সম্পাদকীয়
শিক্ষার সবখানে বিশৃঙ্খলা—এই শিরোনামে খবর বেরিয়েছে আজকের পত্রিকায়। গণ-আন্দোলনে ক্ষমতা বদলের পর দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ইস্যুতে বিক্ষোভ হচ্ছে। বঞ্চিত ছিলেন যাঁরা, তাঁরা সেই বঞ্চনার অবসান চাইছেন। আবার কেউ কেউ ভোল পাল্টে সুযোগ নিতে চাইছেন। শিক্ষালয়গুলোর প্রশাসনে ব্যাপক রদবদল চলছে।একধরনের স্থবিরতা নেমে এসেছে এই অঙ্গনে। শিক্ষাঙ্গন যদি দ্রুত সচল না হয়, তাহলে তা কোনো ভালো ফল বয়ে আনবে না।
শিক্ষাব্যবস্থার নানা দিক নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা সম্ভব নয়। শুধু বলা যায়, পদাসীন কর্মকর্তাদের পদত্যাগে বাধ্য করালেই শিক্ষাক্ষেত্রের ভয়াবহ সংকট কাটবে না। সংকটের শিকড় অনেক গভীরে। বর্তমানে যে অস্থিরতা চলছে, তা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে বের করতে হবে, নইলে যেই কে সেই অবস্থাই ফিরে আসবে।
খুব সংক্ষেপে কয়েকটি বিষয়ে কথা বলা যায়।
প্রাথমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক স্তর থেকেই কোচিংয়ের যে ভয়াবহতা গ্রাস করেছে আমাদের মেধাকে, তা থেকে বের হয়ে আসার উপায় খুঁজে বের করতে হবে। স্কুল বা সমমানের প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা ঠিকভাবে হয় কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। স্কুলে ঠিকভাবে পড়াশোনা হলে নোট বইয়ের এ রকম রমরমা থাকবে কেন? এই দুষ্টচক্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
এসএসসি, এইচএসসিসহ বিভিন্ন পর্যায়েই প্রশ্নপত্র বিক্রির যে ব্যবসা শুরু হয়েছে, সেটা কে থামাবে? মুশকিল হলো, এই ব্যবসা চলতে পারছে প্রতিষ্ঠানের অসাধু কর্মচারী-কর্মকর্তাদের পাশাপাশি একশ্রেণির অভিভাবক-শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায়। পড়াশোনা না করেই পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার এই তরিকা আবিষ্কৃত হয়েছে বলে অনেকেই পড়াশোনাকে ছেলেখেলা ভাবতে শিখেছেন। এই মেধাহীন শিক্ষার্থীরা যখন কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করেন, তখন সেই প্রতিষ্ঠানের অবস্থা কী দাঁড়ায়, তার বিশদ ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই।
শিক্ষকরাজনীতির থাবা থেকে শিক্ষালয়কে মুক্ত করা খুবই জরুরি। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দলের লেবাসে যে রাজনীতি করছেন শিক্ষকেরা, তা কোনো বিবেচনায়ই প্রতিষ্ঠানের জন্য সুফল বয়ে আনেনি। বরং লেজুড়বৃত্তিতে পাকা হতে পারলে খুলে গেছে উন্নতির পথ। এই পথটা কোনোভাবেই শিক্ষকের জন্য রুচিকর পথ নয়। ছাত্ররাজনীতির নামে হলের সিট দখল, জোর করে সাধারণ ছাত্রদের মিছিলে নামানোসহ যাবতীয় পেশিশক্তির যে মহড়া দেখা গেছে, তা চিরতরে বন্ধ করা দরকার।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলোয় (মাউশি, ইইডি, ইউসিজি, নায়েম) যে স্থবিরতা বিরাজ করছে, তা থেকেও অতি দ্রুত বেরিয়ে আসা প্রয়োজন। এসব প্রতিষ্ঠানে যে বিষয়গুলো নিয়ে বিক্ষোভ হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যে দাবিগুলো পূরণ করা দরকার, তা অচিরেই করা হোক। আর যে দাবিগুলো ব্যক্তিগত স্বার্থসংশ্লিষ্ট, সেগুলো খতিয়ে দেখা হোক, প্রয়োজনে অগ্রাহ্য করা হোক। নইলে দপ্তরগুলোয় আগের অবস্থাই বিরাজ করবে।
আগেও লক্ষ করেছি, সরকার পরিবর্তন হলেই একশ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা ভোল পাল্টাতে একেবারেই সময় নেন না। তাই দলবাজ এই কর্মকর্তারা এখন ভোল পাল্টে ‘ইউনূসপন্থী’ হওয়ার চেষ্টা করছেন কি না, সেদিকেও নজর রাখা দরকার।
শিক্ষার সবখানে বিশৃঙ্খলা—এই শিরোনামে খবর বেরিয়েছে আজকের পত্রিকায়। গণ-আন্দোলনে ক্ষমতা বদলের পর দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ইস্যুতে বিক্ষোভ হচ্ছে। বঞ্চিত ছিলেন যাঁরা, তাঁরা সেই বঞ্চনার অবসান চাইছেন। আবার কেউ কেউ ভোল পাল্টে সুযোগ নিতে চাইছেন। শিক্ষালয়গুলোর প্রশাসনে ব্যাপক রদবদল চলছে।একধরনের স্থবিরতা নেমে এসেছে এই অঙ্গনে। শিক্ষাঙ্গন যদি দ্রুত সচল না হয়, তাহলে তা কোনো ভালো ফল বয়ে আনবে না।
শিক্ষাব্যবস্থার নানা দিক নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা সম্ভব নয়। শুধু বলা যায়, পদাসীন কর্মকর্তাদের পদত্যাগে বাধ্য করালেই শিক্ষাক্ষেত্রের ভয়াবহ সংকট কাটবে না। সংকটের শিকড় অনেক গভীরে। বর্তমানে যে অস্থিরতা চলছে, তা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে বের করতে হবে, নইলে যেই কে সেই অবস্থাই ফিরে আসবে।
খুব সংক্ষেপে কয়েকটি বিষয়ে কথা বলা যায়।
প্রাথমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক স্তর থেকেই কোচিংয়ের যে ভয়াবহতা গ্রাস করেছে আমাদের মেধাকে, তা থেকে বের হয়ে আসার উপায় খুঁজে বের করতে হবে। স্কুল বা সমমানের প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা ঠিকভাবে হয় কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। স্কুলে ঠিকভাবে পড়াশোনা হলে নোট বইয়ের এ রকম রমরমা থাকবে কেন? এই দুষ্টচক্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
এসএসসি, এইচএসসিসহ বিভিন্ন পর্যায়েই প্রশ্নপত্র বিক্রির যে ব্যবসা শুরু হয়েছে, সেটা কে থামাবে? মুশকিল হলো, এই ব্যবসা চলতে পারছে প্রতিষ্ঠানের অসাধু কর্মচারী-কর্মকর্তাদের পাশাপাশি একশ্রেণির অভিভাবক-শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায়। পড়াশোনা না করেই পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার এই তরিকা আবিষ্কৃত হয়েছে বলে অনেকেই পড়াশোনাকে ছেলেখেলা ভাবতে শিখেছেন। এই মেধাহীন শিক্ষার্থীরা যখন কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করেন, তখন সেই প্রতিষ্ঠানের অবস্থা কী দাঁড়ায়, তার বিশদ ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই।
শিক্ষকরাজনীতির থাবা থেকে শিক্ষালয়কে মুক্ত করা খুবই জরুরি। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দলের লেবাসে যে রাজনীতি করছেন শিক্ষকেরা, তা কোনো বিবেচনায়ই প্রতিষ্ঠানের জন্য সুফল বয়ে আনেনি। বরং লেজুড়বৃত্তিতে পাকা হতে পারলে খুলে গেছে উন্নতির পথ। এই পথটা কোনোভাবেই শিক্ষকের জন্য রুচিকর পথ নয়। ছাত্ররাজনীতির নামে হলের সিট দখল, জোর করে সাধারণ ছাত্রদের মিছিলে নামানোসহ যাবতীয় পেশিশক্তির যে মহড়া দেখা গেছে, তা চিরতরে বন্ধ করা দরকার।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলোয় (মাউশি, ইইডি, ইউসিজি, নায়েম) যে স্থবিরতা বিরাজ করছে, তা থেকেও অতি দ্রুত বেরিয়ে আসা প্রয়োজন। এসব প্রতিষ্ঠানে যে বিষয়গুলো নিয়ে বিক্ষোভ হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যে দাবিগুলো পূরণ করা দরকার, তা অচিরেই করা হোক। আর যে দাবিগুলো ব্যক্তিগত স্বার্থসংশ্লিষ্ট, সেগুলো খতিয়ে দেখা হোক, প্রয়োজনে অগ্রাহ্য করা হোক। নইলে দপ্তরগুলোয় আগের অবস্থাই বিরাজ করবে।
আগেও লক্ষ করেছি, সরকার পরিবর্তন হলেই একশ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা ভোল পাল্টাতে একেবারেই সময় নেন না। তাই দলবাজ এই কর্মকর্তারা এখন ভোল পাল্টে ‘ইউনূসপন্থী’ হওয়ার চেষ্টা করছেন কি না, সেদিকেও নজর রাখা দরকার।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে