ফুলগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি
ফেনীর ফুলগাজীতে ফসলি জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। তাতে স্থায়ীভাবে কৃষিজমির উর্বরতা কমে যাচ্ছে। একটি প্রভাবশালী মহল দিনের পর দিন এই অন্যায় করলেও তা বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
উপজেলার আমজাদহাট ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের শাহ আলম (৩৫) বলেন, ‘মাটি ব্যবসায়ীরা উৎসবমুখর পরিবেশে মাটি কাটছে। অথচ এসব দেখার কেউ নেই। মনে হয়, মাটি কাটার জন্য তারা সব ম্যানেজ করে ফেলেছে। প্রশাসন বা কোনো জনপ্রতিনিধি কখনো তাদের কিছু বলে না। আমরা সাধারণ মানুষ, আমাদের কথা কে শুনবে? তবে এটি সত্য, যেভাবে কৃষিজমির মাটি কাটা হচ্ছে, আর কয়েক বছর পর কৃষি জমিতে ফসল ফলানো যাবে না।’
মুন্সীরহাট কমুয়া গ্রামের ছালেহ আহম্মদ বলেন, ‘কিছু লোক একত্র হয়ে যে হারে মাটি কাটা শুরু করেছে, তাতে কৃষিজমি ঝুঁকির মুখে পড়বে। যদি এটি রোধ করা না হয়, তাহলে সামনে আমাদের বিপদ আছে। সব দেখে মনে হচ্ছে, মাটি কাটার টাকার ভাগ স্থানীয় প্রভাবশালীরাও পায়।’
জিএম হাট ইউনিয়নের মো. শিপন নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘মাটি ব্যবসা বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক। যেভাবে কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে, মানুষের জমি খনন করা হচ্ছে, তা কৃষিজমির মালিকদের জন্য একটি মহা বিপদ সংকেত। আমাদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এতে বাধা দিলে হয়তো এ ধরনের ঘটনা ঘটত না।’
ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের সাহাব উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি জানান, যেখানে রক্ষকই ভক্ষকের ভূমিকা পালন করে, সেখানে এগুলো হরহামেশায়ই চলবে। আমাদের অনেক জনপ্রতিনিধি এসব অন্যায়ের সহযোগী হয়, এটা দুঃখজনক।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা জানান, কৃষি জমির উপরিভাগের ১৪ সেন্টিমিটার মাটি খুবই উর্বর। এটি তৈরি হতে অনেক সময় লাগে। কিন্তু যখন এটি কেটে ফেলা হয়, তখন ওই জমির উর্বরতা কমে যায়। ফসল উৎপাদনও কম হয়। পরবর্তী সময়ে জমির এই উর্বরতার তৈরি হতে অনেক সময় লাগে। সর্বোপরি উৎপাদনযোগ্য কৃষিপণ্য মাটি কাটার কারণে ঝুঁকির মুখে পড়ছে। যার কারণে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী উৎপাদন করা যাবে না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নিলে এটি প্রতিকার করা সম্ভব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফেরদৌসী বেগম বলেন, ‘যেখানেই কৃষি জমির মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে, আমরা খবর পাওয়া মাত্রই সেই স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা করি। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’ মুহুরীর চরের মাটি ও বালু বিক্রির বিষয়ে তিনি জানান, এই বিষয়টা নিয়ে ডিসি অফিসে আলোচনা হয়েছে। এখনো কোনো প্রকারের রেজ্যুলেশন করা হয়নি এবং নদীর চরের মাটি ও বালু কাটার অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
ফেনীর ফুলগাজীতে ফসলি জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। তাতে স্থায়ীভাবে কৃষিজমির উর্বরতা কমে যাচ্ছে। একটি প্রভাবশালী মহল দিনের পর দিন এই অন্যায় করলেও তা বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
উপজেলার আমজাদহাট ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের শাহ আলম (৩৫) বলেন, ‘মাটি ব্যবসায়ীরা উৎসবমুখর পরিবেশে মাটি কাটছে। অথচ এসব দেখার কেউ নেই। মনে হয়, মাটি কাটার জন্য তারা সব ম্যানেজ করে ফেলেছে। প্রশাসন বা কোনো জনপ্রতিনিধি কখনো তাদের কিছু বলে না। আমরা সাধারণ মানুষ, আমাদের কথা কে শুনবে? তবে এটি সত্য, যেভাবে কৃষিজমির মাটি কাটা হচ্ছে, আর কয়েক বছর পর কৃষি জমিতে ফসল ফলানো যাবে না।’
মুন্সীরহাট কমুয়া গ্রামের ছালেহ আহম্মদ বলেন, ‘কিছু লোক একত্র হয়ে যে হারে মাটি কাটা শুরু করেছে, তাতে কৃষিজমি ঝুঁকির মুখে পড়বে। যদি এটি রোধ করা না হয়, তাহলে সামনে আমাদের বিপদ আছে। সব দেখে মনে হচ্ছে, মাটি কাটার টাকার ভাগ স্থানীয় প্রভাবশালীরাও পায়।’
জিএম হাট ইউনিয়নের মো. শিপন নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘মাটি ব্যবসা বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক। যেভাবে কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে, মানুষের জমি খনন করা হচ্ছে, তা কৃষিজমির মালিকদের জন্য একটি মহা বিপদ সংকেত। আমাদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এতে বাধা দিলে হয়তো এ ধরনের ঘটনা ঘটত না।’
ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের সাহাব উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি জানান, যেখানে রক্ষকই ভক্ষকের ভূমিকা পালন করে, সেখানে এগুলো হরহামেশায়ই চলবে। আমাদের অনেক জনপ্রতিনিধি এসব অন্যায়ের সহযোগী হয়, এটা দুঃখজনক।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা জানান, কৃষি জমির উপরিভাগের ১৪ সেন্টিমিটার মাটি খুবই উর্বর। এটি তৈরি হতে অনেক সময় লাগে। কিন্তু যখন এটি কেটে ফেলা হয়, তখন ওই জমির উর্বরতা কমে যায়। ফসল উৎপাদনও কম হয়। পরবর্তী সময়ে জমির এই উর্বরতার তৈরি হতে অনেক সময় লাগে। সর্বোপরি উৎপাদনযোগ্য কৃষিপণ্য মাটি কাটার কারণে ঝুঁকির মুখে পড়ছে। যার কারণে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী উৎপাদন করা যাবে না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নিলে এটি প্রতিকার করা সম্ভব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফেরদৌসী বেগম বলেন, ‘যেখানেই কৃষি জমির মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে, আমরা খবর পাওয়া মাত্রই সেই স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা করি। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’ মুহুরীর চরের মাটি ও বালু বিক্রির বিষয়ে তিনি জানান, এই বিষয়টা নিয়ে ডিসি অফিসে আলোচনা হয়েছে। এখনো কোনো প্রকারের রেজ্যুলেশন করা হয়নি এবং নদীর চরের মাটি ও বালু কাটার অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে