সনি আজাদ, চারঘাট
পুকুর আছে, কিন্তু পুকুরের পাড় নাই। রাস্তা ব্যবহার হচ্ছে পুকুরের পাড় হিসেবে। তাতে বছর না যেতেই কোটি টাকার রাস্তা ধসে পড়ছে পুকুরের পানিতে। চারঘাটের গ্রামীণ জনপদের রাস্তার ধারে গড়ে ওঠা পুকুরগুলোর কারণে রাস্তার এরকম ভেঙে পড়ার চিত্র সবখানেই চোখে পড়ে।
অবাধে গড়ে ওঠা পাড়বিহীন পুকুরগুলোর কারণে একদিকে জনদুর্ভোগ বাড়ে, অন্যদিকে সরকারের কোটি কোটি টাকা অপচয় হয়। সমস্যা থেকে উত্তরণে গ্রামীণ রাস্তার পাশে পুকুর খননে সতর্ক করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়, নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে গ্রামীণ সড়কের ধার ঘেঁষে পুকুর, সেচ নালা খনন করা দেশের প্রচলিত আইন অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কোনো ব্যক্তি রাস্তার ধার ঘেঁষে পুকুর, খাল বা কূপ অথবা সেচনালা তৈরি করলে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে নিজ খরচে সুরক্ষা ঢাল নির্মাণ করবেন। এ ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা সৃষ্টি হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ১৫ দিনের মধ্যে তা অপসারণ, খনন বা পুনঃখনন, বন্ধ বা ভরাট করার আদেশ দিতে পারেন।
চারঘাট উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১১৪টি গ্রামে ৬৩৭টি রাস্তা রয়েছে। রাস্তার মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৭৬৭ কিলোমিটার। এর মধ্যে পাকা রাস্তা রয়েছে প্রায় ৩৭৫ কিলোমিটার। প্রত্যেকটি গ্রামীণ এলাকায় রাস্তার ধারে রয়েছে অসংখ্য পুকুর। ছোট-বড় পুকুর মিলে রাস্তাকে পাড় হিসেবে ব্যবহার করে পুকুর খনন করা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকার কোটি টাকা খরচ করে রাস্তা তৈরি করে। কিছুদিন না যেতেই এসব রাস্তা পুকুরে ভেঙে পড়ছে। অল্প অল্প করে ভাঙতে ভাঙতে একসময় পুরো রাস্তা বিলীন হয়ে যায় পুকুরে। এতে পথচারীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। বছরের পর বছর এসব ভাঙা রাস্তা আর মেরামত হয় না। রাস্তার ধারে পুকুর খনন করলেও কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পুকুরে রাস্তার ক্ষতি বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয় সভায় একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশক্রমে উপজেলা জুড়ে মাইকিং করা হয়েছে। তারপরও অসাধু পুকুর মালিকেরা সচেতন হয়নি।
চারঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে পুকুর মালিকদের সতর্ক করলেও তাঁরা শুনছেন না। পুকুরে সার প্রয়োগে অল্প দিনেই কোটি টাকার রাস্তা পুকুরে বিলীন হচ্ছে। সরকারিভাবে এত পুকুরের পাড় মেরামত সম্ভব না। আমরা পুকুরগুলোর তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’
উপজেলা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম জানান, ‘আমরা সরকারি টাকায় রাস্তাগুলো তৈরি করি। অথচ সেই রাস্তা কিছুদিন না যেতেই পুকুরে ধসে পড়ে। পুকুর মালিকদের সচেতনতা প্রয়োজন। ব্যক্তিগত পুকুরের জন্য সরকারি সম্পদ নষ্ট করা আইনগত অপরাধ। এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশনা পেয়েছি।’
পুকুর আছে, কিন্তু পুকুরের পাড় নাই। রাস্তা ব্যবহার হচ্ছে পুকুরের পাড় হিসেবে। তাতে বছর না যেতেই কোটি টাকার রাস্তা ধসে পড়ছে পুকুরের পানিতে। চারঘাটের গ্রামীণ জনপদের রাস্তার ধারে গড়ে ওঠা পুকুরগুলোর কারণে রাস্তার এরকম ভেঙে পড়ার চিত্র সবখানেই চোখে পড়ে।
অবাধে গড়ে ওঠা পাড়বিহীন পুকুরগুলোর কারণে একদিকে জনদুর্ভোগ বাড়ে, অন্যদিকে সরকারের কোটি কোটি টাকা অপচয় হয়। সমস্যা থেকে উত্তরণে গ্রামীণ রাস্তার পাশে পুকুর খননে সতর্ক করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়, নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে গ্রামীণ সড়কের ধার ঘেঁষে পুকুর, সেচ নালা খনন করা দেশের প্রচলিত আইন অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কোনো ব্যক্তি রাস্তার ধার ঘেঁষে পুকুর, খাল বা কূপ অথবা সেচনালা তৈরি করলে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে নিজ খরচে সুরক্ষা ঢাল নির্মাণ করবেন। এ ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা সৃষ্টি হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ১৫ দিনের মধ্যে তা অপসারণ, খনন বা পুনঃখনন, বন্ধ বা ভরাট করার আদেশ দিতে পারেন।
চারঘাট উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১১৪টি গ্রামে ৬৩৭টি রাস্তা রয়েছে। রাস্তার মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৭৬৭ কিলোমিটার। এর মধ্যে পাকা রাস্তা রয়েছে প্রায় ৩৭৫ কিলোমিটার। প্রত্যেকটি গ্রামীণ এলাকায় রাস্তার ধারে রয়েছে অসংখ্য পুকুর। ছোট-বড় পুকুর মিলে রাস্তাকে পাড় হিসেবে ব্যবহার করে পুকুর খনন করা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকার কোটি টাকা খরচ করে রাস্তা তৈরি করে। কিছুদিন না যেতেই এসব রাস্তা পুকুরে ভেঙে পড়ছে। অল্প অল্প করে ভাঙতে ভাঙতে একসময় পুরো রাস্তা বিলীন হয়ে যায় পুকুরে। এতে পথচারীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। বছরের পর বছর এসব ভাঙা রাস্তা আর মেরামত হয় না। রাস্তার ধারে পুকুর খনন করলেও কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পুকুরে রাস্তার ক্ষতি বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয় সভায় একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশক্রমে উপজেলা জুড়ে মাইকিং করা হয়েছে। তারপরও অসাধু পুকুর মালিকেরা সচেতন হয়নি।
চারঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে পুকুর মালিকদের সতর্ক করলেও তাঁরা শুনছেন না। পুকুরে সার প্রয়োগে অল্প দিনেই কোটি টাকার রাস্তা পুকুরে বিলীন হচ্ছে। সরকারিভাবে এত পুকুরের পাড় মেরামত সম্ভব না। আমরা পুকুরগুলোর তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’
উপজেলা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম জানান, ‘আমরা সরকারি টাকায় রাস্তাগুলো তৈরি করি। অথচ সেই রাস্তা কিছুদিন না যেতেই পুকুরে ধসে পড়ে। পুকুর মালিকদের সচেতনতা প্রয়োজন। ব্যক্তিগত পুকুরের জন্য সরকারি সম্পদ নষ্ট করা আইনগত অপরাধ। এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশনা পেয়েছি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে