বান্দরবান ও থানচি প্রতিনিধি
বান্দরবানের থানচি উপজেলা সদরে শ্রীশ্রী রক্ষাকালী মন্দির নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই ছাদে ফাটল ধরায় মন্দিরের ভেতর বৃষ্টির পানি পড়ছে। চারপাশের দেয়ালে পলেস্তারা খসে পড়ছে। এখন ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হচ্ছে ভবনটি। সরেজমিন মন্দির-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, শুরুতে ২০১৯-২১ অর্থবছরে সর্বজনীন রক্ষাকালী মন্দিরের নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড (পাচউবো)। তবে অর্থের অভাবে ২০২০-২২ অর্থবছরে নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এক তলা ভবন নির্মাণের কার্যাদেশ পায় বান্দরবানের ঠিকাদার মনিকা কনস্ট্রাকশন। তবে কার্যাদেশ পাওয়ার পর স্থানীয় দুজনের কাছে কাজ বিক্রি করে দিয়েছেন মূল ঠিকাদার।
এদিকে স্থানীয় থোয়াইপ্রুঅং মারমা ও সাবেক ইউপি সদস্য উসাইঅং মারমা ঠিকাদারি কিনে নিয়ে নির্মাণকাজ শুরু করেন। এর মধ্য থোয়াইপ্রুঅং মারমা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি থোয়াইহ্লা মং মারমার ছোট ভাই। ইতিমধ্যে মন্দিরের ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হলেও নির্মাণকাজে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
সর্বজনীন কালীমন্দির পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি মৃদুল কান্তি বিশ্বাস, সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিটন চৌধুরীসহ কয়েকজন বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে মন্দির নির্মাণ করায় ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে মন্দিরের ভেতর বৃষ্টির পানি পড়ছে। এ ছাড়া সিমেন্ট, বালু ও রড যথাযথভাবে না দেওয়ায় দেয়ালের বিভিন্ন স্থানে পলেস্তারা খসে পড়েছে।
তাঁরা অভিযোগ করেন, কাজে অনিয়ম দেখে তাঁরা ঠিকাদার ও শ্রমিকদের সঠিক পরিমাণ এবং ভালো নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করতে একাধিকবার বলেছেন। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের নেতার ভাই হওয়ায় থোয়াইপ্রুঅং মারমা তাঁদের কথাকে গুরুত্ব দেননি। ফলে নির্মাণের পরই মন্দিরটি বেহাল হয়ে পড়েছে।
সম্প্রতি কালীমন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্প অনুযায়ী ভবনের চারপাশে সীমানা প্রাচীর করা হয়নি, পশ্চিম পাশে গর্তও রয়েছে। নির্মাণাধীন ভবনের সীমানায় ভিত্তি ও বিম ঠিকমতো না দেওয়ায় যেকোনো সময় মাটি সরে ভবনটি ধসে পড়তে পারে।
নির্মাণশ্রমিক মো. জনি বলেন, ‘সপ্তাহ খানেকের মধ্যে রঙের কাজ শেষ হলে ভবনের সৌন্দর্য দেখা যাবে। রং ঠিকমতো লাগাতে কষ্ট হওয়ায় কাজ শেষ হতে বিলম্ব হচ্ছে।’
থানচি বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী পলাশ ধর বলেন, ‘গত বছর জুন-জুলাইয়ে মন্দির নির্মাণকাজের লেয়ার, বিম নির্মাণে অনিয়ম দেখে আমরা আপত্তি তুলেছিলাম। কিন্তু প্রভাবশালীরা ঠিকাদারি করায় আমাদের কথা কেউ শুনছেন না। তবে লেয়ার, বিম, খুঁটি ও ছাদ ঢালাই কাজে অনিয়ম হওয়ায় নির্মাণকাজের তদারককারী প্রকৌশলী কাজ স্থগিত রেখে নতুন করে কাজ করান। এতেও বোঝা যায় অনিয়ম হয়েছে।’
সর্বজনীন কালীমন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি উত্তম চৌধুরী বলেন, ‘নির্মাণকাজ চলাকালে আমরা সার্বক্ষণিক দেখভাল করায় কাজটি মোটামুটি হয়েছে। কিন্তু লেয়ার তৈরি ও ছাদ ঢালাইয়ের সময় প্রকৌশলী নিয়মিত তদারকির জন্য না আসায় কিছু ত্রুটি হতে পারে।’
থানচি বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের প্রবীণ নেতা স্বপন কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি কাজটি সঠিকভাবে আদায় করতে। তবে কিছু অনিয়ম থাকতে পারে।’
অভিযোগ বিষয়ে জানতে থোয়াইপ্রুঅং মারমার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিক দিন কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। একই ভাবে অন্য ঠিকাদারের মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
জানতে চাইলে পাচউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী মো. এরশাদ মন্দিরের নির্মাণকাজ ‘সঠিক আছে’ বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘নির্মাণকাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কাজের ২০ লাখ টাকা ঠিকাদারকে পরিশোধ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৫ লাখ টাকা পরিশোধের প্রস্তুতি রয়েছে কর্তৃপক্ষের।’ তবে তদারকির জন্য সব সময় মন্দির পরিদর্শনে যেতে পারেননি বলে জানান এই প্রকৌশলী।
বান্দরবানের থানচি উপজেলা সদরে শ্রীশ্রী রক্ষাকালী মন্দির নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই ছাদে ফাটল ধরায় মন্দিরের ভেতর বৃষ্টির পানি পড়ছে। চারপাশের দেয়ালে পলেস্তারা খসে পড়ছে। এখন ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হচ্ছে ভবনটি। সরেজমিন মন্দির-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, শুরুতে ২০১৯-২১ অর্থবছরে সর্বজনীন রক্ষাকালী মন্দিরের নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড (পাচউবো)। তবে অর্থের অভাবে ২০২০-২২ অর্থবছরে নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এক তলা ভবন নির্মাণের কার্যাদেশ পায় বান্দরবানের ঠিকাদার মনিকা কনস্ট্রাকশন। তবে কার্যাদেশ পাওয়ার পর স্থানীয় দুজনের কাছে কাজ বিক্রি করে দিয়েছেন মূল ঠিকাদার।
এদিকে স্থানীয় থোয়াইপ্রুঅং মারমা ও সাবেক ইউপি সদস্য উসাইঅং মারমা ঠিকাদারি কিনে নিয়ে নির্মাণকাজ শুরু করেন। এর মধ্য থোয়াইপ্রুঅং মারমা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি থোয়াইহ্লা মং মারমার ছোট ভাই। ইতিমধ্যে মন্দিরের ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হলেও নির্মাণকাজে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
সর্বজনীন কালীমন্দির পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি মৃদুল কান্তি বিশ্বাস, সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিটন চৌধুরীসহ কয়েকজন বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে মন্দির নির্মাণ করায় ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে মন্দিরের ভেতর বৃষ্টির পানি পড়ছে। এ ছাড়া সিমেন্ট, বালু ও রড যথাযথভাবে না দেওয়ায় দেয়ালের বিভিন্ন স্থানে পলেস্তারা খসে পড়েছে।
তাঁরা অভিযোগ করেন, কাজে অনিয়ম দেখে তাঁরা ঠিকাদার ও শ্রমিকদের সঠিক পরিমাণ এবং ভালো নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করতে একাধিকবার বলেছেন। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের নেতার ভাই হওয়ায় থোয়াইপ্রুঅং মারমা তাঁদের কথাকে গুরুত্ব দেননি। ফলে নির্মাণের পরই মন্দিরটি বেহাল হয়ে পড়েছে।
সম্প্রতি কালীমন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্প অনুযায়ী ভবনের চারপাশে সীমানা প্রাচীর করা হয়নি, পশ্চিম পাশে গর্তও রয়েছে। নির্মাণাধীন ভবনের সীমানায় ভিত্তি ও বিম ঠিকমতো না দেওয়ায় যেকোনো সময় মাটি সরে ভবনটি ধসে পড়তে পারে।
নির্মাণশ্রমিক মো. জনি বলেন, ‘সপ্তাহ খানেকের মধ্যে রঙের কাজ শেষ হলে ভবনের সৌন্দর্য দেখা যাবে। রং ঠিকমতো লাগাতে কষ্ট হওয়ায় কাজ শেষ হতে বিলম্ব হচ্ছে।’
থানচি বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী পলাশ ধর বলেন, ‘গত বছর জুন-জুলাইয়ে মন্দির নির্মাণকাজের লেয়ার, বিম নির্মাণে অনিয়ম দেখে আমরা আপত্তি তুলেছিলাম। কিন্তু প্রভাবশালীরা ঠিকাদারি করায় আমাদের কথা কেউ শুনছেন না। তবে লেয়ার, বিম, খুঁটি ও ছাদ ঢালাই কাজে অনিয়ম হওয়ায় নির্মাণকাজের তদারককারী প্রকৌশলী কাজ স্থগিত রেখে নতুন করে কাজ করান। এতেও বোঝা যায় অনিয়ম হয়েছে।’
সর্বজনীন কালীমন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি উত্তম চৌধুরী বলেন, ‘নির্মাণকাজ চলাকালে আমরা সার্বক্ষণিক দেখভাল করায় কাজটি মোটামুটি হয়েছে। কিন্তু লেয়ার তৈরি ও ছাদ ঢালাইয়ের সময় প্রকৌশলী নিয়মিত তদারকির জন্য না আসায় কিছু ত্রুটি হতে পারে।’
থানচি বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের প্রবীণ নেতা স্বপন কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি কাজটি সঠিকভাবে আদায় করতে। তবে কিছু অনিয়ম থাকতে পারে।’
অভিযোগ বিষয়ে জানতে থোয়াইপ্রুঅং মারমার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিক দিন কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। একই ভাবে অন্য ঠিকাদারের মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
জানতে চাইলে পাচউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী মো. এরশাদ মন্দিরের নির্মাণকাজ ‘সঠিক আছে’ বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘নির্মাণকাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কাজের ২০ লাখ টাকা ঠিকাদারকে পরিশোধ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৫ লাখ টাকা পরিশোধের প্রস্তুতি রয়েছে কর্তৃপক্ষের।’ তবে তদারকির জন্য সব সময় মন্দির পরিদর্শনে যেতে পারেননি বলে জানান এই প্রকৌশলী।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে