পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার আগড়ঘাটা বাজারসংলগ্ন কপোতাক্ষ নদের ভাঙন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। ভয়াবহ এ ভাঙনে নতুন করে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে খুলনা-পাইকগাছা সড়ক, আগরঘাটা কাঁচাবাজার ও আশপাশের অন্তত ১০টি গ্রাম।
স্থানীয় বলছেন, প্রায় ৪০ বছর ধরে এ ভাঙন চলছে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ভাঙনের গতি বাড়ে কিন্তু এবার শীতের বৃষ্টিতে ভাঙন এখন থেকেই ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার কপিলমুনি ও হরিঢালী ইউনিয়নের আগড়ঘাটা বাজার থেকে মামুদ কাটি বাজার পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকায় কপোতাক্ষ নদের ভাঙন চলছে। এতে মামুদ কাটি এলাকার জেলে পল্লি, দর্গামহল গ্রাম ও আগড়ঘাটা বাজার ভেঙে নদের গর্ভে চলে গেছে। আগড়ঘাটা বাজারের কাঁচা বাজার বিলীন হয়ে গেলেও দর্গামহল গ্রামের ৩০-৪০ ঘর মানুষ নদের পাড়েই বসবাস করছেন। বাকিরা অন্যত্র জমি কিনে বসবাস শুরু করেছেন।
আরও দেখা গেছে, পাশেই রয়েছে খুলনা পাইকগাছা সড়ক। আর ৫০ ফুট নদী ভাঙলে রাস্তাও নদী গর্ভে চলে যাবে।
আগড়ঘাটা বাজারের কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী শাহিন সানা বলেন, ‘আমি এ বাজারে ২৫ বছর ধরে ব্যবসা করছি। আমি ও আমার বাবা মিলে কপোতাক্ষের ভাঙনে দুইবার দোকানের স্থান পরিবর্তন করেছি। যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে তাতে দোকান আবারও সরিয়ে নিতে হবে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে খুলনা-পাইকগাছা সড়ক।’
আগড়ঘাটা বাজার কমিটির সভাপতি ও কপিলমুনি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. আলাউদ্দীন গাজী বলেন, ‘আগড়ঘাটা কাঁচা বাজার ছিল কপোতাক্ষ নদের পাশে। নদে ভাঙনের ফলে কাঁচাবাজার সরিয়ে রাস্তার পাশে নেওয়া হয়। সেটিও নদে চলে যাওয়ার উপক্রম। শুধু কাঁচা বাজার নয়, এখন আগড়ঘাটা বাজারের মুদি দোকান ও পাকা স্থাপনাগুলো অন্য জায়গায় সরিয়ে নিতে হচ্ছে।
কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওসার আলী জোয়ার্দার বলেন, ‘আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপজেলা কার্যালয়সহ খুলনার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। পাউবোর কর্মকর্তারা কয়েকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আগড়ঘাটা বাজারের পাশে ভাঙন রোধে পাউবোর পক্ষ থেকে কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছিল। এরপর আর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
কওসার আলী জোয়ার্দার আরও বলেন, ‘পাইকগাছা-কয়রা সড়কে কাজ চলছে। তাতে আগড়ঘাটা বাজার সংলগ্ন এলাকায় নদী শাসনের বরাদ্দ রয়েছে। সেই কাজ কবে থেকে শুরু হবে তা আমার জানা নেই।’
পাইকগাছা পানি উন্নয় বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী রাজু আহম্মদ বলেন, ‘আমরা সার্ভে করে করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দিয়েছি। আগড়ঘাটা বাজার ও তার আশপাশের এলাকাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন। নদী বরাদ্দের টাকা ছাড় করার জন্য চিঠি দিয়েছি, টাকা দিলে দুই মাসের মধ্যে কাজ শুরু করব।’
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার আগড়ঘাটা বাজারসংলগ্ন কপোতাক্ষ নদের ভাঙন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। ভয়াবহ এ ভাঙনে নতুন করে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে খুলনা-পাইকগাছা সড়ক, আগরঘাটা কাঁচাবাজার ও আশপাশের অন্তত ১০টি গ্রাম।
স্থানীয় বলছেন, প্রায় ৪০ বছর ধরে এ ভাঙন চলছে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ভাঙনের গতি বাড়ে কিন্তু এবার শীতের বৃষ্টিতে ভাঙন এখন থেকেই ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার কপিলমুনি ও হরিঢালী ইউনিয়নের আগড়ঘাটা বাজার থেকে মামুদ কাটি বাজার পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকায় কপোতাক্ষ নদের ভাঙন চলছে। এতে মামুদ কাটি এলাকার জেলে পল্লি, দর্গামহল গ্রাম ও আগড়ঘাটা বাজার ভেঙে নদের গর্ভে চলে গেছে। আগড়ঘাটা বাজারের কাঁচা বাজার বিলীন হয়ে গেলেও দর্গামহল গ্রামের ৩০-৪০ ঘর মানুষ নদের পাড়েই বসবাস করছেন। বাকিরা অন্যত্র জমি কিনে বসবাস শুরু করেছেন।
আরও দেখা গেছে, পাশেই রয়েছে খুলনা পাইকগাছা সড়ক। আর ৫০ ফুট নদী ভাঙলে রাস্তাও নদী গর্ভে চলে যাবে।
আগড়ঘাটা বাজারের কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী শাহিন সানা বলেন, ‘আমি এ বাজারে ২৫ বছর ধরে ব্যবসা করছি। আমি ও আমার বাবা মিলে কপোতাক্ষের ভাঙনে দুইবার দোকানের স্থান পরিবর্তন করেছি। যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে তাতে দোকান আবারও সরিয়ে নিতে হবে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে খুলনা-পাইকগাছা সড়ক।’
আগড়ঘাটা বাজার কমিটির সভাপতি ও কপিলমুনি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. আলাউদ্দীন গাজী বলেন, ‘আগড়ঘাটা কাঁচা বাজার ছিল কপোতাক্ষ নদের পাশে। নদে ভাঙনের ফলে কাঁচাবাজার সরিয়ে রাস্তার পাশে নেওয়া হয়। সেটিও নদে চলে যাওয়ার উপক্রম। শুধু কাঁচা বাজার নয়, এখন আগড়ঘাটা বাজারের মুদি দোকান ও পাকা স্থাপনাগুলো অন্য জায়গায় সরিয়ে নিতে হচ্ছে।
কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওসার আলী জোয়ার্দার বলেন, ‘আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপজেলা কার্যালয়সহ খুলনার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। পাউবোর কর্মকর্তারা কয়েকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আগড়ঘাটা বাজারের পাশে ভাঙন রোধে পাউবোর পক্ষ থেকে কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছিল। এরপর আর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
কওসার আলী জোয়ার্দার আরও বলেন, ‘পাইকগাছা-কয়রা সড়কে কাজ চলছে। তাতে আগড়ঘাটা বাজার সংলগ্ন এলাকায় নদী শাসনের বরাদ্দ রয়েছে। সেই কাজ কবে থেকে শুরু হবে তা আমার জানা নেই।’
পাইকগাছা পানি উন্নয় বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী রাজু আহম্মদ বলেন, ‘আমরা সার্ভে করে করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দিয়েছি। আগড়ঘাটা বাজার ও তার আশপাশের এলাকাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন। নদী বরাদ্দের টাকা ছাড় করার জন্য চিঠি দিয়েছি, টাকা দিলে দুই মাসের মধ্যে কাজ শুরু করব।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে