মিলন উল্লাহ, কুষ্টিয়া
জনবলসংকট, বর্জ্য নিষ্কাশনে অব্যবস্থাপনা, দালালদের দৌরাত্ম্যসহ নানা অব্যবস্থাপনায় ধুঁকছে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতাল। হাসপাতালটির নিম্নমানের চিকিৎসাসেবা, খাদ্য সরবরাহ, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, রোগী ভর্তির সময় দালালদের হয়রানি নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন সেবা নিতে আসা রোগীরা। এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, জনবলস্বল্পতা এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণেই এমনটি হচ্ছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালটিতে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির জনবলের চরম সংকট রয়েছে। কাগজে-কলমে ৪৯ জন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও কাজ করছেন ৩৩ জন। ৪৮ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর জায়গায় রয়েছেন ১৪ জন। বাকি ৩৪টি পদ শূন্য অবস্থায় আছে। অফিস সহায়ক হিসেবে ২০ জন থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র সাতজন। বাকি ১৩টি পদ শূন্য রয়েছে। দুজন স্ট্রেচার বেয়ারার এবং কুক বা মশালচি পদে ছয়জন থাকার কথা থাকলেও এ দুটি পদই শূন্য অবস্থায় রয়েছে। ১৬ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর জায়গায় আছেন মাত্র চারজন।
গতকাল হাসপাতালটিতে গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড, বারান্দা এবং শৌচাগার ময়লা-আবর্জনায় পরিপূর্ণ। হাসপাতাল ভবনের বাইরেও বিভিন্ন জায়গায় ময়লা-আবর্জনার স্তূপ পড়ে রয়েছে। হাসপাতাল ভবনের পশ্চিম পাশের ড্রেনের মধ্যে আবর্জনা পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। হাসপাতালজুড়ে রয়েছে দালালদের দৌরাত্ম্য।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে আরও জানা গেছে, হাসপাতাল আঙিনার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, ড্রেনের জলাবদ্ধতা নিরসন, মশা নিধনসহ বিভিন্ন বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পৌরসভার ওপর নির্ভরশীল। শহরের ময়ূর চত্বর থেকে সদর হাসপাতালে প্রবেশপথটি বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতেই ডুবে যায়। এর ফলে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগী এবং রোগীর স্বজনদের পোহাতে হয় সীমাহীন দুর্ভোগ। জলাবদ্ধতা নিরসনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ২০২১ সালের ২৪ জুন কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র বরাবর একটি চিঠি পাঠালেও লাভ হয়নি।
হাসপাতালে পার্টিশন দেওয়া, রেলিং সংস্কার, ট্যাঙ্ক পরিষ্কারসহ বিভিন্ন কক্ষ মেরামত করার জন্য গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর অনুমোদন নিতে হয়। এসব কাজের জন্য চিঠি চালাচালি করতেই মাসের পর মাস কেটে যায় বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ ড্রেনগুলো নির্মাণ বা সংস্কারের কাজ করে পিডব্লিউডি অথবা হেল্থ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট। হাসপাতালের বাইরে পানি জমলে সেটা নিয়ে কাজ করবে পৌরসভা।
কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. আবদুল মোমেন বলেন, ‘হাসপাতালটির যাবতীয় সংকট সমাধানের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। শিগগিরই সমাধান মিলবে বলে আশা করি।’
জনবলসংকট, বর্জ্য নিষ্কাশনে অব্যবস্থাপনা, দালালদের দৌরাত্ম্যসহ নানা অব্যবস্থাপনায় ধুঁকছে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতাল। হাসপাতালটির নিম্নমানের চিকিৎসাসেবা, খাদ্য সরবরাহ, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, রোগী ভর্তির সময় দালালদের হয়রানি নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন সেবা নিতে আসা রোগীরা। এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, জনবলস্বল্পতা এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণেই এমনটি হচ্ছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালটিতে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির জনবলের চরম সংকট রয়েছে। কাগজে-কলমে ৪৯ জন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও কাজ করছেন ৩৩ জন। ৪৮ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর জায়গায় রয়েছেন ১৪ জন। বাকি ৩৪টি পদ শূন্য অবস্থায় আছে। অফিস সহায়ক হিসেবে ২০ জন থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র সাতজন। বাকি ১৩টি পদ শূন্য রয়েছে। দুজন স্ট্রেচার বেয়ারার এবং কুক বা মশালচি পদে ছয়জন থাকার কথা থাকলেও এ দুটি পদই শূন্য অবস্থায় রয়েছে। ১৬ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর জায়গায় আছেন মাত্র চারজন।
গতকাল হাসপাতালটিতে গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড, বারান্দা এবং শৌচাগার ময়লা-আবর্জনায় পরিপূর্ণ। হাসপাতাল ভবনের বাইরেও বিভিন্ন জায়গায় ময়লা-আবর্জনার স্তূপ পড়ে রয়েছে। হাসপাতাল ভবনের পশ্চিম পাশের ড্রেনের মধ্যে আবর্জনা পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। হাসপাতালজুড়ে রয়েছে দালালদের দৌরাত্ম্য।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে আরও জানা গেছে, হাসপাতাল আঙিনার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, ড্রেনের জলাবদ্ধতা নিরসন, মশা নিধনসহ বিভিন্ন বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পৌরসভার ওপর নির্ভরশীল। শহরের ময়ূর চত্বর থেকে সদর হাসপাতালে প্রবেশপথটি বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতেই ডুবে যায়। এর ফলে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগী এবং রোগীর স্বজনদের পোহাতে হয় সীমাহীন দুর্ভোগ। জলাবদ্ধতা নিরসনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ২০২১ সালের ২৪ জুন কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র বরাবর একটি চিঠি পাঠালেও লাভ হয়নি।
হাসপাতালে পার্টিশন দেওয়া, রেলিং সংস্কার, ট্যাঙ্ক পরিষ্কারসহ বিভিন্ন কক্ষ মেরামত করার জন্য গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর অনুমোদন নিতে হয়। এসব কাজের জন্য চিঠি চালাচালি করতেই মাসের পর মাস কেটে যায় বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ ড্রেনগুলো নির্মাণ বা সংস্কারের কাজ করে পিডব্লিউডি অথবা হেল্থ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট। হাসপাতালের বাইরে পানি জমলে সেটা নিয়ে কাজ করবে পৌরসভা।
কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. আবদুল মোমেন বলেন, ‘হাসপাতালটির যাবতীয় সংকট সমাধানের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। শিগগিরই সমাধান মিলবে বলে আশা করি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে