ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ঝালকাঠিতে কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৪০ দিনের এই প্রকল্পে জেলায় মোট ২ হাজার ৯৪৩ জনের নিয়মিত কাজ করার কথা। কিন্তু নিয়মিত কর্মসৃজন প্রকল্পে কাজের জন্য যাঁরা যোগ দেন তাঁদের অনেকে হাজিরা দিয়ে চলে যান। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলছেন, কাজ না করে টাকা তোলা সম্ভব নয়।
জানা গেছে, সদর উপজেলার বিনয়কাঠি ইউনিয়নের দুটি গ্রুপে হতদরিদ্রদের জন্য ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ চলছে। একটি গ্রুপে ৩৯ জন সদস্য কাজ করলেও উপস্থিত রয়েছেন মাত্র ১৫ জন। অন্য গ্রুপে ৩৫ জন সদস্য থাকলেও কাজ করছেন ৯ জন। শুধু বিনয়কাঠিতেই নয়, ঝালকাঠি জেলার ৩২টি ইউনিয়নে ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পে ৯১ গ্রুপে ২ হাজার ৯৪৩ জন শ্রমিকের কাজ করার কথা। বাস্তবে এক-চতুর্থাংশ শ্রমিক মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। বাকিদের মধ্যে অর্ধেকেই থাকেন অনুপস্থিত। আবার অনেকে হাজিরা দিয়ে চলে যান।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঝালকাঠি সদর উপজেলার বিনয়কাঠি ইউনিয়নের মানপাশা-বিনয়কাঠি সড়কের কানাই মার্কেট থেকে ঝালকাঠি বাজারের সংযোগ সড়কে কাঁচা রাস্তায় কাজ করছেন ১৫ জন শ্রমিক। তাঁদের বেশির ভাগই ৪০ বছরের বেশি বয়সী। যাঁরা আছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রতিবন্ধী।
শ্রমিকদের সরদার আইউব আলী মীর জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্য প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে কাজের জন্য লোক দেন। এখানে ২০ জন পর্যন্ত শ্রমিক দিয়েছেন। বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৫ জন কাজে যোগ দিয়েছেন।
অন্য গ্রুপে গাববাড়ি এলাকায় কর্মসৃজন সদস্য বৃদ্ধা নারী সদস্য রিজিয়া বেগম বলেন, ‘প্রতিদিন ১৪ থেকে ১৫ জন কাজে আসেন। আজ (বুধবার) ব্যানে (সকালে) ১২ জন আইছিলো। ৩ জন অসুস্থতার কথা বলে চলে গেছেন। শ্রমিক সরদার অশোকও অসুস্থতার অজুহাতে চলে গেছেন। এখন আছেন ৯ জন।’
কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা উপজেলা পরিষদের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী মোকাদ্দেস হোসেন রাসেল বলেন, ‘কানাই মার্কেট এলাকায় ৩৯ জন সদস্য নিয়োজিত থাকলেও ১৫ জন এবং গাববাড়িতে ৩৫ জনের পরিবর্তে ৯ জন কাজ করছেন। তিনজন হাজিরা দিয়ে চলে গেছেন।’
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয়ের কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেন, ‘সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ২৪টি গ্রুপে ৫৭৪ জন সদস্য কর্মসৃজন প্রকল্পে কাজের জন্য নিবন্ধন করেছেন। প্রত্যেকের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর ও মোবাইল ফোনের নম্বর ঢাকা অফিসে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক সদস্যের এনআইডি ও মোবাইল ফোন নম্বরের বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন চেক করে টাকা দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে কারও নম্বর ডাবল হলে অথবা কোনো ত্রুটি থাকলে তাঁরা টাকা পাবেন না। আর কাজ না করে কেউ টাকা তুলতে পারবেন না। কারণ কাজের প্রতিবেদন অনুযায়ী তাঁরা টাকা পাবেন।’
অনুসন্ধানে জানা গেছে, কর্মসৃজন প্রকল্পে ঝালকাঠি জেলার ৩২টি ইউনিয়নে ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পে ৯১ গ্রুপে ২ হাজার ৯৪৩ শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সদর উপজেলায় ২৪ গ্রুপে ৫৭৪, নলছিটি উপজেলায় ৪৩ গ্রুপে ১ হাজার ৪৬৫, রাজাপুর উপজেলায় ১৮ গ্রুপে ৫৩৩ ও কাঁঠালিয়া উপজেলায় ৬ গ্রুপে ৩৭১ জন সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে ৪০ বছরের বেশি বয়স হতে হবে। প্রতিদিন কাজের বিনিময়ে তাঁরা পাবেন ৪০০ টাকা মজুরি।
ঝালকাঠিতে কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৪০ দিনের এই প্রকল্পে জেলায় মোট ২ হাজার ৯৪৩ জনের নিয়মিত কাজ করার কথা। কিন্তু নিয়মিত কর্মসৃজন প্রকল্পে কাজের জন্য যাঁরা যোগ দেন তাঁদের অনেকে হাজিরা দিয়ে চলে যান। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলছেন, কাজ না করে টাকা তোলা সম্ভব নয়।
জানা গেছে, সদর উপজেলার বিনয়কাঠি ইউনিয়নের দুটি গ্রুপে হতদরিদ্রদের জন্য ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ চলছে। একটি গ্রুপে ৩৯ জন সদস্য কাজ করলেও উপস্থিত রয়েছেন মাত্র ১৫ জন। অন্য গ্রুপে ৩৫ জন সদস্য থাকলেও কাজ করছেন ৯ জন। শুধু বিনয়কাঠিতেই নয়, ঝালকাঠি জেলার ৩২টি ইউনিয়নে ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পে ৯১ গ্রুপে ২ হাজার ৯৪৩ জন শ্রমিকের কাজ করার কথা। বাস্তবে এক-চতুর্থাংশ শ্রমিক মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। বাকিদের মধ্যে অর্ধেকেই থাকেন অনুপস্থিত। আবার অনেকে হাজিরা দিয়ে চলে যান।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঝালকাঠি সদর উপজেলার বিনয়কাঠি ইউনিয়নের মানপাশা-বিনয়কাঠি সড়কের কানাই মার্কেট থেকে ঝালকাঠি বাজারের সংযোগ সড়কে কাঁচা রাস্তায় কাজ করছেন ১৫ জন শ্রমিক। তাঁদের বেশির ভাগই ৪০ বছরের বেশি বয়সী। যাঁরা আছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রতিবন্ধী।
শ্রমিকদের সরদার আইউব আলী মীর জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্য প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে কাজের জন্য লোক দেন। এখানে ২০ জন পর্যন্ত শ্রমিক দিয়েছেন। বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৫ জন কাজে যোগ দিয়েছেন।
অন্য গ্রুপে গাববাড়ি এলাকায় কর্মসৃজন সদস্য বৃদ্ধা নারী সদস্য রিজিয়া বেগম বলেন, ‘প্রতিদিন ১৪ থেকে ১৫ জন কাজে আসেন। আজ (বুধবার) ব্যানে (সকালে) ১২ জন আইছিলো। ৩ জন অসুস্থতার কথা বলে চলে গেছেন। শ্রমিক সরদার অশোকও অসুস্থতার অজুহাতে চলে গেছেন। এখন আছেন ৯ জন।’
কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা উপজেলা পরিষদের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী মোকাদ্দেস হোসেন রাসেল বলেন, ‘কানাই মার্কেট এলাকায় ৩৯ জন সদস্য নিয়োজিত থাকলেও ১৫ জন এবং গাববাড়িতে ৩৫ জনের পরিবর্তে ৯ জন কাজ করছেন। তিনজন হাজিরা দিয়ে চলে গেছেন।’
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয়ের কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেন, ‘সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ২৪টি গ্রুপে ৫৭৪ জন সদস্য কর্মসৃজন প্রকল্পে কাজের জন্য নিবন্ধন করেছেন। প্রত্যেকের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর ও মোবাইল ফোনের নম্বর ঢাকা অফিসে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক সদস্যের এনআইডি ও মোবাইল ফোন নম্বরের বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন চেক করে টাকা দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে কারও নম্বর ডাবল হলে অথবা কোনো ত্রুটি থাকলে তাঁরা টাকা পাবেন না। আর কাজ না করে কেউ টাকা তুলতে পারবেন না। কারণ কাজের প্রতিবেদন অনুযায়ী তাঁরা টাকা পাবেন।’
অনুসন্ধানে জানা গেছে, কর্মসৃজন প্রকল্পে ঝালকাঠি জেলার ৩২টি ইউনিয়নে ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পে ৯১ গ্রুপে ২ হাজার ৯৪৩ শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সদর উপজেলায় ২৪ গ্রুপে ৫৭৪, নলছিটি উপজেলায় ৪৩ গ্রুপে ১ হাজার ৪৬৫, রাজাপুর উপজেলায় ১৮ গ্রুপে ৫৩৩ ও কাঁঠালিয়া উপজেলায় ৬ গ্রুপে ৩৭১ জন সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে ৪০ বছরের বেশি বয়স হতে হবে। প্রতিদিন কাজের বিনিময়ে তাঁরা পাবেন ৪০০ টাকা মজুরি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে