। কিন্তু এই ‘বদ্ধপরিকর’ শব্দটির মধ্যে আসলে কী রয়েছে, যার দ্বারা এমন সংকল্প বোঝায়। স্বাভাবিকভাবে মনে হতে পারে, ‘কর’ শব্দের একটি অর্থ তো আমরা জানি হস্ত বা হাত; তাহলে বদ্ধপরিকর মানে কি হাত মুষ্টিবদ্ধ করা? আসলে কি তাই? তবে চলুন, জেনে নিই বদ্ধপরিকরের ইতিবৃত্ত।
সংস্কৃত ‘বদ্ধ’ এবং ‘পরিকর’ শব্দ সহযোগে গঠিত শব্দ হলো বদ্ধপরিকর। এটি বিশেষণ পদ। বদ্ধপরিকর শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, কঠোর প্রতিজ্ঞা, দৃঢ়সংকল্প, কোনো কাজ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে এমন বোঝায় প্রভৃতি। ব্যুৎপত্তিগতভাবে ‘বদ্ধ’ শব্দের অর্থ হলো, ‘বাঁধা’ আর ‘পরিকর’ শব্দের একাধিক অর্থের মধ্যে একটি অর্থ হলো, কোমর বা কটিবন্ধ, কোমরবন্ধনী। ইংরেজিতে যেটিকে আমরা বলি বেল্ট। সেই হিসেবে বদ্ধপরিকর শব্দের আক্ষরিক অর্থ হয় কোমর বা কটিবন্ধ বাঁধা। সংস্কৃত থেকে জাত কোমরবন্ধনী বাঁধা প্রসঙ্গটিই কালক্রমে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ অর্থরূপে পরিগ্রহ করেছে।
যাপিত জীবনে কায়িক পরিশ্রমের ক্ষেত্রে একটি সহজাত প্রবণতা হলো, কাপড় বেঁধে কোনো কাজ শুরু করা। সেই ছোটবেলা থেকেই লক্ষ করেছি, আমাদের মা, মাসি বা অপরাপর নারীরা কোনো কাজের শুরুতে শাড়ির আঁচল বা ওড়নাকে কোমরে শক্ত করে পেঁচিয়ে নিতেন। অনুরূপ পুরুষেরাও কোনো কাজে নামার আগে মাথায় বেঁধে রাখা গামছা খুলে কোমরে বেঁধে নিতেন। আবার কখনো কখনো ধুতির খুঁটের অংশটিকেও কোমরবন্ধ হিসেবে বেঁধে নিতেন।
সাধারণত কোনো কাজের ক্ষেত্রে কোমর বাঁধা থাকলে কাজটি করতে কোনো অসুবিধা হয় না। তা ছাড়া কোনো কাজ শুরু করার আগে কাপড় শক্ত করে কোমরে না বেঁধে নিলে তা কাজের মাঝপথে খুলে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে। যাতে নিঃসন্দেহে কাজের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তবে কাপড় কোমরে বেঁধে নেওয়ার বিষয়টি ক্ষেত্রবিশেষে কাজের ধরন বা প্রকৃতি ও ইচ্ছার ওপরেও অনেকটা নির্ভর করে। প্রকৃতপক্ষে কোনো কাজের শুরুতে কোমরবন্ধনীর মতো কাপড় কোমরে বেঁধে নেওয়ার বিষয়টি মূলত ওই কাজের সংকল্প, অধ্যবসায় এবং কঠোরতার ইঙ্গিত।
এভাবেই কালের বিবর্তনে বাগর্থগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বদ্ধপরিকর শব্দটি দৃঢ়সংকল্পের প্রতিশব্দরূপে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হতে শুরু করে। তাই তো নির্দ্বিধচিত্তে বলতে পারি, এই স্বপ্নের সোনার বাংলায় আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় বদ্ধপরিকর।
লেখক: আভিধানিক ও প্রাবন্ধিক
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে