রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
সরকারের ডেলটা প্রকল্পের পুনর্খননের আওতায় নীলফামারীর সৈয়দপুরে মৃতপ্রায় নদী ও খাল নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে। এতে মিলছে শুকনো মৌসুমে সেচ ও মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহের সুবিধা। এমনটিই জানিয়েছেন উপকারভোগীরা।
প্রকল্পটি এই অঞ্চলে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণসহ জলবায়ু মোকাবিলা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ড সৈয়দপুর পওর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কৃষ্ণ কমল চন্দ্র সরকার।
তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডেলটা প্ল্যান ২০২১ বাস্তবায়ন সফলভাবে শেষ হলে ছোট নদী, খাল ও জলাশয়ে পানিপ্রবাহ বৃদ্ধি পাবে। তবে দীর্ঘমেয়াদি সুফল পেতে হলে নদীগুলোকে পর্যায়ক্রমে পুনর্খননের কাজ চলমান রাখতে হবে বলেও জানান তিনি।
জানা যায়, ডেলটা প্ল্যান কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ৬৪ জেলায় মৃতপ্রায় নদীগুলোর প্রাণ ফেরাতে ছোট নদী, খাল ও জলাশয় পুনর্খনন। প্রকল্পটির আওতায় পাউবো সৈয়দপুর পওর বিভাগ ৫৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪টি নদী ও ৩টি খালের ২৬২ দশমিক ২৬ কিলোমিটার পুনর্খনন কাজ করছে। এর মধ্যে খরখরিয়া নদীর ৭৫ কিলোমিটার ও নদীটির শাখা খাল ১৫ দশমিক ৪ কিলোমিটার, জমিদার পঁচানালা খাল ২১ দশমিক ৩৮ কিলোমিটার, বাঙ্গালীপুর জলকর খালের ২ দশমিক ১ কিলোমিটার, ধাইজান নদীর ২৮ দশমিক ৩৮, দেওনাই চড়ালকাটা যমুনেশ্বরী নদীর ৩৫ কিলোমিটার খননকাজ শেষ হয়েছে। এ ছাড়া ঘৃণায় করতোয়া নদীর ৮৫ কিলোমিটার খননকাজ চলমান রয়েছে। নদী ও খালগুলোর উভয় পাড়ের নতুন মাটিতে লাগানো হয়েছে বিভিন্ন প্রকারের ৯ হাজার গাছের চারা।
সরেজমিন দেখা যায়, শুকনো মৌসুমেও এসব নদীর পানি জমির সেচকাজে ব্যবহার করছেন কৃষকেরা। সেচ সুবিধা পাওয়ায় নদীর তীরবর্তী কৃষিজমিগুলো ফসলে ভরে গেছে। নদীতে জাল ফেলে মাছ শিকার করছেন জেলেরা। মিলছে নানা প্রজাতির মাছ। নদীর উভয় পাড়কে সুরক্ষিত এবং লোক চলাচলের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। উভয় পাড়ে লাগানো নানা প্রজাতির গাছ বেশ বেড়ে উঠছে। এতে নদীর সৌন্দর্য বেড়েছে।
উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের পোড়ারহাট এলাকার জেলে বিশ্বনাথ সরকার (৪৫) বলেন, ‘আগে খরখরিয়া নদীতে বছরের বেশির ভাগ সময় কোনো পানি থাকত না। তখন কষ্ট করে কোনোমতে সংসার চলত। এখন নদীতে পানি থাকায় ১২ মাসই মাছ শিকার করতে পারছি। এতে সংসারে সচ্ছলতা এসেছে।’
খরখরিয়া নদীসংলগ্ন সৈয়দপুর শহরের কুন্দল এলাকার বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক মিজানুর রহমান (৪৩) বলেন, ‘২০১৭ সালে বন্যায় নদীর পানি উপচে শহর রক্ষা বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় ক্যান্টনমেন্টসহ পুরো শহর। পরে নদীটি খনন করায় নাব্যতা বৃদ্ধির ফলে পানিধারণ ক্ষমতা বেড়েছে। এতে নদীতীরবর্তী মানুষ বর্ষার মৌসুমে ভাঙনের হাত থেকে রেহাই পেয়েছে। তা ছাড়া শুকনো মৌসুমেও পানি মিলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের এই মহতী উদ্যোগের কারণে নদীগুলো যেমন প্রাণ ফিরে পেয়েছে, তেমনি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হচ্ছে।’
সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘পঁচানালা খালের পাশে ভাতারমারি পাথারে (বিলে) আমার কয়েক হেক্টর জমি রয়েছে। আগে জমিগুলো বর্ষাকালে পানিতে ডুবে থাকত, পানি বের হওয়ার পথ ছিল না। খালটি পুনর্খনন করে দেওয়ায় পানিনিষ্কাশনের পথ তৈরি হয়েছে। এখন আমরা ১২ মাসই নানা ধরনের ফসল ফলাতে পারছি।’
সৈয়দপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) খগেন বাবু জানান, খননের ফলে নদীগুলোতে সারা বছর পানি থাকছে। এসব নদী ও খালে আগের চেয়ে দেশি মাছের উৎপাদন বেড়েছে কয়েক গুণ। আর নদী ও খালগুলোতে মাছ চাষ করা হলে মাছের অভয়ারণ্য হবে। এতে একদিকে স্থানীয়দের যেমন আমিষের চাহিদা পূরণ হবে, পাশাপাশি দেশের মৎস্যসম্পদ রপ্তানিতে সহায়ক হবে বলেও জানান তিনি।
সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোখছদুল মোমিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগে কোনো সরকারপ্রধান নদীগুলো বাঁচাতে উদ্যোগ নেয়নি। পুনর্খনন করে নদীগুলোর প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি।
সরকারের ডেলটা প্রকল্পের পুনর্খননের আওতায় নীলফামারীর সৈয়দপুরে মৃতপ্রায় নদী ও খাল নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে। এতে মিলছে শুকনো মৌসুমে সেচ ও মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহের সুবিধা। এমনটিই জানিয়েছেন উপকারভোগীরা।
প্রকল্পটি এই অঞ্চলে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণসহ জলবায়ু মোকাবিলা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ড সৈয়দপুর পওর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কৃষ্ণ কমল চন্দ্র সরকার।
তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডেলটা প্ল্যান ২০২১ বাস্তবায়ন সফলভাবে শেষ হলে ছোট নদী, খাল ও জলাশয়ে পানিপ্রবাহ বৃদ্ধি পাবে। তবে দীর্ঘমেয়াদি সুফল পেতে হলে নদীগুলোকে পর্যায়ক্রমে পুনর্খননের কাজ চলমান রাখতে হবে বলেও জানান তিনি।
জানা যায়, ডেলটা প্ল্যান কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ৬৪ জেলায় মৃতপ্রায় নদীগুলোর প্রাণ ফেরাতে ছোট নদী, খাল ও জলাশয় পুনর্খনন। প্রকল্পটির আওতায় পাউবো সৈয়দপুর পওর বিভাগ ৫৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪টি নদী ও ৩টি খালের ২৬২ দশমিক ২৬ কিলোমিটার পুনর্খনন কাজ করছে। এর মধ্যে খরখরিয়া নদীর ৭৫ কিলোমিটার ও নদীটির শাখা খাল ১৫ দশমিক ৪ কিলোমিটার, জমিদার পঁচানালা খাল ২১ দশমিক ৩৮ কিলোমিটার, বাঙ্গালীপুর জলকর খালের ২ দশমিক ১ কিলোমিটার, ধাইজান নদীর ২৮ দশমিক ৩৮, দেওনাই চড়ালকাটা যমুনেশ্বরী নদীর ৩৫ কিলোমিটার খননকাজ শেষ হয়েছে। এ ছাড়া ঘৃণায় করতোয়া নদীর ৮৫ কিলোমিটার খননকাজ চলমান রয়েছে। নদী ও খালগুলোর উভয় পাড়ের নতুন মাটিতে লাগানো হয়েছে বিভিন্ন প্রকারের ৯ হাজার গাছের চারা।
সরেজমিন দেখা যায়, শুকনো মৌসুমেও এসব নদীর পানি জমির সেচকাজে ব্যবহার করছেন কৃষকেরা। সেচ সুবিধা পাওয়ায় নদীর তীরবর্তী কৃষিজমিগুলো ফসলে ভরে গেছে। নদীতে জাল ফেলে মাছ শিকার করছেন জেলেরা। মিলছে নানা প্রজাতির মাছ। নদীর উভয় পাড়কে সুরক্ষিত এবং লোক চলাচলের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। উভয় পাড়ে লাগানো নানা প্রজাতির গাছ বেশ বেড়ে উঠছে। এতে নদীর সৌন্দর্য বেড়েছে।
উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের পোড়ারহাট এলাকার জেলে বিশ্বনাথ সরকার (৪৫) বলেন, ‘আগে খরখরিয়া নদীতে বছরের বেশির ভাগ সময় কোনো পানি থাকত না। তখন কষ্ট করে কোনোমতে সংসার চলত। এখন নদীতে পানি থাকায় ১২ মাসই মাছ শিকার করতে পারছি। এতে সংসারে সচ্ছলতা এসেছে।’
খরখরিয়া নদীসংলগ্ন সৈয়দপুর শহরের কুন্দল এলাকার বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক মিজানুর রহমান (৪৩) বলেন, ‘২০১৭ সালে বন্যায় নদীর পানি উপচে শহর রক্ষা বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় ক্যান্টনমেন্টসহ পুরো শহর। পরে নদীটি খনন করায় নাব্যতা বৃদ্ধির ফলে পানিধারণ ক্ষমতা বেড়েছে। এতে নদীতীরবর্তী মানুষ বর্ষার মৌসুমে ভাঙনের হাত থেকে রেহাই পেয়েছে। তা ছাড়া শুকনো মৌসুমেও পানি মিলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের এই মহতী উদ্যোগের কারণে নদীগুলো যেমন প্রাণ ফিরে পেয়েছে, তেমনি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হচ্ছে।’
সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘পঁচানালা খালের পাশে ভাতারমারি পাথারে (বিলে) আমার কয়েক হেক্টর জমি রয়েছে। আগে জমিগুলো বর্ষাকালে পানিতে ডুবে থাকত, পানি বের হওয়ার পথ ছিল না। খালটি পুনর্খনন করে দেওয়ায় পানিনিষ্কাশনের পথ তৈরি হয়েছে। এখন আমরা ১২ মাসই নানা ধরনের ফসল ফলাতে পারছি।’
সৈয়দপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) খগেন বাবু জানান, খননের ফলে নদীগুলোতে সারা বছর পানি থাকছে। এসব নদী ও খালে আগের চেয়ে দেশি মাছের উৎপাদন বেড়েছে কয়েক গুণ। আর নদী ও খালগুলোতে মাছ চাষ করা হলে মাছের অভয়ারণ্য হবে। এতে একদিকে স্থানীয়দের যেমন আমিষের চাহিদা পূরণ হবে, পাশাপাশি দেশের মৎস্যসম্পদ রপ্তানিতে সহায়ক হবে বলেও জানান তিনি।
সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোখছদুল মোমিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগে কোনো সরকারপ্রধান নদীগুলো বাঁচাতে উদ্যোগ নেয়নি। পুনর্খনন করে নদীগুলোর প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে