পীরগঞ্জ প্রতিনিধি
‘বছর বছর আবাদোদ কতই ক্ষতি করি! ধান, গম, ভুট্টা আবাদ করি তো পোষায় না। খালি খরচ আর খরচ। আবাদের খরচ তোলা যায় না। তাই এবারকা আলার (তামাক) আবাদ করচো। অফিসের স্যারেরা কচে এই আবাদে অনেক লাভ হবি। সেই জন্যে আলার বীজ নিয়ে আসি আবাদ করোচো।’
পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তামাক চাষের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে কথাগুলো বলছিলেন পীরগঞ্জের মিলনপুর গ্রামের প্রান্তিক চাষি আবদুর রাজ্জাক মিয়া। তিনি পাশের কিশোরগাড়ী গ্রামে অন্যের জমি বর্গা নিয়ে তামাক চাষ করেছেন।
রাজ্জাক কিশোরগাড়ীতে ৫৫ শতক আয়তনের একটি উঁচু জমি বর্গা নিয়ে প্রতি বছরই বিভিন্ন ফসল আবাদ করে আসছেন। কিন্তু জমিতে ফলন ভালো হলেও উৎপাদন খরচের পর পোষাচ্ছিল না। তাই এবার তামাক চাষ করেছেন। উপজেলার মধ্যে একমাত্র তামাকের খেত এটি।
রাজ্জাক জানান, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বিটিসি এলাকায় তামাক কোম্পানির কার্যালয় রয়েছে। সেখানে যোগাযোগ করলে তামাক চাষের লাভের ব্যাপারে বললে উৎসাহ পান রাজ্জাক। পরবর্তীতে তাঁকে তামাকের বীজ দেওয়া হয়। বীজতলায় চারা গজানোর পরে তা ৫৫ শতক জমিতে রোপণ করেন।
এই প্রান্তিক কৃষক আরও বলেন, কলা ও আলুসহ অন্যান্য ফসল চাষে উৎপাদন খরচ অনেক বেশি। আবার সার ও গোবরও অনেক দিতে হয়। কিন্তু তামাকের জমি তৈরিতে গোবর ও সার তেমন লাগে না। যেভাবে তামাকের চারা বেড়ে উঠছে, তাতে তিনি সন্তুষ্ট।
রাজ্জাকের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি ৩৩ শতকে প্রায় ১৫ মণ তামাক উৎপাদন হবে বলে কোম্পানির লোকজন জানিয়েছেন। সে হিসেবে তাঁর জমিতে প্রায় ২৫ মণ তামাক উৎপাদন হবে। আর প্রতি মণ ৩ হাজার টাকা দরে ২৫ মণ তামাক ৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি হতে পারে। অপরদিকে আবাদে সব মিলিয়ে খরচ হবে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। এটা বাদ দিয়ে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা লাভ হবে। কিন্তু ধান, গম, আলুতে এমন মুনাফা হবে না বলে তিনি জানান।
রাজ্জাক বলেন, ‘আলার আবাদ এখন পীরগঞ্জে নাই। তারপরও ক্ষতি পোষাতে মুই এই আবাদ করচো। যদি লাভ হয়, আগামী ফির আলা আবাদ করিম।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুজ্জামান সরকার বলেন, ‘পীরগঞ্জ উপজেলায় তামাক চাষের তথ্য শূন্য। তারপরও বিচ্ছিন্নভাবে একজন চাষি তামাক চাষ করেছেন বলে শুনেছি। আমরা ওই চাষিকে তামাক চাষের ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করব। পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হওয়া যায় এমন ফসল চাষে উৎসাহ দিয়ে কৃষি খাতে সরকারের দেওয়া প্রণোদনাও দেওয়া হবে।’
‘বছর বছর আবাদোদ কতই ক্ষতি করি! ধান, গম, ভুট্টা আবাদ করি তো পোষায় না। খালি খরচ আর খরচ। আবাদের খরচ তোলা যায় না। তাই এবারকা আলার (তামাক) আবাদ করচো। অফিসের স্যারেরা কচে এই আবাদে অনেক লাভ হবি। সেই জন্যে আলার বীজ নিয়ে আসি আবাদ করোচো।’
পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তামাক চাষের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে কথাগুলো বলছিলেন পীরগঞ্জের মিলনপুর গ্রামের প্রান্তিক চাষি আবদুর রাজ্জাক মিয়া। তিনি পাশের কিশোরগাড়ী গ্রামে অন্যের জমি বর্গা নিয়ে তামাক চাষ করেছেন।
রাজ্জাক কিশোরগাড়ীতে ৫৫ শতক আয়তনের একটি উঁচু জমি বর্গা নিয়ে প্রতি বছরই বিভিন্ন ফসল আবাদ করে আসছেন। কিন্তু জমিতে ফলন ভালো হলেও উৎপাদন খরচের পর পোষাচ্ছিল না। তাই এবার তামাক চাষ করেছেন। উপজেলার মধ্যে একমাত্র তামাকের খেত এটি।
রাজ্জাক জানান, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বিটিসি এলাকায় তামাক কোম্পানির কার্যালয় রয়েছে। সেখানে যোগাযোগ করলে তামাক চাষের লাভের ব্যাপারে বললে উৎসাহ পান রাজ্জাক। পরবর্তীতে তাঁকে তামাকের বীজ দেওয়া হয়। বীজতলায় চারা গজানোর পরে তা ৫৫ শতক জমিতে রোপণ করেন।
এই প্রান্তিক কৃষক আরও বলেন, কলা ও আলুসহ অন্যান্য ফসল চাষে উৎপাদন খরচ অনেক বেশি। আবার সার ও গোবরও অনেক দিতে হয়। কিন্তু তামাকের জমি তৈরিতে গোবর ও সার তেমন লাগে না। যেভাবে তামাকের চারা বেড়ে উঠছে, তাতে তিনি সন্তুষ্ট।
রাজ্জাকের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি ৩৩ শতকে প্রায় ১৫ মণ তামাক উৎপাদন হবে বলে কোম্পানির লোকজন জানিয়েছেন। সে হিসেবে তাঁর জমিতে প্রায় ২৫ মণ তামাক উৎপাদন হবে। আর প্রতি মণ ৩ হাজার টাকা দরে ২৫ মণ তামাক ৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি হতে পারে। অপরদিকে আবাদে সব মিলিয়ে খরচ হবে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। এটা বাদ দিয়ে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা লাভ হবে। কিন্তু ধান, গম, আলুতে এমন মুনাফা হবে না বলে তিনি জানান।
রাজ্জাক বলেন, ‘আলার আবাদ এখন পীরগঞ্জে নাই। তারপরও ক্ষতি পোষাতে মুই এই আবাদ করচো। যদি লাভ হয়, আগামী ফির আলা আবাদ করিম।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুজ্জামান সরকার বলেন, ‘পীরগঞ্জ উপজেলায় তামাক চাষের তথ্য শূন্য। তারপরও বিচ্ছিন্নভাবে একজন চাষি তামাক চাষ করেছেন বলে শুনেছি। আমরা ওই চাষিকে তামাক চাষের ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করব। পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হওয়া যায় এমন ফসল চাষে উৎসাহ দিয়ে কৃষি খাতে সরকারের দেওয়া প্রণোদনাও দেওয়া হবে।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে