সনি আজাদ, চারঘাট
পদ্মার শাখা, এক সময়ের খরস্রোতা বড়াল নদীতে এখন পানি প্রবাহ বন্ধ। এ সুযোগে নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছেন স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী। এই নদীর মাছ বিক্রি করেই চলত দু’পাড়ের জেলে পরিবারগুলোর সংসার। কিন্তু এখন তাঁরা আর নদীতে নামতে পারছেন না। এতে পরিবার নিয়ে জেলেরা বিপাকে পড়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, দখলদারদের সবাই প্রভাবশালী। গত মাসে পানি প্রবাহ বন্ধের পরপরই তাঁরা প্রভাব খাটিয়ে নদী দখলে নিতে বাঁধ তৈরি করতে থাকেন। উপজেলার বড়ালের উৎসমুখ থেকে অনুপমপুর ও মুংলি হয়ে কালুহাটি পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকায় অন্তত ২০টি ভাগে ভাগ করে মাটি দিয়ে ভরাট করাসহ বাঁশের চাটাই, কচুরিপানা, জালসহ বিভিন্নভাবে বাঁধ দিয়ে জবরদখল করে মাছ চাষ শুরু করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বড়ালের উৎসমুখ থেকেই শুরু হয়েছে দখল। রুস্তমপুর-কালুহাটি পর্যন্ত অন্তত ১০ কিলোমিটার নদী দখল করা হয়েছে। কোথাও কোথাও ভরাট করা হয়েছে মাটির বাঁধ দিয়ে। আবার কোথাও বাঁশের চাটাই ও জাল দিয়ে বাঁধ তৈরি করে মাছ ছাড়া হয়েছে। দখলদারদের মধ্যে রয়েছেন ঝিকরা এলাকার সন্টু আলী ও মুক্তার হোসেন, অনুপামপুর গ্রামের আসাদুল ইসলাম, মুংলি গ্রামের মহিদুল ইসলাম, পুঠিমারী এলাকার আব্দুল খালেক ও আড়ানী এলাকার সঞ্জয় হালদারসহ আরও একাধিক ব্যক্তি।
নদীতে মাছ ধরতে গেলে নদীপাড়ের অনুপমপুর গ্রামের বাসিন্দা মৎস্যজীবী এজারুল ইসলামের ছেলে সুমন আলী ও মিয়াপুরের আশকান আলীর ছেলে পিন্টুকে মারপিট করার ঘটনা ঘটেছে। দখলদারদের ভয়ে সাধারণ মানুষ নদীতে নামতে সাহস করতে পারছেন না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নদীর যেখানেই পানি কমছে, বাঁধ দেওয়া হচ্ছে সেখানেই। আধা কিলোমিটার থেকে শুরু করে এক কিলোমিটার বা কমবেশি পরিমাণের আয়তন নিয়ে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। শুরু হয়েছে মাছ ছাড়ার প্রস্তুতি। দখলদারেরা নদী পাড়ে পাহারাদার নিযুক্ত করেছেন। সাধারণ জেলেদের মাছ ধরতে নদীতে নামতে দেওয়া হচ্ছে না।
স্থানীয় জেলে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘নদীর তো সেই খরস্রোতা রুপ আর নেই। পানি যতটুকু আছে তাতেও মাছ ধরা নিষেধ। অনেকে দখল করে পুকুরের মতো জায়গা নির্বাচন করেছে। নদীতে জাল ফেলার উপায় নেই। এ অবস্থায় আমরা অসহায়।’
চারঘাট উপজেলা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাইফুল ইসলাম বাদশা জানান, পুরো বড়াল নদীতে বাঁধ দিয়ে নদীকে পুকুরেরমতো করে ফেলা হচ্ছে। মুরগির বিষ্ঠাসহ নানা রকম রাসায়নিক সার দিয়ে নষ্ট করা হচ্ছে পানি। দখলদাররা নদীতে কাউকে নামতে দিচ্ছেন না।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে দখলদার মহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মাছ ধরেই এক সময় আমাদের সংসার চলত। এখন নদীতে পানিও থাকে না মাছও হয় না। এ জন্য বাধ্য হয়েই মাছ ছেড়ে চাষ করার প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে কাউকে মারধর করা হয়নি।’
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ওয়ালিউল্লাহ মোল্লাহ বলেন, ‘নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করলে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ নষ্ট হয়। এতে দেশীয় প্রজাতির মাছের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য অফিস প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
পদ্মার শাখা, এক সময়ের খরস্রোতা বড়াল নদীতে এখন পানি প্রবাহ বন্ধ। এ সুযোগে নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছেন স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী। এই নদীর মাছ বিক্রি করেই চলত দু’পাড়ের জেলে পরিবারগুলোর সংসার। কিন্তু এখন তাঁরা আর নদীতে নামতে পারছেন না। এতে পরিবার নিয়ে জেলেরা বিপাকে পড়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, দখলদারদের সবাই প্রভাবশালী। গত মাসে পানি প্রবাহ বন্ধের পরপরই তাঁরা প্রভাব খাটিয়ে নদী দখলে নিতে বাঁধ তৈরি করতে থাকেন। উপজেলার বড়ালের উৎসমুখ থেকে অনুপমপুর ও মুংলি হয়ে কালুহাটি পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকায় অন্তত ২০টি ভাগে ভাগ করে মাটি দিয়ে ভরাট করাসহ বাঁশের চাটাই, কচুরিপানা, জালসহ বিভিন্নভাবে বাঁধ দিয়ে জবরদখল করে মাছ চাষ শুরু করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বড়ালের উৎসমুখ থেকেই শুরু হয়েছে দখল। রুস্তমপুর-কালুহাটি পর্যন্ত অন্তত ১০ কিলোমিটার নদী দখল করা হয়েছে। কোথাও কোথাও ভরাট করা হয়েছে মাটির বাঁধ দিয়ে। আবার কোথাও বাঁশের চাটাই ও জাল দিয়ে বাঁধ তৈরি করে মাছ ছাড়া হয়েছে। দখলদারদের মধ্যে রয়েছেন ঝিকরা এলাকার সন্টু আলী ও মুক্তার হোসেন, অনুপামপুর গ্রামের আসাদুল ইসলাম, মুংলি গ্রামের মহিদুল ইসলাম, পুঠিমারী এলাকার আব্দুল খালেক ও আড়ানী এলাকার সঞ্জয় হালদারসহ আরও একাধিক ব্যক্তি।
নদীতে মাছ ধরতে গেলে নদীপাড়ের অনুপমপুর গ্রামের বাসিন্দা মৎস্যজীবী এজারুল ইসলামের ছেলে সুমন আলী ও মিয়াপুরের আশকান আলীর ছেলে পিন্টুকে মারপিট করার ঘটনা ঘটেছে। দখলদারদের ভয়ে সাধারণ মানুষ নদীতে নামতে সাহস করতে পারছেন না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নদীর যেখানেই পানি কমছে, বাঁধ দেওয়া হচ্ছে সেখানেই। আধা কিলোমিটার থেকে শুরু করে এক কিলোমিটার বা কমবেশি পরিমাণের আয়তন নিয়ে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। শুরু হয়েছে মাছ ছাড়ার প্রস্তুতি। দখলদারেরা নদী পাড়ে পাহারাদার নিযুক্ত করেছেন। সাধারণ জেলেদের মাছ ধরতে নদীতে নামতে দেওয়া হচ্ছে না।
স্থানীয় জেলে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘নদীর তো সেই খরস্রোতা রুপ আর নেই। পানি যতটুকু আছে তাতেও মাছ ধরা নিষেধ। অনেকে দখল করে পুকুরের মতো জায়গা নির্বাচন করেছে। নদীতে জাল ফেলার উপায় নেই। এ অবস্থায় আমরা অসহায়।’
চারঘাট উপজেলা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাইফুল ইসলাম বাদশা জানান, পুরো বড়াল নদীতে বাঁধ দিয়ে নদীকে পুকুরেরমতো করে ফেলা হচ্ছে। মুরগির বিষ্ঠাসহ নানা রকম রাসায়নিক সার দিয়ে নষ্ট করা হচ্ছে পানি। দখলদাররা নদীতে কাউকে নামতে দিচ্ছেন না।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে দখলদার মহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মাছ ধরেই এক সময় আমাদের সংসার চলত। এখন নদীতে পানিও থাকে না মাছও হয় না। এ জন্য বাধ্য হয়েই মাছ ছেড়ে চাষ করার প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে কাউকে মারধর করা হয়নি।’
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ওয়ালিউল্লাহ মোল্লাহ বলেন, ‘নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করলে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ নষ্ট হয়। এতে দেশীয় প্রজাতির মাছের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য অফিস প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে