তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা
যমুনা নদীতে সারি সারি ক্রেন। চলছে বিরাট কর্মযজ্ঞ। এই নদীর টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ প্রান্তে রাত-দিন চলছে দেশের সবচেয়ে বড় রেলসেতু, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর কাজ। এরই মধ্যে সেতুর দশটি পিলারের নিচের পাইলিং শেষ হয়েছে। নদীজুড়েই চলছে পিলারের কাজ। এতে দৃশ্যমান হচ্ছে রেলসেতুর অবয়ব।
বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সড়ক সেতুতে যে রেললাইন আছে তার ওপর দিয়ে ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে ওজন ও গতিনিয়ন্ত্রণ করতে হয়। এই সেতুতে ট্রেন চালানো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় একটা ট্রেন এপার থেকে ওপার যেতে প্রায় ২৭ মিনিট সময় লাগে। ভারত থেকে আসা মালবাহী ট্রেন এ সেতু দিয়ে পার হয়ে ঢাকায় যেতে পারে না। শুধু দেশের কিছু হালকা মালবাহী ওয়াগন চলে। এ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু সড়ক সেতুর ৩০০ মিটার উজানে নির্মিত হচ্ছে আরেকটা নতুন ডুয়েল গেজ ডাবল লাইনের রেলসেতু।
নতুন রেলসেতু নির্মাণ হলে ট্রেন চলতে পারবে সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার গতিতে। এতে স্বল্প সময়ে অধিক সংখ্যক ট্রেন পরিচালনা করা যাবে। সব ধরনের ভারী মালবাহী ট্রেনসহ প্রতিদিন ৮৮টি ট্রেন চলতে পারবে এ রুটে।
রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পশ্চিমাঞ্চলের কোনো পণ্যবাহী ট্রেন যমুনা সেতু দিয়ে আসতে পারে না। ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে বড় বাধা এ সেতু। তবে নতুন বঙ্গবন্ধু রেলসেতু হলে ট্রেনে পরিবহনের ক্ষেত্রে যে সংকট ছিল, তা কেটে যাবে। এতে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে রেল।’
২০১৬ সালে নতুন রেলসেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। এরপর সম্ভাব্যতা যাচাই, নকশা প্রণয়ন ও অর্থ সংস্থান শেষে গত বছরের ২৯ নভেম্বর ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চলতি বছরের মার্চে পিলারের নিচে প্রথম পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়।
বঙ্গবন্ধু রেলসেতুতে পিলার থাকবে ৫০টি এবং স্প্যান বসবে ৪৯টি। এ ছাড়া মূল সেতুতে যে স্টিলের সুপারস্ট্রাকচার বা স্প্যান বসবে, সেগুলো জাপানি স্টিল দিয়েই তৈরি হবে। তবে এসব সুপারস্ট্রাকচার তৈরি হবে ভিয়েতনামে ও মিয়ানমারে, তারপর বাংলাদেশে আনা হবে। এর মধ্যে কিছু সুপারস্ট্রাকচার বাংলাদেশেও করা হবে।
প্রকল্পের কাজের খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে সেতুর পিলারের নির্মাণকাজ চলছে। ৪০ থেকে ৫০ নম্বর পর্যন্ত দশটি পিলারের নিচে পাইলিংয়ের কাজ ইতিমধ্যে শেষ
হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এসব পিলারের পাইল ক্যাপের কাজ শুরু হবে।
এদিকে আরও দশটি পিলারের নিচে পাইলিং চলছে। এই মাসের শেষ নাগাদ চলমান তিনটি পিলারের পাইলিং কাজ সম্পন্ন হবে। ক্রেনের সাহায্যে হ্যামার দিয়ে বসানো হচ্ছে পাইলিং পাইপ। পিলারের পাইলিংয়ের পরে হবে পাইল ক্যাপ, তার ওপরে উঠবে কংক্রিটের মূল পিলার। এভাবে পর্যায়ক্রমে ৫০টি পিলার দৃশ্যমান হবে। আগামী আড়াই বছরের মধ্যেই এসব পিলার যমুনার বুকে দাঁড়িয়ে যাবে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক।
সেতুর সার্বিক কাজের বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগামী ২০২৪ সালে এই সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল করানোর টার্গেট রয়েছে। সেই অনুযায়ী কাজও চলছে। আগামী মার্চ-এপ্রিল মাস থেকেই পিলারের ওপর যেসব সুপারস্ট্রাকচার বসবে, সেগুলো বিদেশ থেকে আসা শুরু হবে। এরই মধ্যে প্রকল্পের ৩৫ ভাগ কাজও শেষ করেছে জাপানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
প্রকল্পের নথি ঘেঁটে দেখা যায়, রেলসেতুর কাজে ব্যয় হচ্ছে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) দিচ্ছে ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা এবং বাকি ৪ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে।
প্রকল্পের আওতায়, রেলসেতুর উভয় পাশে ০.০৫ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট, লুপ লাইনসহ মোট ৩০ কিলোমিটার রেললাইন বসবে। বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব এবং পশ্চিমের স্টেশন ভবন ইয়ার্ড রিমডেলিং হবে। রেলওয়ে ব্রিজ জাদুঘর ও নদী শাসন কাজের মেরামতও করা হবে।
যমুনা নদীতে সারি সারি ক্রেন। চলছে বিরাট কর্মযজ্ঞ। এই নদীর টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ প্রান্তে রাত-দিন চলছে দেশের সবচেয়ে বড় রেলসেতু, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর কাজ। এরই মধ্যে সেতুর দশটি পিলারের নিচের পাইলিং শেষ হয়েছে। নদীজুড়েই চলছে পিলারের কাজ। এতে দৃশ্যমান হচ্ছে রেলসেতুর অবয়ব।
বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সড়ক সেতুতে যে রেললাইন আছে তার ওপর দিয়ে ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে ওজন ও গতিনিয়ন্ত্রণ করতে হয়। এই সেতুতে ট্রেন চালানো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় একটা ট্রেন এপার থেকে ওপার যেতে প্রায় ২৭ মিনিট সময় লাগে। ভারত থেকে আসা মালবাহী ট্রেন এ সেতু দিয়ে পার হয়ে ঢাকায় যেতে পারে না। শুধু দেশের কিছু হালকা মালবাহী ওয়াগন চলে। এ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু সড়ক সেতুর ৩০০ মিটার উজানে নির্মিত হচ্ছে আরেকটা নতুন ডুয়েল গেজ ডাবল লাইনের রেলসেতু।
নতুন রেলসেতু নির্মাণ হলে ট্রেন চলতে পারবে সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার গতিতে। এতে স্বল্প সময়ে অধিক সংখ্যক ট্রেন পরিচালনা করা যাবে। সব ধরনের ভারী মালবাহী ট্রেনসহ প্রতিদিন ৮৮টি ট্রেন চলতে পারবে এ রুটে।
রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পশ্চিমাঞ্চলের কোনো পণ্যবাহী ট্রেন যমুনা সেতু দিয়ে আসতে পারে না। ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে বড় বাধা এ সেতু। তবে নতুন বঙ্গবন্ধু রেলসেতু হলে ট্রেনে পরিবহনের ক্ষেত্রে যে সংকট ছিল, তা কেটে যাবে। এতে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে রেল।’
২০১৬ সালে নতুন রেলসেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। এরপর সম্ভাব্যতা যাচাই, নকশা প্রণয়ন ও অর্থ সংস্থান শেষে গত বছরের ২৯ নভেম্বর ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চলতি বছরের মার্চে পিলারের নিচে প্রথম পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়।
বঙ্গবন্ধু রেলসেতুতে পিলার থাকবে ৫০টি এবং স্প্যান বসবে ৪৯টি। এ ছাড়া মূল সেতুতে যে স্টিলের সুপারস্ট্রাকচার বা স্প্যান বসবে, সেগুলো জাপানি স্টিল দিয়েই তৈরি হবে। তবে এসব সুপারস্ট্রাকচার তৈরি হবে ভিয়েতনামে ও মিয়ানমারে, তারপর বাংলাদেশে আনা হবে। এর মধ্যে কিছু সুপারস্ট্রাকচার বাংলাদেশেও করা হবে।
প্রকল্পের কাজের খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে সেতুর পিলারের নির্মাণকাজ চলছে। ৪০ থেকে ৫০ নম্বর পর্যন্ত দশটি পিলারের নিচে পাইলিংয়ের কাজ ইতিমধ্যে শেষ
হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এসব পিলারের পাইল ক্যাপের কাজ শুরু হবে।
এদিকে আরও দশটি পিলারের নিচে পাইলিং চলছে। এই মাসের শেষ নাগাদ চলমান তিনটি পিলারের পাইলিং কাজ সম্পন্ন হবে। ক্রেনের সাহায্যে হ্যামার দিয়ে বসানো হচ্ছে পাইলিং পাইপ। পিলারের পাইলিংয়ের পরে হবে পাইল ক্যাপ, তার ওপরে উঠবে কংক্রিটের মূল পিলার। এভাবে পর্যায়ক্রমে ৫০টি পিলার দৃশ্যমান হবে। আগামী আড়াই বছরের মধ্যেই এসব পিলার যমুনার বুকে দাঁড়িয়ে যাবে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক।
সেতুর সার্বিক কাজের বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগামী ২০২৪ সালে এই সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল করানোর টার্গেট রয়েছে। সেই অনুযায়ী কাজও চলছে। আগামী মার্চ-এপ্রিল মাস থেকেই পিলারের ওপর যেসব সুপারস্ট্রাকচার বসবে, সেগুলো বিদেশ থেকে আসা শুরু হবে। এরই মধ্যে প্রকল্পের ৩৫ ভাগ কাজও শেষ করেছে জাপানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
প্রকল্পের নথি ঘেঁটে দেখা যায়, রেলসেতুর কাজে ব্যয় হচ্ছে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) দিচ্ছে ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা এবং বাকি ৪ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে।
প্রকল্পের আওতায়, রেলসেতুর উভয় পাশে ০.০৫ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট, লুপ লাইনসহ মোট ৩০ কিলোমিটার রেললাইন বসবে। বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব এবং পশ্চিমের স্টেশন ভবন ইয়ার্ড রিমডেলিং হবে। রেলওয়ে ব্রিজ জাদুঘর ও নদী শাসন কাজের মেরামতও করা হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে