তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে গুচ্ছগ্রাম আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ব্যারাকগুলোর টিনশেড ভেঙে গেছে। ঘরগুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রোদ আর বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে ছাউনি হিসেবে পলিথিন ব্যবহার করছেন বাসিন্দারা। ১৮ বছরেও সংস্কার করা হয়নি। এতে ব্যারাকগুলো ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। তাঁদের দাবি, সরকার যেন দ্রুত ওই ঘরগুলো মেরামত করে বসবাসের উপযোগী করে দেয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ১২টি ব্যারাক সরকারি অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়। ওই সময় উপজেলার আড়ংগাইল, বড়মাঝদক্ষিণা, বড় পওতা, বস্তুল, বিনসাড়া, দেশীগ্রাম, কুমাল্লু, মাগুড়া মুকুন্দসহ আটটি গ্রামে ১ নম্বর খাস খতিয়ানের সরকারি জমিতে ১২টি ব্যারাক নির্মাণ করা হয়। আর এতে হতদরিদ্র ৬৩৪ পরিবার বাস শুরু করে। সেখানে তাঁদের নামে জায়গা ও ঘর লিখে দেওয়া হয়। কিন্তু এর পর থেকে আর সংস্কার বা পুনর্নির্মাণ কোনোটাই করা হয়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়নের মাগুড়া মুকুন্দ, বিনসাড়া, বস্তুল, বড় পওতায় গুচ্ছগ্রাম আশ্রয়ণ কেন্দ্রগুলো সারিবদ্ধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে। এখানকার টিনশেডে নির্মিত ব্যারাকের সব ঘর এখন জরাজীর্ণ হয়ে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
ঘরগুলোর টিনের ছাউনিতে বড় বড় ছিদ্র। বেড়া ও আরসিসি খুঁটি অনেকটা ভেঙে পড়েছে। ব্যারাকের ঘরের টিনগুলো মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে গেছে। বৃষ্টিতে ভিজে আর রোদে পুড়ে বসবাস করতে হচ্ছে আশ্রয়ণ কেন্দ্রের বাসিন্দাদের। আবার কেউ কেউ পলিথিন পেপার টানিয়ে বসবাস করছেন। কেউবা গুচ্ছগ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলেও গেছেন।
গুচ্ছগ্রাম আশ্রয়ণ কেন্দ্রে বসবাসকারী পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যেখানে আর্থিক অভাব-অনটনের মধ্য দিয়ে তাঁরা দিনযাপন করছেন, সেখানে ভেঙে যাওয়া ঘর মেরামত যেন তাঁদের কাছে স্বপ্নের মতো।
মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়নের মাগুড়া মুকুন্দ গুচ্ছগ্রাম আশ্রয়ণে বসবাসকারী জবেদা খাতুন, সালেকা, মাজেদা, দুলালী, আলেয়া খাতুনসহ অনেকে জানান, তাঁদের কাছে পরিবারের প্রতিদিনের খাবার জোগানোই কষ্টকর। দিন এনে দিন খান। তাঁরা কীভাবে ঘর সংস্কার করবেন। সরকারের কাছে তাঁদের একটাই দাবি, ঘরগুলো সংস্কার করে বসবাসের উপযোগী করে দেওয়া হোক।
বারুহাস ইউনিয়নের বড়পওতা গুচ্ছগ্রাম আশ্রয়ণ কেন্দ্রে বসবাসকারী মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, এ গুচ্ছগ্রামে ৪০টি পরিবার বসবাস করে। কিন্তু এখানকার ব্যারাকের ঘরগুলোর টিনশেড নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অনেক ঘরে বৃষ্টির সময় পলিথিন দিয়ে থাকতে হয়। পাশাপাশি গুচ্ছগ্রামের পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা করাসহ সরকারের প্রতি ওই শেডগুলো দ্রুত মেরামত করার দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে বারুহাস ইউপি চেয়ারম্যান মো. ময়নুল হক বলেন, সরকারি বরাদ্দের টাকায় গড়ে তোলা ঘরগুলো মেরামত করা দরকার। সেই সঙ্গে গুচ্ছগ্রামের পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কার করাও প্রয়োজন। তিনি সরকারের প্রতি উপজেলার সব আশ্রয়ণ কেন্দ্র সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। সরকারি বরাদ্দ পেলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ব্যারাকগুলো মেরামত করা হবে।’
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেজবাউল করিম বলেন, ইতিমধ্যে গুচ্ছগ্রাম আশ্রয়ণের ঘরগুলো মনিটরিংয়ের জন্য সহকারী কমিশনার লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. নুর মামুনের সমন্বয়ে একটি দল গঠন করে দেওয়া হয়েছে। ঘরগুলো সংস্কার বা নতুন করে নির্মাণের জন্য খুব দ্রুতই সব তথ্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। সরকারি নির্দেশনা পেলে ঘরগুলো মেরামত করা হবে।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে গুচ্ছগ্রাম আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ব্যারাকগুলোর টিনশেড ভেঙে গেছে। ঘরগুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রোদ আর বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে ছাউনি হিসেবে পলিথিন ব্যবহার করছেন বাসিন্দারা। ১৮ বছরেও সংস্কার করা হয়নি। এতে ব্যারাকগুলো ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। তাঁদের দাবি, সরকার যেন দ্রুত ওই ঘরগুলো মেরামত করে বসবাসের উপযোগী করে দেয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ১২টি ব্যারাক সরকারি অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়। ওই সময় উপজেলার আড়ংগাইল, বড়মাঝদক্ষিণা, বড় পওতা, বস্তুল, বিনসাড়া, দেশীগ্রাম, কুমাল্লু, মাগুড়া মুকুন্দসহ আটটি গ্রামে ১ নম্বর খাস খতিয়ানের সরকারি জমিতে ১২টি ব্যারাক নির্মাণ করা হয়। আর এতে হতদরিদ্র ৬৩৪ পরিবার বাস শুরু করে। সেখানে তাঁদের নামে জায়গা ও ঘর লিখে দেওয়া হয়। কিন্তু এর পর থেকে আর সংস্কার বা পুনর্নির্মাণ কোনোটাই করা হয়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়নের মাগুড়া মুকুন্দ, বিনসাড়া, বস্তুল, বড় পওতায় গুচ্ছগ্রাম আশ্রয়ণ কেন্দ্রগুলো সারিবদ্ধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে। এখানকার টিনশেডে নির্মিত ব্যারাকের সব ঘর এখন জরাজীর্ণ হয়ে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
ঘরগুলোর টিনের ছাউনিতে বড় বড় ছিদ্র। বেড়া ও আরসিসি খুঁটি অনেকটা ভেঙে পড়েছে। ব্যারাকের ঘরের টিনগুলো মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে গেছে। বৃষ্টিতে ভিজে আর রোদে পুড়ে বসবাস করতে হচ্ছে আশ্রয়ণ কেন্দ্রের বাসিন্দাদের। আবার কেউ কেউ পলিথিন পেপার টানিয়ে বসবাস করছেন। কেউবা গুচ্ছগ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলেও গেছেন।
গুচ্ছগ্রাম আশ্রয়ণ কেন্দ্রে বসবাসকারী পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যেখানে আর্থিক অভাব-অনটনের মধ্য দিয়ে তাঁরা দিনযাপন করছেন, সেখানে ভেঙে যাওয়া ঘর মেরামত যেন তাঁদের কাছে স্বপ্নের মতো।
মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়নের মাগুড়া মুকুন্দ গুচ্ছগ্রাম আশ্রয়ণে বসবাসকারী জবেদা খাতুন, সালেকা, মাজেদা, দুলালী, আলেয়া খাতুনসহ অনেকে জানান, তাঁদের কাছে পরিবারের প্রতিদিনের খাবার জোগানোই কষ্টকর। দিন এনে দিন খান। তাঁরা কীভাবে ঘর সংস্কার করবেন। সরকারের কাছে তাঁদের একটাই দাবি, ঘরগুলো সংস্কার করে বসবাসের উপযোগী করে দেওয়া হোক।
বারুহাস ইউনিয়নের বড়পওতা গুচ্ছগ্রাম আশ্রয়ণ কেন্দ্রে বসবাসকারী মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, এ গুচ্ছগ্রামে ৪০টি পরিবার বসবাস করে। কিন্তু এখানকার ব্যারাকের ঘরগুলোর টিনশেড নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অনেক ঘরে বৃষ্টির সময় পলিথিন দিয়ে থাকতে হয়। পাশাপাশি গুচ্ছগ্রামের পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা করাসহ সরকারের প্রতি ওই শেডগুলো দ্রুত মেরামত করার দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে বারুহাস ইউপি চেয়ারম্যান মো. ময়নুল হক বলেন, সরকারি বরাদ্দের টাকায় গড়ে তোলা ঘরগুলো মেরামত করা দরকার। সেই সঙ্গে গুচ্ছগ্রামের পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কার করাও প্রয়োজন। তিনি সরকারের প্রতি উপজেলার সব আশ্রয়ণ কেন্দ্র সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। সরকারি বরাদ্দ পেলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ব্যারাকগুলো মেরামত করা হবে।’
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেজবাউল করিম বলেন, ইতিমধ্যে গুচ্ছগ্রাম আশ্রয়ণের ঘরগুলো মনিটরিংয়ের জন্য সহকারী কমিশনার লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. নুর মামুনের সমন্বয়ে একটি দল গঠন করে দেওয়া হয়েছে। ঘরগুলো সংস্কার বা নতুন করে নির্মাণের জন্য খুব দ্রুতই সব তথ্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। সরকারি নির্দেশনা পেলে ঘরগুলো মেরামত করা হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে