সম্পাদকীয়
১৫ আগস্টের সেই মর্মান্তিক, পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা ছিলেন বেলজিয়ামে। সেদিন দুপুরে তাঁরা চলে যান পশ্চিম জার্মানির বনে। ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন উৎকণ্ঠিত ও শঙ্কিত। প্রবাসে এখন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার ভাগ্যে কী আছে, তা নিয়ে শঙ্কিত না হওয়ার কোনো কারণ নেই।
শহীদ হোসেন ছিলেন জার্মানির কার্লসরুয়ে। ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন সেখানকার পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্রের সিনিয়র গবেষক। ১৬ আগস্ট ওয়াজেদ মিয়া শহীদ হোসেনের ছাত্রাবাসে গিয়েছিলেন। গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে বই সংগ্রহ করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তা বন্ধ থাকায় ঘণ্টা দেড়েক অবস্থান করে চলে যান। একবার তিনি তাঁর গেস্টহাউসের অ্যাপার্টমেন্টে যান এবং সেখান থেকে কিছু দরকারি জিনিসপত্র নেন।
শহীদ হোসেন জিজ্ঞেস করেন, ‘হাসিনা আপা আর রেহানা কেমন আছেন?’
ওয়াজেদ মিয়া বলেন, ‘ওরা মানসিকভাবে একেবারে ভেঙে পড়েছে।’
এরপর ওয়াজেদ মিয়া বনে চলে যান।
১৮ আগস্ট ওয়াজেদ মিয়া সপরিবারে কার্লসরুয়ে আসেন। তাঁর আসার খবর শুনে শহীদ হোসেন পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে কর্মরত জুনিয়র গবেষক আমিরুল ইসলামকে (বাবুল) নিয়ে শিক্ষক অতিথি ভবনে যান। সেখানে ছিলেন ওয়াজেদ মিয়া। তিনি বললেন, ‘এখানে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা আছেন। তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে আমি চিন্তিত।’
এরপর তাঁরা কার্লসরুয়ের পুলিশ অফিসে যান। পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানায়, পুলিশের টহল গাড়ি তাঁদের দিকে নজর রাখবে।
ওয়াজেদ মিয়ার আতঙ্কিত চেহারা সবাইকে খুব কষ্ট দিত। তিনি মাঝে মাঝে দরজা খুলে বাইরে উঁকিঝুঁকি দিতেন। তা দেখে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘সব হারিয়েছি, এখন আর ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’ কদিন আগেও জয় আর পুতুল বাইরে খেলতে যেত। এখন ওরাও গৃহবন্দী।
তখন সকালে শেখ হাসিনা নাশতা তৈরি করতেন দেশের মতো করে। তিনি আগের দিনের বাসি ভাত পেঁয়াজ-মরিচ দিয়ে ভাজতেন। সেটাই ছিল সবার জন্য সকালের নাশতা।
সূত্র: সরাফ আহমেদ, প্রবাসে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার দুঃসহ দিন, পৃষ্ঠা ৮৬-৮৯
১৫ আগস্টের সেই মর্মান্তিক, পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা ছিলেন বেলজিয়ামে। সেদিন দুপুরে তাঁরা চলে যান পশ্চিম জার্মানির বনে। ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন উৎকণ্ঠিত ও শঙ্কিত। প্রবাসে এখন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার ভাগ্যে কী আছে, তা নিয়ে শঙ্কিত না হওয়ার কোনো কারণ নেই।
শহীদ হোসেন ছিলেন জার্মানির কার্লসরুয়ে। ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন সেখানকার পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্রের সিনিয়র গবেষক। ১৬ আগস্ট ওয়াজেদ মিয়া শহীদ হোসেনের ছাত্রাবাসে গিয়েছিলেন। গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে বই সংগ্রহ করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তা বন্ধ থাকায় ঘণ্টা দেড়েক অবস্থান করে চলে যান। একবার তিনি তাঁর গেস্টহাউসের অ্যাপার্টমেন্টে যান এবং সেখান থেকে কিছু দরকারি জিনিসপত্র নেন।
শহীদ হোসেন জিজ্ঞেস করেন, ‘হাসিনা আপা আর রেহানা কেমন আছেন?’
ওয়াজেদ মিয়া বলেন, ‘ওরা মানসিকভাবে একেবারে ভেঙে পড়েছে।’
এরপর ওয়াজেদ মিয়া বনে চলে যান।
১৮ আগস্ট ওয়াজেদ মিয়া সপরিবারে কার্লসরুয়ে আসেন। তাঁর আসার খবর শুনে শহীদ হোসেন পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে কর্মরত জুনিয়র গবেষক আমিরুল ইসলামকে (বাবুল) নিয়ে শিক্ষক অতিথি ভবনে যান। সেখানে ছিলেন ওয়াজেদ মিয়া। তিনি বললেন, ‘এখানে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা আছেন। তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে আমি চিন্তিত।’
এরপর তাঁরা কার্লসরুয়ের পুলিশ অফিসে যান। পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানায়, পুলিশের টহল গাড়ি তাঁদের দিকে নজর রাখবে।
ওয়াজেদ মিয়ার আতঙ্কিত চেহারা সবাইকে খুব কষ্ট দিত। তিনি মাঝে মাঝে দরজা খুলে বাইরে উঁকিঝুঁকি দিতেন। তা দেখে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘সব হারিয়েছি, এখন আর ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’ কদিন আগেও জয় আর পুতুল বাইরে খেলতে যেত। এখন ওরাও গৃহবন্দী।
তখন সকালে শেখ হাসিনা নাশতা তৈরি করতেন দেশের মতো করে। তিনি আগের দিনের বাসি ভাত পেঁয়াজ-মরিচ দিয়ে ভাজতেন। সেটাই ছিল সবার জন্য সকালের নাশতা।
সূত্র: সরাফ আহমেদ, প্রবাসে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার দুঃসহ দিন, পৃষ্ঠা ৮৬-৮৯
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
২ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৬ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে