মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার
পাহাড়ের পাদদেশ, সমুদ্র ও বাঁকখালী নদীতীরের ছোট শহর কক্সবাজার। দেশের প্রধান পর্যটন শহর। প্রতিদিন অবকাশ যাপনে এখানেই ছুটে আসেন দেশ-বিদেশ থেকে হাজারো পর্যটক। কিন্তু প্রায় দেড় বছর এ শহরের রাস্তাঘাট নিয়ে স্বস্তিতে নেই কেউ।
শহরে প্রবেশে আকাশ, জল ও স্থলপথ—সবই রয়েছে। তবে প্রধান সড়কে না উঠে গন্তব্যে যাওয়ার সুযোগ নেই। প্রধান সড়ককেই কেন্দ্র করে শহরের মার্কেট, দোকানপাট, অফিস-আদালত, হোটেল-মোটেল ও আবাসিক এলাকা গড়ে উঠেছে।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে হঠাৎ মুষলধারে বৃষ্টি নামে। প্রায় ২০ মিনিটের ভারী বৃষ্টিতে প্রধান সড়ক ও উপসড়ক কয়েক ফুট পানিতে তলিয়ে যায়। এ সময় নালা-নর্দমার ময়লা ও বর্জ্য রাস্তাঘাটে উঠে সয়লাব হয়ে যায়। এ নিয়ে শহরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছে। দুপুর থেকে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ বেহাল রাস্তাঘাটের ভিডিও এবং ছবি ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, শহরের বাস টার্মিনাল থেকে হলিডে মোড় পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার (প্রধান সড়ক) সড়কের উন্নয়নকাজ করছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক)। লিংক রোড থেকে টার্মিনাল হয়ে হলিডে মোড়ের ৮ কিলোমিটার (বাইপাস সড়ক) সড়কের কাজ করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। আর ২৯টি উপসড়কের কাজ করছে পৌরসভা। এসব সড়কের সঙ্গে ড্রেনের কাজও রয়েছে।
কাজগুলো বাস্তবায়নে তিন কর্তৃপক্ষের মধ্যে বারবারই সমন্বয়হীনতার অভিযোগ রয়েছে। অবশ্য সওজের ৮ কিলোমিটার সড়কের কাজ শেষ হয়েছে।
সরেজমিনে বৌদ্ধমন্দির সড়ক, কালুর দোকান, বার্মিজ মার্কেট, বাজারঘাটা, হাসপাতাল ও প্রধান সড়কের দেখা যায়, শহরের কোনো সড়ক দিয়ে চলাচলের জো নেই। সব জায়গায় ময়লা-আবর্জনা একাকার।
ইজিবাইকচালক আমান উল্লাহ (৪৫) বলেন, ‘কোনো সড়ক দিয়েই সরাসরি যোগাযোগ করা যায় না, ভেঙে ভেঙে যেতে হয়। অল্প বৃষ্টিতে যে অবস্থা; বর্ষায় কী হয় আল্লাহ জানেন।’ তাঁর মতো দুশ্চিন্তা এখন শহরবাসীর।
শহরের প্রধান সড়কটি নতুন করে সংস্কার করতে গিয়ে ৪-৫ ফুট উঁচু করা হয়েছে। এতে শহরের কানেকটিং সড়কগুলো প্রধান সড়কের চেয়ে নিচু হওয়ায় এখনো সংযোগ স্থাপন করা যায়নি। অধিকাংশ ড্রেন বদ্ধ রয়েছে।
বাজারঘাটা, কালুর দোকান, বৌদ্ধমন্দির সড়ক, বড় বাজারসহ বেশির ভাগ মার্কেট, দোকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পানিনিষ্কাশনের সুযোগ না থাকায় বৃষ্টির পানি ঢুকে পড়ে।
বাজারঘাটার ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘কিছু বুঝে ওঠার আগেই বৃষ্টির পানি দোকানে ঢুকে পড়ে। এভাবে হলে বর্ষায় ব্যবসা করতে পারব কি না চিন্তায় পড়েছি।’
কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি আ ন ম হেলাল উদ্দিন বলেন, উন্নয়ন পরিকল্পনায় সমন্বয়হীনতার কারণে কক্সবাজার এখন দুর্ভোগের শহরে পরিণত হয়েছে।
কক্সবাজার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম তারিকুল আলম বলেন, প্রতিদিনই ময়লা-আবর্জনা অপসারণে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা কাজ করছে। মানুষের মধ্যে শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রাখতে সচেতনতার অভাব রয়েছে।
কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, ‘পৌরসভার অধীনে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার সড়ক ও ড্রেনের কাজ প্রায় শেষ। প্রধান সড়কের সঙ্গে কানেকটিংয়ের অভাবে কয়েকটি সড়ক পুরোপুরি চালু করা যায়নি। আশা করি কয়েক দিনের মধ্যে সব সড়কে যান চলাচল সম্ভব হবে।’
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের আওতাধীন থাকা কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়কটি প্রশস্তকরণ প্রকল্প হাতে নেয় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক)। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে হলিডে মোড়-বাজারঘাটা-লারপাড়া (বাসস্ট্যান্ড) সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পে ৪ দশমিক ৬৬ কিলোমিটার সড়কের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫৮ কেটি ৮২ লাখ টাকা।
২০১৯ সালের ১৬ জুলাইয়ে প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পাওয়ার পর দরপত্র আহ্বান করে কউক।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ঠিকাদার নিযুক্ত হয় ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড (এনডিই) এবং তাহের ব্রাদার্স নামে দুটি প্রতিষ্ঠান। কার্যাদেশ অনুযায়ী এ বছরের ডিসেম্বরে কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। এখনো অর্ধেক কাজও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
২০২০ সালের অক্টোবর মাসে হাশেমিয়া মাদ্রাসা থেকে হলিডে মোড় পর্যন্ত সড়কের কাজ শুরু করা হয়েছিল। এই অংশের ঠিকাদার ধীরগতিতে কাজ করছে। এতে দেড় বছর ধরে মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমেদ বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বারবার তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। যথাসময়ে কাজ শেষ করতে না পারলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাহাড়ের পাদদেশ, সমুদ্র ও বাঁকখালী নদীতীরের ছোট শহর কক্সবাজার। দেশের প্রধান পর্যটন শহর। প্রতিদিন অবকাশ যাপনে এখানেই ছুটে আসেন দেশ-বিদেশ থেকে হাজারো পর্যটক। কিন্তু প্রায় দেড় বছর এ শহরের রাস্তাঘাট নিয়ে স্বস্তিতে নেই কেউ।
শহরে প্রবেশে আকাশ, জল ও স্থলপথ—সবই রয়েছে। তবে প্রধান সড়কে না উঠে গন্তব্যে যাওয়ার সুযোগ নেই। প্রধান সড়ককেই কেন্দ্র করে শহরের মার্কেট, দোকানপাট, অফিস-আদালত, হোটেল-মোটেল ও আবাসিক এলাকা গড়ে উঠেছে।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে হঠাৎ মুষলধারে বৃষ্টি নামে। প্রায় ২০ মিনিটের ভারী বৃষ্টিতে প্রধান সড়ক ও উপসড়ক কয়েক ফুট পানিতে তলিয়ে যায়। এ সময় নালা-নর্দমার ময়লা ও বর্জ্য রাস্তাঘাটে উঠে সয়লাব হয়ে যায়। এ নিয়ে শহরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছে। দুপুর থেকে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ বেহাল রাস্তাঘাটের ভিডিও এবং ছবি ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, শহরের বাস টার্মিনাল থেকে হলিডে মোড় পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার (প্রধান সড়ক) সড়কের উন্নয়নকাজ করছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক)। লিংক রোড থেকে টার্মিনাল হয়ে হলিডে মোড়ের ৮ কিলোমিটার (বাইপাস সড়ক) সড়কের কাজ করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। আর ২৯টি উপসড়কের কাজ করছে পৌরসভা। এসব সড়কের সঙ্গে ড্রেনের কাজও রয়েছে।
কাজগুলো বাস্তবায়নে তিন কর্তৃপক্ষের মধ্যে বারবারই সমন্বয়হীনতার অভিযোগ রয়েছে। অবশ্য সওজের ৮ কিলোমিটার সড়কের কাজ শেষ হয়েছে।
সরেজমিনে বৌদ্ধমন্দির সড়ক, কালুর দোকান, বার্মিজ মার্কেট, বাজারঘাটা, হাসপাতাল ও প্রধান সড়কের দেখা যায়, শহরের কোনো সড়ক দিয়ে চলাচলের জো নেই। সব জায়গায় ময়লা-আবর্জনা একাকার।
ইজিবাইকচালক আমান উল্লাহ (৪৫) বলেন, ‘কোনো সড়ক দিয়েই সরাসরি যোগাযোগ করা যায় না, ভেঙে ভেঙে যেতে হয়। অল্প বৃষ্টিতে যে অবস্থা; বর্ষায় কী হয় আল্লাহ জানেন।’ তাঁর মতো দুশ্চিন্তা এখন শহরবাসীর।
শহরের প্রধান সড়কটি নতুন করে সংস্কার করতে গিয়ে ৪-৫ ফুট উঁচু করা হয়েছে। এতে শহরের কানেকটিং সড়কগুলো প্রধান সড়কের চেয়ে নিচু হওয়ায় এখনো সংযোগ স্থাপন করা যায়নি। অধিকাংশ ড্রেন বদ্ধ রয়েছে।
বাজারঘাটা, কালুর দোকান, বৌদ্ধমন্দির সড়ক, বড় বাজারসহ বেশির ভাগ মার্কেট, দোকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পানিনিষ্কাশনের সুযোগ না থাকায় বৃষ্টির পানি ঢুকে পড়ে।
বাজারঘাটার ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘কিছু বুঝে ওঠার আগেই বৃষ্টির পানি দোকানে ঢুকে পড়ে। এভাবে হলে বর্ষায় ব্যবসা করতে পারব কি না চিন্তায় পড়েছি।’
কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি আ ন ম হেলাল উদ্দিন বলেন, উন্নয়ন পরিকল্পনায় সমন্বয়হীনতার কারণে কক্সবাজার এখন দুর্ভোগের শহরে পরিণত হয়েছে।
কক্সবাজার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম তারিকুল আলম বলেন, প্রতিদিনই ময়লা-আবর্জনা অপসারণে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা কাজ করছে। মানুষের মধ্যে শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রাখতে সচেতনতার অভাব রয়েছে।
কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, ‘পৌরসভার অধীনে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার সড়ক ও ড্রেনের কাজ প্রায় শেষ। প্রধান সড়কের সঙ্গে কানেকটিংয়ের অভাবে কয়েকটি সড়ক পুরোপুরি চালু করা যায়নি। আশা করি কয়েক দিনের মধ্যে সব সড়কে যান চলাচল সম্ভব হবে।’
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের আওতাধীন থাকা কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়কটি প্রশস্তকরণ প্রকল্প হাতে নেয় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক)। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে হলিডে মোড়-বাজারঘাটা-লারপাড়া (বাসস্ট্যান্ড) সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পে ৪ দশমিক ৬৬ কিলোমিটার সড়কের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫৮ কেটি ৮২ লাখ টাকা।
২০১৯ সালের ১৬ জুলাইয়ে প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পাওয়ার পর দরপত্র আহ্বান করে কউক।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ঠিকাদার নিযুক্ত হয় ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড (এনডিই) এবং তাহের ব্রাদার্স নামে দুটি প্রতিষ্ঠান। কার্যাদেশ অনুযায়ী এ বছরের ডিসেম্বরে কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। এখনো অর্ধেক কাজও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
২০২০ সালের অক্টোবর মাসে হাশেমিয়া মাদ্রাসা থেকে হলিডে মোড় পর্যন্ত সড়কের কাজ শুরু করা হয়েছিল। এই অংশের ঠিকাদার ধীরগতিতে কাজ করছে। এতে দেড় বছর ধরে মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমেদ বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বারবার তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। যথাসময়ে কাজ শেষ করতে না পারলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে