সিলেট প্রতিনিধি
‘শ্রমিকদের জন্য কর্মক্ষেত্রে ন্যূনতম নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় করাতকলে কর্মরত শ্রমিকদের ৬০ শতাংশই দুর্ঘটনার শিকার হয়ে থাকেন। এমনকি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না থাকায় জীবনের ঝুঁকিতে পড়েন তাঁরা। এর সঙ্গে আছে যখন-তখন চাকরি হারানোর ভয়। সব মিলিয়ে কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে করাতকলের শ্রমিকদের জীবন।’
গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ স মিল শ্রমিক ফেডারেশনের সিলেট বিভাগীয় সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। বেলা ১১টায় নগরীর সুরমা মার্কেটের বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সিলেট সদর উপজেলা স মিল শ্রমিক সংঘের সাধারণ সম্পাদক মো. মিলন মিয়া বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির বাজারে বর্তমানে করাতকল শ্রমিকেরা যে মজুরি পান, তা দিয়ে একজন শ্রমিক পরিবারের ১০ দিনও চলে না। সেই মুহূর্তে দ্রব্যমূল্যের কশাঘাতে জর্জরিত জনগণের ওপর ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য বৃদ্ধি ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’। জ্বালানি তেল, এলপি গ্যাস ও গাড়িভাড়া বৃদ্ধিতে কারণে জনজীবন দিশেহারা। তার ওপর শ্রমিকদের চাকরির নিশ্চয়তা ও জীবনের নিরাপত্তা নেই।’
সভায় শ্রমিকদের অভিযোগ, করাতকলের মালিকেরা শ্রম আইন, রাষ্ট্রীয় আইনের তোয়াক্কা করেন না। শ্রম আইন অনুযায়ী নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, সার্ভিস বুক প্রদান, দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজ, অতিরিক্ত কাজের দ্বিগুণ মজুরি, মজুরিসহ সাপ্তাহিক ছুটি, নৈমিত্তিক ছুটি (বছরে ১০ দিন), চিকিৎসা ছুটি (বছরে ১৪ দিন), উৎসব ছুটি (বছরে ১১ দিন) অর্জিত ছুটি (বছরে ২০ দিন) ইত্যাদির বিধান থাকলেও তা দেওয়া হয় না। তাঁরা আরও জানান, শ্রমিকদের কথায় কথায় ছাঁটাই করা হয়। শ্রমিকদের কাজের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে জীবনের ঝুঁকি।
করাতকল শ্রমিক নেতা সফাত আলী বলেন, ‘কাঠ চিরতে গিয়ে করাত ছিঁড়ে ও খোলে এবং বৈদ্যুতিক ও যান্ত্রিক কারণে, স্থানান্তর ও ওঠানামার সময় গাছ পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে শ্রমিক হতাহত হওয়ার ঘটনা সাধারণ চিত্র। এতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে অঙ্গহানি হয়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। কাজ করতে গিয়ে এসব দুর্ঘটনার শিকার শ্রমিকের উপযুক্ত চিকিৎসা যেমন মালিক করান না, তেমনি অঙ্গহানি ও মৃত্যুর জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয় না।’
সভায় করাতকল সেক্টরে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের মাধ্যমে অবিলম্বে বাজারদরের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ন্যায্য মজুরি ঘোষণা, ৮ ঘণ্টা কর্মদিবস, নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র দেওয়া, শ্রম আইনের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন, গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রণয়ন এবং মাসিক মজুরির সমহারে ঈদ বোনাসের দাবি জানান শ্রমিকনেতারা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন স মিল শ্রমিক ফেডারেশনের সহসভাপতি মোস্তাক মিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স মিল শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস ও বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. ছাদেক মিয়া। বক্তব্য দেন শ্রীমঙ্গল স মিল শ্রমিক সংঘের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান, নবীগঞ্জ উপজেলা স মিল শ্রমিক সংঘের সহসভাপতি আবুল বশর, দক্ষিণ সুরমা স মিল শ্রমিক সংঘের সভাপতি রতিশ তালুকদার, সিলেট সদর উপজেলা স মিল শ্রমিক সংঘের সাধারণ সম্পাদক মো. মিলন মিয়া, বালাগঞ্জ উপজেলা স মিল শ্রমিক সংঘের সাধারণ সম্পাদক রহমত আলী, ওসমানীনগর উপজেলা স মিল শ্রমিক সংঘের নেতা কয়েছ মিয়া, সিলেট জেলা স মিল শ্রমিক সংঘের কোষাধ্যক্ষ মো. ফারুক মিয়া প্রমুখ।
‘শ্রমিকদের জন্য কর্মক্ষেত্রে ন্যূনতম নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় করাতকলে কর্মরত শ্রমিকদের ৬০ শতাংশই দুর্ঘটনার শিকার হয়ে থাকেন। এমনকি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না থাকায় জীবনের ঝুঁকিতে পড়েন তাঁরা। এর সঙ্গে আছে যখন-তখন চাকরি হারানোর ভয়। সব মিলিয়ে কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে করাতকলের শ্রমিকদের জীবন।’
গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ স মিল শ্রমিক ফেডারেশনের সিলেট বিভাগীয় সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। বেলা ১১টায় নগরীর সুরমা মার্কেটের বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সিলেট সদর উপজেলা স মিল শ্রমিক সংঘের সাধারণ সম্পাদক মো. মিলন মিয়া বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির বাজারে বর্তমানে করাতকল শ্রমিকেরা যে মজুরি পান, তা দিয়ে একজন শ্রমিক পরিবারের ১০ দিনও চলে না। সেই মুহূর্তে দ্রব্যমূল্যের কশাঘাতে জর্জরিত জনগণের ওপর ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য বৃদ্ধি ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’। জ্বালানি তেল, এলপি গ্যাস ও গাড়িভাড়া বৃদ্ধিতে কারণে জনজীবন দিশেহারা। তার ওপর শ্রমিকদের চাকরির নিশ্চয়তা ও জীবনের নিরাপত্তা নেই।’
সভায় শ্রমিকদের অভিযোগ, করাতকলের মালিকেরা শ্রম আইন, রাষ্ট্রীয় আইনের তোয়াক্কা করেন না। শ্রম আইন অনুযায়ী নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, সার্ভিস বুক প্রদান, দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজ, অতিরিক্ত কাজের দ্বিগুণ মজুরি, মজুরিসহ সাপ্তাহিক ছুটি, নৈমিত্তিক ছুটি (বছরে ১০ দিন), চিকিৎসা ছুটি (বছরে ১৪ দিন), উৎসব ছুটি (বছরে ১১ দিন) অর্জিত ছুটি (বছরে ২০ দিন) ইত্যাদির বিধান থাকলেও তা দেওয়া হয় না। তাঁরা আরও জানান, শ্রমিকদের কথায় কথায় ছাঁটাই করা হয়। শ্রমিকদের কাজের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে জীবনের ঝুঁকি।
করাতকল শ্রমিক নেতা সফাত আলী বলেন, ‘কাঠ চিরতে গিয়ে করাত ছিঁড়ে ও খোলে এবং বৈদ্যুতিক ও যান্ত্রিক কারণে, স্থানান্তর ও ওঠানামার সময় গাছ পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে শ্রমিক হতাহত হওয়ার ঘটনা সাধারণ চিত্র। এতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে অঙ্গহানি হয়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। কাজ করতে গিয়ে এসব দুর্ঘটনার শিকার শ্রমিকের উপযুক্ত চিকিৎসা যেমন মালিক করান না, তেমনি অঙ্গহানি ও মৃত্যুর জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয় না।’
সভায় করাতকল সেক্টরে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের মাধ্যমে অবিলম্বে বাজারদরের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ন্যায্য মজুরি ঘোষণা, ৮ ঘণ্টা কর্মদিবস, নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র দেওয়া, শ্রম আইনের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন, গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রণয়ন এবং মাসিক মজুরির সমহারে ঈদ বোনাসের দাবি জানান শ্রমিকনেতারা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন স মিল শ্রমিক ফেডারেশনের সহসভাপতি মোস্তাক মিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স মিল শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস ও বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. ছাদেক মিয়া। বক্তব্য দেন শ্রীমঙ্গল স মিল শ্রমিক সংঘের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান, নবীগঞ্জ উপজেলা স মিল শ্রমিক সংঘের সহসভাপতি আবুল বশর, দক্ষিণ সুরমা স মিল শ্রমিক সংঘের সভাপতি রতিশ তালুকদার, সিলেট সদর উপজেলা স মিল শ্রমিক সংঘের সাধারণ সম্পাদক মো. মিলন মিয়া, বালাগঞ্জ উপজেলা স মিল শ্রমিক সংঘের সাধারণ সম্পাদক রহমত আলী, ওসমানীনগর উপজেলা স মিল শ্রমিক সংঘের নেতা কয়েছ মিয়া, সিলেট জেলা স মিল শ্রমিক সংঘের কোষাধ্যক্ষ মো. ফারুক মিয়া প্রমুখ।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে