নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁয় চালের বাজারে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা। ঈদের পর অর্থাৎ ১৫-১৬ দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে বেড়েছে দুই থেকে চার টাকা। ভরা মৌসুমে চালের মূল্য বৃদ্ধিকে সিন্ডিকেটের কারসাজি বলে মনে করছেন ক্রেতারা। এদিকে অন্য পণ্যের মতো আবারও চালের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার বোরো মৌসুমে ঝড়-বৃষ্টিতে পাকা ধানের ক্ষতি করেছে। যার প্রভাব পড়ছে ধান-চালের বাজারে। হাটগুলোতে ধানের দাম বেশি হওয়ার কারণেই পুরোনো কিছু চালের দাম বেড়েছে।
খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, মিলাররা এখন ধান কেনা এবং চাতালে ধান শুকানো নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। খুচরা বাজারে চাহিদামতো চাল সরবরাহ করছেন না তাঁরা। এ জন্য মোকাম থেকেই বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে তাঁদের। তাই খুচরা বাজারেও দাম বৃদ্ধি করেছেন তাঁরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার নওগাঁর পৌর এলাকার খুচরা চাল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটা চালের (স্বর্ণা-৫, হাইব্রিড স্বর্ণা) দাম প্রতি বস্তায় ১৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি স্বর্ণা-৫ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়, যা আগে ছিল ৪০-৪২ টাকা। পুরোনো জিরা চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬২ টাকায়, যা আগে ৫৫-৫৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া ২-৩ টাকা দাম বেড়ে কাটারিভোগ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০ টাকায়, বিআর-২৮ বিক্রি হচ্ছে ৫৪ টাকা কেজি। ধানের ভরা মৌসুমেও দাম বেড়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে পরেছেন ক্রেতারা।
চাল কিনতে আসা সারোয়ার হোসেন বলেন, ‘চালের দাম বেড়েই চলেছে। গত সপ্তাহেও যে চাল ৬০ টাকায় কিনেছি আজ সেটা ৬৫ টাকায় কিনতে হলো। শুধু চাল নয়, বাজারে প্রতিটা পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। আমাদের মতো মধ্যবিত্ত মানুষের পক্ষে কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে, ব্যবসায়ীরা সবাই এক হয়ে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়েছে।’
আরেক ক্রেতা দিনমজুর মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘খেটে যে অল্প কটা টাকা আসে তার থেকে চালের দামই বেশি। এখন কী শুধু চাল কিনব নাকি অন্য বাজার করব? হামাকে দেশত কোনো জিনিসের দাম কমিচে এ কতা শোনা যায় না, খালি বাড়োইচে।’
এদিকে চালের মূল্য বৃদ্ধির জন্য মিল মালিকদের দায়ী করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন স্থানীয় চাল ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, দাম তো বাড়ায় মিল মালিকেরা। যে চালের বস্তা গতকাল সপ্তাহে ২ হাজার ৬০০ টাকা দিয়ে কিনেছেন সেটি গতকাল ২ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেনার সময় বেশি দিয়ে কিনে কমে কীভাবে বিক্রি করবেন বলে প্রশ্ন করেন তিনি।
আরেক চাল ব্যবসায়ী তাজু প্রামাণিক বলেন, মিলাররা এখন ধান কেনা এবং চাতালে ধান শুকানো নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। খুচরা বাজারে চাহিদামত সরবরাহ করছেন না। এ জন্য দুই-তিন জাতের চালের দাম কিছুটা বেড়েছে।
পৌর খুচরা চাল বাজার সমিতির সভাপতি উত্তম সরকার বলেন, ‘ঈদের পর থেকে স্বর্ণা-৫ চালের দাম বস্তা প্রতি ১০০-১৫০ টাকা বেড়েছে। সরু চালের দাম মোটামুটি অপরিবর্তিত। বাজারে নতুন ধান আসলেও চাল সরবরাহ পুরোদমে শুরু হয়নি। তবে কিছু চালের দাম গতবারের চেয়ে এবার বেড়েছে। ধানের দাম বেশি হওয়ায় চালের দাম বেড়েছে।
নওগাঁর ধান-চাল আড়তদার সমিতির সভাপতি নিরোদ বরণ সাহা চন্দন বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এই মৌসুমে ধানের ক্ষতি হয়েছে। তাই ধান কেনা এবং শুকানো নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন মিলাররা। যার কারণে মিলে উৎপাদন কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। এ সমস্ত বিভিন্ন বিষয় একত্রিত হয়ে ভরা মৌসুমে চালের বাজারটা ঊর্ধ্বমুখী।
নওগাঁ জেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, ১৫-২০ দিনের ব্যবধানে ধানের দাম প্রতি মণে বেড়েছে ১৫০-২০০ টাকা। যেহেতু ধানের দাম বেড়েছে, তাই চালের দামও বেড়েছে।
নওগাঁয় চালের বাজারে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা। ঈদের পর অর্থাৎ ১৫-১৬ দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে বেড়েছে দুই থেকে চার টাকা। ভরা মৌসুমে চালের মূল্য বৃদ্ধিকে সিন্ডিকেটের কারসাজি বলে মনে করছেন ক্রেতারা। এদিকে অন্য পণ্যের মতো আবারও চালের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার বোরো মৌসুমে ঝড়-বৃষ্টিতে পাকা ধানের ক্ষতি করেছে। যার প্রভাব পড়ছে ধান-চালের বাজারে। হাটগুলোতে ধানের দাম বেশি হওয়ার কারণেই পুরোনো কিছু চালের দাম বেড়েছে।
খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, মিলাররা এখন ধান কেনা এবং চাতালে ধান শুকানো নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। খুচরা বাজারে চাহিদামতো চাল সরবরাহ করছেন না তাঁরা। এ জন্য মোকাম থেকেই বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে তাঁদের। তাই খুচরা বাজারেও দাম বৃদ্ধি করেছেন তাঁরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার নওগাঁর পৌর এলাকার খুচরা চাল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটা চালের (স্বর্ণা-৫, হাইব্রিড স্বর্ণা) দাম প্রতি বস্তায় ১৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি স্বর্ণা-৫ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়, যা আগে ছিল ৪০-৪২ টাকা। পুরোনো জিরা চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬২ টাকায়, যা আগে ৫৫-৫৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া ২-৩ টাকা দাম বেড়ে কাটারিভোগ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০ টাকায়, বিআর-২৮ বিক্রি হচ্ছে ৫৪ টাকা কেজি। ধানের ভরা মৌসুমেও দাম বেড়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে পরেছেন ক্রেতারা।
চাল কিনতে আসা সারোয়ার হোসেন বলেন, ‘চালের দাম বেড়েই চলেছে। গত সপ্তাহেও যে চাল ৬০ টাকায় কিনেছি আজ সেটা ৬৫ টাকায় কিনতে হলো। শুধু চাল নয়, বাজারে প্রতিটা পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। আমাদের মতো মধ্যবিত্ত মানুষের পক্ষে কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে, ব্যবসায়ীরা সবাই এক হয়ে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়েছে।’
আরেক ক্রেতা দিনমজুর মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘খেটে যে অল্প কটা টাকা আসে তার থেকে চালের দামই বেশি। এখন কী শুধু চাল কিনব নাকি অন্য বাজার করব? হামাকে দেশত কোনো জিনিসের দাম কমিচে এ কতা শোনা যায় না, খালি বাড়োইচে।’
এদিকে চালের মূল্য বৃদ্ধির জন্য মিল মালিকদের দায়ী করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন স্থানীয় চাল ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, দাম তো বাড়ায় মিল মালিকেরা। যে চালের বস্তা গতকাল সপ্তাহে ২ হাজার ৬০০ টাকা দিয়ে কিনেছেন সেটি গতকাল ২ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেনার সময় বেশি দিয়ে কিনে কমে কীভাবে বিক্রি করবেন বলে প্রশ্ন করেন তিনি।
আরেক চাল ব্যবসায়ী তাজু প্রামাণিক বলেন, মিলাররা এখন ধান কেনা এবং চাতালে ধান শুকানো নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। খুচরা বাজারে চাহিদামত সরবরাহ করছেন না। এ জন্য দুই-তিন জাতের চালের দাম কিছুটা বেড়েছে।
পৌর খুচরা চাল বাজার সমিতির সভাপতি উত্তম সরকার বলেন, ‘ঈদের পর থেকে স্বর্ণা-৫ চালের দাম বস্তা প্রতি ১০০-১৫০ টাকা বেড়েছে। সরু চালের দাম মোটামুটি অপরিবর্তিত। বাজারে নতুন ধান আসলেও চাল সরবরাহ পুরোদমে শুরু হয়নি। তবে কিছু চালের দাম গতবারের চেয়ে এবার বেড়েছে। ধানের দাম বেশি হওয়ায় চালের দাম বেড়েছে।
নওগাঁর ধান-চাল আড়তদার সমিতির সভাপতি নিরোদ বরণ সাহা চন্দন বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এই মৌসুমে ধানের ক্ষতি হয়েছে। তাই ধান কেনা এবং শুকানো নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন মিলাররা। যার কারণে মিলে উৎপাদন কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। এ সমস্ত বিভিন্ন বিষয় একত্রিত হয়ে ভরা মৌসুমে চালের বাজারটা ঊর্ধ্বমুখী।
নওগাঁ জেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, ১৫-২০ দিনের ব্যবধানে ধানের দাম প্রতি মণে বেড়েছে ১৫০-২০০ টাকা। যেহেতু ধানের দাম বেড়েছে, তাই চালের দামও বেড়েছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে