অষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও অবকাঠামো সংকটে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। এর ফলে মানসম্মত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে শিক্ষকসংকটের বাড়তি চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। এতে করে গুণগত পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অষ্টগ্রামের ৮৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪২টিতে নেই প্রধান শিক্ষক। সব মিলিয়ে উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষকের ৬০টি পদ শূন্য। দীর্ঘমেয়াদি ছুটিতে রয়েছেন ২২ জন। উপজেলার ২০ হাজার শিক্ষার্থীর পাঠদানে ৫০৮ জন শিক্ষকের স্থলে অনুমোদিত পদ ৪৬৬টি। কিন্তু কর্মরত রয়েছেন ৪০৬ জন। জনবল ও অবকাঠামো সংকট সামলাতে চাপে রয়েছেন শিক্ষকেরা। তবে চলমান প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে শূন্য পদগুলো পূরণ করা হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা শিক্ষা কার্যালয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৪৫টি সরকারি, ৩৪ জাতীয়করণ করা, ‘বিদ্যালয়বিহীন এলাকায় ১৫০০ প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন শীর্ষক প্রকল্প’-এর ৪টি বিদ্যালয়সহ ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ হাজার ৩২২ জন। সরকারি কারিকুলামে বিদ্যালয়গুলোতে জনবল, শ্রেণিকক্ষ, আসবাব ও শিক্ষা উপকরণের চরম সংকট রয়েছে।
এ ছাড়া রয়েছে একটি বেসরকারি, ১৩টি কিন্ডারগার্টেন, তিনটি এনজিও প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়।নিয়মানুযায়ী বিদ্যালয়ের প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে সর্বাধিক ৪০ জন শিক্ষার্থী ও পাঠদানে ৪০ শিক্ষার্থীর বিপরীতে একজন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও অধিকাংশ শ্রেণিকক্ষে গাদাগাদি করে বসতে হয় শিক্ষার্থীদের। ৬০-৭০ জন শিক্ষার্থীকে বসতে হয় একই শ্রেণিকক্ষে। শ্রেণিকক্ষ ও আসবাব-সংকটের মাঝেও পাঠদান স্বাভাবিক রাখতে হিমশিম খেতে হয় শিক্ষকদের।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্র জানায়, অষ্টগ্রাম সদর ইউনিয়নের মধ্য অষ্টগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫০২ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ৫ জন শিক্ষক থাকলেও ডিপিএড প্রশিক্ষণে রয়েছেন একজন। সরকারি কারিকুলামে ১৩ জন শিক্ষকের স্থলে চারজন দিয়ে চলে পাঠদান।
বাঙ্গালপাড়া ইউনিয়নের লাউড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৪৯ শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক ৫ জন ও বাঘাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৮৯ শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক ৫ জন। তাঁদের মধ্যে একজন প্রশিক্ষণ রয়েছেন। তবে কলমা ইউনিয়নের বাজুরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক বেশি।
সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এসব বিদ্যালয়ে স্বাভাবিক পাঠদানের জন্য আরও ১০২টি সহকারী শিক্ষক পদ সৃষ্টি করতে হবে। তার আগে স্বল্প শিক্ষার্থীর বিদ্যালয় থেকে অধিক শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের প্রেষণে বদলি করতে হবে। ডিপিএড প্রশিক্ষণ ও মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকা, পদে ‘বিকল্প বা প্রক্সি’ শিক্ষক নিয়োগ ও সরকারিভাবে সম্মানী প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
এদিকে শিক্ষকসংকটের পাশাপাশি বিদ্যালয়গুলোতে রয়েছে অবকাঠামো সংকট। ৪১টি বিদ্যালয়ে নেই মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ, ৮টি বিদ্যালয়ে নেই বিদ্যুৎ-সংযোগ। ৪৫টি দপ্তরি ও নৈশপ্রহরীর ১৮টি পদ শূন্য। সব মিলিয়ে ৮৪টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ১০টি একক ও ১৯টি যৌথ ওয়াশ ব্লক রয়েছে, যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। এ ছাড়া বেঞ্চসহ আসবাব-সংকট প্রকট।
কলিমপুর পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানিয়া, ফাতেমা, নাসরিন জানায়, বেঞ্চ কম, তাই চাপাচাপি করে বসতে হয়। গরমের দিনে এভাবে বসতে কষ্ট হয়।
মধ্য অষ্টগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আতিকুর রহমান বলেন, ‘জনবলসংকটে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীকে পাঠদানে আমাদের হিমশিম খেতে হয়। এতে শিক্ষকেরা চাপে পড়েন। সৃষ্ট পদ বা জনবল সমন্বয় করা দরকার।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ‘চলমান নিয়োগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিক্ষকসংকট অনেকাংশে কেটে যাবে। সৃষ্ট পদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন। কিন্তু পাঠদানে যেন কোনো ত্রুটি না হয়, সেদিকে আমাদের নজর রয়েছে। শিক্ষকেরাও আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। সমন্বয়ের মাধ্যমে সংকট নিরসনে কাজ করা হচ্ছে।’
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও অবকাঠামো সংকটে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। এর ফলে মানসম্মত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে শিক্ষকসংকটের বাড়তি চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। এতে করে গুণগত পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অষ্টগ্রামের ৮৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪২টিতে নেই প্রধান শিক্ষক। সব মিলিয়ে উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষকের ৬০টি পদ শূন্য। দীর্ঘমেয়াদি ছুটিতে রয়েছেন ২২ জন। উপজেলার ২০ হাজার শিক্ষার্থীর পাঠদানে ৫০৮ জন শিক্ষকের স্থলে অনুমোদিত পদ ৪৬৬টি। কিন্তু কর্মরত রয়েছেন ৪০৬ জন। জনবল ও অবকাঠামো সংকট সামলাতে চাপে রয়েছেন শিক্ষকেরা। তবে চলমান প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে শূন্য পদগুলো পূরণ করা হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা শিক্ষা কার্যালয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৪৫টি সরকারি, ৩৪ জাতীয়করণ করা, ‘বিদ্যালয়বিহীন এলাকায় ১৫০০ প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন শীর্ষক প্রকল্প’-এর ৪টি বিদ্যালয়সহ ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ হাজার ৩২২ জন। সরকারি কারিকুলামে বিদ্যালয়গুলোতে জনবল, শ্রেণিকক্ষ, আসবাব ও শিক্ষা উপকরণের চরম সংকট রয়েছে।
এ ছাড়া রয়েছে একটি বেসরকারি, ১৩টি কিন্ডারগার্টেন, তিনটি এনজিও প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়।নিয়মানুযায়ী বিদ্যালয়ের প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে সর্বাধিক ৪০ জন শিক্ষার্থী ও পাঠদানে ৪০ শিক্ষার্থীর বিপরীতে একজন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও অধিকাংশ শ্রেণিকক্ষে গাদাগাদি করে বসতে হয় শিক্ষার্থীদের। ৬০-৭০ জন শিক্ষার্থীকে বসতে হয় একই শ্রেণিকক্ষে। শ্রেণিকক্ষ ও আসবাব-সংকটের মাঝেও পাঠদান স্বাভাবিক রাখতে হিমশিম খেতে হয় শিক্ষকদের।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্র জানায়, অষ্টগ্রাম সদর ইউনিয়নের মধ্য অষ্টগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫০২ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ৫ জন শিক্ষক থাকলেও ডিপিএড প্রশিক্ষণে রয়েছেন একজন। সরকারি কারিকুলামে ১৩ জন শিক্ষকের স্থলে চারজন দিয়ে চলে পাঠদান।
বাঙ্গালপাড়া ইউনিয়নের লাউড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৪৯ শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক ৫ জন ও বাঘাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৮৯ শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক ৫ জন। তাঁদের মধ্যে একজন প্রশিক্ষণ রয়েছেন। তবে কলমা ইউনিয়নের বাজুরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক বেশি।
সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এসব বিদ্যালয়ে স্বাভাবিক পাঠদানের জন্য আরও ১০২টি সহকারী শিক্ষক পদ সৃষ্টি করতে হবে। তার আগে স্বল্প শিক্ষার্থীর বিদ্যালয় থেকে অধিক শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের প্রেষণে বদলি করতে হবে। ডিপিএড প্রশিক্ষণ ও মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকা, পদে ‘বিকল্প বা প্রক্সি’ শিক্ষক নিয়োগ ও সরকারিভাবে সম্মানী প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
এদিকে শিক্ষকসংকটের পাশাপাশি বিদ্যালয়গুলোতে রয়েছে অবকাঠামো সংকট। ৪১টি বিদ্যালয়ে নেই মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ, ৮টি বিদ্যালয়ে নেই বিদ্যুৎ-সংযোগ। ৪৫টি দপ্তরি ও নৈশপ্রহরীর ১৮টি পদ শূন্য। সব মিলিয়ে ৮৪টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ১০টি একক ও ১৯টি যৌথ ওয়াশ ব্লক রয়েছে, যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। এ ছাড়া বেঞ্চসহ আসবাব-সংকট প্রকট।
কলিমপুর পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানিয়া, ফাতেমা, নাসরিন জানায়, বেঞ্চ কম, তাই চাপাচাপি করে বসতে হয়। গরমের দিনে এভাবে বসতে কষ্ট হয়।
মধ্য অষ্টগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আতিকুর রহমান বলেন, ‘জনবলসংকটে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীকে পাঠদানে আমাদের হিমশিম খেতে হয়। এতে শিক্ষকেরা চাপে পড়েন। সৃষ্ট পদ বা জনবল সমন্বয় করা দরকার।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ‘চলমান নিয়োগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিক্ষকসংকট অনেকাংশে কেটে যাবে। সৃষ্ট পদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন। কিন্তু পাঠদানে যেন কোনো ত্রুটি না হয়, সেদিকে আমাদের নজর রয়েছে। শিক্ষকেরাও আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। সমন্বয়ের মাধ্যমে সংকট নিরসনে কাজ করা হচ্ছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে