সম্পাদকীয়
শিক্ষাবিদ আনিসুজ্জামান তখন লন্ডনে। ঢাকা থেকে খবর পেলেন এপ্রিলের শেষে মেক্সিকো সিটিতে জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনারে তিনি আমন্ত্রিত। ঢাকার কেএলএম অফিস থেকে মেক্সিকোর টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। আনিসুজ্জামানের স্ত্রী অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন ঢাকা থেকে টিকিট সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। তখন লন্ডনের কেএলএম অফিস থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে বলা হলো।
মেক্সিকোতে সেবারই প্রথম যাবেন আনিসুজ্জামান।
স্বভাবতই নতুন দেশ দেখার উত্তেজনা মনে। তিনি লন্ডনের মেক্সিকো দূতাবাসে গেলেন ভিসা সংগ্রহের জন্য। দূতাবাসে গিয়ে বিপদে পড়লেন। বাংলাদেশের সঙ্গে মেক্সিকোর কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। সুতরাং বাংলাদেশের কোনো নাগরিককে মেক্সিকো ভিসা দিতে পারে না। দূতাবাসের কর্মচারীরা সে কথাই জানালেন।
আনিসুজ্জামান গেলেন লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনে। সেখানে ডেপুটি হাইকমিশনার বললেন, ‘আমি একটা ডিও লিখে দিচ্ছি মেক্সিকোর রাষ্ট্রদূতকে। তাতে কাজ হবে কি না, বলা যাচ্ছে না।’
সেই চিঠি নিয়ে আনিসুজ্জামান আবার গেলেন মেক্সিকান দূতাবাসে। আনিসুজ্জামানকে দেখে বিরক্ত হন দূতাবাসের কর্মীরা। বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীকে তো ভিসা দেওয়া সম্ভব নয়। তারপরও কেন তিনি এসেছেন? শেষ চেষ্টা হিসেবে আনিসুজ্জামান দূতাবাসের কর্মচারীকে বলেন, ‘আমি কি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করতে পারি?’
কর্মীটি কিছুক্ষণ ভেবে তারপর বলেন, ‘জেনে আসি, তিনি দেখা করবেন কি না। তবে মনে রাখবেন, তিনিই আপনার শেষ আদালত।’
সে তো বটেই। এখান থেকে ফিরে আসতে হলে কেএলএমের টিকিটটা শুধু শোভা বর্ধন করবে। আর কিছুই হবে না।
রাষ্ট্রদূত দেখা করতে সম্মত হলেন। আনিসুজ্জামান ঢুকলেন তাঁর ঘরে। বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারের চিঠিটি পড়ে রাষ্ট্রদূত প্রথমেই জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি তো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক? তাহলে তো তোমার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করতে হয়!’ এরপর ফোনে স্প্যানিশ ভাষায় কার সঙ্গে যেন কথা বললেন। আনিসুজ্জামানকে বললেন, ‘তোমাকে খানিক অপেক্ষা করতে হবে—ভিসার জন্য যতক্ষণ লাগে!’
করমর্দন করে নিজেই দরজা খুলে দিলেন রাষ্ট্রদূত।
সূত্র: আনিসুজ্জামান, বিপুলা পৃথিবী, পৃষ্ঠা ২৩৩
শিক্ষাবিদ আনিসুজ্জামান তখন লন্ডনে। ঢাকা থেকে খবর পেলেন এপ্রিলের শেষে মেক্সিকো সিটিতে জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনারে তিনি আমন্ত্রিত। ঢাকার কেএলএম অফিস থেকে মেক্সিকোর টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। আনিসুজ্জামানের স্ত্রী অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন ঢাকা থেকে টিকিট সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। তখন লন্ডনের কেএলএম অফিস থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে বলা হলো।
মেক্সিকোতে সেবারই প্রথম যাবেন আনিসুজ্জামান।
স্বভাবতই নতুন দেশ দেখার উত্তেজনা মনে। তিনি লন্ডনের মেক্সিকো দূতাবাসে গেলেন ভিসা সংগ্রহের জন্য। দূতাবাসে গিয়ে বিপদে পড়লেন। বাংলাদেশের সঙ্গে মেক্সিকোর কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। সুতরাং বাংলাদেশের কোনো নাগরিককে মেক্সিকো ভিসা দিতে পারে না। দূতাবাসের কর্মচারীরা সে কথাই জানালেন।
আনিসুজ্জামান গেলেন লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনে। সেখানে ডেপুটি হাইকমিশনার বললেন, ‘আমি একটা ডিও লিখে দিচ্ছি মেক্সিকোর রাষ্ট্রদূতকে। তাতে কাজ হবে কি না, বলা যাচ্ছে না।’
সেই চিঠি নিয়ে আনিসুজ্জামান আবার গেলেন মেক্সিকান দূতাবাসে। আনিসুজ্জামানকে দেখে বিরক্ত হন দূতাবাসের কর্মীরা। বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীকে তো ভিসা দেওয়া সম্ভব নয়। তারপরও কেন তিনি এসেছেন? শেষ চেষ্টা হিসেবে আনিসুজ্জামান দূতাবাসের কর্মচারীকে বলেন, ‘আমি কি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করতে পারি?’
কর্মীটি কিছুক্ষণ ভেবে তারপর বলেন, ‘জেনে আসি, তিনি দেখা করবেন কি না। তবে মনে রাখবেন, তিনিই আপনার শেষ আদালত।’
সে তো বটেই। এখান থেকে ফিরে আসতে হলে কেএলএমের টিকিটটা শুধু শোভা বর্ধন করবে। আর কিছুই হবে না।
রাষ্ট্রদূত দেখা করতে সম্মত হলেন। আনিসুজ্জামান ঢুকলেন তাঁর ঘরে। বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারের চিঠিটি পড়ে রাষ্ট্রদূত প্রথমেই জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি তো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক? তাহলে তো তোমার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করতে হয়!’ এরপর ফোনে স্প্যানিশ ভাষায় কার সঙ্গে যেন কথা বললেন। আনিসুজ্জামানকে বললেন, ‘তোমাকে খানিক অপেক্ষা করতে হবে—ভিসার জন্য যতক্ষণ লাগে!’
করমর্দন করে নিজেই দরজা খুলে দিলেন রাষ্ট্রদূত।
সূত্র: আনিসুজ্জামান, বিপুলা পৃথিবী, পৃষ্ঠা ২৩৩
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
৮ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১১ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে