অরূপ রায়, সাভার ও সাইফুল মাসুম, ঢাকা
মাত্র চার মাস আগে উচ্ছেদ অভিযানে দখলমুক্ত করা সাভারের বংশী নদীর জায়গা দখলের উৎসব শুরু হয়েছে। উচ্ছেদ করা টিনের স্থাপনার জায়গায় নজরদারির অভাবে এবার নির্মিত হচ্ছে পাকা স্থাপনা। তা-ও দিনের বেলায়। প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করতে ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নামে দখলদারদের কাছ থেকে চাঁদা তোলা হচ্ছে। এই চাঁদা-বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় অর্ধকোটি টাকা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এই দখল চলছে সাভারের নামা বাজার এলাকায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেছেন, উচ্ছেদের পর কেউ দখল করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, হাইকোর্টের নির্দেশে বংশী নদীর তীরে সাভার নামা বাজার অংশে ২০২২ সালের ২৮ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালানো হয়। চার দিনের এই অভিযানে ২৮৬ জন দখলদারের স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানে নদীর ৪ একর জায়গা ও ৪০ শতাংশ খাসজমি দখলমুক্ত করা হয়। উচ্ছেদের তালিকার বাইরে আরও শতাধিক দখলদার রয়েছেন। যাঁরা এখনো উচ্ছেদের আওতায় আসেননি। অথচ ২০১৫ সালে সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছিল, বংশী নদীর তীরের সাভার নামা বাজার অংশে দখলদার রয়েছেন মাত্র ৬২ জন। প্রভাবশালীদের চাপ এবং আর্থিক সুবিধার কারণে অন্য দখলদারদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ ওঠে।
এদিকে জনবল নিয়ে অর্থ ব্যয় করে যে জায়গা দখলমুক্ত করা হয়েছিল, নজরদারি না থাকায় চার মাস না যেতেই সে জায়গা আবার দখল হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়, উচ্ছেদ তালিকায় দখলদার হিসেবে একাধিক জনপ্রতিনিধি এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের নাম রয়েছে। মূলত তাঁদের প্রভাবে নতুন করে দখল প্রক্রিয়া চলছে।
গত বৃহস্পতিবার সাভারের নামা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বংশী নদীর তীরে উচ্ছেদ হওয়া অসংখ্য দোকানের ভিটা শূন্য। পাশে পড়ে আছে ভাঙা দেয়াল, টিন ও ইটের টুকরা, পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বর্জ্য। এরই মধ্যে কিছু ভিটায় চলছে নতুন পাকা স্থাপনা নির্মাণের কাজ। নতুন ইট, বালু, রড, সিমেন্ট নিয়ে আসছে ট্রাক। দিনের বেলায় রাজমিস্ত্রিরা দখলমুক্ত জায়গায় পাকা স্থাপনা নির্মাণে ব্যস্ত। দখলদার ব্যক্তি পাশে দাঁড়িয়ে কাজ তদারক করছেন।
নামা বাজারের চালপট্টি এলাকায় উচ্ছেদ হওয়া জায়গায় নতুন স্থাপনা তৈরি তদারক করছিলেন দখলদার মুজিবুর রহমান। সেখানে দখল করা জায়গায় তাঁর হিসাম অয়েল মিল নামের একটি কারখানা এবং একটি চালের আড়ত ছিল। অভিযানে সেগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছিল। মুজিবুর বলেন, ‘অন্যরা দোকান তুলছে, তাই আমিও তুলছি। আর প্রশাসনকে ম্যানেজ করতে সমিতির মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা দিয়েছি; আরও ৩০ হাজার টাকা দিতে বলেছে।’
সেলামত আলীর টিন দিয়ে তৈরি একটি দোকানও উচ্ছেদ করা হয়েছিল। একই জায়গায় এখন তিনি পাকা ঘর তুলছেন। তিনি বলেন, ‘নদীর জায়গা সরকার উচ্ছেদ করচে। এখন সরকার ঘর তুলবার কইচে, তাই তুলতাচি।’
নামা বাজারের ডালপট্টি এলাকায় নির্মাণকাজ করছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। সেখানে টিটু নামের একজন জানান, উচ্ছেদে তাঁদের দুটি দোকান ভাঙা পড়েছে। সম্প্রতি প্রশাসন তাঁর দোকানের জায়গার অংশ লাল দাগ দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করেছে। একটি দোকানের জায়গা নদীর মধ্যে পড়েছে, অন্যটি খাসজমিতে। এখন খাসজমিতে নতুন করে দোকান তৈরি করছেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, উচ্ছেদ হওয়া দখলদারেরা সংগঠিত হয়ে ‘সাভার উত্তর নামা বাজার আড়ৎদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি’ গড়ে তুলেছেন। এই সমিতির কার্যালয় হিসেবে নদীর জায়গায় একটি স্থাপনাও করা হয়েছে। সমিতির মাধ্যমে দোকানমালিকদের কাছ থেকে তোলা হয়েছে দোকানপ্রতি ১০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। তাঁদের বলা হয়েছে, প্রশাসনকে ম্যানেজ করতে এই টাকা ব্যবহার করা হচ্ছে। সমিতির সভাপতি জসিম উদ্দিন দোকানপ্রতি টাকা তোলার কথা স্বীকার করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারের কাছে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু করেছি। বিভিন্ন পর্যায় থেকে আশ্বাস পেয়ে কিছু ভাঙা দোকান মেরামত করা হচ্ছে। এ জন্য প্রশাসন কোনো বাধা দিচ্ছে না। টাকা নিয়েছি সমিতির সদস্যদের উন্নয়নের স্বার্থে।’
এ বিষয়ে রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের (আরডিআরসি) চেয়ারম্যান ও নদী গবেষক মোহাম্মদ এজাজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রশাসন উচ্ছেদে সাহসী অভিযান পরিচালনা করেছে। তবে এই উচ্ছেদ অভিযানের সঙ্গে জনপ্রতিনিধিরা যুক্ত না থাকায় আবার দখল হওয়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। কারণ, দখলদারেরা জনপ্রতিনিধিদের আত্মীয়স্বজন, কাছের লোক। উচ্ছেদের পর সীমানা চিহ্নিত করে দিতে হবে। আর অবৈধ নির্মাণকাজ এখনই বন্ধ করতে হবে।
জানতে চাইলে সাভারের ইউএনও মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘কোনটা নদীর জায়গা, কোনটা খাসজমি; এটা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। আমরা নদীর সীমানা নির্ধারণ করে দেব। উচ্ছেদের পর পুনরায় কেউ দখল করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব।’
মাত্র চার মাস আগে উচ্ছেদ অভিযানে দখলমুক্ত করা সাভারের বংশী নদীর জায়গা দখলের উৎসব শুরু হয়েছে। উচ্ছেদ করা টিনের স্থাপনার জায়গায় নজরদারির অভাবে এবার নির্মিত হচ্ছে পাকা স্থাপনা। তা-ও দিনের বেলায়। প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করতে ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নামে দখলদারদের কাছ থেকে চাঁদা তোলা হচ্ছে। এই চাঁদা-বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় অর্ধকোটি টাকা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এই দখল চলছে সাভারের নামা বাজার এলাকায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেছেন, উচ্ছেদের পর কেউ দখল করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, হাইকোর্টের নির্দেশে বংশী নদীর তীরে সাভার নামা বাজার অংশে ২০২২ সালের ২৮ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালানো হয়। চার দিনের এই অভিযানে ২৮৬ জন দখলদারের স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানে নদীর ৪ একর জায়গা ও ৪০ শতাংশ খাসজমি দখলমুক্ত করা হয়। উচ্ছেদের তালিকার বাইরে আরও শতাধিক দখলদার রয়েছেন। যাঁরা এখনো উচ্ছেদের আওতায় আসেননি। অথচ ২০১৫ সালে সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছিল, বংশী নদীর তীরের সাভার নামা বাজার অংশে দখলদার রয়েছেন মাত্র ৬২ জন। প্রভাবশালীদের চাপ এবং আর্থিক সুবিধার কারণে অন্য দখলদারদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ ওঠে।
এদিকে জনবল নিয়ে অর্থ ব্যয় করে যে জায়গা দখলমুক্ত করা হয়েছিল, নজরদারি না থাকায় চার মাস না যেতেই সে জায়গা আবার দখল হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়, উচ্ছেদ তালিকায় দখলদার হিসেবে একাধিক জনপ্রতিনিধি এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের নাম রয়েছে। মূলত তাঁদের প্রভাবে নতুন করে দখল প্রক্রিয়া চলছে।
গত বৃহস্পতিবার সাভারের নামা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বংশী নদীর তীরে উচ্ছেদ হওয়া অসংখ্য দোকানের ভিটা শূন্য। পাশে পড়ে আছে ভাঙা দেয়াল, টিন ও ইটের টুকরা, পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বর্জ্য। এরই মধ্যে কিছু ভিটায় চলছে নতুন পাকা স্থাপনা নির্মাণের কাজ। নতুন ইট, বালু, রড, সিমেন্ট নিয়ে আসছে ট্রাক। দিনের বেলায় রাজমিস্ত্রিরা দখলমুক্ত জায়গায় পাকা স্থাপনা নির্মাণে ব্যস্ত। দখলদার ব্যক্তি পাশে দাঁড়িয়ে কাজ তদারক করছেন।
নামা বাজারের চালপট্টি এলাকায় উচ্ছেদ হওয়া জায়গায় নতুন স্থাপনা তৈরি তদারক করছিলেন দখলদার মুজিবুর রহমান। সেখানে দখল করা জায়গায় তাঁর হিসাম অয়েল মিল নামের একটি কারখানা এবং একটি চালের আড়ত ছিল। অভিযানে সেগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছিল। মুজিবুর বলেন, ‘অন্যরা দোকান তুলছে, তাই আমিও তুলছি। আর প্রশাসনকে ম্যানেজ করতে সমিতির মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা দিয়েছি; আরও ৩০ হাজার টাকা দিতে বলেছে।’
সেলামত আলীর টিন দিয়ে তৈরি একটি দোকানও উচ্ছেদ করা হয়েছিল। একই জায়গায় এখন তিনি পাকা ঘর তুলছেন। তিনি বলেন, ‘নদীর জায়গা সরকার উচ্ছেদ করচে। এখন সরকার ঘর তুলবার কইচে, তাই তুলতাচি।’
নামা বাজারের ডালপট্টি এলাকায় নির্মাণকাজ করছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। সেখানে টিটু নামের একজন জানান, উচ্ছেদে তাঁদের দুটি দোকান ভাঙা পড়েছে। সম্প্রতি প্রশাসন তাঁর দোকানের জায়গার অংশ লাল দাগ দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করেছে। একটি দোকানের জায়গা নদীর মধ্যে পড়েছে, অন্যটি খাসজমিতে। এখন খাসজমিতে নতুন করে দোকান তৈরি করছেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, উচ্ছেদ হওয়া দখলদারেরা সংগঠিত হয়ে ‘সাভার উত্তর নামা বাজার আড়ৎদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি’ গড়ে তুলেছেন। এই সমিতির কার্যালয় হিসেবে নদীর জায়গায় একটি স্থাপনাও করা হয়েছে। সমিতির মাধ্যমে দোকানমালিকদের কাছ থেকে তোলা হয়েছে দোকানপ্রতি ১০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। তাঁদের বলা হয়েছে, প্রশাসনকে ম্যানেজ করতে এই টাকা ব্যবহার করা হচ্ছে। সমিতির সভাপতি জসিম উদ্দিন দোকানপ্রতি টাকা তোলার কথা স্বীকার করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারের কাছে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু করেছি। বিভিন্ন পর্যায় থেকে আশ্বাস পেয়ে কিছু ভাঙা দোকান মেরামত করা হচ্ছে। এ জন্য প্রশাসন কোনো বাধা দিচ্ছে না। টাকা নিয়েছি সমিতির সদস্যদের উন্নয়নের স্বার্থে।’
এ বিষয়ে রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের (আরডিআরসি) চেয়ারম্যান ও নদী গবেষক মোহাম্মদ এজাজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রশাসন উচ্ছেদে সাহসী অভিযান পরিচালনা করেছে। তবে এই উচ্ছেদ অভিযানের সঙ্গে জনপ্রতিনিধিরা যুক্ত না থাকায় আবার দখল হওয়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। কারণ, দখলদারেরা জনপ্রতিনিধিদের আত্মীয়স্বজন, কাছের লোক। উচ্ছেদের পর সীমানা চিহ্নিত করে দিতে হবে। আর অবৈধ নির্মাণকাজ এখনই বন্ধ করতে হবে।
জানতে চাইলে সাভারের ইউএনও মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘কোনটা নদীর জায়গা, কোনটা খাসজমি; এটা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। আমরা নদীর সীমানা নির্ধারণ করে দেব। উচ্ছেদের পর পুনরায় কেউ দখল করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
৭ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
৯ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে