সাগর হোসেন তামিম, মাদারীপুর
মাদারীপুরে একসময় বছরজুড়েই ভেসাল জাল পেতে মাছ ধরার প্রচলন ছিল। তবে এখন আগের মতো চোখে পড়ে না এসব জাল। মূলত খালে জোয়ারের পানি না আসা, নাব্যতা-সংকট, খাল সরু হওয়াসহ নানা কারণে মাছ কমে যাওয়ায় দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে বাংলার এ ভেসাল জাল।
একাধিক জেলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভেসাল জাল তৈরি করতে ছয় থেকে আটটি বড় বাঁশ লাগে। সঙ্গে মশারির নেট দিয়ে জাল তৈরি করা হয়। এই জাল তৈরিতে খরচ হয় কম। পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা হলেই তৈরি করা যায় ভেসাল জাল। এসব জাল দিয়ে মাছ ধরে দৈনিক ৭০০ থেকে হাজার আয় করতেন জেলেরা। বাজারে দেশি মাছের চাহিদা থাকায় নিমেষেই বিক্রি হয়ে যায় এই জালে ধরা পড়া খাল-বিলের মাছ। বর্ষা মৌসুমে এই জালের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি হয়। কিন্তু বর্তমানে বড় বড় বাঁধ দিয়ে অধিকাংশ খাল ভরাট করার কারণে জোয়ার-ভাটায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে খাল গেছে মরে। খালে-বিলে পর্যাপ্ত পানি ও মাছ না থাকায় আস্তে আস্তে ভেসাল জালের ব্যবহার হারিয়ে যাচ্ছে।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম, পাখুল্লা, বিল বাঘিয়া, কদমবাড়ী, সেনদিয়া, সদর উপজেলার দৌলতপুর, কেন্দুয়া, আড়িয়াল খাঁ নদ, কুমার নদ, টেকেরহাট, কালকিনি ও ডাসা উপজেলার সাহেবরামপুর, সিঁড়িখান, বালিগ্রাম, শশিকর, পাথুরীরপাড়, নবগ্রাম, শিবচর উপজেলার উৎরাইল, সন্নাসীরচর, চরজানাজাত, বন্দরখোলা, কাঠালবাড়ী, পাচ্চরসহ প্রায় ৩০টি ইউনিয়নের দুই শতাধিক গ্রামে ভেসাল জাল দিয়ে মাছ ধরা হতো। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে এখন অনেকটাই কমে গেছে এ জালের ব্যবহার। শুষ্ক মৌসুমে নদীবেষ্টিত কিছু এলাকা ছাড়া ভেসাল জালের ব্যবহার নেই বললে চলে।
সদরের কুনিয়ার জেলে মৃত্যুঞ্জয় বলেন, ‘১০-১২ বছর আগেও প্রায় সারা বছর ভেসাল জাল দিয়ে মাছ ধরতাম। কিন্তু বর্তমানে শীত আসার আগেই খাল শুকিয়ে যায়। যে কারণে ভেসাল জাল পাতা বন্ধ করে দিতে হয়। তবে বর্ষার দু-তিন মাস জাল দিয়ে মাছ ধরা যায়। তাতে প্রতিদিন হাজার টাকারও মাছ ধরা যায়। তবে আগের মতো আর ভেসাল নেই। বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে অনেকে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন।’
একই গ্রামের বাসিন্দা কপিল মালো বলেন, ‘খালে পানি একটু-আধটু থাকলেও মাছ নেই। বিভিন্ন নিষিদ্ধ জাল দিয়ে বর্ষা শেষ হতে না হতেই সব মাছ ধরে ফেলা হয়। পরে ভেসাল জাল বাইলেও কোনো মাছ পাওয়া যায় না। যে কারণে জালের প্রতি কোনো আগ্রহ নাই। ভেসাল জাল পেতে দু-তিন মাস কোনো রকমে সংসার চলে। আর খাল সেচ দেওয়ার কারণে মা মাছও ধরা পড়ে। এতে মাছও আর আগের মতো বাড়ছে না।’
মাদারীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র ওঝা বলেন, ‘ভেসাল জাল একটি প্রাচীন জাল, যা খাল-বিলে মাছ ধরার জন্য জেলেরা ব্যবহার করেন। আর যেসব জাল মশারির মতো, সেসব দিয়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ। কারণ যেসব জাল মশারির কাপড় দিয়ে বানানো হয়, তা দিয়ে মাছের ডিম ও রেণুসহ উঠে আসে জালে। আর খালে জোয়ারের পানি না আসা এবং অধিকাংশ খাল শুকিয়ে যাওয়ায় মাছ হারিয়ে যাচ্ছে। যে কারণে ভেসাল জালও কমে যাচ্ছে।’
মাদারীপুরে একসময় বছরজুড়েই ভেসাল জাল পেতে মাছ ধরার প্রচলন ছিল। তবে এখন আগের মতো চোখে পড়ে না এসব জাল। মূলত খালে জোয়ারের পানি না আসা, নাব্যতা-সংকট, খাল সরু হওয়াসহ নানা কারণে মাছ কমে যাওয়ায় দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে বাংলার এ ভেসাল জাল।
একাধিক জেলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভেসাল জাল তৈরি করতে ছয় থেকে আটটি বড় বাঁশ লাগে। সঙ্গে মশারির নেট দিয়ে জাল তৈরি করা হয়। এই জাল তৈরিতে খরচ হয় কম। পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা হলেই তৈরি করা যায় ভেসাল জাল। এসব জাল দিয়ে মাছ ধরে দৈনিক ৭০০ থেকে হাজার আয় করতেন জেলেরা। বাজারে দেশি মাছের চাহিদা থাকায় নিমেষেই বিক্রি হয়ে যায় এই জালে ধরা পড়া খাল-বিলের মাছ। বর্ষা মৌসুমে এই জালের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি হয়। কিন্তু বর্তমানে বড় বড় বাঁধ দিয়ে অধিকাংশ খাল ভরাট করার কারণে জোয়ার-ভাটায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে খাল গেছে মরে। খালে-বিলে পর্যাপ্ত পানি ও মাছ না থাকায় আস্তে আস্তে ভেসাল জালের ব্যবহার হারিয়ে যাচ্ছে।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম, পাখুল্লা, বিল বাঘিয়া, কদমবাড়ী, সেনদিয়া, সদর উপজেলার দৌলতপুর, কেন্দুয়া, আড়িয়াল খাঁ নদ, কুমার নদ, টেকেরহাট, কালকিনি ও ডাসা উপজেলার সাহেবরামপুর, সিঁড়িখান, বালিগ্রাম, শশিকর, পাথুরীরপাড়, নবগ্রাম, শিবচর উপজেলার উৎরাইল, সন্নাসীরচর, চরজানাজাত, বন্দরখোলা, কাঠালবাড়ী, পাচ্চরসহ প্রায় ৩০টি ইউনিয়নের দুই শতাধিক গ্রামে ভেসাল জাল দিয়ে মাছ ধরা হতো। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে এখন অনেকটাই কমে গেছে এ জালের ব্যবহার। শুষ্ক মৌসুমে নদীবেষ্টিত কিছু এলাকা ছাড়া ভেসাল জালের ব্যবহার নেই বললে চলে।
সদরের কুনিয়ার জেলে মৃত্যুঞ্জয় বলেন, ‘১০-১২ বছর আগেও প্রায় সারা বছর ভেসাল জাল দিয়ে মাছ ধরতাম। কিন্তু বর্তমানে শীত আসার আগেই খাল শুকিয়ে যায়। যে কারণে ভেসাল জাল পাতা বন্ধ করে দিতে হয়। তবে বর্ষার দু-তিন মাস জাল দিয়ে মাছ ধরা যায়। তাতে প্রতিদিন হাজার টাকারও মাছ ধরা যায়। তবে আগের মতো আর ভেসাল নেই। বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে অনেকে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন।’
একই গ্রামের বাসিন্দা কপিল মালো বলেন, ‘খালে পানি একটু-আধটু থাকলেও মাছ নেই। বিভিন্ন নিষিদ্ধ জাল দিয়ে বর্ষা শেষ হতে না হতেই সব মাছ ধরে ফেলা হয়। পরে ভেসাল জাল বাইলেও কোনো মাছ পাওয়া যায় না। যে কারণে জালের প্রতি কোনো আগ্রহ নাই। ভেসাল জাল পেতে দু-তিন মাস কোনো রকমে সংসার চলে। আর খাল সেচ দেওয়ার কারণে মা মাছও ধরা পড়ে। এতে মাছও আর আগের মতো বাড়ছে না।’
মাদারীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র ওঝা বলেন, ‘ভেসাল জাল একটি প্রাচীন জাল, যা খাল-বিলে মাছ ধরার জন্য জেলেরা ব্যবহার করেন। আর যেসব জাল মশারির মতো, সেসব দিয়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ। কারণ যেসব জাল মশারির কাপড় দিয়ে বানানো হয়, তা দিয়ে মাছের ডিম ও রেণুসহ উঠে আসে জালে। আর খালে জোয়ারের পানি না আসা এবং অধিকাংশ খাল শুকিয়ে যাওয়ায় মাছ হারিয়ে যাচ্ছে। যে কারণে ভেসাল জালও কমে যাচ্ছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে