চারঘাট প্রতিনিধি
বাংলাদেশ সমাজ কল্যাণ পরিষদের অর্থায়নে রোগী কল্যাণ সমিতির মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে দেশের দুস্থ ও দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসায় সহায়তা করে আসছে সমাজসেবা অধিদপ্তর। এ ধরনের সেবা দেওয়া হয় রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও। তবে এ সেবার ধরন সম্পর্কে জানেন না সাধারণ মানুষ। যার ফলে সরকারি বরাদ্দের টাকা ফেরত যাচ্ছে। কিন্তু অসহায় ও দুস্থ রোগীরা পাচ্ছেন না স্বাস্থ্যসেবা।
উপজেলা সমাজসেবা দপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন সিটি করপোরেশন ও জেলায় ৯০টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং ৩৪২টি উপজেলায় এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ২০১১ সালে চারঘাট উপজেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় রোগী কল্যাণ সমিতির কার্যক্রম। এ সমিতির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১৩ সদস্যের কমিটি রয়েছে। উপজেলায় গত ১০ বছরে সেবা পেয়েছেন মাত্র ৩২৩ জন রোগী। গত তিন বছরে উপজেলায় ৫৮ জন রোগীকে ৭৭ হাজার ১৫৭ টাকা চিকিৎসাসহায়তা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১৯ জন রোগীকে ২২ হাজার ৩৭৫ টাকা, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২৩ জন রোগীকে ২৫ হাজার ২২৮ টাকা এবং চলমান ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৬ জন রোগীকে ২৯ হাজার ৫৫৪ টাকা চিকিৎসাসহায়তা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবছরই বরাদ্দ ছিল ১ লাখ টাকা। খরচ না হওয়ায় গত ৩ বছরে ২ লাখ ২২ হাজার টাকা তহবিলে অলস পড়ে আছে।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে চারঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, সমাজ কল্যাণ সমিতির অফিসটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দোতলার এক পাশে তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। যেখানে রোগীদের কোনো পদচারণ নেই। শেষ কবে অফিস খোলা হয়েছে তা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কেউ বলতে পারেননি।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলার রাওথার গ্রামের শফিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়। রোগী কল্যাণ সমিতি সম্পর্কে জানেন কি না প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন ‘না’। শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, তিন মাস ধরে রোগে ভুগছেন তিনি। দুই দফা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিও ছিলেন। দিনমজুরের কাজ করে অতি কষ্টে ওষুধের টাকা জোগাড় করেন। চিকিৎসার জন্য সরকার যে টাকা দেয়, তা প্রথম শুনছেন এই প্রতিবেদকের কাছে।
এ বিষয়ে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত সমাজসেবা কর্মকর্তা রবিউল করিম বলেন, ‘আমি চারঘাটে অতিরিক্ত দায়িত্বে আছি। তবে হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একজন কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও লোকবলের অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না। আর প্রচারের কাজটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স করে থাকে।’
কমিটির সভাপতি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পরা কর্মকর্তা ডা. আশিকুর রহমান বলেন, ‘সাধারণত দরিদ্র ও হাসপাতালে ভর্তি রোগী দেখে আমরা সহায়তা করে থাকি। তবে বিষয়টি আরও প্রচার হওয়ার প্রয়োজন। প্রচারের অভাবে অনেকে এ সেবা নিতে আসেন না। আমরা এই সেবা প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছি।’
বাংলাদেশ সমাজ কল্যাণ পরিষদের অর্থায়নে রোগী কল্যাণ সমিতির মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে দেশের দুস্থ ও দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসায় সহায়তা করে আসছে সমাজসেবা অধিদপ্তর। এ ধরনের সেবা দেওয়া হয় রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও। তবে এ সেবার ধরন সম্পর্কে জানেন না সাধারণ মানুষ। যার ফলে সরকারি বরাদ্দের টাকা ফেরত যাচ্ছে। কিন্তু অসহায় ও দুস্থ রোগীরা পাচ্ছেন না স্বাস্থ্যসেবা।
উপজেলা সমাজসেবা দপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন সিটি করপোরেশন ও জেলায় ৯০টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং ৩৪২টি উপজেলায় এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ২০১১ সালে চারঘাট উপজেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় রোগী কল্যাণ সমিতির কার্যক্রম। এ সমিতির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১৩ সদস্যের কমিটি রয়েছে। উপজেলায় গত ১০ বছরে সেবা পেয়েছেন মাত্র ৩২৩ জন রোগী। গত তিন বছরে উপজেলায় ৫৮ জন রোগীকে ৭৭ হাজার ১৫৭ টাকা চিকিৎসাসহায়তা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১৯ জন রোগীকে ২২ হাজার ৩৭৫ টাকা, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২৩ জন রোগীকে ২৫ হাজার ২২৮ টাকা এবং চলমান ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৬ জন রোগীকে ২৯ হাজার ৫৫৪ টাকা চিকিৎসাসহায়তা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবছরই বরাদ্দ ছিল ১ লাখ টাকা। খরচ না হওয়ায় গত ৩ বছরে ২ লাখ ২২ হাজার টাকা তহবিলে অলস পড়ে আছে।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে চারঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, সমাজ কল্যাণ সমিতির অফিসটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দোতলার এক পাশে তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। যেখানে রোগীদের কোনো পদচারণ নেই। শেষ কবে অফিস খোলা হয়েছে তা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কেউ বলতে পারেননি।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলার রাওথার গ্রামের শফিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়। রোগী কল্যাণ সমিতি সম্পর্কে জানেন কি না প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন ‘না’। শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, তিন মাস ধরে রোগে ভুগছেন তিনি। দুই দফা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিও ছিলেন। দিনমজুরের কাজ করে অতি কষ্টে ওষুধের টাকা জোগাড় করেন। চিকিৎসার জন্য সরকার যে টাকা দেয়, তা প্রথম শুনছেন এই প্রতিবেদকের কাছে।
এ বিষয়ে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত সমাজসেবা কর্মকর্তা রবিউল করিম বলেন, ‘আমি চারঘাটে অতিরিক্ত দায়িত্বে আছি। তবে হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একজন কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও লোকবলের অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না। আর প্রচারের কাজটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স করে থাকে।’
কমিটির সভাপতি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পরা কর্মকর্তা ডা. আশিকুর রহমান বলেন, ‘সাধারণত দরিদ্র ও হাসপাতালে ভর্তি রোগী দেখে আমরা সহায়তা করে থাকি। তবে বিষয়টি আরও প্রচার হওয়ার প্রয়োজন। প্রচারের অভাবে অনেকে এ সেবা নিতে আসেন না। আমরা এই সেবা প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে