সেলিমা রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য। তিনি এর আগে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০১-০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব তাঁর ওপরেই ন্যস্ত ছিল। বিএনপিসহ সমমনা জোটের এক দফা আন্দোলনের পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার মাসুদ রানা।
আজকের পত্রিকা: হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচিতে জনদুর্ভোগ বাড়ে। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে বিএনপি কি বিকল্প কর্মসূচির কথা ভাবতে পারে না?
সেলিমা রহমান: আপনি তো একজন সাংবাদিক। আপনি বলুন না? আমরা তো শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি দিয়েছি। জনগণকে সম্পৃক্ত করে আমরা আন্দোলন করছি। আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকার সহিংসতা সৃষ্টি করে, মানুষকে হত্যা করে তার দায় আমাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে। তারপরও আমাদের আন্দোলনে তো জনগণই সাহায্য করছে।
২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের পর থেকে বিএনপির বড় বড় নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এত কিছুর পরও কিন্তু আন্দোলন ঠিকভাবেই চলছে। আমরা তো সহিংস পথে আন্দোলন করতে চাই না। আপনারাই বলে দেন, বিএনপি আর কীভাবে আন্দোলন করতে পারে?
সরকারই সহিংসতা সৃষ্টি করবে, আগুনে পুড়িয়ে মানুষ মারবে। আবার তারাই যখন-তখন আমাদের হুমকি দিয়ে বলে, আগুনে হাত পুড়িয়ে দেব, ডান্ডা মেরে মাথা ফাটিয়ে দেব এবং হেফাজতের মতো অবস্থা করব। এ ধরনের উসকানিমূলক কথা তো আমরা বলি না।
রাজনৈতিক সংস্কৃতি বলে একটা কথা আছে। সেটাকে আমরা কখনো ভঙ্গ করি না। কখনো কি দেখেছেন, আমাদের পার্টির মহাসচিব কোনো অশালীন বা কটু কথা বলেছেন? তিনি সব সময় কিন্তু শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের কথা বলেছেন। আমরা জনগণের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করছি। আমরা শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য লড়াই করছি না। আমরা সংগ্রাম করছি দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য। আর সুশাসনের জন্যই আমাদের এ আন্দোলন।
আজকের পত্রিকা: বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলন সফল হবে বলে মনে করেন?
সেলিমা রহমান: সেই প্রত্যাশা নিয়েই তো আমাদের আন্দোলন। নতুন করে তো আমাদের আন্দোলন হচ্ছে না। দীর্ঘদিন থেকেই আন্দোলন চলছে। সফলতার প্রত্যাশা নিয়েই তো আন্দোলন করছি।
আজকের পত্রিকা: পুলিশের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত থাকলে বিএনপি কি নেতৃত্ব সংকটে পড়বে?
সেলিমা রহমান: আপনাদের কাছে কী মনে হচ্ছে, বিএনপি নেতৃত্ব সংকটে পড়েছে? বিএনপি হলো জনগণের দল। জনগণের শক্তিই হলো বিএনপির শক্তি। কাজেই বর্তমানে জনগণ যে অবস্থার মধ্যে আছে, তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। দীর্ঘদিন থেকে তারা নির্যাতন, নিপীড়ন সহ্য করছে। তাই এ জায়গা থেকে জনগণই আমাদের পক্ষে কাজ করে যাবে। সত্যি কথা বলতে, আমাদের দলে তো সবাই নেতা। তাই তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত আমাদের কোনো ধরনের নেতৃত্বের সংকট হবে না।
আমরা আশাবাদী, যতই গ্রেপ্তার অভিযান চলুক না কেন, একজন না একজন নেতৃত্বের দায়িত্ব নেবেন। বিএনপি তো আর ছোট দল নয়। আর আমাদের দলের পক্ষ থেকে সে ধরনের নির্দেশনাও দেওয়া আছে। আমরা জানতাম, সরকার এ রকম একটা বিভীষিকাময় পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দেবে। তাই আমরা মনে করি না যে দলে নেতৃত্বের সংকট হবে।
আজকের পত্রিকা: নির্বাচন ঠেকানোর আন্দোলন ২০১৪ সালে সফল হয়নি। এবারও যদি বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচন হয়, কী করবে বিএনপি?
সেলিমা রহমান: কী করব, কী করব না সেসব তো পরের কথা। তবে কথা হলো, আওয়ামী লীগ এখন কী করবে বা করবে না, সেটা তাদের ব্যাপার। সরকার কী করবে? সেসবও ভাবার আর সুযোগ নেই আমাদের। আর কখন, কী হলে, কী হবে—সে বিষয়ে আমাদের পার্টির কী করণীয়, সেসব তো পরিস্থিতি বলে দেবে। আগাম তো কিছু বলার সুযোগ নেই। তাই এ মুহূর্তে কিছু বলা সম্ভব না। তবে আমাদের ভাবনা হলো, জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করছি। আজ দেশের যে অর্থনৈতিক অবস্থা, দেশের সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে, উন্নয়নের কচকচানি প্রচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করা এবং শুধু স্বৈরাচারী বললে কম বলা হবে; বরং ফ্যাসিবাদী কায়দায় গুলি করে হত্যা করা, গুম করা—সেসবের কোনো ধরনের বিচার না করা; একতরফাভাবে পুলিশ বাহিনী ও প্রশাসনকে দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার যে অত্যাচারটা করছে—তার বিরুদ্ধেই তো আমাদের আন্দোলন। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি এবং আন্দোলনের গতি-প্রকৃতিই বলে দেবে, সামনে আমাদের কী পরিস্থিতির মধ্যে যেতে হবে।
আজকের পত্রিকা: ১৭ বছর ধরে বিএনপি ক্ষমতার বাইরে। আওয়ামী লীগের চেয়ে দেশ পরিচালনায় বিএনপি অধিক দক্ষ—এটা কি মানুষ বিশ্বাস করে?
সেলিমা রহমান: একজন সাধারণ লোক, রিকশাওয়ালা, দিনমজুর সবাই দেশের পরিস্থিতি এবং আওয়ামী দুঃশাসনে বিরক্ত। তাই তাঁরা সুষ্ঠু নির্বাচন চান। এ জায়গা থেকে বলতে পারি, দেশ শাসনে বিএনপি অধিক দক্ষ কি দক্ষ না, সেটা তো জনগণ নির্ধারণ করবেন। তাঁরা যাঁদের যোগ্য মনে করবেন, তাঁদেরই ভোট দেবেন। কিন্তু গত দুইবার তাঁরা সেই ভোট দেওয়ারই তো সুযোগ পাননি।
সরকারের কাছে জনগণের প্রতি জবাবদিহি থাকতে হবে। আর এর সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে একমাত্র সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে। এখন সরকার যদি নিরপেক্ষ, নির্দলীয় ব্যক্তির মাধ্যমে নির্বাচন করার সুযোগ দেয়, তাহলে জনগণ আওয়ামী লীগ না বিএনপি বেশি দেশ শাসনে যোগ্য, সেটা নির্ধারণের সুযোগ পাবেন। আওয়ামী লীগ যদি আগের মতো নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসতে চায়, সেটা তো জনগণ মেনে নেবে না। এ জন্য তো আমরা জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন করছি। কিন্তু সরকার কোনো কিছুকে পাত্তা দিচ্ছে না। এ জন্য দেশ পরিচালনায় কে বেশি দক্ষ, তার ভার নির্ধারণের দায়িত্ব জনগণের ওপর ছেড়ে দেওয়াই উত্তম।
আজকের পত্রিকা: তারেক রহমান বিদেশ থেকে নেতৃত্ব দিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে পারবেন বলে অনেকেই মনে করেন না। বিএনপির নেতৃত্ব বদলের চিন্তা কি আছে?
সেলিমা রহমান: আমরা এখন পর্যন্ত দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকেই নেতা মনে করি। যেহেতু তিনি এখনো বেঁচে আছেন, আমরা তাঁর দিকে তাকিয়েই রাজনীতি ও আন্দোলন করছি। এরপর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন তারেক রহমান। তাঁদের বাইরে এখন পর্যন্ত অন্য কাউকে চিন্তা করার কথা আমরা ভাবতে পারি না। ভবিষ্যতেও ভাবার সুযোগ নেই। কারণ তাঁরা অনেক দক্ষ সুশাসক ছিলেন; বিশেষ করে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এখনো বেঁচে আছেন। কাজেই তাঁর দিকে এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি এখন পর্যন্ত। তবে আন্দোলনের পরিস্থিতি কখন, কীভাবে পরিবর্তন হবে, তা তো বলা যাচ্ছে না।
আজকের পত্রিকা: সামনে আপনাদের কী ধরনের কর্মসূচি আসতে পারে?
সেলিমা রহমান: অবশ্যই পরিবর্তিত পরিস্থিতি দেখে সেভাবে আমরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব। আগেভাগে কিছু বলার সুযোগ নেই। আর আমরা গণতন্ত্র উদ্ধার করার জন্য লড়াই করে যাচ্ছি। কোনোভাবেই পেছনে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই।
আজকের পত্রিকা: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সেলিমা রহমান: আপনাকেও ধন্যবাদ।
সেলিমা রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য। তিনি এর আগে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০১-০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব তাঁর ওপরেই ন্যস্ত ছিল। বিএনপিসহ সমমনা জোটের এক দফা আন্দোলনের পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার মাসুদ রানা।
আজকের পত্রিকা: হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচিতে জনদুর্ভোগ বাড়ে। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে বিএনপি কি বিকল্প কর্মসূচির কথা ভাবতে পারে না?
সেলিমা রহমান: আপনি তো একজন সাংবাদিক। আপনি বলুন না? আমরা তো শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি দিয়েছি। জনগণকে সম্পৃক্ত করে আমরা আন্দোলন করছি। আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকার সহিংসতা সৃষ্টি করে, মানুষকে হত্যা করে তার দায় আমাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে। তারপরও আমাদের আন্দোলনে তো জনগণই সাহায্য করছে।
২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের পর থেকে বিএনপির বড় বড় নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এত কিছুর পরও কিন্তু আন্দোলন ঠিকভাবেই চলছে। আমরা তো সহিংস পথে আন্দোলন করতে চাই না। আপনারাই বলে দেন, বিএনপি আর কীভাবে আন্দোলন করতে পারে?
সরকারই সহিংসতা সৃষ্টি করবে, আগুনে পুড়িয়ে মানুষ মারবে। আবার তারাই যখন-তখন আমাদের হুমকি দিয়ে বলে, আগুনে হাত পুড়িয়ে দেব, ডান্ডা মেরে মাথা ফাটিয়ে দেব এবং হেফাজতের মতো অবস্থা করব। এ ধরনের উসকানিমূলক কথা তো আমরা বলি না।
রাজনৈতিক সংস্কৃতি বলে একটা কথা আছে। সেটাকে আমরা কখনো ভঙ্গ করি না। কখনো কি দেখেছেন, আমাদের পার্টির মহাসচিব কোনো অশালীন বা কটু কথা বলেছেন? তিনি সব সময় কিন্তু শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের কথা বলেছেন। আমরা জনগণের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করছি। আমরা শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য লড়াই করছি না। আমরা সংগ্রাম করছি দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য। আর সুশাসনের জন্যই আমাদের এ আন্দোলন।
আজকের পত্রিকা: বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলন সফল হবে বলে মনে করেন?
সেলিমা রহমান: সেই প্রত্যাশা নিয়েই তো আমাদের আন্দোলন। নতুন করে তো আমাদের আন্দোলন হচ্ছে না। দীর্ঘদিন থেকেই আন্দোলন চলছে। সফলতার প্রত্যাশা নিয়েই তো আন্দোলন করছি।
আজকের পত্রিকা: পুলিশের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত থাকলে বিএনপি কি নেতৃত্ব সংকটে পড়বে?
সেলিমা রহমান: আপনাদের কাছে কী মনে হচ্ছে, বিএনপি নেতৃত্ব সংকটে পড়েছে? বিএনপি হলো জনগণের দল। জনগণের শক্তিই হলো বিএনপির শক্তি। কাজেই বর্তমানে জনগণ যে অবস্থার মধ্যে আছে, তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। দীর্ঘদিন থেকে তারা নির্যাতন, নিপীড়ন সহ্য করছে। তাই এ জায়গা থেকে জনগণই আমাদের পক্ষে কাজ করে যাবে। সত্যি কথা বলতে, আমাদের দলে তো সবাই নেতা। তাই তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত আমাদের কোনো ধরনের নেতৃত্বের সংকট হবে না।
আমরা আশাবাদী, যতই গ্রেপ্তার অভিযান চলুক না কেন, একজন না একজন নেতৃত্বের দায়িত্ব নেবেন। বিএনপি তো আর ছোট দল নয়। আর আমাদের দলের পক্ষ থেকে সে ধরনের নির্দেশনাও দেওয়া আছে। আমরা জানতাম, সরকার এ রকম একটা বিভীষিকাময় পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দেবে। তাই আমরা মনে করি না যে দলে নেতৃত্বের সংকট হবে।
আজকের পত্রিকা: নির্বাচন ঠেকানোর আন্দোলন ২০১৪ সালে সফল হয়নি। এবারও যদি বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচন হয়, কী করবে বিএনপি?
সেলিমা রহমান: কী করব, কী করব না সেসব তো পরের কথা। তবে কথা হলো, আওয়ামী লীগ এখন কী করবে বা করবে না, সেটা তাদের ব্যাপার। সরকার কী করবে? সেসবও ভাবার আর সুযোগ নেই আমাদের। আর কখন, কী হলে, কী হবে—সে বিষয়ে আমাদের পার্টির কী করণীয়, সেসব তো পরিস্থিতি বলে দেবে। আগাম তো কিছু বলার সুযোগ নেই। তাই এ মুহূর্তে কিছু বলা সম্ভব না। তবে আমাদের ভাবনা হলো, জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করছি। আজ দেশের যে অর্থনৈতিক অবস্থা, দেশের সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে, উন্নয়নের কচকচানি প্রচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করা এবং শুধু স্বৈরাচারী বললে কম বলা হবে; বরং ফ্যাসিবাদী কায়দায় গুলি করে হত্যা করা, গুম করা—সেসবের কোনো ধরনের বিচার না করা; একতরফাভাবে পুলিশ বাহিনী ও প্রশাসনকে দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার যে অত্যাচারটা করছে—তার বিরুদ্ধেই তো আমাদের আন্দোলন। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি এবং আন্দোলনের গতি-প্রকৃতিই বলে দেবে, সামনে আমাদের কী পরিস্থিতির মধ্যে যেতে হবে।
আজকের পত্রিকা: ১৭ বছর ধরে বিএনপি ক্ষমতার বাইরে। আওয়ামী লীগের চেয়ে দেশ পরিচালনায় বিএনপি অধিক দক্ষ—এটা কি মানুষ বিশ্বাস করে?
সেলিমা রহমান: একজন সাধারণ লোক, রিকশাওয়ালা, দিনমজুর সবাই দেশের পরিস্থিতি এবং আওয়ামী দুঃশাসনে বিরক্ত। তাই তাঁরা সুষ্ঠু নির্বাচন চান। এ জায়গা থেকে বলতে পারি, দেশ শাসনে বিএনপি অধিক দক্ষ কি দক্ষ না, সেটা তো জনগণ নির্ধারণ করবেন। তাঁরা যাঁদের যোগ্য মনে করবেন, তাঁদেরই ভোট দেবেন। কিন্তু গত দুইবার তাঁরা সেই ভোট দেওয়ারই তো সুযোগ পাননি।
সরকারের কাছে জনগণের প্রতি জবাবদিহি থাকতে হবে। আর এর সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে একমাত্র সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে। এখন সরকার যদি নিরপেক্ষ, নির্দলীয় ব্যক্তির মাধ্যমে নির্বাচন করার সুযোগ দেয়, তাহলে জনগণ আওয়ামী লীগ না বিএনপি বেশি দেশ শাসনে যোগ্য, সেটা নির্ধারণের সুযোগ পাবেন। আওয়ামী লীগ যদি আগের মতো নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসতে চায়, সেটা তো জনগণ মেনে নেবে না। এ জন্য তো আমরা জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন করছি। কিন্তু সরকার কোনো কিছুকে পাত্তা দিচ্ছে না। এ জন্য দেশ পরিচালনায় কে বেশি দক্ষ, তার ভার নির্ধারণের দায়িত্ব জনগণের ওপর ছেড়ে দেওয়াই উত্তম।
আজকের পত্রিকা: তারেক রহমান বিদেশ থেকে নেতৃত্ব দিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে পারবেন বলে অনেকেই মনে করেন না। বিএনপির নেতৃত্ব বদলের চিন্তা কি আছে?
সেলিমা রহমান: আমরা এখন পর্যন্ত দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকেই নেতা মনে করি। যেহেতু তিনি এখনো বেঁচে আছেন, আমরা তাঁর দিকে তাকিয়েই রাজনীতি ও আন্দোলন করছি। এরপর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন তারেক রহমান। তাঁদের বাইরে এখন পর্যন্ত অন্য কাউকে চিন্তা করার কথা আমরা ভাবতে পারি না। ভবিষ্যতেও ভাবার সুযোগ নেই। কারণ তাঁরা অনেক দক্ষ সুশাসক ছিলেন; বিশেষ করে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এখনো বেঁচে আছেন। কাজেই তাঁর দিকে এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি এখন পর্যন্ত। তবে আন্দোলনের পরিস্থিতি কখন, কীভাবে পরিবর্তন হবে, তা তো বলা যাচ্ছে না।
আজকের পত্রিকা: সামনে আপনাদের কী ধরনের কর্মসূচি আসতে পারে?
সেলিমা রহমান: অবশ্যই পরিবর্তিত পরিস্থিতি দেখে সেভাবে আমরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব। আগেভাগে কিছু বলার সুযোগ নেই। আর আমরা গণতন্ত্র উদ্ধার করার জন্য লড়াই করে যাচ্ছি। কোনোভাবেই পেছনে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই।
আজকের পত্রিকা: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সেলিমা রহমান: আপনাকেও ধন্যবাদ।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে