মো. মফিজুর রহমান, ফরিদপুর
তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও চরভদ্রাসন উপজেলার ১৫ ইউপির মধ্যে ১৪টিতেই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ওই এলাকায় নৌকার প্রার্থীর এমন ভরাডুবির মূল কারণ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ এবং ফরিদপুর-৪ আসনের সাংসদ মুজিবর রহমান নিক্সন চৌধুরীর বিরোধ।
বেসরকারি ফলে দেখা গেছে, এই ১৫ ইউপির মাত্র একটিতে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থী জিতেছেন। বাকি ১৪টির মধ্যে ৯টিতে সাংসদ নিক্সন সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং ৪টিতে বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
নৌকা প্রতীকের এমন পরাজয়ে দলটির তৃণমূল থেকে শুরু করে জেলা পর্যায়ে তুমুল আলোচনা- সমালোচনা শুরু হয়েছে। সাংসদ মুজিবর রহমান নিক্সন চৌধুরী দাবি করেছেন, সঠিক ও যোগ্য ব্যক্তিদের মনোনয়ন না দেওয়ায় সেখানে নৌকার এমন পরাজয় হয়েছে। তবে নিক্সনের এমন দাবির সঙ্গে একমত নন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মাসুদ হোসেন। তাঁর মতে, স্থানীয় নির্বাচনে দলের পরিচয়ের চেয়ে প্রার্থীর ভূমিকা বেশি থাকে। যাঁরা জিতেছেন, তাঁরা নিজের ভূমিকার কারণেই জিতেছেন।
ভাঙ্গা উপজেলার ১২ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে জয়ীরা হলেন কাউলিবেড়া ইউনিয়নে রেজাউল হাসনাত দুদু, আলগী ইউনিয়নে ম ম ছিদ্দিক মিয়া, তুজারপুর ইউনিয়নে ওলিউর রহমান, কালামৃধা ইউনিয়নে রেজাউল মাতুব্বর, আজিমনগর ইউনিয়নে শাহজাহান হাওলাদার, মানিকদাহ ইউনিয়নে সহিদুল ইসলাম বাচ্চু, হামিদনগর ইউনিয়নে খোকন মিয়া, ঘারুয়া ইউনিয়নে মনসুর আহম্মেদ মুন্সি, চুমুরদী ইউনিয়নে রফিকুল ইসলাম সোহাগ, নাসিরাবাদ ইউনিয়নে আলমগীর হোসেন, নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নে শাহবুর রহমান ও চান্দ্রা ইউনিয়নে খালেক মোল্লা। এই ১২টি ইউনিয়নের একটি নৌকার প্রার্থী, ৮টিতে মুজিবর রহমান নিক্সন চৌধুরী সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী, দুটিতে বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ও একটিতে অন্য এক স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
চরভদ্রাসনে উপজেলার তিনটি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে জয়ীরা হলেন গাজীরটেক ইউপিতে ইয়াকুব আলী, সদর ইউপিতে আজাদ খান এবং চরহরিরামপুরে জাহাঙ্গীর কবির। তাঁদের মধ্যে একজন বিএনপি সমর্থিত এবং অন্যজন সাংসদ নিক্সন চৌধুরী সমর্থিত প্রার্থী।
চরভদ্রাসন উপজেলার সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন খোকন মোল্লা। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়েও ভোটে তৃতীয় হয়েছেন। সেখানে জয় পেয়েছেন সাংসদ সমর্থিত প্রার্থী আজাদ খান। নিজের হারার বিষয়ে খোকন মোল্লা বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে এখন মুখ খুলতে চাচ্ছি না। তবে নৌকাকে হারানোর জন্য বিএনপি-জামায়াতসহ আওয়ামী লীগ বিরোধীরা এক হয়ে কাজ করেছেন।’
ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছিলেন ইস্কান্দার আলী খলিফা। তিনি দলের বিদ্রোহী প্রার্থী (সাংসদ সমর্থিত) রেজাউল মাতুব্বরের কাছে পরাজিত হয়েছেন। নৌকা প্রতীকের এই পরাজিত প্রার্থী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তো আর আওয়ামী লীগ রইছে না। বর্তমান এমপি সাহেবের লোকজনই অত্যন্ত সুকৌশলে ডুবাইছে।’
একই উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছিলেন আবুল কালাম আজাদ। এই ইউনিয়নে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী (সাংসদ সমর্থিত) মো. শাহজাহান হাওলাদার জয়ী হয়েছেন। পরাজয়ের কারণ হিসেবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বলেন, ‘ভোটে নৌকা জয়ী হোক তা “বড় জনপ্রতিনিধি” চান না। প্রচুর টাকার ছড়াছড়ি হয়েছে, প্রার্থী হিসেবে হয়তো আমাদেরও কিছু দুর্বলতা ছিল তাই বলে নৌকা এমন পরাজয়।’
নৌকার প্রার্থীদের এমন ভরাডুবির বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলছেন, আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ভাঙ্গা উপজেলার নাম সর্বজনস্বীকৃত। এরপরও ২০১৪ সালের পর থেকে ভাঙ্গায় জাতীয় নির্বাচন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের একের পর এক ভরাডুবি হচ্ছে। ফরিদপুর-৪ আসনের এমপি মুজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সন ২০১৪ সালে প্রথম নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই এই অঞ্চলে আওয়ামী রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যুক্ত হয় বলে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও এলাকাবাসী মনে করেন। তাঁরা বলছেন, বর্তমান সাংসদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের একটি অংশ এবং আওয়ামী লীগের বিরোধীরাও যুক্ত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর-৪ আসনের সাংসদ ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবর রহমান নিক্সন চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগের এই সময়ে যে উন্নয়ন হয়েছে তা অতীতে কখনো হয়নি, তবে কেনো নৌকার পরাজয় হবে? অযোগ্য ব্যক্তিদের দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় হয়তো এমন রেজাল্ট হয়েছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এলাকার গ্রহণযোগ্য এবং মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিকে বেছে নিতে না পারলে এমন ফল হয়।
তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও চরভদ্রাসন উপজেলার ১৫ ইউপির মধ্যে ১৪টিতেই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ওই এলাকায় নৌকার প্রার্থীর এমন ভরাডুবির মূল কারণ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ এবং ফরিদপুর-৪ আসনের সাংসদ মুজিবর রহমান নিক্সন চৌধুরীর বিরোধ।
বেসরকারি ফলে দেখা গেছে, এই ১৫ ইউপির মাত্র একটিতে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থী জিতেছেন। বাকি ১৪টির মধ্যে ৯টিতে সাংসদ নিক্সন সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং ৪টিতে বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
নৌকা প্রতীকের এমন পরাজয়ে দলটির তৃণমূল থেকে শুরু করে জেলা পর্যায়ে তুমুল আলোচনা- সমালোচনা শুরু হয়েছে। সাংসদ মুজিবর রহমান নিক্সন চৌধুরী দাবি করেছেন, সঠিক ও যোগ্য ব্যক্তিদের মনোনয়ন না দেওয়ায় সেখানে নৌকার এমন পরাজয় হয়েছে। তবে নিক্সনের এমন দাবির সঙ্গে একমত নন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মাসুদ হোসেন। তাঁর মতে, স্থানীয় নির্বাচনে দলের পরিচয়ের চেয়ে প্রার্থীর ভূমিকা বেশি থাকে। যাঁরা জিতেছেন, তাঁরা নিজের ভূমিকার কারণেই জিতেছেন।
ভাঙ্গা উপজেলার ১২ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে জয়ীরা হলেন কাউলিবেড়া ইউনিয়নে রেজাউল হাসনাত দুদু, আলগী ইউনিয়নে ম ম ছিদ্দিক মিয়া, তুজারপুর ইউনিয়নে ওলিউর রহমান, কালামৃধা ইউনিয়নে রেজাউল মাতুব্বর, আজিমনগর ইউনিয়নে শাহজাহান হাওলাদার, মানিকদাহ ইউনিয়নে সহিদুল ইসলাম বাচ্চু, হামিদনগর ইউনিয়নে খোকন মিয়া, ঘারুয়া ইউনিয়নে মনসুর আহম্মেদ মুন্সি, চুমুরদী ইউনিয়নে রফিকুল ইসলাম সোহাগ, নাসিরাবাদ ইউনিয়নে আলমগীর হোসেন, নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নে শাহবুর রহমান ও চান্দ্রা ইউনিয়নে খালেক মোল্লা। এই ১২টি ইউনিয়নের একটি নৌকার প্রার্থী, ৮টিতে মুজিবর রহমান নিক্সন চৌধুরী সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী, দুটিতে বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ও একটিতে অন্য এক স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
চরভদ্রাসনে উপজেলার তিনটি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে জয়ীরা হলেন গাজীরটেক ইউপিতে ইয়াকুব আলী, সদর ইউপিতে আজাদ খান এবং চরহরিরামপুরে জাহাঙ্গীর কবির। তাঁদের মধ্যে একজন বিএনপি সমর্থিত এবং অন্যজন সাংসদ নিক্সন চৌধুরী সমর্থিত প্রার্থী।
চরভদ্রাসন উপজেলার সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন খোকন মোল্লা। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়েও ভোটে তৃতীয় হয়েছেন। সেখানে জয় পেয়েছেন সাংসদ সমর্থিত প্রার্থী আজাদ খান। নিজের হারার বিষয়ে খোকন মোল্লা বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে এখন মুখ খুলতে চাচ্ছি না। তবে নৌকাকে হারানোর জন্য বিএনপি-জামায়াতসহ আওয়ামী লীগ বিরোধীরা এক হয়ে কাজ করেছেন।’
ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছিলেন ইস্কান্দার আলী খলিফা। তিনি দলের বিদ্রোহী প্রার্থী (সাংসদ সমর্থিত) রেজাউল মাতুব্বরের কাছে পরাজিত হয়েছেন। নৌকা প্রতীকের এই পরাজিত প্রার্থী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তো আর আওয়ামী লীগ রইছে না। বর্তমান এমপি সাহেবের লোকজনই অত্যন্ত সুকৌশলে ডুবাইছে।’
একই উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছিলেন আবুল কালাম আজাদ। এই ইউনিয়নে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী (সাংসদ সমর্থিত) মো. শাহজাহান হাওলাদার জয়ী হয়েছেন। পরাজয়ের কারণ হিসেবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বলেন, ‘ভোটে নৌকা জয়ী হোক তা “বড় জনপ্রতিনিধি” চান না। প্রচুর টাকার ছড়াছড়ি হয়েছে, প্রার্থী হিসেবে হয়তো আমাদেরও কিছু দুর্বলতা ছিল তাই বলে নৌকা এমন পরাজয়।’
নৌকার প্রার্থীদের এমন ভরাডুবির বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলছেন, আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ভাঙ্গা উপজেলার নাম সর্বজনস্বীকৃত। এরপরও ২০১৪ সালের পর থেকে ভাঙ্গায় জাতীয় নির্বাচন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের একের পর এক ভরাডুবি হচ্ছে। ফরিদপুর-৪ আসনের এমপি মুজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সন ২০১৪ সালে প্রথম নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই এই অঞ্চলে আওয়ামী রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যুক্ত হয় বলে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও এলাকাবাসী মনে করেন। তাঁরা বলছেন, বর্তমান সাংসদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের একটি অংশ এবং আওয়ামী লীগের বিরোধীরাও যুক্ত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর-৪ আসনের সাংসদ ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবর রহমান নিক্সন চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগের এই সময়ে যে উন্নয়ন হয়েছে তা অতীতে কখনো হয়নি, তবে কেনো নৌকার পরাজয় হবে? অযোগ্য ব্যক্তিদের দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় হয়তো এমন রেজাল্ট হয়েছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এলাকার গ্রহণযোগ্য এবং মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিকে বেছে নিতে না পারলে এমন ফল হয়।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে