ড. আমিরা আবো এল ফেতু
প্রতিবেশী কোনো আরব দেশ এটা করেনি, যাদের সঙ্গে কিনা ফিলিস্তিনের সীমান্ত রয়েছে, কিংবা করেনি কোনো মুসলিম দেশ; বরং হাজার হাজার কিলোমিটার দূরের একটি দেশ এটি করেছে। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় রক্তপাত দেখে আতঙ্কিত হয়েছিল দেশটির জনগণ; ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর বোমা ও গোলার আঘাতে নিহত শিশু, নারী ও বয়স্ক ব্যক্তিদের সংখ্যা এবং ধ্বংসযজ্ঞ দেখে তারা বিমূঢ় হয়ে পড়েছিল। তাই তো তারা আর সহ্য করতে পারেনি। গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা ঠুকে দিয়েছে। দেশটি হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
মহান স্বাধীনতাসংগ্রামী নেলসন ম্যান্ডেলার রাজনৈতিক উত্তরসূরিরা গাজায় ফিলিস্তিনিদের ট্র্যাজেডিতে কেঁপে ওঠেন। এদিকে, জায়নবাদী আরব সরকারগুলোর ফিলিস্তিনের এই নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের গণহত্যা দেখে কোনো প্রতিক্রিয়া হয়নি। হতাহত তো ৯০ হাজারের বেশি। দক্ষিণ আফ্রিকা যা করেছে তা আরব দেশগুলোর করা উচিত ছিল। কিন্তু তারা তা করেনি।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দাখিল করা মামলায় বর্ণবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে গাজা উপত্যকায় চলমান সামরিক অভিযানে গণহত্যা চালানোর জন্য সবচেয়ে গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়েছে। লজ্জাজনকভাবে, কোনো আরব বা ইসলামিক দেশ এই মামলায় যোগ দেয়নি, এমনকি ন্যূনতম ভদ্রতা করেও নয়।
যদিও মামলার ফল পেতে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে, তবে গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণ বন্ধ বা বন্ধ করার জন্য অস্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই আদালতের।
ইসরায়েল তিন মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর অনবরত বোমা হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা ও ভূমি দখল করছে—এই প্রেক্ষাপটে এ মামলা হয়েছে। এ হামলায় বহুসংখ্যক ফিলিস্তিনি, বিশেষ করে বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। মারা গেছেন শিশু, নারী ও বৃদ্ধরা। সেখানে গণকবর রয়েছে এবং পরিবারগুলোকে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে। গাজা উপত্যকার মানুষের জীবনযাত্রাকে অসম্ভব করে তুলতে ইচ্ছাকৃতভাবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে শর্ত আরোপ করা হয়েছে।
দখলদার ইসরায়েলি রাষ্ট্র ২২ লাখ ফিলিস্তিনিকে অবরুদ্ধ করেছে এবং খাদ্য, পানি, ওষুধ ও জ্বালানি ঢুকতে বাধা দিয়েছে। হাসপাতাল, স্কুল ও বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে; জনগণ তাদের জীবন বাঁচাতে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা, ওষুধ ও চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। মানব শরীরে অঙ্গচ্ছেদসহ বিভিন্ন অংশে অস্ত্রোপচার হয়েছে চেতনানাশক ছাড়াই।
ইসরায়েল রাষ্ট্র ফিলিস্তিনিদের ‘নিরাপদ এলাকায়’ সরে যেতে বলেছে এবং তারপর সেসব এলাকায় বোমা বর্ষণ করেছে। এক কথায়, গাজায় কোনো ‘নিরাপদ এলাকা’ নেই। ইসরায়েলের হাতে প্রতিদিন গড়ে ৪৮ জন নারী ও ১১৭ শিশু নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং রাজনীতিবিদেরা গাজা উপত্যকা ধ্বংস করার জন্য কার্পেট বোমা হামলা চালানোর অভিপ্রায় ঘোষণা করেছে। ইসরায়েলি সৈন্যরা ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর এমনকি কখনো কখনো পুরো গ্রাম ধ্বংসের আনন্দ উদ্যাপনের ছবি তুলেছে। তুলেই ক্ষান্ত দেয়নি, সামাজিক মাধ্যমে সেগুলো প্রচার করেছে। অতীতের গণহত্যার কথা মনে করিয়ে দেওয়ার দৃশ্যে গাজার মানুষ অপমানিত হয়েছে।
ইসরায়েল তার কথিত ‘হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে’ গাজা উপত্যকার সমগ্র জনগণের ওপর সমষ্টিগত শাস্তি দেয়। ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মতে, কোনো ফিলিস্তিনি নির্দোষ নয়। হামলা ও মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে ইসরায়েল প্রয়োজনীয় ত্রাণ বিতরণে বাধার সৃষ্টি করেছে। খাবার ও পানি সংগ্রহের জন্য সারিবদ্ধ ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে।
দখলদার রাষ্ট্রটি তার পশ্চিমা মিত্রদের, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মদদে দায়মুক্তির সঙ্গে এসব কাজ করতে সক্ষম হয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের সংবিধির ৪১ অনুচ্ছেদ অনুসারে, ‘পরিস্থিতি বিবেচনায় যেকোনো পক্ষের অধিকার সংরক্ষণে আপৎকালীন ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা এই আদালতের থাকবে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার মামলা করার উদ্দেশ্য হচ্ছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিজে) জায়নবাদী রাষ্ট্রের দখলদার সেনাবাহিনীর দ্বারা পরিচালিত সব সামরিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করার আদেশ দেবেন। কারণ এই সব সামরিক কর্মকাণ্ডই গত তিন মাসে সর্বাধিকসংখ্যক বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বক্তব্য হচ্ছে, আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিতে দেরি হতে পারে। সে পর্যন্ত ফিলিস্তিনিদের বেঁচে থাকার অধিকার সংরক্ষণে আদালতকে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। আর জায়নবাদীদের সবকিছু করতে বাধ্য করা, যাতে তারা প্রমাণ ধ্বংস করার বদলে সংরক্ষণ করে।
দখলদারির দ্বারা সংঘটিত অপরাধগুলোকে সামনে আনার জন্য আদালতকে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করে দক্ষিণ আফ্রিকা একটি বড় বিজয় অর্জন করেছে। গত ৭৫ বছরে বহু অপরাধ সংঘটিত হওয়া সত্ত্বেও ইসরায়েল এই প্রথম আন্তর্জাতিক আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছে। এর পশ্চিমা মিত্ররা এই মামলার অগ্রগতি রোধ করতে পারেনি। দায়মুক্তি দেওয়ার ব্যর্থতায় তাদের মধ্যে একটি ফাটল দেখা দিয়েছে।
একজন আইনজীবী বলেছেন, মামলাটি ‘বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য একটি পরীক্ষা।’ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা বিচারকদের নিয়োগ দিয়েছেন, তাই এটা অনিবার্য যে আইনি যুক্তির পরিবর্তে রাজনৈতিক বিবেচনা তাদের প্রভাবিত করতে পারে, কিন্তু আমরা তা আশা করি না। আন্তর্জাতিক আইনের পাশাপাশি ভবিষ্যৎ একটি অধিকারভিত্তিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকার, যাতে বিশ্বের যেকোনো জায়গা থেকে সেখানে আবেদন করা যাবে, তা বাদী-বিবাদী যিনিই হোন না কেন। এই পুরো বিষয় আসলে নির্ভর করে আছে এই মামলায় বিচারকদের সিদ্ধান্তের ওপর।
ইসরায়েলের মিত্রদেশগুলোর সরকারেরা দেখবে এবং অপেক্ষা করবে, কারণ তারাও গণহত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য কার্যকরভাবে বিচারে রয়েছে। প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও (গণহত্যা চালানো হচ্ছে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে দেখা যাচ্ছে) কেউ কেউ এখনো দাবি করে যে ইসরায়েল নির্দোষ এবং ‘আত্মরক্ষা’র অধিকার তার আছে।
ধন্যবাদ দক্ষিণ আফ্রিকাকে। একই সঙ্গে মামলাটিকে সমর্থন করার জন্য আমরা বলিভিয়া ও চিলির সরকার এবং জনগণকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তারা আমাদের নিজেদের আরব সরকারের চেয়েও বেশি সততা ও শালীনতার সঙ্গে কাজ করেছে। আরব সরকারগুলোর লজ্জায় মাথা নত হওয়া উচিত।
ফিলিস্তিন মুক্তি পাক!
ড. আমিরা আবো এল ফেতু, মিসরীয় লেখক ও রাজনৈতিক ধারাভাষ্যকার
(মিডলইস্ট মনিটরে প্রকাশিত লেখাটি ইংরেজি থেকে অনূদিত)
প্রতিবেশী কোনো আরব দেশ এটা করেনি, যাদের সঙ্গে কিনা ফিলিস্তিনের সীমান্ত রয়েছে, কিংবা করেনি কোনো মুসলিম দেশ; বরং হাজার হাজার কিলোমিটার দূরের একটি দেশ এটি করেছে। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় রক্তপাত দেখে আতঙ্কিত হয়েছিল দেশটির জনগণ; ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর বোমা ও গোলার আঘাতে নিহত শিশু, নারী ও বয়স্ক ব্যক্তিদের সংখ্যা এবং ধ্বংসযজ্ঞ দেখে তারা বিমূঢ় হয়ে পড়েছিল। তাই তো তারা আর সহ্য করতে পারেনি। গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা ঠুকে দিয়েছে। দেশটি হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
মহান স্বাধীনতাসংগ্রামী নেলসন ম্যান্ডেলার রাজনৈতিক উত্তরসূরিরা গাজায় ফিলিস্তিনিদের ট্র্যাজেডিতে কেঁপে ওঠেন। এদিকে, জায়নবাদী আরব সরকারগুলোর ফিলিস্তিনের এই নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের গণহত্যা দেখে কোনো প্রতিক্রিয়া হয়নি। হতাহত তো ৯০ হাজারের বেশি। দক্ষিণ আফ্রিকা যা করেছে তা আরব দেশগুলোর করা উচিত ছিল। কিন্তু তারা তা করেনি।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দাখিল করা মামলায় বর্ণবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে গাজা উপত্যকায় চলমান সামরিক অভিযানে গণহত্যা চালানোর জন্য সবচেয়ে গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়েছে। লজ্জাজনকভাবে, কোনো আরব বা ইসলামিক দেশ এই মামলায় যোগ দেয়নি, এমনকি ন্যূনতম ভদ্রতা করেও নয়।
যদিও মামলার ফল পেতে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে, তবে গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণ বন্ধ বা বন্ধ করার জন্য অস্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই আদালতের।
ইসরায়েল তিন মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর অনবরত বোমা হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা ও ভূমি দখল করছে—এই প্রেক্ষাপটে এ মামলা হয়েছে। এ হামলায় বহুসংখ্যক ফিলিস্তিনি, বিশেষ করে বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। মারা গেছেন শিশু, নারী ও বৃদ্ধরা। সেখানে গণকবর রয়েছে এবং পরিবারগুলোকে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে। গাজা উপত্যকার মানুষের জীবনযাত্রাকে অসম্ভব করে তুলতে ইচ্ছাকৃতভাবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে শর্ত আরোপ করা হয়েছে।
দখলদার ইসরায়েলি রাষ্ট্র ২২ লাখ ফিলিস্তিনিকে অবরুদ্ধ করেছে এবং খাদ্য, পানি, ওষুধ ও জ্বালানি ঢুকতে বাধা দিয়েছে। হাসপাতাল, স্কুল ও বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে; জনগণ তাদের জীবন বাঁচাতে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা, ওষুধ ও চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। মানব শরীরে অঙ্গচ্ছেদসহ বিভিন্ন অংশে অস্ত্রোপচার হয়েছে চেতনানাশক ছাড়াই।
ইসরায়েল রাষ্ট্র ফিলিস্তিনিদের ‘নিরাপদ এলাকায়’ সরে যেতে বলেছে এবং তারপর সেসব এলাকায় বোমা বর্ষণ করেছে। এক কথায়, গাজায় কোনো ‘নিরাপদ এলাকা’ নেই। ইসরায়েলের হাতে প্রতিদিন গড়ে ৪৮ জন নারী ও ১১৭ শিশু নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং রাজনীতিবিদেরা গাজা উপত্যকা ধ্বংস করার জন্য কার্পেট বোমা হামলা চালানোর অভিপ্রায় ঘোষণা করেছে। ইসরায়েলি সৈন্যরা ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর এমনকি কখনো কখনো পুরো গ্রাম ধ্বংসের আনন্দ উদ্যাপনের ছবি তুলেছে। তুলেই ক্ষান্ত দেয়নি, সামাজিক মাধ্যমে সেগুলো প্রচার করেছে। অতীতের গণহত্যার কথা মনে করিয়ে দেওয়ার দৃশ্যে গাজার মানুষ অপমানিত হয়েছে।
ইসরায়েল তার কথিত ‘হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে’ গাজা উপত্যকার সমগ্র জনগণের ওপর সমষ্টিগত শাস্তি দেয়। ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মতে, কোনো ফিলিস্তিনি নির্দোষ নয়। হামলা ও মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে ইসরায়েল প্রয়োজনীয় ত্রাণ বিতরণে বাধার সৃষ্টি করেছে। খাবার ও পানি সংগ্রহের জন্য সারিবদ্ধ ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে।
দখলদার রাষ্ট্রটি তার পশ্চিমা মিত্রদের, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মদদে দায়মুক্তির সঙ্গে এসব কাজ করতে সক্ষম হয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের সংবিধির ৪১ অনুচ্ছেদ অনুসারে, ‘পরিস্থিতি বিবেচনায় যেকোনো পক্ষের অধিকার সংরক্ষণে আপৎকালীন ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা এই আদালতের থাকবে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার মামলা করার উদ্দেশ্য হচ্ছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিজে) জায়নবাদী রাষ্ট্রের দখলদার সেনাবাহিনীর দ্বারা পরিচালিত সব সামরিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করার আদেশ দেবেন। কারণ এই সব সামরিক কর্মকাণ্ডই গত তিন মাসে সর্বাধিকসংখ্যক বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বক্তব্য হচ্ছে, আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিতে দেরি হতে পারে। সে পর্যন্ত ফিলিস্তিনিদের বেঁচে থাকার অধিকার সংরক্ষণে আদালতকে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। আর জায়নবাদীদের সবকিছু করতে বাধ্য করা, যাতে তারা প্রমাণ ধ্বংস করার বদলে সংরক্ষণ করে।
দখলদারির দ্বারা সংঘটিত অপরাধগুলোকে সামনে আনার জন্য আদালতকে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করে দক্ষিণ আফ্রিকা একটি বড় বিজয় অর্জন করেছে। গত ৭৫ বছরে বহু অপরাধ সংঘটিত হওয়া সত্ত্বেও ইসরায়েল এই প্রথম আন্তর্জাতিক আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছে। এর পশ্চিমা মিত্ররা এই মামলার অগ্রগতি রোধ করতে পারেনি। দায়মুক্তি দেওয়ার ব্যর্থতায় তাদের মধ্যে একটি ফাটল দেখা দিয়েছে।
একজন আইনজীবী বলেছেন, মামলাটি ‘বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য একটি পরীক্ষা।’ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা বিচারকদের নিয়োগ দিয়েছেন, তাই এটা অনিবার্য যে আইনি যুক্তির পরিবর্তে রাজনৈতিক বিবেচনা তাদের প্রভাবিত করতে পারে, কিন্তু আমরা তা আশা করি না। আন্তর্জাতিক আইনের পাশাপাশি ভবিষ্যৎ একটি অধিকারভিত্তিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকার, যাতে বিশ্বের যেকোনো জায়গা থেকে সেখানে আবেদন করা যাবে, তা বাদী-বিবাদী যিনিই হোন না কেন। এই পুরো বিষয় আসলে নির্ভর করে আছে এই মামলায় বিচারকদের সিদ্ধান্তের ওপর।
ইসরায়েলের মিত্রদেশগুলোর সরকারেরা দেখবে এবং অপেক্ষা করবে, কারণ তারাও গণহত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য কার্যকরভাবে বিচারে রয়েছে। প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও (গণহত্যা চালানো হচ্ছে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে দেখা যাচ্ছে) কেউ কেউ এখনো দাবি করে যে ইসরায়েল নির্দোষ এবং ‘আত্মরক্ষা’র অধিকার তার আছে।
ধন্যবাদ দক্ষিণ আফ্রিকাকে। একই সঙ্গে মামলাটিকে সমর্থন করার জন্য আমরা বলিভিয়া ও চিলির সরকার এবং জনগণকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তারা আমাদের নিজেদের আরব সরকারের চেয়েও বেশি সততা ও শালীনতার সঙ্গে কাজ করেছে। আরব সরকারগুলোর লজ্জায় মাথা নত হওয়া উচিত।
ফিলিস্তিন মুক্তি পাক!
ড. আমিরা আবো এল ফেতু, মিসরীয় লেখক ও রাজনৈতিক ধারাভাষ্যকার
(মিডলইস্ট মনিটরে প্রকাশিত লেখাটি ইংরেজি থেকে অনূদিত)
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে