পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নান্দাইলে প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। উপজেলার ১১ ইউপিতে আওয়ামী লীগের ১০ জন প্রার্থী প্রচারের জন্য দলীয় কার্যালয় ব্যবহার করছেন। তবে এর ব্যতিক্রম দেখা গেছে নান্দাইল ইউনিয়নে। ওই ইউপির দলীয় কার্যালয় ব্যবহার করতে পারছেন না আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী। এ নিয়ে উপজেলায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।

দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নান্দাইল ইউপির চেয়ারম্যান পদে নৌকার মনোনয়ন চান সাবেক ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাতেম আলী। পরে দলীয় মনোনয়ন ফরম কেনেন। কিন্তু দল থেকে মনোনয়ন পান বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হক।

ফলে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে দলের বিদ্রোহী হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন হাতেম আলী। আর নিজের প্রচার কাজে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের হেমগঞ্জ বাজার কার্যালয় ব্যবহার করছেন তিনি।

সরেজমিন গতকাল বুধবার সকালে দেখা যায়, হেমগঞ্জ (ঝালুয়া) বাজারের গরুর হাটের পশ্চিম পাশে নান্দাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়। সামনে বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী হাতেম আলীর ঘোড়া প্রতীকের সারি সারি পোস্টার সাঁটানো।

কার্যালয়ের সামনে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললে তাঁরা জানান, নৌকা প্রতীকে যিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি আওয়ামী লীগের নেতা, ঘোড়া প্রতীকের হাতেম আলীও আওয়ামী লীগের। সুতরাং কার্যালয় কার দখলে, সেটা জানার বিষয় নয়।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হাতেম আলী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমি এই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। কার্যালয়ের ভাড়া আমি দিই। নির্বাচনে আমি প্রচার চালাচ্ছি। এখানে দখল করার কিছু নেই।’

অপরদিকে নান্দাইল ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ারুল হক বলেন, ‘কার্যালয় আওয়ামী লীগের হলেও আমি ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছি না। বিদ্রোহী প্রার্থী তাঁর দখলে রেখে প্রচার চালাচ্ছেন।’

আগামী ৫ জানুয়ারি নান্দাইল উপজেলার ১১টি ইউপির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে চেয়ারম্যান পদে ৬২ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩৯৯ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৩৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।