শাকিলা ববি, সিলেট
বাবা মো. সোহেল আহমদ ছিলেন গাড়িচালক। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার চার দিন আগে গাড়ি চালানো অবস্থায় হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধে মারা যান তিনি। একদিকে বাবা হারানোর কষ্ট অন্যদিকে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির মৃত্যু। দিশেহারা হয়ে পড়েন সুরাইয়া আক্তার জেরিন। তবু সব কষ্ট বুকে চেপে পরীক্ষায় অংশ নেন তিনি। অর্জন করেন জিপিএ-৫।
জেরিন চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু অভাবের সংসারে তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ হবে কি না তাই নিয়ে চিন্তিত তিনি।
অদম্য এই মেধাবী সিলেটের আম্বরখানা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী। এবার সিলেট শিক্ষা বোর্ড থেকে বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষায় অংশ নেন তিনি।
নগরীর আহসানিয়া নেহারিপাড়া এলাকায় থাকেন জেরিন। বাবা মারা যাওয়ার পর তিন বোন আর মাকে নিয়ে পরিবার তাঁর। সবার বড় হওয়ায় বাবা চলে যাওয়ার পর সংসারের দায়িত্ব এসে পড়ে তাঁর কাঁধে। তাই পরীক্ষা শেষ করেই নেমে পড়তে হয় জীবনযুদ্ধে। পড়ালেখা ছাড়া আর তেমন কিছুই জানা ছিল না তাঁর। তাই এই পড়ালেখাকে হাতিয়ার করে সামনে এগিয়ে চলার সিদ্ধান্ত নেন জেরিন। শুরু করেন ছাত্র পড়ানো। ছাত্র-ছাত্রী পড়িয়েই বর্তমানে সংসার চালান জেরিন। পাশাপাশি তাঁর মা মোছা. শান্তা বেগম মাঝে মাঝে কাপড় সেলাইয়ের কাজ করে সংসারে অর্থের জোগান দেন।
জেরিন জানান, তিনি সিলেট বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ৪.২২ পেয়ে এসএসসি পাস করেন। আম্বরখানা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পান। এখন মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়ে পড়ার অনেক ইচ্ছা তাঁর। কিন্তু মেডিকেলে পড়তে হলে অনেক টাকার প্রয়োজন। সেই টাকার জোগান দেওয়ার ক্ষমতা তাঁর পরিবারের নেই। তার ওপর বাবা মারা যাওয়ায় সংসার চালানোর ভার এসে পড়েছে তাঁর ওপর। তাই তিনি ভাবছেন নার্সিংয়ে ভর্তি হবেন।
সুরাইয়া আক্তার জেরিন বলেন, ‘পরীক্ষার চার দিন আগে বাবা মারা যান। আমি যে পরীক্ষা দিতে পারব সেটাই ভাবিনি। তারপর প্রথম পরীক্ষা কোনোভাবে দিয়ে আসলাম। বাবা হারানো শোক ছাড়ছিল না আমায়, তাই প্রথম পরীক্ষায় হলে অনেক কান্না করেছি। এরপর আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে পরীক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি ভাবিনি জিপিএ-৫ পাব। ভেবেছি হয়তো ভালোভাবে পাস করব। তাই এখন পড়ার টান আরও বেড়ে গেছে।’
জেরিন বলেন, ‘আমার তিন বোনও লেখাপড়া করছে। আমার এক বোন এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। আরেক বোন এসএসসি পরীক্ষা দেবে। আরেকজন নবম শ্রেণিতে পড়ে। তাদের পড়ালেখার খরচ, সংসার খরচ সব আমাকে দেখতে হবে। আমার জন্য যেন তাদের পড়া নষ্ট না হয় সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।’
বাবা মো. সোহেল আহমদ ছিলেন গাড়িচালক। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার চার দিন আগে গাড়ি চালানো অবস্থায় হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধে মারা যান তিনি। একদিকে বাবা হারানোর কষ্ট অন্যদিকে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির মৃত্যু। দিশেহারা হয়ে পড়েন সুরাইয়া আক্তার জেরিন। তবু সব কষ্ট বুকে চেপে পরীক্ষায় অংশ নেন তিনি। অর্জন করেন জিপিএ-৫।
জেরিন চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু অভাবের সংসারে তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ হবে কি না তাই নিয়ে চিন্তিত তিনি।
অদম্য এই মেধাবী সিলেটের আম্বরখানা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী। এবার সিলেট শিক্ষা বোর্ড থেকে বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষায় অংশ নেন তিনি।
নগরীর আহসানিয়া নেহারিপাড়া এলাকায় থাকেন জেরিন। বাবা মারা যাওয়ার পর তিন বোন আর মাকে নিয়ে পরিবার তাঁর। সবার বড় হওয়ায় বাবা চলে যাওয়ার পর সংসারের দায়িত্ব এসে পড়ে তাঁর কাঁধে। তাই পরীক্ষা শেষ করেই নেমে পড়তে হয় জীবনযুদ্ধে। পড়ালেখা ছাড়া আর তেমন কিছুই জানা ছিল না তাঁর। তাই এই পড়ালেখাকে হাতিয়ার করে সামনে এগিয়ে চলার সিদ্ধান্ত নেন জেরিন। শুরু করেন ছাত্র পড়ানো। ছাত্র-ছাত্রী পড়িয়েই বর্তমানে সংসার চালান জেরিন। পাশাপাশি তাঁর মা মোছা. শান্তা বেগম মাঝে মাঝে কাপড় সেলাইয়ের কাজ করে সংসারে অর্থের জোগান দেন।
জেরিন জানান, তিনি সিলেট বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ৪.২২ পেয়ে এসএসসি পাস করেন। আম্বরখানা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পান। এখন মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়ে পড়ার অনেক ইচ্ছা তাঁর। কিন্তু মেডিকেলে পড়তে হলে অনেক টাকার প্রয়োজন। সেই টাকার জোগান দেওয়ার ক্ষমতা তাঁর পরিবারের নেই। তার ওপর বাবা মারা যাওয়ায় সংসার চালানোর ভার এসে পড়েছে তাঁর ওপর। তাই তিনি ভাবছেন নার্সিংয়ে ভর্তি হবেন।
সুরাইয়া আক্তার জেরিন বলেন, ‘পরীক্ষার চার দিন আগে বাবা মারা যান। আমি যে পরীক্ষা দিতে পারব সেটাই ভাবিনি। তারপর প্রথম পরীক্ষা কোনোভাবে দিয়ে আসলাম। বাবা হারানো শোক ছাড়ছিল না আমায়, তাই প্রথম পরীক্ষায় হলে অনেক কান্না করেছি। এরপর আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে পরীক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি ভাবিনি জিপিএ-৫ পাব। ভেবেছি হয়তো ভালোভাবে পাস করব। তাই এখন পড়ার টান আরও বেড়ে গেছে।’
জেরিন বলেন, ‘আমার তিন বোনও লেখাপড়া করছে। আমার এক বোন এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। আরেক বোন এসএসসি পরীক্ষা দেবে। আরেকজন নবম শ্রেণিতে পড়ে। তাদের পড়ালেখার খরচ, সংসার খরচ সব আমাকে দেখতে হবে। আমার জন্য যেন তাদের পড়া নষ্ট না হয় সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে