উপল বড়ুয়া, ঢাকা
ক্রিকেটে এখন ‘ ব্রেন ফেড’ শব্দটি বেশ পরিচিত হয়ে গেছে। যার বাংলা করা যেতে পারে সাময়িক ‘মতিভ্রম’ বা ‘বুদ্ধিনাশ’। ক্রিকেটার হোক বা ফুটবলার; কিংবা অ্যাথলেটদের মাঠে হঠাৎ মস্তিষ্ক সেকেন্ডের ভগ্নাংশে অচল হয়ে যাওয়ার ঘটনা কম নয়। সম্প্রতি আবারও আলোচনায় ব্রেন ফেড।
গত পরশু শুক্রবার রাতে ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ভারত। এই ম্যাচেই এক অদ্ভুতুড়ে ঘটনার জন্ম দিয়েছেন ওবেদ ম্যাককয়। রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে রান আউটের সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন ক্যারিবীয় বোলার।
ম্যাককয়ের হাতে যখন বল আসে তখনো ব্যাটার অশ্বিন ক্রিজের অনেক বাইরে। একটু সময় নিয়ে স্টাম্প ভাঙলেও নিশ্চিত আউট হতেন অশ্বিন। কিন্তু বল হাতে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকেন ম্যাককয়। ফিল্ডারের ছোড়া বল ধরে তিনি স্টাম্পে লাগাতে চেয়েও শেষ মুহূর্তে আর লাগাননি। পেছনে তাকিয়ে দেখেন তখনো ব্যাটার ক্রিজের কাছেও আসেননি।
ম্যাককয় কেন এমনটা করলেন? ধারাভাষ্যে থাকা সাবেক দুই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার ড্যারেন স্যামি ও স্যামুয়েল বাদ্রিও এর উত্তর খুঁজে পাচ্ছিলেন না। স্যামি চিৎকার করে বলেন, ‘এটা কী হচ্ছে?’ বাদ্রি তখন উত্তর দেন, ‘এটা ব্যাখ্যাতীত।’
এই ঘটনা ব্যাখ্যাতীত বটে। ম্যাককয় ওই সময় কী ভাবছিলেন? ঘটনার চাপে হঠাৎ কিছু সময়ের জন্য ‘ব্ল্যাকআউট’ হয়ে যাওয়া সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রেও ঘটতে পারে। আর মাঠে এমন ঘটনা নতুন নয়। ‘ ব্রেন ফেড’ নিয়ে জোর আলোচনা আগেও হয়েছে। ২০১৭ সালে ভারতের বিপক্ষে চার ম্যাচের সিরিজে বেঙ্গালুরুতে দ্বিতীয় টেস্টে স্টিভেন স্মিথ যে ‘ডিআরএস’ বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন তার মূলে ছিল এই ব্রেন ফেড। বলা হয়, স্মিথের সৌজন্যেই ক্রিকেট বিশ্ব প্রথম পরিচিত হয়েছে এই বিষয়টির সঙ্গে।
বেঙ্গালুরু টেস্টে উমেশ যাদবের বল স্মিথের প্যাডে লাগলে আউট দেন আম্পায়ার। অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার রিভিউ নেবেন কি না, বুঝতে পারছিলেন না। অন্য প্রান্তে ব্যাটিংয়ে থাকা পিটার হ্যান্ডসকম্ব থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে তিনি ড্রেসিংরুমের দিকে ইশারায় করণীয় কী জানতে চান। তাতে বেশ ক্ষেপে যান আম্পায়ার ও বিরাট কোহলি। একে স্মিথের ‘প্রতারণা’ হিসেবে মনে করেছিলেন তাঁরা। এমনকি এই ঘটনাকে অনেকে ‘ম্যাচ ফিক্সিং’ হিসেবেও উল্লেখ করেন। স্মিথের এই আচরণ নিয়ে সে সময় ক্রিকেট দুনিয়ায় বেশ ঝড় বয়ে যায়। এবার ম্যাককয়ের এই ঘটনাতেও অনেকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের গন্ধ পাচ্ছেন। ইতিমধ্যে ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ ভাইরাল।
ব্রেন ফেডের আরেকটি বড় উদাহরণ—২০১৮ সালের পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়ার আবুধাবি টেস্ট। তৃতীয় দিনের শুরুতে অজি পেসার পিটার সিডলের বল ড্রাইভ করেন আজহার আলী। ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় গালিতে। বাউন্ডারি হয়েছে ভেবে তিনি ক্রিজের মাঝপথে এসে খোশগল্পে মেতে ওঠেন নন-স্ট্রাইকে থাকা আসাদ শফিকের সঙ্গে। ওদিকে বল থেমে গেছে বাউন্ডারির কাছে। মিচেল স্টার্ক দৌড়ে গিয়ে বল ছুড়ে দেন টিম পেইনকে। অজি উইকেটরক্ষক বল স্টাম্পে লাগাতে সময় নেননি। ওদিকে তখনো গল্পে মত্ত আজহার-শফিক। পরে ঘটনা বুঝতে পেরে হাঁটা ধরেন আজহার।
ক্রিকেট মাঠে ব্রেন ফেডের এমন ঘটনার অনেক উদাহরণ রয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানেও এখনো এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা নেই। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চিকিৎসক মঞ্জুর হোসেনের কাছে। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘ ব্রেন ফেড যেকোনো মানুষের যেকোনো সময় হতে পারে। এটা হলে মানুষ হঠাৎ অন্যমনস্ক হয়ে পড়ে, তখন ক্ষণিকের জন্য তার মস্তিষ্কের স্নায়ু কাজ করে না।’
মঞ্জুর মনে করিয়ে দিলেন গত মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টে মেহেদী হাসান মিরাজের ফিল্ডিংয়ের সময় অন্যমনস্ক হয়ে পড়ার সেই ঘটনাও। ফিল্ডিংয়ের সময় মিরাজ অন্যদিকে তাকিয়ে ছিলেন, বল এসে বুকে লাগলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তিনি বুঝতেই পারেননি বল কোন দিক থেকে আসছে।
বাংলাদেশের আরেক ক্রিকেটার তামিম ইকবালও একবার মতিভ্রমের শিকার হয়েছিলেন। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে সিরিজের প্রথম টেস্টে সফরকারীদের প্রথম ইনিংসে স্টাম্পড হোন তিনি। স্ট্রাইকে থাকা এই ওপেনার ভেবেছিলেন, লক্ষণ সান্দাকানের বল লেগ সাইডে তাঁর প্যাড ছুঁয়ে উইকেটরক্ষকের পাশ দিয়ে চলে গেছে। তামিম ক্রিজের বাইরে চলে আসায় সুযোগ বুঝে গ্লাভস হাতে স্টাম্প ভেঙে দেন নিরোশান ডিকভেলা। এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বাংলাদেশের তখনকার কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে সংবাদ সম্মেলনে জানান, এটি ছিল তামিমের ‘ ব্রেন ফেড’।
ক্রিকেটে এখন ‘ ব্রেন ফেড’ শব্দটি বেশ পরিচিত হয়ে গেছে। যার বাংলা করা যেতে পারে সাময়িক ‘মতিভ্রম’ বা ‘বুদ্ধিনাশ’। ক্রিকেটার হোক বা ফুটবলার; কিংবা অ্যাথলেটদের মাঠে হঠাৎ মস্তিষ্ক সেকেন্ডের ভগ্নাংশে অচল হয়ে যাওয়ার ঘটনা কম নয়। সম্প্রতি আবারও আলোচনায় ব্রেন ফেড।
গত পরশু শুক্রবার রাতে ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ভারত। এই ম্যাচেই এক অদ্ভুতুড়ে ঘটনার জন্ম দিয়েছেন ওবেদ ম্যাককয়। রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে রান আউটের সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন ক্যারিবীয় বোলার।
ম্যাককয়ের হাতে যখন বল আসে তখনো ব্যাটার অশ্বিন ক্রিজের অনেক বাইরে। একটু সময় নিয়ে স্টাম্প ভাঙলেও নিশ্চিত আউট হতেন অশ্বিন। কিন্তু বল হাতে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকেন ম্যাককয়। ফিল্ডারের ছোড়া বল ধরে তিনি স্টাম্পে লাগাতে চেয়েও শেষ মুহূর্তে আর লাগাননি। পেছনে তাকিয়ে দেখেন তখনো ব্যাটার ক্রিজের কাছেও আসেননি।
ম্যাককয় কেন এমনটা করলেন? ধারাভাষ্যে থাকা সাবেক দুই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার ড্যারেন স্যামি ও স্যামুয়েল বাদ্রিও এর উত্তর খুঁজে পাচ্ছিলেন না। স্যামি চিৎকার করে বলেন, ‘এটা কী হচ্ছে?’ বাদ্রি তখন উত্তর দেন, ‘এটা ব্যাখ্যাতীত।’
এই ঘটনা ব্যাখ্যাতীত বটে। ম্যাককয় ওই সময় কী ভাবছিলেন? ঘটনার চাপে হঠাৎ কিছু সময়ের জন্য ‘ব্ল্যাকআউট’ হয়ে যাওয়া সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রেও ঘটতে পারে। আর মাঠে এমন ঘটনা নতুন নয়। ‘ ব্রেন ফেড’ নিয়ে জোর আলোচনা আগেও হয়েছে। ২০১৭ সালে ভারতের বিপক্ষে চার ম্যাচের সিরিজে বেঙ্গালুরুতে দ্বিতীয় টেস্টে স্টিভেন স্মিথ যে ‘ডিআরএস’ বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন তার মূলে ছিল এই ব্রেন ফেড। বলা হয়, স্মিথের সৌজন্যেই ক্রিকেট বিশ্ব প্রথম পরিচিত হয়েছে এই বিষয়টির সঙ্গে।
বেঙ্গালুরু টেস্টে উমেশ যাদবের বল স্মিথের প্যাডে লাগলে আউট দেন আম্পায়ার। অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার রিভিউ নেবেন কি না, বুঝতে পারছিলেন না। অন্য প্রান্তে ব্যাটিংয়ে থাকা পিটার হ্যান্ডসকম্ব থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে তিনি ড্রেসিংরুমের দিকে ইশারায় করণীয় কী জানতে চান। তাতে বেশ ক্ষেপে যান আম্পায়ার ও বিরাট কোহলি। একে স্মিথের ‘প্রতারণা’ হিসেবে মনে করেছিলেন তাঁরা। এমনকি এই ঘটনাকে অনেকে ‘ম্যাচ ফিক্সিং’ হিসেবেও উল্লেখ করেন। স্মিথের এই আচরণ নিয়ে সে সময় ক্রিকেট দুনিয়ায় বেশ ঝড় বয়ে যায়। এবার ম্যাককয়ের এই ঘটনাতেও অনেকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের গন্ধ পাচ্ছেন। ইতিমধ্যে ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ ভাইরাল।
ব্রেন ফেডের আরেকটি বড় উদাহরণ—২০১৮ সালের পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়ার আবুধাবি টেস্ট। তৃতীয় দিনের শুরুতে অজি পেসার পিটার সিডলের বল ড্রাইভ করেন আজহার আলী। ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় গালিতে। বাউন্ডারি হয়েছে ভেবে তিনি ক্রিজের মাঝপথে এসে খোশগল্পে মেতে ওঠেন নন-স্ট্রাইকে থাকা আসাদ শফিকের সঙ্গে। ওদিকে বল থেমে গেছে বাউন্ডারির কাছে। মিচেল স্টার্ক দৌড়ে গিয়ে বল ছুড়ে দেন টিম পেইনকে। অজি উইকেটরক্ষক বল স্টাম্পে লাগাতে সময় নেননি। ওদিকে তখনো গল্পে মত্ত আজহার-শফিক। পরে ঘটনা বুঝতে পেরে হাঁটা ধরেন আজহার।
ক্রিকেট মাঠে ব্রেন ফেডের এমন ঘটনার অনেক উদাহরণ রয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানেও এখনো এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা নেই। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চিকিৎসক মঞ্জুর হোসেনের কাছে। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘ ব্রেন ফেড যেকোনো মানুষের যেকোনো সময় হতে পারে। এটা হলে মানুষ হঠাৎ অন্যমনস্ক হয়ে পড়ে, তখন ক্ষণিকের জন্য তার মস্তিষ্কের স্নায়ু কাজ করে না।’
মঞ্জুর মনে করিয়ে দিলেন গত মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টে মেহেদী হাসান মিরাজের ফিল্ডিংয়ের সময় অন্যমনস্ক হয়ে পড়ার সেই ঘটনাও। ফিল্ডিংয়ের সময় মিরাজ অন্যদিকে তাকিয়ে ছিলেন, বল এসে বুকে লাগলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তিনি বুঝতেই পারেননি বল কোন দিক থেকে আসছে।
বাংলাদেশের আরেক ক্রিকেটার তামিম ইকবালও একবার মতিভ্রমের শিকার হয়েছিলেন। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে সিরিজের প্রথম টেস্টে সফরকারীদের প্রথম ইনিংসে স্টাম্পড হোন তিনি। স্ট্রাইকে থাকা এই ওপেনার ভেবেছিলেন, লক্ষণ সান্দাকানের বল লেগ সাইডে তাঁর প্যাড ছুঁয়ে উইকেটরক্ষকের পাশ দিয়ে চলে গেছে। তামিম ক্রিজের বাইরে চলে আসায় সুযোগ বুঝে গ্লাভস হাতে স্টাম্প ভেঙে দেন নিরোশান ডিকভেলা। এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বাংলাদেশের তখনকার কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে সংবাদ সম্মেলনে জানান, এটি ছিল তামিমের ‘ ব্রেন ফেড’।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে